ইসরায়েলে হামলা করতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। নতুন উন্মোচিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘জিহাদ মুগনিয়া’। এটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।  এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, অধিকৃত লেবাননের শেবা ফার্মের কাছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের একটি সেনা সমাবেশে কয়েকটি ‘জিহাদ মুগনিয়া’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।  জিহাদ মুগনিয়া হচ্ছেন হিজবুল্লাহর সাবেক একজন যোদ্ধা যিনি ২০১৫ সালে ইসরায়েলি গুপ্তচরদের হামলায় শহীদ হয়েছিলেন। তার নামে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানে এবং বেশ বড় রকম ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। এর আগে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা সামরিক যানে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।  এছাড়া, ইসরায়েলের হুনিন ব্যারাকে মোতায়েন কয়েকটি টেকনিক্যাল ডিভাইসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা দখলদারদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত হিজবুল্লাহর হামলা বন্ধ হবে না বলে ঘোষণা করেছে তারা। 
১৪ মে, ২০২৪

ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর ইরানকে সাহায্য করেছে চীন
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান এপ্রিল মাসে ৩০০-এর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। এর পর পরই ইরানের তেল রপ্তানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায় আসে। যে তেলের ওপর নির্ভর করছে দেশটির অর্থনীতি।  ইরান তাদের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পেরেছে একটি কৌশলে। এ ক্ষেত্রে তেহরানের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন তাদের সাহায্য করেছে। ইরানের মোট তেল রপ্তানির ৮০ ভাগই যায় চীনে, ইউএস হাউস ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কমিটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন ইরান প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে রপ্তানি করে থাকে। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করতে হয়।কিন্তু তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন কেন ইরান থেকে তেল কিনে? কারণটা খুবই সহজ, ইরানের তেল মানে ভালো এবং দামে সস্তা। নানা আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের কারণে বিশ্বে তেলের দাম বেড়েই চলেছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান যেহেতু তাদের তেল বিক্রিতে মরিয়া, তারা অন্যদের চেয়ে কম দাম অফার করে থাকে। ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে চীন অন্তত ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বাঁচিয়েছে ইরানের। অপরিশোধিত তেলের যে বৈশ্বিক মানদণ্ড তা পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণ প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের নিচে থাকে। এ বিষয়ে ডেটা ও অ্যানালেটিক্স ফার্ম কেপিএলআরের সিনিয়র অ্যানালিস্ট হুমায়ুন ফালাকশাহি বলেন, ইরান তাদের ক্রুড তেল ব্যারেল প্রতি ৫ ডলার কমে বিক্রি করে। গত বছর ব্যারেলপ্রতি যেটার দাম সর্বোচ্চ ১৩ ইউএস ডলার পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টির ভূরাজনৈতিক দিক আছে বলে মনে করেন ফালাকশাহি। কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বিরাট খেলা চলছে ইরান তার একটা অংশ। ইরানের অর্থনীতিকে সহায়তার মাধ্যমে চীন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একটা ভূরাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা চলমান। বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, ইরান ও চীন কয়েক বছর ধরে একটা সূক্ষ্ণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে তেহরানের নিষিদ্ধ তেল আমদানি-রপ্তানির জন্য। এই বাণিজ্য কৌশলের প্রধান উপকরণ হলো চাইনিজ চায়ের পাত্র অর্থাৎ ছোট স্বাধীন রিফাইনারিজ। এই ছোট রিফাইনারিগুলোতে চীনের জন্য কম ঝুঁকি থাকে, কারণ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং এতে ইউএস ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমের প্রবেশাধিকার থাকে। ছোট প্রাইভেট রিফাইনারিগুলো দেশের বাইরে চালিত হয় না, ডলারেও লেনদেন করে না এবং বিদেশি ফান্ডিংয়ের দরকার পড়ে না। তেলের ট্যাংকারগুলো বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে ট্র্যাক করা হয়, বিভিন্ন সফটওয়্যার তাদের অবস্থান, গতি ও রুট পর্যবেক্ষণ করে। এই ট্র্যাকিং এড়ানোর জন্য ইরান ও চীন একটা অস্পষ্ট মালিকানা ধরনের ট্যাংকার্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, যেটা সঠিক অবস্থান দেখায় না। তারা খুব সহজেই পশ্চিমা ট্যাংকার্স, নানা শিপিং সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে পারে। ফলে তাদের পশ্চিমা নীতি, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে হয় না।
০৫ মে, ২০২৪

ইসরায়েলে হামলা কয়েকটি দেশ থেকে
ইসরায়েলে গত শনিবার ইরানের সামরিক তৎপরতায় বেশ কয়েকটি দেশ সম্পৃক্ত ছিল। ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র। সেগুলোকে ভূপাতিত বা প্রতিহত করেছিল ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরান ইসরায়েলের দিকে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারির একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭০টি ড্রোন ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। সেগুলোর কোনোটিই ইসরায়েলি সীমানায় প্রবেশ করতে পারেনি। একই সঙ্গে ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে অল্প কিছু ইসরায়েলে গিয়ে আঘাত হানে। ইরান থেকে ইসরায়েলের নিকটতম দূরত্ব ১ হাজার কিলোমিটার (৬২০ মাইল)। এই দূরত্ব পেরোতে ইরাক, সিরিয়া ও লেবানন পাড়ি দিতে হয়। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়টার্সকে জানান, তাদের আকাশসীমার ওপর দিয়ে ইসরায়েল অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যেতে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ বলছে, ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ছোড়া কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহও জানায়, গোলান হাইটসে অবস্থিত ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে দুই দফায় রকেট হামলা চালিয়েছে তারা। সিরিয়ার কাছ থেকে মালভূমিটি দখল করে নিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু তাদের কর্তৃত্বের অনুকূলে তেমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। রিয়ার অ্যাডমিরাল হ্যাগারি বলেন, ৯৯ শতাংশের কাছাকাছি আক্রমণই হয় ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরে অথবা সংশ্লিষ্ট দেশের অভ্যন্তরে প্রতিহত করা হয়। হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতিপথ সরলরৈখিক। আর বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ ছিল ধনুকের মতো বাঁকানো। এতে নিচের দিকে নামার সময় অভিকর্ষের টানে তাদের গতি বহুগুণ বেড়ে যায়।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে হামলা শুরু
ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে ইরান, এমন আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েল ভূখণ্ডে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০টিরও বেশি রকেট হামলা করেছে বলে জানায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইরান-ইসরায়েলের চরম উত্তেজনার মধ্যে হিজবুল্লাহর এই রকেট হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলা একটি ‘বাস্তব ও গ্রহণযোগ্য’ হুমকি হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। শুক্রবার সিবিএস নিউজকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, শিগগিরই ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা হতে পারে। ইসরায়েল বলেছে, আত্মরক্ষা ও আক্রমণ উভয় দিক দিয়েই প্রস্তুত রয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি শুক্রবার বলেন, ‘কোন আকারে, কোন মাত্রায় এবং কোন সুযোগ নিয়ে হামলা হতে পারে, তা আমি বলতে পারছি না।’ তবে ইরানের হামলার হুমকি ‘কার্যকর’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ‘খুব নিবিড়ভাবে বিষয়টি দেখছে।’ মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, হামলায় রাইসি প্রশাসন ১০০টি ড্রোনে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে বলেও জানান মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে বলেও ধারণা তাদের। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ইরানের নেতারা। তবে ইরান যেন ইসরায়েলে হামলা না করে এ জন্য বারবার সতর্ক করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, ইরানের মদদে মধ্যপ্রাচ্যে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি এবং গাজার হামাস নিজেদের তৎপরতা চালায়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ইরান এই তিন গোষ্ঠীর মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজনীয় প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

আবারও লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা
আবারও ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে লেবানন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তে তাদের ওপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলা চালিয়েছে। খবর আলজাজিরার।  সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, লেবাননের সীমান্ত থেকে ছোড়া ২০টি রকেটলঞ্চার শনাক্ত করেছে তারা।  তিনি বলেন, লেবাননের হামলার জবাব দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী হামলার জবাবে পাল্টা কামানের গোলা ছুড়েছে।  এর আগে মঙ্গলবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ট্যাংককে লক্ষ্য করে হামলা চালায় লেবানন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ তথ্য জানায়। আইডিএফ জানায়, লেবানন সীমান্তের সাতুলা এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর ট্যাংকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা সেনাবাহিনীর ট্যাংককে লক্ষ্য করে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, আজ সকালে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। লেবানন থেকে হামলার জবাবে পাল্টা এ হামলা চালানো হয়। এরও আগে হিজবুল্লাহর কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা করলে তার জবাবে দ্বিগুণ প্রাণহানি ঘটাবে লেবানন। রোববার ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ এক বৃদ্ধা নিহতের ঘটনায় এ হুঁশিয়ারি দেয় হিজবুল্লাহ।   
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

এবার আরেক দেশ থেকে ইসরায়েলে হামলা
এবার ইসরায়েলের উপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিরা এ হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিরা এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।  হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদেল আজিজ বিন হাবতার এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলে হামলা চালানো এ ড্রোনগুলো ইয়েমেনের।  এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালাতে ইসরায়েলকে ব্যপক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর থেকেই তেলআবিবকে সব দিক থেকে সহায়তা-সমর্থন দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। এমনকি ইসরায়েলকে প্রতিদিনই অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগনের উপপ্রেস সচিব সাবরিনা সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। তিনি বলেন, ইসরায়েল এসব অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীই তাদের অপারেশন পরিচালনার ধরন নির্ধারণ করবে। ইসরায়েলকে এমন সহায়তার কারণে বারবার হামলার মুখে পড়ছে ইরাক ও সিরিয়ার মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলো। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আবারও একটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) ইরাকের আইন আল আসাদ বিমানঘাঁটিতে এ হামলা হয়। নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক সেনাঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। চারটি কাতিউশা রকেট দিয়ে এ ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। এ ঘাঁটিতে মার্কিনসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেনারা রয়েছে। সেনাবাহিনীর দুটি সূত্র জানিয়েছে, সেনাঘাঁটি থেকে কিছুটা দূরে রকেটগুলো পড়ে থাকতে পারে। এ ঘাঁটিতে হামলার কারণ বা হতাহতের তথ্য তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

বিনা কারণে ইসরায়েলে হামলা হয়নি : জাতিসংঘ মহাসচিব
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বিনা কারণে ইসরায়েলে হামলা চালায়নি জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে গাজাবাসীকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। গুতেরেস বলেন, ‘এটি স্বীকার করে নিতে হবে, হামাসের হামলা শূন্য থেকে হয়নি। ফিলিস্তিনের মানুষ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের শিকার হয়েছে। তারা তাদের ভূখণ্ড বসতিতে পরিণত হতে এবং সহিংসতায় জর্জরিত হতে দেখেছে। তাদের অর্থনীতি থমকে গেছে। এই মানুষগুলো বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের দুর্দশার রাজনৈতিক সমাধানের আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা দিয়ে হামাসের হামলাকে বৈধতা দেওয়া যাবে না। সঙ্গে হামাসের হামলার জন্য ফিলিস্তিনিদের সমষ্টিগত শাস্তির বিষয়টিকেও বৈধতা দেওয়া যাবে না। জাতিসংঘের মহাসচিব আরও বলেন, এ ধরনের কঠিন মুহূর্তে, নীতির ওপর ঠিক থাকা খুবই জরুরি। বেসামরিকদের সম্মান ও রক্ষার নীতির মাধ্যমে যেটি শুরু। এ ছাড়া গাজায় ত্রাণ সরবরাহের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। গুতেরেস বলেছেন, যে পরিমাণ ত্রাণ এখন গাজায় ঢুকছে, সেগুলো বিশাল সমুদ্রের পানির একটি ছোট ফোঁটার সমান। এদিকে মহাসচিব গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে এমন বক্তব্য দেওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলার্ড ইর্ডান বলেছেন, গুতেরেসের এ বক্তব্য ‘জঘন্য’ এবং ‘ভয়ানক’। এটির সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মহাসচিবের তাৎক্ষণিক পদত্যাগ দাবিও করেছে ইসরায়েল। গত ৮ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকাটি অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ দিন ধরে চলা হামলায় সেখানে ৫ হাজার ৭৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩
X