স্বামী পাশে নেই, ফাইভ স্টারে অভিনেত্রীর জন্মদিন উদযাপন
বিভিন্ন সিরিয়ালে অভিনয় করে বাঙালি দর্শকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ত্রমিলা ভট্টাচার্য। সীমারেখা সিরিয়ালের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর একে একে কাজ করেছেন আজব সাজা, মোহিনী, মহাকাল, পৌষ ফাগুনের পালা, জীবন রেখা, একক দশক শতক, পূর্ব পশ্চিম, মোহর, পঞ্চমীসহ বেশ কিছু সিরিয়ালে। কাজের পাশাপাশি বেশ মন দিয়ে সংসার করছেন ত্রমিলা। তার স্বামী মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন। তাই বছরের অনেকটা সময় জাহাজে সাত সমুদ্র তোর নদীর পাড়ে কাটাতে হয় তাকে। এ সময়টায় ঘরকন্না সামলান ত্রমিলা। অভিনেত্রীর একটি মেয়েও আছে। ছোটবেলায় প্রেম করে খুব কম বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী ত্রমিলা। বিদেশে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সিরিয়াল ও সিরিজে কাজ করলেও সিনেমা থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। শনিবার ছিল তার জন্মদিন। খুব নিরালায় নিজের জন্মদিন কাটালেন ত্রমিলা। কলকাতার এক ফাইভ স্টার হোটেলে কেটেছে তার জন্মদিন। এ সময় তার স্বামী ছিলেন না সেখানে। মেয়েকে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করেছেন অভিনেত্রী। তার মেয়ে রশ্মিকা এখন অনেকটাই বড়। তাই মেয়ের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার বন্ধুত্ব। মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই কেটেছে অভিনেত্রীর এবারের জন্মদিন।
১৪ মে, ২০২৪

এনএসইউতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) বর্ষবরণ উৎসব ও বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ। এরপর হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনএসইউর উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। আরও ছিলেন এনএসইউর কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান এবং এনএসইউ রেজিস্ট্রার ড. আহমেদ তাজমীন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর ড. সাঈদ উজ জামান খান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। বৈশাখী মেলার আয়োজক ছিল নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব।
১২ মে, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এর বর্ণিল উদযাপন
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন করেছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) এ উপলক্ষে রাজধানী কুয়ালালামপুরের ক্রাফট কমপ্লেক্সে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুমধুর গান, দৃষ্টিনন্দন নাচ, ফ্যাশন শো, মূকাভিনয়, একক অভিনয় এবং ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় এ বর্ণিল আয়োজনে। হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ও তার সহধর্মিণী পেন্ডোরা চৌধুরী আমন্ত্রিত অতিথিদের বৈশাখের উত্তরীয় দিয়ে তাদের উষ্ণভাবে বরণ করে নেন এবং সকলের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মহাপরিচালক মিজ জুবাইদাহ বিনতি মুখতার অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কুয়ালালামপুরে  বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/স্থায়ী প্রতিনিধি, শতাধিক কূটনীতিক ছাড়াও কুয়ালালামপুরে প্রশিক্ষণে আসা বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির ২৭ জন প্রশিক্ষণার্থী/ প্রশিক্ষক, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা, সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।   কুয়ালালামপুরে ক্রাফট কমপ্লেক্সে আয়োজিত বাংলার ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিদেশি অতিথিসহ দূতাবাস পরিবার এর সদস্যরা বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মানবজাতির বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি বাংলাদেশের নববর্ষ উদযাপনে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য নববর্ষ আরও সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক পহেলা বৈশাখকে সরকারি ছুটি ঘোষণা ও দিনটি সাড়ম্বরে উদযাপনের কথা উল্লেখ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আলোচনাসভার পরে প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী ও হাইকমিশন পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অতিথিদের মুগ্ধ করে। নববর্ষ উপলক্ষে হাইকমিশন কর্তৃক একটি রঙিন প্রকাশনা অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয় যা উপস্থিত সকলের মাঝে বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ঐতিহ্যগত দিকগুলো ফুটিয়ে তোলে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী রকমারি বাংলাদেশি খাবার এবং মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে স্থাপিত বাংলাদেশ কর্নার, পালকি, মেহেদী, সাজঘর, ফুচকা, পান ও ঝাল-মুড়ির স্টল, পিঠা ঘর উপস্থিত বিদেশি অতিথিবৃন্দের মাঝে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। এ ছাড়া স্টলে বাংলাদেশি কোম্পানি প্রাণ, মৈত্রী তাদের পণ্য প্রদর্শন করে এবং ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউস তাদের সেবা প্রবাসীদের অবহিত করে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ক্রাফট কমপ্লেক্সকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অনেক অনুষঙ্গ দিয়ে সুসজ্জিত করা হয় যা সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সকলের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরি করে। উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসমূহ বন্ধ থাকায় বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানটি ১৪ এপ্রিলের পরিবর্তে ২ মে উদযাপন হয়।
০৩ মে, ২০২৪

কর্মজীবী নারীর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
‘সকল ক্ষেত্রে অধিকার মর্যাদায়, নারী থাকবে পৃথিবীর বৃহৎ আঙিনা’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং ‘সকল শ্রমিকের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করো’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মহান মে দিবস ও কর্মজীবী নারীর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  কর্মজীবী নারীর সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমলের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালন সানজিদা সুলতানার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার।  আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক নারীবাদী সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক ফোরাম অন উইমেন, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিডব্লিউএলডি) এর ৮টি দেশ (ভারত, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া,  ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশ) এর প্রতিনিধিরা, কর্মজীবী নারীর সহসভাপতি ও ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী শাহীন আক্তার পারভীন, শ্রমিক নেত্রী রাবেয়া আক্তার, শেখ শাহনাজ, নার্গিস আক্তার এবং জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ। সমাবেশের প্রধান অতিথি শিরীন আখতার বলেন, আমাদের সবাইকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে, শ্রম কখনো সস্তা নয়, শ্রমিক দয়ার পাত্র নয়। আমরা নারীরা এখনো কর্মক্ষেত্রে সমমজুরি, সমমর্যাদা এবং কর্তৃত্ব তৈরি করতে পারিনি। এজন্য আমাদের এখনো বহুদূর যেতে হবে। নারীশ্রমিকদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে তাদের কর্মের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কর্মক্ষেত্রে মানসম্মত এবং কার্যকর শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক নারীবাদী সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক ফোরাম অন উইমেন, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিডব্লিউএলডি)-এর প্রোগ্রাম অফিসার অ্যান্ডি কিপ্টা, ইন্দোনেশিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এ্মিলিয়া ইয়ান্তি, কর্মজীবী নারীর শ্রমিক সমাবেশের উত্থাপিত দাবিসমূহের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, সব বৈষম্য দূর করে নারী শ্রমিকের জন্য সামাজিক ন্যয়বিচার ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।  মিরপুর অঞ্চলের গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা আঞ্চলিক ফোরাম এর নেত্রী জাকিয়া সুলতানা, গৃহশ্রমিকদের কাজের কোনো নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।  সভাপতিরর বক্তব্যে উম্মে হাসান ঝলমল বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। এসব বৈষম্য দূরীকরণে আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। যেখানে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিয়ে কার্পণ্য করা হবে, সেখানেই সংগঠিত হয়ে অধিকার আদায় করতে হবে।  সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য লাল পতাকা মিছিল প্রেস ক্লাব থেকে পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করেন।
০১ মে, ২০২৪

ঢাবির ভূ-তত্ত্ব বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন
বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূ-তত্ত্ব বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিভাগের উদ্যোগে র‍্যালি, বেলুন উড্ডয়ন, কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাবি ভূ-তত্ত্ব অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।  আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্মৃতিচারণ করে বলেন, জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি ভূ-তত্ত্বের বিষয়গুলো অনেক উপভোগ্য। ভূ-তত্ত্ববিদদের সমতলে, পাহাড়ে, ভূ-অভ্যন্তরে এমনকি মহাকাশে সমভাবে কাজ করতে হয় এবং সকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হয়। সকল ধরনের সক্ষমতা অর্জন করে ভূ-তত্ত্ববিদরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ভূ-তত্ত্ব শুধু অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটি মানুষের জীবনের সাথে গভীরভাবে মিশে আছে। সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূ-তত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও অ্যালামনাইরা প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। ভূ-তত্ত্বের পরিধি ও কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি এর প্রায়োগিক দিক আরও জোরদার করার জন্য শিক্ষক, গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান। প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ৭৫ বছরের পথচলায় বিভাগের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেশের উন্নয়নে এই বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও জ্ঞানের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং অ্যালামনাইয়ের সদস্যরা অংশ নেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

৩৫ বছরপূর্তি উদযাপন করবে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র
‘জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে ভবিষ্যতের রূপান্তর’- এ চেতনাকে ধারণ করে ৩৫ বছরপূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)। এ উপলক্ষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন দোয়েল চত্বরে আলোচনা পর্ব ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’- সংলাপ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়। এ ছাড়া দ্বিতীয় অধিবেশনে সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট পাট বিজ্ঞানী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. এবিএম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা যায়। সংগঠনটি জানায়- এ অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন এবং আলোচনা করবেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবস উদযাপন করল বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস
নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। কপিরাইট সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে র‍্যালি, সেমিনার এবং পুরস্কার প্রদানের মতো কার্যক্রমে দিবসটি পালন হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি জাতীয় রাজস্ব ভবনের সামনে প্রদক্ষিণ করে আবার কপিরাইট অফিসে এসে শেষ হয়। এরপর কপিরাইট অফিসের সম্মেলনকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধাসম্পদের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। কপিরাইট রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরুল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কপিরাইট বোর্ডের সদস্য জাফর রাজা চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কপিরাইট ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। এ সময় খলিল আহমদ বলেন, যারা মেধাস্বত্ব এর দাবিদার তারা যেন অর্থ পায়, তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন অর্থ পায় সেগুলো নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। এজন্য একটি প্রবিধানমালা করছি। সেগুলো আরও উন্নত করতে অংশীজনদের সঙ্গে বসতে চাই। শাহ আবদুল করিমের উত্তরাধিকারদের আমরা মেধাস্বত্ব এর অর্থ বুঝিয়ে দিতে কাজ করছি। যারা রয়্যালটি পান না, কেন পাচ্ছেন না, কিভাবে পাওয়া যায়; সেসব বিষয়ে কাজ করতে চাই। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে ভালো একটা প্রবিধানলালা করতে চাই। কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইমরুল চৌধুরী বলেন, বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে কপিরাইটের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০০০ সালের কপিরাইট আইনের মধ্যে যেসকল বিষয় অস্পষ্ট ছিল এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির বিষয়ে অনেক দুর্বলতা ছিল সে বিষয়ে নজর রেখেই কপিরাইট আইন ২০২৩ পাস করা হয়েছে। বর্তমানে এ আইনটিকে সংগীতসহ সকল বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সুরক্ষায় যথাযথভাবে প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেবল সরকার নয়, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদেরও এগিয়ে আসা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। কপিরাইট দিবস উপলক্ষে মেধাসম্পদ সুরক্ষা সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০২২ সালের জন্য সাহিত্য কর্মে নিমফিয়া পাবলিকেশন, সফটওয়্যার কর্মের জন্য আয়মান সাদিক, চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জন চৌধুরী ও শিল্পকর্মের জন্য হাসান ফারুক মো. পাভেল রহমানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০২৩ সালের জন্য সাহিত্য-সংকলন/সম্পাদনা কর্মের জন্য প্রেস ইনস্টিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), চলচ্চিত্রের জন্য বারিন্দ মিডিয়া লি., শিল্প কর্মের জন্য মো. সাকলায়েন মোস্তাক ও সফটওয়্যারের জন্য রফিদ মোহাম্মদ এহসানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। 
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

মধুখালীর ঘটনায় ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নিন্দা
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লী গ্রামে কালীমন্দিরে আগুন ও গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তিন সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা। বিবৃতিতে তারা গত ১৮ এপ্রিল সংঘটিত ঘটনা রোধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ত্বরিত ভূমিকা এবং সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দের এলাকায় সম্প্রীতি রক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বিবৃতিতে সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি বিধানের পাশাপাশি কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান নেতারা।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

সাতকানিয়ায় প্রতীমা ভাংচুরে যুক্তদের বিচারের দাবি পূজা উদযাপন পরিষদের
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নে বাসন্তী পূজায় হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পূজা পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বিবৃতিতে এ দাবি জানান। পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শচীন্দ্র নাথ বাড়ৈ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। গত বুধবার রাতে বাসন্তী পূজা চলাকালে মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে শহীদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ জন। এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক শহীদুল। তবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলছেন, চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় হামলা চালিয়েছে শহীদুলসহ একটি চক্র। স্থানীয়রা জানান, সেদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা খাগরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জলদাস পাড়া শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে বাসন্তী পূজার আরতি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকার সহদেব জলদাসের স্ত্রী কৃষ্ণা জলদাস (৩২), অর্জুন জলদাসের ছেলে সুজন জলদাস (২৫) ও তার ভাই শিপন জলদাস (১৭) আহত হন। শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি কৃঞ্চ জলদাস বলেন, আমাদের কয়েকজন লোকের সঙ্গে শহীদ নামে এক ব্যক্তির কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শহীদ তার বাহিনী নিয়ে মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস। তিনি কালবেলাকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
X