ইউএনও যখন ভ্যানচালক
চালককে পাশের আসনে বসিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালালেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রমিজ আলম। সোমবার (৬ মে) দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর ‘ভিক্ষুক পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসূচীর’ আওতায় ভিক্ষুকদের মধ্যে ব্যাটারিচালিত ভ্যান বিতরণের সময় ভ্যান চালান তিনি। ইউএনও’র ভ্যান চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়ে যায়। ইউএনও কর্তৃক ভ্যান চালানোর ভিডিওটি বিভিন্নজন ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার পাঁচজন ভিক্ষুকের মধ্যে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও তিনজনকে দোকানসহ মালামাল বিতরণ করা হয়। এসব জিনিস বিতরণের সময় অফিস চত্বরে ইউএনও রমিজ আলম চালককে পাশের আসনে বসিয়ে ভ্যান চালান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রমিজ আলম কালবেলাকে বলেন, কিনে আনা রিকশাভ্যানগুলো চালানোর উপযোগী কি না তা যাচাইয়ের জন্য চালিয়েছি।  রিকশাভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ত্রাণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
০৬ মে, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, মাটি কাটা বন্ধ করলেন ইউএনও
লহ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বিলের ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের এক বিলেই তৈরি হয়েছে দুই শতাধিক পুকুর। আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্র পুকুরে সয়লাব বিষয় নিয়ে ২৯ এপ্রিল দৈনিক কালবেলায় ‘এক বিলেই ২০০ পুকুর, মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন লহ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত দুদিনে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৪টায় সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম ও রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান মাটি ব্যবসায়ীদের ভাড়াটে শ্রমিকের দল। গা ঢাকা দেয় মাটি ব্যবসায়ীরাসহ মদিনা ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল ও জেবিএম ইটভাটা মালিক জাহাঙ্গীর কোম্পানী। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যান। চারদিকে শুধু পুকুর আর পুকুর। কোথাও চাষাবাদের জমি নেই। ইউএনও এবং পুলিশ আসার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় কর্মকর্তারা কথা বলেন ভুক্তভোগি ও ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সঙ্গে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলুকে উক্ত বিলের মাটি কাটা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদারকি এবং মাটি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার জন্য বলেন। কৃষক মো. শাহ আলম ও রাজা মিয়া বলেন, জমির মাটি রক্ষায় কত আন্দোলন করেছি- সংগ্রাম করেছি। কেউ ফিরেও দেখেনি। আজ আমাদের ফরিয়াদ শুনেছেন সৃষ্টিকর্তা। তার দয়ায় ইউএনও ও ওসি স্যারের কারণে মাটি লুট বন্ধ হয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি দাবি করেন মাটি লুটকারীরা খুবই খারাপ। কোনোভাবেই যেন এরা এ মাঠে আর না নামতে পারে। কৃষকের ক্ষতি যেন করতে না পারে। ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, সরকারি নির্দেশনার বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আজও একটি বিলের মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আমরা এ বিলে এসে মাটি কাটার সত্যতা পেয়েছি। জোর করে মাটি কাটা বা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে যদি কেউ থানায় অভিযোগ করে তাহলে অবশ্যই বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, আমরা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। কোনোভাবেই এ বিল থেকে মাটি কাটা যেন না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে রিপোর্ট লেখা হবে। আমরা এখানে আসার পর মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কাউকে না পেয়ে কোনো ধরনের জরিমানা করা যায়নি। তবে তালিকা করা হবে, তালিকা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন এ কর্মকর্তা।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, মাটি কাটা বন্ধ করলেন ইউএনও
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বিলের ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের এক বিলেই তৈরি হয়েছে দুই শতাধিক পুকুর। আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্র পুকুরে সয়লাব বিষয় নিয়ে ২৯ এপ্রিল দৈনিক কালবেলায় ‘এক বিলেই ২০০ পুকুর, মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত দুদিনে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৪টায় সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম ও রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান মাটি ব্যবসায়ীদের ভাড়াটে শ্রমিকের দল। গা ঢাকা দেয় মাটি ব্যবসায়ীরাসহ মদিনা ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল ও জেবিএম ইটভাটা মালিক জাহাঙ্গীর কোম্পানি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যান। চারদিকে শুধু পুকুর আর পুকুর। কোথাও চাষাবাদের জমি নেই। ইউএনও এবং পুলিশ আসার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় কর্মকর্তারা কথা বলেন ভুক্তভোগি ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সঙ্গে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলুকে ওই বিলের মাটি কাটা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদারকি এবং মাটি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করার জন্য বলেন। কৃষক মো. শাহ আলম ও রাজা মিয়া বলেন, জমির মাটি রক্ষায় কত আন্দোলন করেছি- সংগ্রাম করেছি। কেউ ফিরেও দেখেনি। আজ আমাদের ফরিয়াদ শুনেছেন সৃষ্টিকর্তা। তার দয়ায় ইউএনও ও ওসি স্যারের কারণে মাটি লুট বন্ধ হয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি দাবি করেন মাটি লুটকারীরা খুবই খারাপ। কোনোভাবেই যেন এরা এ মাঠে আর না নামতে পারে। কৃষকের ক্ষতি যেন করতে না পারে। ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, সরকারি নির্দেশনার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আজও একটি বিলের মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, আমরা এ বিলে এসে মাটি কাটার সত্যতা পেয়েছি। জোর করে মাটি কাটা বা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে যদি কেউ থানায় অভিযোগ করে তাহলে অবশ্যই বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, আমরা ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। কোনোভাবেই এ বিল থেকে মাটি কাটা যেন না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণে রিপোর্ট লেখা হবে। আমরা এখানে আসার পর মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত কাউকে না পেয়ে কোনো ধরনের জরিমানা করা যায়নি। তবে তালিকা করা হবে, তালিকা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন এ কর্মকর্তা।
০২ মে, ২০২৪

পাঁচ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ইউএনও
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রিত পার্কে টিকিট ছাড়া প্রবেশ করায় পাঁচ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইন উদ্দিনের নির্দেশে ও উপস্থিতিতে তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও। এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘ওই শিশুদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। কয়েকজন শিশু দেয়াল টপকে ঢুকেছিল। এরপর পাশে যারা ছিল, তারা তাদের ধরে এনেছে। তারা দাঁড়িয়ে ছিল, ভয়ে হয়তো কানে হাত দিয়েছে। তবে আমি তাদের (শিশুদের) বলেছি, দেয়াল টপকে পার্কে প্রবেশ করা অপরাধ। এটা চুরির সমান অপরাধ। তোমরা আর কখনো এ কাজ করবে না। সৎ ও ভালো মানুষ হয়ে জীবনযাপন করবে। এমন লেসন (শিক্ষা) দিয়ে আমি তাদের ছেড়ে দিয়েছি। দুই শিশুকে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনাটি আমার জানা নেই।’ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের তুলাসার, ব্যাপারী পাড়া ও স্বর্ণঘোষ এলাকার কয়েক শিশু পার্কের পাশে খেলাধুলা করছিল। তারা সন্ধ্যার দিকে সীমানা প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করে। গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাঁচজনকে আটক করেন। পরে সেখানে আসেন ইউএনও মাইন উদ্দিন। তখন ওই শিশুদের কানে হাত দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ সময় পার্কে উপস্থিত অনেক দর্শনার্থী মোবাইলে ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। ওই শিশুদের বয়স ১০-১৪ বছর। কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুরা কাঁদতে থাকে। যাদের বয়স ১০ বছরের নিচে, তাদের কাছ থেকে পার্কে প্রবেশের টাকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যাদের বয়স ১৩ বছরের ওপরে, এমন দুজনকে আটকে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পার্ক বন্ধ করার সময় গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তখন ওই দুই শিশু তাদের চোখ এড়িয়ে পার্ক থেকে বের হয়ে যায়। ওই শিশুদের মধ্যে একজন শহরের একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সে জানায়, পার্কের সীমানা প্রাচীরের পাশে খেলছিল। খেলার সময় সীমানা প্রাচীরের ওপর উঠলে অন্য বন্ধুরা তাকে ধাক্কা মারে। তখন আনসার সদস্যরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে আসেন। তার পকেটে থাকা ২০ টাকা দিয়ে মুক্তি পেতে চেয়েছিল। রাত ১২টার সময় ছাড়া হবে এমন বলে তাকে আটকে রাখা হয়। এক অভিভাবক বলেন, পার্কটি যেখানে বানানো হয়েছে, সে জমিটি আমাদের পূর্বপুরুষের স্বজনদের ছিল। একপর্যায়ে তা খাস হয়েছে। ওই জায়গায় শিশু বয়সে আমরা খেলাধুলা করেছি। আমাদের সন্তানরাও খেলতে সেখানে যায়। পার্কে প্রবেশ করার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের শিশুসন্তানদের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। শহরের এক মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক বলেন, ঘটনার সময় আমি পার্কে ছিলাম। ঘটনাটিতে আমি লজ্জিত ও বিস্মিত হয়েছি। ওদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু এক কর্মকর্তার নির্দেশ থাকার কথা বলে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা তাদের ছাড়তে রাজি হয়নি। বিষয়টি জানতে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে জেলা প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ কেউ করতে পারে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে খতিয়ে দেখা হবে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিনা টিকিটে পার্কে প্রবেশ / ৫ শিশুকে কান ধরে দাঁড়িয়ে রাখলেন ইউএনও
টিকিট ছাড়া পার্কে প্রবেশের দায়ে পাঁচ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউএনও মো. মাইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত পার্কে। এসময় তাদের দুজনকে গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যের পাহারায় দের ঘণ্টা আটকে রাখে বলে অভিযোগ ওঠে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর টিকেট ছাড়া পার্কে প্রবেশ করলে গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে ইউএনও শিশুদের এ শাস্তি দেন। ঘটনার সময় পার্কে আসা দর্শনার্থীরা মুঠোফোনের ক্যামেরায় ছবি ও ভিডিও করেন। ঘটনার কিছু ছবি কালবেলার হাতে এসেছে। মো. মাইন উদ্দিন ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ওই শিশুদের কান ধরিয়ে রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। কয়েকজন শিশু দেয়াল টপকে ঢুকেছিল। তারপর পাশে যারা ছিল তারা তাদের ধরে এনেছে। ওরা দাঁড়িয়ে ছিল, ভয়ে হয়ত কানে হাত দিয়েছে। তবে আমি তাদের (শিশুদের) বলেছি দেয়াল টপকে প্রবেশ করা অপরাধ। এটা চুরির সমান অপরাধ, তোমরা জানো কি না তা জিজ্ঞাসা করেছি। তোমরা আর কখনো এ কাজ  করবে না। সৎ ও ভালো মানুষ হয়ে জীবনযাপন করবা এমন লেসন (শিক্ষা) দিয়ে আমি তাদের ছেড়ে দিয়েছি। আর দুই শিশুকে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনাটি আমার জানা নেই। স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুর জেলা শহরে সদর হাসপাতালের সামনে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির পাশে পার্ক নির্মাণ করেছে জেলা প্রশাসন। শরীয়তপুর পার্ক নাম করণ করা পার্কটি ঈদের দিন চালু করা হয়েছে। চার দিক দিয়ে সীমানা প্রাচীর দিয়ে একটি প্রবেশ দ্বার রাখা হয়েছে। ভেতরে শিশুদের খেলার জন্য ১৫-১৬টি বিভিন্ন রাইড বসানো হয়েছে। আর পার্কে প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। পার্কের প্রবেশ দ্বারে কাউন্টার খুলে ঈদের দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা। ওই পার্কের দেখভালের দায়িত্বে আছেন সদর ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন। কেউ টাকা ছাড়া পার্কে প্রবেশ করেন কি না ও পার্কের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের তুলাসার, বেপারিপাড়া ও স্বর্ণঘোষ এলাকার কয়েকজন শিশু পার্কের পাশে খেলাধুলা করছিল। তারা সন্ধ্যার দিকে সীমানা প্রাচীর টপকে পার্কে প্রবেশ করে। গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের পাঁচজনকে আটক করেন। তাদের ধরে পার্কের উত্তর-পূর্ব দিকে আনা হয়। তখন সেখানে আসেন ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন। তখন ওই শিশুদের মধ্যে চারজনকে কানে হাত দিয়ে দাড় করে রাখা হয়। আটক করা শিশুদের বয়স ১০-১৩ বছরের মধ্যে। এ ঘটনার সময় পার্কে উপস্থিত অনেক দর্শনার্থী মুঠোফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলেন। তেমন কিছু ছবি কালবেলার হাতে এসেছে। ওই ছবিতে দেখা যায় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৪ শিশু কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে। পাশে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন সেখানে এসে শিশুদের শাসাচ্ছেন। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র কাধে এক আনসার সদস্য আসামি ধরার মতো জাপটে ধরে আরেক শিশুকে ইউএনওর কাছে নিয়ে আসেন। দুই শিশুকে আটকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। লাঠি হাতে গ্রাম পুলিশ সদস্য তাদের পাহারা দিচ্ছেন। আতঙ্কে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুরা কাঁদতে থাকে। তখন যাদের বয়স ১০ বছরের মধ্যে তাদের কাছ থেকে পার্কে প্রবেশের টাকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যাদের বয়স ১৩ বছর এমন দুই শিশুকে আটকে রাখা হয়। রাত ৮টা-সাড়ে ৯টা পর্যন্ত লাঠি হাতে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা তাদের পাহারা দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পার্ক বন্ধ করার সময় গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়লে ওই দুই শিশু তাদের চোখ এড়িয়ে পার্ক থেকে বের হয়ে যায়। শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, পার্কটি যে স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তার আশপাশে ওই শিশুরা সবসময় খেলাধুলা করত। খেলার জন্যই শিশুরা সেখানে যায়। পার্কের বন্দি অবস্থা থেকে বাড়িতে ফিরে শিশুরা ভয়ে ও আতঙ্কে কাঁদতে থাকে। ওই শিশুদের মধ্যে একজন শহরের একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সে কালবেলাকে জানায়, পার্কের সীমানা প্রাচীরের পাশে খেলছিল। খেলার সময় সীমানা প্রাচীরের ওপর উঠলে অন্য বন্ধুরা তাকে ধাক্কা মারে। তখন আনসার সদস্যরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে আসে। তার পকেটে থাকা ২০ টাকা দিয়ে মুক্তি পেতে চেয়েছিল। রাত ১২টার সময় ছাড়া হবে এমন বলে তাকে আটকে রাখা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, পার্কটি যেখানে বানানো হয়েছে সে জমিটি আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বজনদের ছিল। কালেভদ্রে তা খাস হয়েছে। ওই জায়গায় শিশু বয়সে আমরা খেলাধুলা করেছি। আমাদের সন্তানরাও খেলতে সেখানে যায়। পার্কে প্রবেশ করার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের শিশু সন্তানদের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের এক মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক বলেন, শিশুদের সঙ্গে এ অমানবিক আচরণ করা ঠিক হয়নি। ঘটনার সময় আমি পার্কে ছিলাম। ঘটনাটিতে আমি লজ্জিত ও বিস্মিত হয়েছি। ওদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু এক কর্মকর্তার নির্দেশ থাকার কথা বলে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা তাদের ছাড়তে রাজি হয়নি। কিশোর অপরাধ নিয়ে কাজ করেন এমন এক আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিশুদের প্রকাশ্যে (জনসম্মুখে) ভর্ৎসনা করা, শাস্তি দেওয়া অপরাধ। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমন আচরণ করতে পারেন না। সামান্য ৩০ টাকার টিকেট না থাকার অপরাধ দেখিয়ে যে শাস্তি তাদের দেওয়া হয়েছে তা মোটেও সভ্য কাজ হতে পারে না। সর্বত্রই ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি ও আইন প্রয়োগের মানসিকতাও সঠিক নয়। ওই কর্মকর্তার এমন আচরণে শিশুদের মনে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তার দায় কে নেবে। বিষয়টি জানতে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাটি যদি এমন হয় তবে তা দুঃখজনক। শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ কেউ করতে পারেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে খতিয়ে দেখা হবে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বৃক্ষরোপণ করে পুরস্কারের বদলে সাবেক এক ইউএনও পেলেন ‘তিরস্কার’
২০১৯ ও ২০২০ সালে হাটহাজারী উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন ব্যক্তিগত খরচে বিভিন্ন স্কুল ও সড়কের পাশে ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করেন; যা সে সময় দেশ জুড়ে প্রশংসিত হয়। পরে ২০২১ সালে এই দম্পতিকে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২২ এর জন্য মনোনীত করা হলেও পরে তাদের বাদ দিয়ে এ পদক দেওয়া হয় হাটহাজারী উপজেলা পরিষদকে।  এমন পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে ২৮ মে পুরস্কারের জন্য তাদের আবেদন প্রত্যাহার করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন। যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে সময় ফলাও করে প্রচার হয়। ওই ঘটনার প্রায় দুই বছর পর বৃক্ষরোপণের জন্য প্রশংসিত হাটহাজারীর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীনকে ‘তিরস্কার’ এর শাস্তি প্রদান করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়!  মোহাম্মদ রুহল আমীন এখন বাংলাদেশ চা বোর্ড, চট্টগ্রামে সচিব (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘রুহুল আমীন ২০২২ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলার প্রাক্কালে হীন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না হওয়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ও আইনসম্মত কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।’ যদিও ওই প্রজ্ঞাপনে রুহুল আমিনের বাগান সৃজনের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রুহল আমীনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি বেশ কয়েকটি বাগান সৃজন করে জনস্বার্থের জন্য ইতিবাচক কাজ করেছেন বিধায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও তাকে সর্বনিম্ন দণ্ড ‘তিরস্কার’ দণ্ড প্রদান করা সমীচীন বলে প্রতীয়মান হয়।’ সাবেক ইউএনও রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এই দণ্ড প্রদানের কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে   বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২ এর জন্য আবেদন করেছেন।’ একইভাবে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এই দণ্ড প্রদানের আরেকটি কারণ হিসেবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ না থাকায় মিথ্যা তথ্য ও জাল কার‌্যবিবরণী সহকারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর গত ২৮ মে ২০২২ পুরস্কারের আবেদন প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এবং অনুরুপ মিথ্যা তথ্য ও জাল দলিল সরবরাহ করে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করানোর মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’ তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপন দেখে হতবাক হয়েছেন হাটহাজারীর তথা চট্টগ্রামের মানুষ। যে ব্যক্তির দক্ষতায় হাটহাজারীর দুর্গম মনাই ত্রিপুড়া পল্লী, বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদীর সুরাক্ষায় যার অবদান ছিলো সর্বজন প্রশংসিত। যিনি নিজ উদ্যোগে ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করে সুশোবিত করেছিলেন হাটহাজারী উপজেলা, সেই কর্মকর্তার উল্টো শাস্তির মুখে পরার ঘটনা তারা মেনে নিতে পারছেন না। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বলেন, ‘রুহুল আমিন সাহেব একজন সাহসী এবং সৎ মানুষ। তিনি দুর্নীতি মুক্ত ছিলেন। ওনি যা করেছেন নিজের জন্য নয়, এলাকার জন্য করেছেন। মূলত ভালো কাজ করলে অনেকে তাকে পছন্দ করেন না।’ তবে হাটহাজারীর সাবেক ইউএনও রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। 
১০ এপ্রিল, ২০২৪

কত টাকা লুট করেছে ব্যাংক ডাকাতরা, জানালেন ইউএনও
বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে ব্যাংকের ভল্ট এখনো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন। তিনি বলেন, দুই ব্যাংক থেকে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। ডাকাতরা ভল্ট খুলতে পারেনি। কাউন্টারে রাখা টাকা নিয়ে গেছে তারা। এর আগে দুটি গাড়িতে করে মোট ৩০-৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতিতে অংশ নেয়। থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ওমর ফারুক বলেন, ডাকাতরা ব্যাংক থেকে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে অফিসিয়ালি ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। ডাকাতির শিকার হওয়া সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক ভুক্তভোগী আরমান বলেন, আমি ভেতরে ছিলাম, ডাকাতরা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনসহ আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রুমায় সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। 
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

সাংবাদিককে কারাদণ্ড / আমি কোনো অন্যায় করিনি, বললেন সেই ইউএনও
তথ্য চাওয়ায় শেরপুরের নকলায় এক সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেছেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টায় তিনি তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। পরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে তিনি শুনানিতে অংশ নেন। দুপুরে তথ্য কমিশন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।  সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি, যা বলার কমিশনে বলেছি। ওনি (সেই সাংবাদিক) অপরাধ করেছিলেন, তাই শাস্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ফাইল ধরে টানাটানি করেছিলেন, নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। এর আগে গত ৫ মার্চ ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে একটি সরকারি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। এ সময় আবেদন প্রাপ্তির অনুলিপি চান তিনি। এক পর্যায়ে ইউএনওর নির্দেশনায় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রানাকে দণ্ডবিধির দুটি ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের স্ত্রী বন্যা আক্তার বলেন, তথ্য চেয়ে ইউএনও কার্যালয়ে আবেদন জমা দেন তার স্বামী। আবেদন করার পর আবেদনের রিসিভ কপি চান তিনি। এ সময় ইউএনওর অনুমতি ছাড়া তা দেওয়া যাবে না বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী (সিএ) শিলা আক্তার। এ নিয়ে তর্কের জেরে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এদিকে গত ৯  মার্চ তথ্য কমিশনের সদস্য, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ শহিদুল আলম শেরপুরে যান। তিনি কারাগারে রানাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্নজনদের সঙ্গে কথা বলে কমিশনে প্রতিবেদন দেন। সাজার বিরুদ্ধে আপিল ও জামিনের পর গত ১২ মার্চ রানাকে জামিন দেয় জেলা প্রশাসন। ওই দিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।  আগামী ১৬ এপ্রিল শেরপুর জেলা প্রশাসনে আপিলের ওপর শুনানির দিন ধার্য আছে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / ঢাবিতে চান্স পাওয়া তাহমিনার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও ও ওসি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মেধাবী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া তাহমিনার পড়া‌লেখার দা‌য়িত্ব নি‌য়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন।  রোববার (৩১ মার্চ) সকালে তাহমিনা ও তার পরিবার ইউএনও ও ওসির কার্যালয়ে যান। এ সময় তাহমিনা ও তার পরিবারকে অভিনন্দন জানান তারা। এ ছাড়াও সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাহামিনা সীতাকুণ্ড পৌর সদরের দক্ষিণ ইদিল পুর গ্রামের ভ্যান গাড়ি করে ফল বিক্রেতা মিজানের মেয়ে। সে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় রয়েছেন তিনি।  এর আগে শনিবার (৩০ মার্চ) কালবেলার অনলাইন পোর্টালে ‘ভ্যানচালকের মেয়ের ঢাবিতে চান্স, খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাবা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশের পরই ইউএনও ও ওসির কাছে প্রতিবেদনটি দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তারা কালবেলা প্রতিবেদকের কাছে তাহমিনার বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং তার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন।  এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া অনেক কষ্টকর। তাহমিনার এই সফলতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। সে যেন ঠিকমতো পড়াশোনা করে মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে, সেই চিন্তা থেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছি। এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অজস্র মেধাবীদের ভিড়ে উত্তীর্ণ হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। এটা সীতাকুণ্ডবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। তার অদম্য শক্তি ও মনোবল কখনো যেন পিছিয়ে না পড়ে তাই তার পড়ালেখার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব। এ ছাড়াও নাম না বলা শর্তে অনেক সরকারি কর্মকর্তা তাহমিনাকে অভিনন্দন ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। উল্লেখ্য, তাহমিনার বাবা একজন ভ্যানচালক ও ফল বিক্রেতা। তার শ্রবণ শক্তি অনেকটাই দুর্বল। যার কারণে ভ্যান চালিয়ে ফল বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হয়। কোনোভাবেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু তার স্বপ্ন ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবে। 
৩১ মার্চ, ২০২৪

ফসলি জমিতে ঘুরে ঘুরে নিষিদ্ধ ড্রেজার ধ্বংস করছেন ইউএনও
ফসলি জমিতে ঘুরে ঘুরে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ খননযন্ত্র (ড্রেজার) পাইপ ও সরঞ্জাম ধ্বংস করছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম। বুধবার (২৭ মার্চ) দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন ফসলি মাঠে তার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ সহযোগিতা করেন। এর আগে গত ২৩ ও ২৪ মার্চও এ কার্যক্রম চালানো হয়।  উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ড্রেজার বসালে ফসলি জমির ক্ষতি হয়। আশপাশে ১ কিমি পর্যন্ত এলাকার বাড়িঘরের ক্ষতিসাধন হয়, মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়, রাস্তাঘাট দ্রুত ভেঙে পড়ে। এ জন্য উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবেই অবৈধ ড্রেজার চলতে দেওয়া যাবে না। এই অভিযান চলমান থাকবে।
২৮ মার্চ, ২০২৪
X