তথ্য চাওয়ায় শেরপুরের নকলায় এক সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেছেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টায় তিনি তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। পরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে তিনি শুনানিতে অংশ নেন। দুপুরে তথ্য কমিশন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি, যা বলার কমিশনে বলেছি। ওনি (সেই সাংবাদিক) অপরাধ করেছিলেন, তাই শাস্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ফাইল ধরে টানাটানি করেছিলেন, নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন।
এর আগে গত ৫ মার্চ ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে একটি সরকারি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। এ সময় আবেদন প্রাপ্তির অনুলিপি চান তিনি। এক পর্যায়ে
ইউএনওর নির্দেশনায় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রানাকে দণ্ডবিধির দুটি ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের স্ত্রী বন্যা আক্তার বলেন, তথ্য চেয়ে ইউএনও কার্যালয়ে আবেদন জমা দেন তার স্বামী। আবেদন করার পর আবেদনের রিসিভ কপি চান তিনি। এ সময় ইউএনওর অনুমতি ছাড়া তা দেওয়া যাবে না বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারী (সিএ) শিলা আক্তার। এ নিয়ে তর্কের জেরে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত ৯ মার্চ তথ্য কমিশনের সদস্য, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ শহিদুল আলম শেরপুরে যান। তিনি কারাগারে রানাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্নজনদের সঙ্গে কথা বলে কমিশনে প্রতিবেদন দেন। সাজার বিরুদ্ধে আপিল ও জামিনের পর গত ১২ মার্চ রানাকে জামিন দেয় জেলা প্রশাসন। ওই দিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আগামী ১৬ এপ্রিল শেরপুর জেলা প্রশাসনে আপিলের ওপর শুনানির দিন ধার্য আছে।
মন্তব্য করুন