বিএনপির ৩ নেতাকে শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় রংপুরের তারাগঞ্জে বিএনপির ৩ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়। নোটিশপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা হলেন- উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম, ৩নং ইকরচালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম, তারাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম। তারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার উপজেলার খায়রুল ইসলাম, কবিরুল ইসলাম ও আশরাফুল আলমকে চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় কারণ দর্শানোর এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। দলের এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো’। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীগণের মধ্যে কবিরুল ইসলাম বলেন, তিনি কেন্দ্র থেকে নোটিশ পাননি। তাছাড়া ২০১৮ সালে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।  আশরাফুল ইসলাম বলেন, তার জানা মতে, তিনি দলের কোনো পদে নাই, কোনো নোটিশও পাননি।  খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ হয়নি। দলীয় অভিযুক্ত তিনজনই তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাকদুম আলম জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা এই নির্বাচন বর্জন করেছি। এ ব্যাপারে আমরা একাধিকবার লিফলেটও বিতরণ করেছি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নেয় বা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয় তাহলে দলীয়ভাবে তাদের ব্যাপারে জেলা ও কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৩ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ পত্র পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন থাকলেও এ ৩ জনের কেউই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি।
১৬ ঘণ্টা আগে

নির্বাচনসংক্রান্ত সেবা মিলবে ৯৯৯-এ
চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্য ও অভিযোগ জানানো যাবে এ নম্বরে। শনিবার (১৮ মে) সরকারি এক তথ্য-বিবরণী থেকে বিষয়টি জানা গেছে। নির্বাচনের আগের দুদিন, নির্বাচনের দিন ও পরের দিন নির্বাচনসংক্রান্ত সহায়তা পাওয়া যাবে এই নম্বরে। তথ্য-বিবরণীতে বলা হয়েছে, চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চার ধাপে সম্পন্ন করা হবে। প্রতি ধাপে নির্বাচনের আগের দুই দিন, নির্বাচনের দিন ও পরের দিন নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সংস্থাকে অবহিত করা হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় ওই বিবরণীতে।
১৮ মে, ২০২৪

দেবীগঞ্জে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ, প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।   মঙ্গলবার (১৪ মে) সরেজমিন দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজার, অলিগলিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের তিনজন, বিএনপির একজন, স্বতন্ত্র একজনসহ মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা দিন রাত এক করে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের কাছ থেকে সারা পেয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সব প্রার্থী। তারুণ্যের শক্তিকে পুঁজি করে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে মখদুম মাশরাফি যুক্তি মুঠোফোনে কালবেলা প্রতিবেদককে বলেন, ‘দেবীগঞ্জের মানুষের পবিত্র ভোটে আমার বাবা তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাবার যে সম্পৃক্ততা এবং সাধারণ মানুষ যেভাবে তাকে ভালোবাসে ঠিক সেভাবেই তার সন্তান হিসেবে আমাকেও ভালোবাসেন। এ ছাড়া আমি নতুন প্রজন্মের প্রার্থী। নতুন ভোটাররা বিশেষত ইয়ং যারা আছেন তারা আমাকে সমর্থন করছেন এবং নির্বাচনে আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। সর্বোপরি, যেখানেই ভোট চাইতে গেছি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি।’ হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মদন মোহন রায়। সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের সর্বোচ্চ ভোট পাবেন বলে অনেকই মনে করছেন। ভোটের মাঠে তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ভোটের পরিস্থিতি বেশ ভালো। সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমার ধারণা এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোটার আমার পক্ষে আছে।’ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ মিঠু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দীর্ঘদিন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সুবাদে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে তার আলাদা পরিচিতি রয়েছে। অনেকে মনে করছেন একারণে ভোটের মাঠে বেশ সুবিধাজনক স্থানে রয়েছেন তিনি। মুঠোফোনে ভোটের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ভোটের মাঠে সাধারণ ভোটারদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দলীয় পরিচয়ে আমার কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।’ সদ্য বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিমুল ইসলাম বুলবুল কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও ভোটের মাঠের প্রচার- প্রচারণায় এর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ জনসংযোগ বেশ ভালো চলছে। আমার প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে। আল্লাহ চাইলে নির্বাচনে জয়ী হবো।’ ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকা আরেক প্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ। ২০১৪ সালে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেন। তবে গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে। এবারের নির্বাচনে পুনরায় আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তিনি। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী দেবীগঞ্জের উন্নয়ন করতে পারবে, সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারবে তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটাররা।  এদিকে, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেবীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা অপৃতকর ঘটনা ঘটেনি।  উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলছেন কি না তা নিশ্চিত করতে মাঠে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেননি।’ উল্লেখ্য, দেবীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৫৫ জন, নারী ভোটার ৯৮ হাজার ৫৩১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার দুজন।
১৫ মে, ২০২৪

ঝালকাঠিতে পথসভায় হামলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ২০
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের পথসভায় হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে কীর্তিপাশা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন সুলতানসহ ২০ জন। এ ছাড়া তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সুলতান হোসেনের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কীর্তিপাশা মোড়ে তার একটি নির্বাচনী পথসভা চলছিল। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ সেখানে কে বা কারা হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় সুলতানকে, এরপর চেয়ার ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জনকে আহত করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশি পাহারায় সুলতানকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাইম জানান, সুলতান হোসেন বাঁ কাঁধ ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম জানান, পথসভায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
১৫ মে, ২০২৪

হলফনামা বিশ্লেষণ / এমপি পুত্রের চেয়ে ভাইয়ের সম্পদ ৭ গুণ বেশি 
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও তার সহোদর ছোট ভাই সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদের মধ্যেই। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন তারিকুল ইসলাম ওরফে তুষার। এ নির্বাচন উপলক্ষে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের এমপি নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের চেয়ে এমপির ছোট ভাই সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদের বার্ষিক আয় ৭ দশমিক ৭০ গুণ বেশি।  রাকিবুজ্জামান আহমেদের পেশা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা। বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৪০০ টাকা।  এখানে উল্লেখ, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করে কালীগঞ্জের কেইউপি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ওই বেসরকারি কলেজটি সরকারিকরণ হলে তিনি শিক্ষকতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মাহবুবুজ্জামান আহমেদও পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। তিনি বিভিন্ন খাত মিলিয়ে সর্বমোট বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬০২ টাকা।  মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বিকম পাস। তিনি লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি দুবারের নির্বাচিত কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি এর আগে ২০ বছরের অধিক সময় কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দাখিল করা হলফনামায় মাহবুবুজ্জামান আহমেদের অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকার পরিমাণ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত সর্বমোট অর্থের পরিমাণ তিন কোটি ৬১ লাখ ৫১ হাজার ২৭৫ টাকা, সরকারি বন্ড ক্রয় এক লাখ টাকা, অর্জনকালীন সময়ের স্বর্ণের মূল্য ১০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিকসামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের মূল্য ৬৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য খাতে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৭৫ টাকা দেখানো হয়েছে।  অপর দিকে এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত সর্বমোট অর্থের পরিমাণ ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা, ইলেকট্রনিকসামগ্রীর অর্জনকালীন মূল্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা, আসবাবপত্রের মূল্য পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা দেখানো হয়েছে। এ হিসেবে এমপি নুরুজ্জামান আহমেদের সহোদর ছোট ভাই মাহবুজ্জামান আহমেদের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের চেয়ে আট দশমিক ৬৭ গুণ বেশি।  হলফনামায় মাহবুবুজ্জামান আহমেদ তার স্থাবর সম্পদের মূল্য হিসাবে পাঁচ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৪০৯ টাকা উল্লেখ করেছেন। মাহবুবুজ্জামান আহমেদ তার দায় দেনার পরিমাণ পাঁচ কোটি ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ তার হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে পাঁচ বিঘা জমি ও জলাশয় ১৫ একরের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে এই জমির কোনো মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। এ দিকে এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ তার হলফনামায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেন এমপি নুরুজ্জামান আহমেদের সহোদর ছোট ভাই মাহবুজ্জামান আহমেদ। এ উপলক্ষে লালমনিরহাট শহরের ভোকেশনাল মোড়সহ একটি অভিযাত রেস্তোরাঁয় আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ লিখিতভাবে অভিযোগ করে বলেন, এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের মোট জমির পরিমাণ (দলিল অনুসারে) ৪২ দশমিক ২৩ একর। এর মধ্যে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৫ একর জমির কথা। অবশিষ্ট ২৫ দশমিক ৫৮ একর জমির তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। যার মূল্য এক কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিগত এক বছরে কলেজ শিক্ষক হিসেবে যে তিন লাখ ৩৪ হাজার ৩২৪ টাকা বেতন হিসেবে গ্রহণ করেছেন, সেই তথ্যও হলফনামায় উল্লেখ করেননি। মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, এ-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত রাকিবুজ্জামান আহমেদ তার হলফনামায় উল্লেখ না করে গোপন করেছেন, এ হিসেবে তার প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছি, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেছি। উচ্চ আদালতেও অভিযোগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এমপিপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা উভয়পক্ষের আইনজীবীগণের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন।
১১ মে, ২০২৪

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত যেসব নেতা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হয়েছে গতকাল বুধবার। এই ভোটে বিএনপি অংশ নেয়নি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন। যদিও তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  বিএনপির বহিষ্কৃত এসব নেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এবারের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতাদের জয়জয়কার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়ই আওয়ামী লীগের নেতা। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হন আব্দুল কুদ্দুছ। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পান। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে বড় ব্যবধানে হারান তিনি।  শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট।   চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। অন্য একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা।  গোমস্তাপুর উপজেলায় আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাট উপজেলার নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এবং আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।   ভোলাহাট উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট।  গোমস্তাপুর উপজেলায় মোহা. আশরাফ হোসেন আলিম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন রেজা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১ ভোট। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়েছে তিনি। আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বলে জানা গেছে। নির্বাচনে তিনি হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীনকে। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি থেকে যেসব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই তালিকায় মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নাম পাওয়া যায়নি। গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। ঘোড়া প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৯৬৯। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে হারিয়েছেন তিনি। আনারস প্রতীকে রীনা পারভীন পেয়েছেন ১০ হাজার ২০৮ ভোট। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৯৬৮টি ভোট পেয়েছেন।   দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৩ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ২৬ এপ্রিল গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।   দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া আরও অন্তত ৬৪ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
০৯ মে, ২০২৪

সোনাতলা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন ওয়াছিয়া আক্তার
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. ওয়াছিয়া আক্তার রুনা। সেলাই মেশিন প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮০৬টি। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী ৬ হাজার ২৬৬ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়াছিয়া আক্তার। উপজেলাটিতে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৮৩। এদিকে উপজেলা ভোট শেষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, প্রথম ধাপের এই ভোটে ৩০-৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এর আগে সকাল ৮টায় প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। জানা গেছে, প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে ১৩৯ উপজেলার ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তথ্য অনুযায়ী- ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
০৮ মে, ২০২৪

গাইবান্ধায় ভোট বর্জন করল উপজেলা আ.লীগ সভাপতি
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ। বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে কঞ্চিপাড়া এমএইউ স্কুল ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলার সঙ্গে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টা পর থেকে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরের ১৫-২০টির বেশি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির অভিযোগ আসতে শুরু করে। এ সময় ঘোড়া মার্কা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ অভিযোগগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালেও তারা কোনো অভিযোগ আমলে নেননি বলে জানিয়েছেন সেলিম পারভেজ। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য গোপনে তার পছন্দের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করছেন। ভোটের আগের দিন রাতে নিজ বাড়িতে ডেকে এ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ সকলকে হুমকি-ধমকিসহ বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। আর এ কারণেই আমার সাধারণ ভোটাররা আজ আতঙ্কিত। যেখানে আমার ৮০ শতাংশ ভোট পাওয়ার কথা সেখানে আমাকে নির্বাচন বর্জন করতে হলো। স্থানীয় সংসদ সদস্যের এ আচরণ নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙের শামিল। এ সময় তিনি আরও বলেন, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান, তাদের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঐ ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে ন্যক্কারজনকভাবে ভোট ডাকাতি করেছেন। জিএম সেলিম পারভেজ আরও বলেন, আমি সকাল থেকে প্রায় ২০ বার অভিযোগগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে পাশ কাটিয়ে যান। তারা সেই সময় অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিলে এ পরিস্থিতি হতো না। এ রকম একতরফা ভোট করায়, ভোটকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করায়, এলাকার মানুষের ভোটের  প্রতি আরও আস্থার সংকট সৃষ্টি হলো। সেলিম পারভেজ এ ভোট কারচুপির বিষয়ে তদ্ন্ত করে সৃষ্ট বিচারসহ পুনরায় ভোটের দাবি করেন।
০৮ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট আজ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদের প্রতিটিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৪১৭টি পদের বিপরীতে প্রায় ৫৭০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১ হাজার ৬৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এসব উপজেলায় ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। দেশজুড়ে ১০ হাজার ৪০০ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সমতল এলাকাগুলোর প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৭-১৯ সদস্যের নিরাপত্তা দল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৯-২১ সদস্যের নিরাপত্তা দল ভোট চলাকালে দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে গত ২১ মার্চ প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, ফেনীর পরশুরাম ও মাদারীপুরের শিবচর এই ৫টি উপজেলার প্রার্থীরা এরইমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।  এ ছাড়া বিভিন্ন কারণবশত ৮টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত উপজেলাগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, নওগাঁর মহাদেবপুর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও জামালপুরের সরিষাবাড়ী। নির্বাচন কমিশন এবারে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করছে। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৮০টি উপজেলায় নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণা করেছে কমিশন। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায়, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১০ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
০৮ মে, ২০২৪

ভোটের একদিন আগে সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭মে) বিকালে এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা বিভাগের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, উপরোক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপে আগমী ৮ মে অনুষ্ঠেয় জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এবং ৩১ এর বিধান লঙ্ঘন করায় নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করেন। রফিকুল ইসলাম তার প্রার্থিতা বহালের জন্য হাইকোর্টে রিট করলে  হাইকোর্ট বিভাগ গত ৬ মে তার প্রার্থিতা বহালের আদেশ প্রদান করেন।  মঙ্গলবার (৭ মে) হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে  নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে আবেদন করলে আদালত আদেশে ‘No Order’ প্রদান করেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামীকাল (৮ মে) তারিখে অনুষ্ঠেয় জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য  নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শানিয়াজ্জামান তালুকদার নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী  নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে।
০৭ মে, ২০২৪
X