জনগণ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে
জনগণ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মানুষ স্বৈরাচারের দুঃশাসনে বেশি দিন লুকিয়ে থাকতে ও নীরব থাকতে পারে না। তারা অধিকার আদায়ে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যায়। গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাচনের ভোট চলাকালে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই, সেই দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের স্বজন ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচিত হতে পারেন না। ভোটারদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফল নির্ধারিত থাকে, সেটিই ঘোষিত হয়। তাই প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটাররা সর্বান্তকরণে উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আব্দুস সালাম আজাদ, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে

জনগণ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে : রিজভী 
জনগণ প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (০৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন। বর্জনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মানবজাতি স্বৈরাচারের দুঃশাসনে বেশি দিন লুকিয়ে থাকতে ও নীরব থাকতে পারে না। অধিকার আদায়ে বুক বেঁধে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একনায়কতন্ত্রের অপরাধগুলো ধিক্কার জানায়। দমনমূলক শক্তি ভোটারদের নিগ্রহ করছে, উগ্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। নিকৃষ্ট লুণ্ঠনের মাধ্যমে উপজেলা প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে লুটেরা ও দস্যু দলের আখড়া। রিজভী বলেন, এমনও দেখা যাচ্ছে ভোটারবিহীন নির্বাচনে দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে একশো বিঘার বেশি জমির মালিক হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি যতই উচ্চারিত হয় ততই সরকারের কাছে জেল-জুলুমের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। যারা দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়েছেন তাদের আগের হলফনামায় ঘোষিত আয়ের চেয়ে কয়েকজনের আয় বেড়েছে ৩ হাজার শতাংশের বেশি। কারও আয় বেড়েছে ১ হাজার শতাংশের বেশি। গাইবান্ধায় একজন প্রার্থীর আয় বেড়েছে ৪ হাজার শতাংশ। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদও বেড়েছে কোথাও কোথাও ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার শতাংশ। রিজভী আরও বলেন, যে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই, সেই দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে ভোটারবিহীন নির্বাচনে কেউ চেয়ারম্যান ঘোষিত হলে হাতিশালে হাতি ও ঘোড়াশালে ঘোড়ার কোনো অভাব হয় না। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের স্বজন ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচিত হতে পারে না। ভোটারদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফলাফল নির্ধারিত থাকে, সেটিই ঘোষিত হয়। সুতরাং আওয়ামী প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটারগণ সর্বান্তকরণে উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) আসরের নামাজের সময় মসজিদে যাওয়ার পথে সিদ্ধেশ্বরী মাঠ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। যে গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নম্বর- ঢাকা মেট্রো-চ, ৫২-১৪৫০। নিজ কক্ষে ৩ ঘণ্টা আটকিয়ে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুই নেতা নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খানকে মারধর ও চরম নির্যাতন করা হয়। পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। অবৈধ সরকারের অনাচারমূলক স্বার্থসিদ্ধির সুসজ্জিত সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে এরা হিংস্র হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে গণতন্ত্রমনা ছাত্রদের ওপর। এরা হামলা চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের উপরও। জীবন-জীবিকা সব কেড়ে নিঃস্ব, রিক্ত ও বিপর্যস্ত করছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ দেশের সবচেয়ে খতরনাক বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচন অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র : সাইফুল হক
উপজেলা নির্বাচন অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। মঙ্গলবার (৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।  বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, নিয়ম রক্ষার এই নির্বাচন অপ্রয়োজনীয় এবং অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র। এই নির্বাচনের সঙ্গে বাস্তবে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার কোনো সম্পর্ক নেই। এই নির্বাচন উপজেলায় চর দখলের মতো সরকারি দলের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত হয়েছে।  বিবৃতিতে সাইফুল হক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, উপজেলা পরিষদের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানতের টাকা দশগুণ বৃদ্ধি করে প্রকারান্তরে নিবেদিতপ্রাণ জনবান্ধব রাজনীতিকদের  নির্বাচন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং জাতীয় সংসদের মতো উপজেলা পরিষদেও কালো টাকার মালিক ও মাফিয়া দুর্বৃত্তদের রাজত্ব কায়েম করা হচ্ছে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আগামী পাঁচ বছর কোন উপজেলা কার দখলদারিত্বে থাকবে তার বন্দোবস্ত দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যতিক্রম ছাড়া এই নির্বাচনেও সাধারণ মানুষের বিশেষ কোনো আগ্রহ নেই। দেশে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে; দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। নির্বাচনের প্রতি একটা গণঅনাস্থা ও গণহতাশা তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলসমূহ এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনও অর্থহীন হয়ে পড়েছে। সাইফুল হক উপজেলা নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়ের এসব মহড়া বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
০৭ মে, ২০২৪

ভোটের একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সব পদে স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (৬ মে) জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বুধবার (৮ মে)। এজন্য কমিশন সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সালেহা বেগম পলি উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউপির সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের দায়িত্ব হস্তান্তর না করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে কুমিল্লা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৫ এপ্রিল হাইকোর্টে পলি আপিল করলে আদালত তার মনোয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ প্রদান করেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগ আপিল করলে তা বাতিল করে আদালত। তাই নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ এর সাধারণ নির্বাচনের সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত হওয়ার চিঠি মেইলে পাওয়া গেছে। পরে রাত ১১টার দিকে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।   এ উপজেলায় চেয়ারম্যান তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান তিনজন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন নির্বাচন করবে।
০৭ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনাই হয়নি আ.লীগের সভায়
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজন ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হুঁশিয়ারি দিলেও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। তবে দল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের ওই সভা হয়। সভা থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সভায় এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার প্লাটিনামজয়ন্তী জাঁকজমকভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্ম দিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবার চার ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের নির্বাচন না করার নির্দেশনা দেয় দলটির হাইকমান্ড। কিন্তু এই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্বাচনী মাঠে অনড় রয়েছেন অনেক এমপি-মন্ত্রীর স্বজন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন সময় জানিয়েছিলেন, কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় দলের কার্যনির্বাহী সংসদের এক সদস্য বিষয়টি আলোচনায় তুললেও তা আর এগোয়নি। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী সংসদের আগামী সভায় সব সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন। এ সময় তিনি সংগঠনের কোথায় কী অবস্থা, সে বিষয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্ট প্রস্তুত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
০১ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এমপি পুত্র
উপজেলা নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) ছেলে গোলাম মূর্তজা পাপ্পা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দু’জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাবিবুল কাদির তমাল, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনজীবী স্বপন ভুঁইয়া, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হারেজ, স্থানীয় তাঁতীলীগ নেতা রাসেল আহমেদ। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক তিনবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী জান্নাত রুমা ও স্থানীয় যুব মহিলালীগ নেত্রী তানিয়া সুলতানা। এছাড়া দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের কারণে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচিত অনলাইন ক্যাসিনোকাণ্ডের সেলিম প্রধানের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। সে কারণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ.লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুঁইয়া রানু চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন। গোলাম মূর্তজা পাপ্পা উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি এবং গাজী গ্রুপ ও বিসিবি পরিচালক। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা মেনে তিনি নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন পাপ্পা গাজী।  রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লী ইসলাম বলেন, এবারের রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪২টি। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫১ জন, মহিলা ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৫৪ জন ও হিজড়া ২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৬০৭। নির্বাচনের তপশিল অনুযায়ী ২ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ২১ মে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভা শেষে সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগের চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ তিনজন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য আনসার সদস্য থাকবেন অন্তত ১০ জন। তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন। সব মিলিয়ে মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সিনিয়র এই সচিব জানান, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে।‌ মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখভালের জন্য ভোটের দুদিন আগে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভোটের পরে আরও দুদিন তারা থাকবেন। সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এটি গঠিত হবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতিবছরের মতো এ বছরও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় সেল সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, তা একটি টিম তদারক করবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন সরকারের একটি ফাঁদ : প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের প্রতি প্রহসনের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই নির্বাচন সরকারের একটি ফাঁদ। ৭ জানুয়ারির একতরফা ডামি নির্বাচন জনগণ বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করায় সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এখন দলীয় মার্কা ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে সাজানো পাতানো নির্বাচন আয়োজন করে গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা আনার অপচেষ্টা করছে।  তিনি বলেন, একবার মার্কা দিয়ে, আরেকবার মার্কা ছাড়া নির্বাচন- এসব আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী ও জবরদস্তিমূলক শাসনের পরিচয় বহন করে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া এবং বিকেলে হালুয়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পৃথক দুটি প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমরান সালেহ প্রিন্স।  ধোবাউড়া সদরের বাসস্ট্যান্ডে ও হালুয়াঘাট পৌর শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধোবাউড়া প্রতিনিধি সভা শেষে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে পদযাত্রা ও জনসাধারণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হলেও হালুয়াঘাটে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে পরে তা বিতরণ করতে পারেনি।  প্রতিনিধি সভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে স্থানীয় বা জাতীয়, কোনো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য হবে না। সভায় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে প্রতিদিন মিথ্যাচার করছে। নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেরা সাধু সাজতে চান। তিনি বলেন, বিএনপি নয়, দাসত্ব ও তাঁবেদারির কলঙ্কের তীলক আওয়ামী লীগের কপালেই লেগে আছে।  ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালামের সভাপতিত্বে হালুয়াঘাটে ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ধোবাউড়ায় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি সভা দুটিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপি নেতা আবদুল হাই, জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন চাই
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই উপজেলা নির্বাচনেও একই ব্যবস্থা থাকবে। কোনো উত্তেজনাই সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং অন্যান্য বিভাগ ব্যবস্থা নিয়েছে। রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিক এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন, এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল, র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ প্রমুখ।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন সরকারের আরেকটা ভাওতাবাজি : আমীর খসরু
উপজেলা নির্বাচন সরকারের আরেকটা ‘ভোটচুরির ভাওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আমীর খসরু বলেন, ‘ওরা উপজেলা নির্বাচন দিয়েছে। যে দেশে ভোট নেই সেই দেশে ভোটে অংশগ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। যেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, যেখানে কোনো পার্টিসিপেশন নেই, সেখানে আবার কীসের ভোট? সুতরাং এই যে উপজেলা নির্বাচন, এটা দেশের মানুষকে আরেকটা ধাপ্পাবাজির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা ভোটের নামে ভাওতাবাজি। ভোট বলে কিছু নেই এ দেশে। একটা ভোটচুরি প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত জাতিকে আজকে তারা (সরকার) জিম্মি করে রেখেছে।’ সরকারের এহেন অপকর্মের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর ‘ঐক্য অটুট’ থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করে আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের সুখবর হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ আজকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। আমরা যারা বিরোধী দলে আছি আমাদের ঐক্য অটুট আছে, বিএনপির ঐক্য অটুট আছে। এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টার কোনো কিছু বাকি নেই। টাকা-পয়সা থেকে ভয়ভীতি, জেল-জুলুম, নিপীড়ন-নির্যাতন সব চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ধান ক্ষেতে ঘুমিয়েছে, বেড়িবাঁধে ঘুমিয়েছে কিন্তু নেতাকর্মীরা কমপ্রোমাইজ করেনি।’ ‘আমরা ৩১ দফা ঐক্যবদ্ধভাবে দিয়েছি, এটা চলমান আন্দোলনের দফা অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সাম্য-মানবিক মর্যাদা, ন্যায় বিচার ইত্যাদি বিষয়ে আমরা এক হয়েছি। আমাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। আমাদের এই আন্দোলন চলমান আছে,’ যোগ করেন তিনি।’ ৭ জানুয়ারির ভোটে ৯৫ শতাংশ ভোটার না যাওয়া চলমান আন্দোলনে বিরোধী দলের ‘রাজনৈতিক সফলতা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৯৫ শতাংশ মানুষ ওই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে যায়নি। এবার সেই চিন্তা থেকে সরকার ভোটারদের আনতে নতুন কৌশল নিয়েছে। এবার তারা চিন্তা করেছে যে- মানুষ নৌকাকে ভয় পায়, নৌকার কথা শুনলে বোধহয় ভোটকেন্দ্রে যাবে না; সেজন্য নির্বাচনে তারা এবার দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে দিয়েছে। অথচ তারাই স্থানীয় সরকার আইন করেছে নৌকা দিয়ে অর্থাৎ দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করার জন্য। আইনটা কিন্তু বাতিল করেনি, আইন রেখে তারা এখন নৌকা প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছে না। কারণ ওরা দেখছে, বাংলাদেশের জনগণ নৌকা যেখানে আছে সেখানে নেই, তারা নৌকা বয়কট করেছে। তাই এই উপজেলা নির্বাচন আরেকটি ভাওতাবাজির নির্বাচন। ভোটচুরি প্রকল্পই তাদের ক্ষমতার উৎস, এই ভোটচুরির প্রকল্প তাদের ক্ষমতায় রাখার ব্যবস্থা করেছে। আমীর খসরু বলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্যাংক মার্জার (একত্রীভূত) করার। মার্জার তো কোনো সরকারের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এটা ভেলেটনটারি সিদ্ধান্ত, এটা বাজারের সিদ্ধান্ত। এটা করতে শেয়ার হোল্ডারদের মতামত প্রয়োজন হয়। কিন্তু কী দেখা যাচ্ছে? শেয়ারহোল্ডারদের কোনো খবর নেই। তারা (সরকার) সিদ্ধান্ত দিচ্ছে মার্জার করতে হবে। যারা ব্যাংক লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে তাদের জন্যে এই মার্জার আরেকটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যারা লুটপাট করে বাংলাদেশের সম্পদ নিয়ে গেছে, যারা ব্যাংকের আমানতের টাকা লুটপাট করেছে- তাদেরকে রক্ষা করার জন্য, তাদেরকে আরও সুবিধা দেওয়ার জন্য জোর করে এই একত্রীভূত করার প্রক্রিয়া সরকার নিয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনটি ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে প্রবাসী সরকার শপথ গ্রহণ করে। আলোচনা সভায় প্রজাতন্ত্র দিবসের দাবি উপস্থাপন করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, যারা অন্যায়, জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলে- তাদের এ দেশে বসবাস করা সম্ভব নয়। এই জুলুমবাজ, দখলদার সরকারকে বিতাড়িত করতে না পারলে এ দেশে সাধারণ মানুষের বসবাস কঠিন হয়ে পড়বে। এই দেশ আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করেছিলাম, এমন দৃশ্য এমন পরিবেশ দেখার জন্য নয়। গণতন্ত্র থাকবে না, সেজন্য তো আমরা যুদ্ধ করিনি; অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, সেজন্য তো আমরা যুদ্ধ করিনি। এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না। আপনারা জেগে উঠুন-দেশকে বাঁচান, মানুষকে বাঁচান। এই গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইকে এগিয়ে নিন, এদেরকে পরাজিত করুন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার পতাকা (একাত্তরের ২ মার্চ) দেখানো হয়েছে মানুষকে। এই পতাকা রক্ষা করবার জন্য লড়াই করতে হবে, যুদ্ধ করতে হবে। মানুষ যুদ্ধ করেছে এবং আমরা জিতেছি। আজো মানুষের মধ্যে বিক্ষোভের যে আগুন জ্বলছে, সেই আগুনকে ঠিকমতো গুছিয়ে সেটাকে একটা দাবানল তৈরি না করলে- বিক্ষোভকে আন্দোলনে রূপান্তরিত করা সম্ভব নয়। এটার জন্য কোনো হটকারী কর্মসূচির কথা আমি বলব না। কারণ হটকারিতা কোনোদিন গণতন্ত্রের জন্য সুখকর হয় না, সফলতার দিকে নিয়ে যায় না। কিন্তু গঠনমূলকভাবে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। যত দেরি হবে তত আমাদের জন্য ক্ষতি হবে।  জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির তানিয়া রব, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কে এম জাবির বক্তব্য রাখেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
X