চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মেধাবী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া তাহমিনার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন।
রোববার (৩১ মার্চ) সকালে তাহমিনা ও তার পরিবার ইউএনও ও ওসির কার্যালয়ে যান। এ সময় তাহমিনা ও তার পরিবারকে অভিনন্দন জানান তারা। এ ছাড়াও সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তাহামিনা সীতাকুণ্ড পৌর সদরের দক্ষিণ ইদিল পুর গ্রামের ভ্যান গাড়ি করে ফল বিক্রেতা মিজানের মেয়ে। সে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় রয়েছেন তিনি।
এর আগে শনিবার (৩০ মার্চ) কালবেলার অনলাইন পোর্টালে ‘ভ্যানচালকের মেয়ের ঢাবিতে চান্স, খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাবা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশের পরই ইউএনও ও ওসির কাছে প্রতিবেদনটি দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তারা কালবেলা প্রতিবেদকের কাছে তাহমিনার বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং তার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া অনেক কষ্টকর। তাহমিনার এই সফলতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। সে যেন ঠিকমতো পড়াশোনা করে মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে, সেই চিন্তা থেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছি।
এদিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অজস্র মেধাবীদের ভিড়ে উত্তীর্ণ হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। এটা সীতাকুণ্ডবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। তার অদম্য শক্তি ও মনোবল কখনো যেন পিছিয়ে না পড়ে তাই তার পড়ালেখার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব।
এ ছাড়াও নাম না বলা শর্তে অনেক সরকারি কর্মকর্তা তাহমিনাকে অভিনন্দন ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
উল্লেখ্য, তাহমিনার বাবা একজন ভ্যানচালক ও ফল বিক্রেতা। তার শ্রবণ শক্তি অনেকটাই দুর্বল। যার কারণে ভ্যান চালিয়ে ফল বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হয়। কোনোভাবেই চলে তাদের সংসার। কিন্তু তার স্বপ্ন ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবে।
মন্তব্য করুন