গাইবান্ধার ফুলছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছেন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ।
বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে কঞ্চিপাড়া এমএইউ স্কুল ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলার সঙ্গে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টা পর থেকে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন চরের ১৫-২০টির বেশি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির অভিযোগ আসতে শুরু করে। এ সময় ঘোড়া মার্কা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ অভিযোগগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালেও তারা কোনো অভিযোগ আমলে নেননি বলে জানিয়েছেন সেলিম পারভেজ।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য গোপনে তার পছন্দের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করছেন। ভোটের আগের দিন রাতে নিজ বাড়িতে ডেকে এ উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ সকলকে হুমকি-ধমকিসহ বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। আর এ কারণেই আমার সাধারণ ভোটাররা আজ আতঙ্কিত। যেখানে আমার ৮০ শতাংশ ভোট পাওয়ার কথা সেখানে আমাকে নির্বাচন বর্জন করতে হলো। স্থানীয় সংসদ সদস্যের এ আচরণ নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙের শামিল।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান, তাদের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঐ ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে ন্যক্কারজনকভাবে ভোট ডাকাতি করেছেন।
জিএম সেলিম পারভেজ আরও বলেন, আমি সকাল থেকে প্রায় ২০ বার অভিযোগগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাকে জানালেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে পাশ কাটিয়ে যান। তারা সেই সময় অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিলে এ পরিস্থিতি হতো না। এ রকম একতরফা ভোট করায়, ভোটকে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ করায়, এলাকার মানুষের ভোটের প্রতি আরও আস্থার সংকট সৃষ্টি হলো।
সেলিম পারভেজ এ ভোট কারচুপির বিষয়ে তদ্ন্ত করে সৃষ্ট বিচারসহ পুনরায় ভোটের দাবি করেন।
মন্তব্য করুন