রেফারিং বিতর্ক: ধুয়ে দিলেন টুখেল, উঁচুমানের বলছেন আনচেলত্তি
ম্যাচের শেষমুহূর্তে খেলা চলছিল। এ সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের বলে জাল জড়ান বায়ার্ন মিউনিখের ডাচ তারকা ম্যাথিয়াস ডি লিট। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইনসম্যান। বাতিল হয় গোলটি। ফলে রিয়ালের কাছে ২-১ গোলে হেরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হেরে যায় বায়ার্ন। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ে ফাইনালে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ডি লিটের গোলটি বাতিল না হলে ম্যাচ গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। ফলে ম্যাচ শেষে হলেও রয়েছে গেছে এর রেশ। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে বিতর্ক। সেই ম্যাচের রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াককে একহাত নেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। অন্যদিকে রেফারির পক্ষে সাফাই গাইলেন রিয়াল কোচ। ম্যাচ শেষে নিজের প্রতিক্রিয়ায় জার্মান ক্লাবটির কোচ বলেন, ‘সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। দারুণ লড়াই হয়েছে, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি। ফাইনালের খুব কাছে পৌঁছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রিয়াল মাদ্রিদকে শুভকামনা জানাতে হচ্ছে।’ ম্যাচ পরবর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন টুখেল, ‘দুঃখ প্রকাশ করে এখন কোনো লাভ নেই। সবার সর্বোচ্চটা দিতে হয়েছে, ভুগতে হয়েছে, কোনো ভুল ছাড়াই খেলতে হয়েছে সবাইকে। সুতরাং রেফারিকেও সেই মানের হতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই মাঠে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আপনার কাছে সেরাটা প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার।’ তবে এ ধরণের অভিযোগ মানতে রাজি নন রিয়াল কোচ। আনচেলত্তি বলেন, ‘মুভটা একেবারেই স্পষ্ট। লাইনসম্যান পতাকা তুলেছে, রেফারি বাঁশি বাজানোর পরই আমরা থেমে গেছি। তারা যদি এটা নিয়ে অভিযোগ করে, আমরা নাচোর (রিয়াল ডিফেন্ডার) বাতিল হওয়া গোলটি নিয়েও অভিযোগ করতে পারি।’ ম্যাচের ৬৮ মিনিটে কানাডিয়ান তারকা আলফানসো ডেভিসের গোলে পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল। ৭১ মিনিটে গোল করলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তিতে গোলটি করার আগে বায়ার্নের জশুয়া কিমিখকে ফেলে দেন রিয়াল অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজ। ফলে বাতিল হয় সেই গোল।   পোলিশ মার্চিনিয়াককে বিবেচনা করা হয় তার প্রজন্মের সেরা রেফারি হিসেবে।  ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের (আইএফএফএইচএস) মতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিশ্বসেরা রেফারির মর্যাদা পান মার্চিনিয়াক। চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের ৪টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। গত বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করেন তিনি।
০৯ মে, ২০২৪

পিএসজির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটায় বাদ যাচ্ছেন না নেইমারও
ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে নিজেদের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। মঙ্গলবার রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে বাকি কাজটা সারে জার্মান ক্লাবটি। পিএসজির বিপক্ষে শুধু ড্র করলেই চলত। তবে জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলসের গোলে প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পায় ডর্টমুন্ড। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানের জয়ে, ফরাসিদের কাঁদিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে জার্মান ক্লাবটি। প্রতিপক্ষের মাঠে প্রিয় দলের এমন জয়েও মন ভরেনি ক্লাবটির সমর্থকদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার বছর আগে নেইমার-এমবাপ্পেদের করা অশোভনীয় আচরণের প্রতিশোধ নিচ্ছে তারা। ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জার্মান জায়ান্টদের মুখোমুখি হয়েছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। সেবার ডর্টমুন্ডতেই ছিলেন আর্রিং হলান্ড। নরওয়ের এই তারকার জোড়া গোলে ঘরের মাঠে পিএসজিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ডর্টমুন্ড। সে সময় গোল করার পর ‘পদ্মাসনে’ বসে অনেকটা ধ্যানের ভঙ্গিতে গোল উদ্‌যাপন করতেন বর্তমানে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা এই স্ট্রাইকার। সেদিনও সিগন্যাল ইদুনা পার্কেও একই ভঙ্গিতে গোল করেছিলেন হলান্ড। ম্যাচ শেষে সে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘জেনসেশনাল উইন।’ যা ভালো লাগেনি নেইমার-এমবাপ্পেদের। নিজেদের মাঠে ২-০ গোলের জয়ে ডর্টমুন্ডকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পিএসজি। পরে হলান্ডের সে উদযাপনের ভঙ্গি নকল করে দলগত ছবি তুলেছিলেন পিএসজির ফুটবলাররা। পিএসজির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে সে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছিল, ‘এবার নিশ্বাস নাও।’ তখন নেইমারদের এমন উদযাপন জন্ম দেয় অনেক সমালোচনার। এতদিন ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন ডর্টমুন্ডের সমর্থকরা। ফরাসি জায়ান্টদের হারানোর পর পুরোনো সেই পোস্ট খুঁজে বের করে রিটুইট করছেন অনেকে। একই সঙ্গে ডর্টমুন্ডের এক সমর্থক লিখেছেন, ‘সেরা মানের ওয়াইনের মতোই এর স্বাদ।’ প্রতিশোধের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হওয়াতেই স্বাদটা অনেক বেশি ভালো লাগছে-- এমন কমেন্ট করেন ডর্টমুন্ডের অনেক সমর্থক।
০৮ মে, ২০২৪

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রাতে মুখোমুখি পিএসজি-ডর্টমুন্ড
সেই ২০১৩ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গিয়েছিল জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কাকতালীয়ভাবে সেই ফাইনালটি ছিল ওয়েম্বলিতে। আবারও ওয়েম্বলির দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্যারিসে ৯০ মিনিট পরাজয় এড়াতে পারলেই ওয়েম্বলির টিকিট পাবে দলটি। এর জন্য বাধা কিলিয়ান এমবাপ্পের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।   চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিশ্চিতের এই লড়াইয়ে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় মাঠে নামছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে আজ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে নামবে জার্মান জায়ান্টরা। অন্যদিকে, নিজেদের মাঠে কামব্যাকের অপেক্ষায় পিএসজি। মঙ্গলবার (৭ মে) নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দ্যু প্রিন্সেসে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে পিএসজি। ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। প্রথম লেগে হারের পর যদি দ্বিতীয় লেগে ফরাসি জায়ান্টরা কামব্যাক করতে পারে তাহলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নতুন এক ইতিহাস লিখবে এমবাপ্পে-ডেম্বেলেরা। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ও সেমির প্রথম লেগ হারার পরও ফাইনালে খেলবে প্যারিসিয়ানরা। এদিকে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে দলদুটি ছিল একই গ্রুপে। সেপ্টেম্বরে হওয়া সেই ম্যাচে পিএসজি ২-০ গোলে জয় পেলেও। আজ পিছিয়ে থেকেই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামার অপেক্ষায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তবে নিজেদের ভেন্যুতে পরিসংখ্যানের দিক থেকে এগিয়েই থাকছে পিএসজি। মুখোমুখি দেখায় শেষ তিনবারের চেষ্টাতেও পিএসজির মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি ডর্টমুন্ড। হোম ম্যাচ বলে আত্মবিশ্বাসীও পিএসজি। তবে পুরোনো সেই রেকর্ড ধরে রাখা এবার পিএসজির জন্য কষ্ট হবে। নিজেদের শেষ সাত ম্যাচেই ক্লিন শিট রাখতে পারেনি পিএসজি। ঘরের মাঠে শেষ চার ম্যাচে ৮ গোল খেয়েছে তারা। তবে আক্রমণাত্মক ফুটবল আর জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না পিএসজি কোচ এনরিকে। তিনি বলেন, ‘ফ্রেঞ্চ ভাষায় আমি শুধু একটি বাক্যই বলতে পারি। তা হলো ‘আমরা জিতবো’। সেজন্য প্রতিপক্ষ থেকে আমাদের বেশি ভালো খেলতে হবে। প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করতে হবে। আর এ মানসিকতা প্রথম মিনিট থেকে দেখাতে হবে।’ এদিকে প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় আদায় করে নেওয়ার কৃতিত্ব অনেকাংশেই ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডারদের। সিগনাল ইদুনা পার্কে কিলিয়ান এমবাপ্পকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন হামেলস-মাতসেনরা। এবার ঘরের মাঠে ফরাসি তারকাকে আটকে রাখতে পারবে কি না তা দেখার বিষয়। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে কোন গোল খায়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। বিপরীতে আসরে শেষ সাত ম্যাচে গোল হজম করেছে পিএসজি। তাই প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়াল গুরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিজেদর জাল অক্ষত রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে স্বাগতিকদের। বরুশিয়া কোচ তার্জিক বলেন, ‘প্রথম লেগে আমরা দারুণ ফুটবল খেলেছি। যদিও লিড খুব একটা বড় নয়। আর পিএসজিও ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। তবে হোম কিংবা অ্যাওয়ে, যেখানেই হোক আমরা জয়ের জন্য আশাবাদী।’ যেহেতু এ ম্যাচ কোনোমতে গোলশূন্য ড্র বা যেকোনো ব্যবধানে ড্র করলেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডই ফাইনালে উঠে যাবে, তাই কিছুটা হলেও তারা চাপমুক্ত থাকবে। অপরদিকে, পিএসজিকে ফাইনালে উঠতে হলে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে। চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই দলের লড়াইয়ে পিএসজি ও ডর্টমুন্ডের সমান দু’টি করে জয় এবং একটি ড্র। এখন পর্যন্ত দুই দলই মুখোমুখি দেখায় জিতেছে শুধু হোম ম্যাচেই, একে অপরের মাঠে জিততে পারেনি কেউই। এই পরিসংখ্যান আশা যোগাবে এমবাপ্পে দের।
০৭ মে, ২০২৪

নিষ্প্রভ এমবাপ্পে পিএসজির হার
ঘরের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্ক বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দুর্গ। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে জার্মান ক্লাবটির মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। নিজেদের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে জার্মান জায়ান্টদের হারালেও জিততে পারেনি সিগনাল ইদুনা পার্কে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও একই অবস্থা। যদিও পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল পিএসজির কাছে। ডর্টমুন্ডের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি লুইস এনরিকের শিষ্যরা। অন্যদিকে নিকলাস ফুলক্রুগের গোল আর দৃঢ় রক্ষণে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলের জয় পায় জার্মান ক্লাবটি। ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের জালে তিনট শট নিয়ে পিএসজি। কিন্তু গোলপোস্টে রাখতে পারেনি একটি শটও। উল্টো পাঁচ শটের চারটি লক্ষ্যে রাখে ডর্টমুন্ড। ৩৬ মিনিটে হয় ম্যাচের একমাত্র গোল। নিকো শ্লটারবেকের দুর্দান্ত অ্যাসিস্টে বাঁ পায়ের জোরালো শটে পিএসজির জাল কাঁপান জার্মান ফরোয়ার্ড ফুলক্রুগ। বিরতির পর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। ৫১ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। তবে পরপর দুবার বল লাগে ডর্টমুন্ডের পোস্টে। ৬০ মিনিটে ফুলক্রুগের সামনে এসেছিল দ্বিতীয় গোলের সুযোগ। কিন্তু পোস্টের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে মেরে সেই সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। ৮১ মিনিটে প্রায় এক রকম সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির উসমান দেম্বেলে। পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন ফরাসি ক্লাবটির বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে দেখা যায়নি তাকে। মাঠজুড়ে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। যার প্রভাব পরে পিএসজির খেলায়। ফলে পিছিয়ে থেকে নিজেদের মাঠে মঙ্গলবার দ্বিতীয় লেগে খেলতে নামবে ফরাসি জায়ান্টরা।
০২ মে, ২০২৪

এমবাপ্পের পিএসজি কি পারবে ডর্টমুন্ড বাধা পেরুতে!
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম সেমিফাইনালে দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। দুই জায়ান্টের ২-২ গোলে সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচের পর এবার পালা দ্বিতীয় সেমিফাইনালের। উত্তেজনার সেই ম্যাচে বুধবার (১ মে) রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড আতিথ্য দিবে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজিকে। যেখানে দুদলের লক্ষ্যই থাকবে ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখা। ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে গ্রুপ অব ডেথ ‘এফ’ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে কোয়ালিফাই করেছে দুই ক্লাবই। গ্রুপ পর্বের এই দুই দেখায় অবশ্য দুই দলেরই জয় একটি একটি করে। এবার রোড টু ওয়েম্বলির রেসে আবারও দেখা দুই ইউরোপিয়ান ক্লাবের। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের দুর্গ ইদুনা পার্কে জয় আনতে মরিয়া থাকবে কিলিয়ার এমবাপ্পের পিএসজি। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুর্দান্ত সময়ই পার করছে লুইস এনরিকের দল। কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে হারলেও ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমির টিকিট কেটেছে প্যারিসিয়ানরা। তাই ম্যাচে অনেকটা নির্ভার হয়েই নামবে ফরাসিরা। সম্ভাব্য ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলার সম্ভাবনা পিএসজির। যেখানে ডিফেন্সে থাকছেন দুই সেন্টারব্যাক থিও হার্নান্দেজ ও মারকুইনহোস। লেফট ব্যাকে নুনো মেন্ডেজ ও রাইট ব্যাকে আশরাফ হাকিমি। মাঝমাঠে ভিতিনহার দুই সঙ্গী ফ্যাবিয়ান রুইজ ও জাহির এমেরি। তবে বরাবরের মতোই অপ্রতিরোধ্য আক্রমণভাগ নিয়েই মাঠে নামবে পিএসজি। দুই উইংয়ে বারকোলা ও উসমান ডেম্বেলে আর মাঝে ফর্মের তুঙ্গে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রথম লেগে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না পিএসজি। অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে বুন্দেসলিগায় সময়টা ভালো না কাটলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ ছন্দে আছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। গ্রুপসেরা হয়েই নকআউট পর্বে উঠেছিল জার্মান ক্লাবটি। প্রতিপক্ষ পিএসজির মতো তারাও কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ হেরে দ্বিতীয় লেগে কামব্যাক করে ১১ বছর পর সেমিফাইনালে উঠেছে ডর্টমুন্ড। পিএসজির বিপক্ষে ডর্টমুন্ডের বড় ভরসা তাদের ঘরের ছেলে মার্কো রয়েস। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন জ্যাডোন সাঞ্চো। আর ইনজুরি খড়া কাটিয়ে মার্সেল সাবিৎজার ও ডোনিয়েল মালেনের ফেরা স্বস্তি দিচ্ছে ডর্টমুন্ড কোচকে। আর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরছেন এমরে কান ও ইয়ান ম্যাটসেন। আর এই ম্যাচে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান ডর্টমুন্ড কোচ। দুদলের শেষ ছয় দেখায় দুটিতে জিতেছে পিএসজি আর ডর্টমুন্ডের ঝুলিতে আছে একটি জয়। বাকি ৩টি ম্যাচ হয়েছে ড্র।
০১ মে, ২০২৪

মেসি না থাকায় ভালো করছে পিএসজি!
ফুটবল বিশ্বের সর্বকালের সেরা তারকা হিসেবে যদি কেউ আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির নাম বলেন তাহলে তার সঙ্গে দ্বিমত করার মতো খুব বেশি লোক পাওয়া যাবে না। বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা ফুটবলে নিজের অবস্থান এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তাকে পেলে যে কোনো দলই পাল্টে যায়। তবে এই আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর কারণেই না কি তার সাবেক ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) দল হিসেবে খেলতে পারছিল না। গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার আগে মেসি ছিলেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। সেই ক্লাবে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার জুনিয়রকে। তবে সময়ের তিন সেরা তারকা মিলেও পিএসজিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিতে পারেনি। সময়ের পরিক্রমায় মেসি-নেইমার দুজনই ক্লাব ছেড়েছেন আর তাদের ক্লাব ছাড়ার পরেই এই মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে পিএসজি। ফরাসি লিগ ইতোমধ্যেই জিতে নিয়েছে দলটি, সুযোগ রয়েছে আরও তিনটি ট্রফি জয়ের। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছসিত পিএসজি সমর্থকরা। তবে এরমধ্যেই ফরাসি ফুটবলের বিশেষজ্ঞ জুলিয়েন লওরেন্স দাবি তুললেন মেসি নেইমার না থাকার কারণেই পিএসজির এরকম উন্নতি। বুধবার (০১ মে) রাতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচ খেলবে লা প্যারিসিয়ানরা। ওই ম্যাচের আগে টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি তুলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দেখেন পিএসজিতে মেসির আগ্রহ ছিল না। তাই কোনোভাবেই দলের সঙ্গে তিনি খাপ খাওয়াতে পারেনি। এ ছাড়াও পিএসজির ড্রেসিংরুমে এখন ইগো কম। মেসি-নেইমার ও ভেরাত্তি নেই। তারা গত মৌসুমে ছিল। মাঠে না হলেও মাঠের বাইরে দলের ডন ছিল তারা। যার প্রভাব ড্রেসিংরুমে পড়ত। সাত মৌসুম পর এমবাপ্পে প্যারিস ছাড়ার আগে অবশ্যই এটা পিএসজির জন্য ইউরোপের সবচেয়ে বড় ট্রফি জয়ের সেরা সুযোগ।’ এ ছাড়াও এই মৌসুম শেষে এমবাপ্পেরও পিএসজি ছাড়ার কথা। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে এমবাপ্পের মধ্যে তাই ইগো কম দেখা গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন লওরেন্স। কারণ এমবাপ্পে ঘোষণা দিয়েছেন পিএসজির জার্সিতে এটিই তার শেষ মৌসুম। যে কারণে ফ্রান্সে নিজের শেষ মৌসুম উপভোগ করতে চাচ্ছেন তিনি। তাই সব কিছু মিলিয়েই পিএসজি এবার একটা দল হয়ে মাঠে পারফরম্যান্স করছে বলে দাবি করেছেন এই ফ্রান্স ফুটবলের এক্সপার্ট। তবে এমবাপ্পের দলকে সফল তখনই বলা যাবে তখন তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতবে। সেজন্য অবশ্য আজকের রাতের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে জয় দরকার তাদের। ম্যাচটি রাত একটায় সিগনাল ইদুনা পার্কে শুরু হবে।
০১ মে, ২০২৪

ইউরোপিয়ান ক্লাসিকোয় রাতে মাঠে নামছে বায়ার্ন-রিয়াল
ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাকি আর মাত্র চার দল। চার দলের লড়াইয়ে অবশ্য ফাইনালের আগেই ফাইনালের স্বাদ ফুটবল ভক্তদের উপহার দিবে বায়ার্ন ও রিয়ালের সেমিফাইনাল লড়াই। আর কিছুক্ষণ পর রাতেই বায়ার্নের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মুখোমুখি হবে দুই দল।    মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত একটায় শুরু হতে যাওয়া এই হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের প্রথম লেগে উড়তে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে আতিথ্য দেবে এই মৌসুমে ধুঁকতে থাকা জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। ফাইনাল যাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে প্রথম লেগ জিততে চায় দুই দলই। নিজেদের ঐতিহাসিক লা ডেসিমা বা দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে ২০১৩-১৪ মৌসুমে বায়ার্নকে এই সেমিতেই উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। সেই লড়াইয়ে রোনালদো ও রামোসের জোড়া গোলে বাভারিয়ানদের তাদের ঘরের মাঠেই ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলো কার্লো আনচেলত্তির লস ব্লাঙ্কোস। সেই ম্যাচের পর পেরিয়ে গেছে দশ বছর। আবারও আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় সেমির লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই হ্যাভিওয়েট। এবার অবশ্য দ্বিতীয় লেগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের খেলা হবে বায়ার্নের ঘরের মাঠে। বায়ার্নের মাঠ হলেও প্রতিপক্ষের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই মৌসুমে দারুণ সময় কাটছে লস ব্লাঙ্কোসদের। তার উপর শেষ আটে ট্রেবল জয়ী ম্যান সিটিকে হারানোর আত্মবিশ্বাস আরও রসদ জোড়াবে ভিনিসিয়ুস-বেলিংহ্যামদের। রিয়ালের আক্রমণ ত্রয়ীর ফর্মও বাড়িয়ে আশা যোগাচ্ছে রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে মাদ্রিদের ইতালিয়ান এই কোচ বলেন, 'আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠব এই বিশ্বাস আমাদের মধ্যে আছে। আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখি। আমরা জানি জিততে পারব। তাই বলে বায়ার্ন মিউনিখকে ছোট করে দেখব না। এই মৌসুমে তারা হয়ত সেরা ছন্দে নেই। তারপরও তারা বিপজ্জনক দল। তাই প্রতিপক্ষকে নিয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকতে চাই।' রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ আরও বলেন, 'সেমিফাইনালে আমাদের এমন একটি দলের বিপক্ষে লড়তে হবে যাদের এবারের বুন্দেসলিগায় ভালো সময় কাটেনি। তারা জার্মান কাপেও কিছু করতে পারেনি। তাই বলে ওদের হেয়ালি করতে পারি না। সেটা ঠিক হবে না। কোয়ার্টার ফাইনালে ওরা আর্সেনালের মতো শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে শেষ চারের টিকিট কেটেছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ওরা প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী থাকবে।' অন্যদিকে এবার নিজেদের প্রমাণের পালা স্বাগতিক বায়ার্নের। এরই মধ্যে হাতছাড়া হয়ে গেছে বুন্দেসলিগা ও জার্মান সুপার কাপ। মৌসুমে তাই একমাত্র শিরোপা জয়ের সুযোগ নষ্ট করতে চায় না বাভারিয়ানরা। কোয়ার্টারে আর্সেনাল বধ স্বাভাবিকভাবেই সাহস যোগাবে টমাস টুখেলের শিষ্যদের।   এই মৌসুম শেষ করেই বায়ার্ন ছাড়ছেন মুলার-কেইনদের কোচ টমাস টুখেল। তিনি চাইবেন শিরোপা জিতেই বায়ার্ন অধ্যায়ের ইতি টানতে। সেই প্রসঙ্গে জার্মান এই কোচ বলেন, ‘এই ম্যাচকে ফাইনালের মতো করে ভাবছি আমরা। এমন লাইন-আপ সাজাব যা দেখলে মনে হবে ফাইনালের জন্যই খেলছি। হ্যাঁ, আমরা জানি কিছু খেলোয়াড় পুরো ম্যাচ খেলতে পারবে না। কিন্তু আমরা এটা ভাবব না যে, দ্বিতীয় লেগ বাকি আছে। আমি কেবল এই একটা ম্যাচ জেতা নিয়েই ভাবতে চাই এবং এরপর মাদ্রিদে সেরা অবস্থায় থেকে পৌঁছাব।’   টুখেল আরও জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য ওয়েম্বলিতে (ফাইনালের ভেন্যু) জায়গা করে নেওয়া। আমরা আর্সেনালকে হারিয়েছি এবং এটা আমাদের প্রচুর আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমরা লড়াইয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আছি। আমাদের চোখ কেবল কালকের (আজ) ম্যাচ নিয়েই।’ তবে বিগ ম্যাচ হলেও সেরা একাদশ নিয়ে জটিলতায় দুদলই। নিষেধাজ্ঞায় দানি কার্ভাহালকে পাচ্ছে না রিয়াল। তবে অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে প্রস্তুত বায়ার্নের দুই মাথা ব্যথার কারণ বেলিংহ্যাম ও রদ্রিগো। বায়ার্নের স্কোয়াড থেকে ডি লিখটকে ছিটকে দিয়েছে ইনজুরি। ফিটনেস ইস্যুতে অনিশ্চয়তায় জামাল মুসিলায়া ও লিরয় সানে। তবে টুখেলের জন্য স্বস্তি, আলফনসো ডেভিসের ফেরা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

মাদ্রিদের রক্ষণাত্মক কৌশলের সমালোচনা করতে চান না গার্দিওলা
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই বলা হচ্ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির নাম। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা আট দলের মধ্যে তাদের শিরোপা জয়ের সুযোগ সবচেয়ে বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের মত ছিল। তবে সব মতামত ছাপিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের হাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্নের বিসর্জন দিতে হয় সিটিজেনদের। অবশ্য পুরো ম্যাচজুড়েই কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। তবে রিয়ালের অতি রক্ষণাত্মক কৌশলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। ম্যাচ শেষে সিটির কোচ এই নিয়েই কথা বলেন। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে পেপ গার্দিওলা রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণাত্মক কৌশলের সমালোচনা না করে তাদেরকে অভিনন্দন জানান। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রদ্রিগোর প্রথম দিকের গোলে লিড পায় রিয়াল। তবে এরপর থেকেই পিচে সিটির নিরলস আধিপত্য শুরু হয়। তবে পুরো ম্যাচজুড়ে ৩৩ শট নিয়েও মাত্র একবার বল জালে ঢুকাতে পারেন ডি-ব্রুইনা-হলান্ডরা।   পুরো ম্যাচজুড়েই রিয়ালের রক্ষণ যেন ছিল চীনের প্রাচীর। পুরো ম্যাচে রিয়াল মাত্র ৮টি শট ও একটি কর্নার পেলেও টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয়ের সুবাদে সেমিফাইনালে কিন্তু ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরাই যাচ্ছে। ম্যাচ শেষে গার্দিওলাকে মাদ্রিদের রক্ষণাত্মক খেলার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের রক্ষণাত্মক কৌশলে ভুলের কিছু দেখি না। আমরা এর আগেও একই রকম প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছি। কিছু দল আরও খোলামেলা স্টাইল বেছে নেয়, অন্যরা আরও গভীর রক্ষণাত্মক লাইনে খেলতে পছন্দ করে। তারা বুঝতে পেরেছে এখানে খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জের এবং সেই অনুযায়ী তারা মানিয়েও নিয়েছি যেটা আমরা পারেনি।’ তবে ম্যাচে সুযোগ হারানোটা পোড়াচ্ছে সিটি বসকে। গার্দিওলা সিটির প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম, বিশেষ করে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে, কিন্তু আমরা সফলতা খুঁজে পাইনি। আমরা আমাদের সবটুকু দিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত, মাদ্রিদ জয় পেয়েছে আমরা না।’ ম্যাচের প্রধমার্ধে আর্লিং হল্যান্ড প্রথমার্ধে হেডার দিয়ে ক্রসবারে আঘাত করা সত্ত্বেও এবং ডি ব্রুইনাও সহজ সুযোগ মিস করা সত্ত্বেও, গার্দিওলা তার দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন। তবে তিনি এটিও মানেন যে ফুটবল শেষ পর্যন্ত ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। শেষে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘কখনো কখনো আপনি পেনাল্টিতে জিততে পারেন, কখনো কখনো আপনি পারেন না। আজ, আমরা আমাদের তৈরি করা সুযোগগুলিকে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হয়েছি।’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিলেও সিটির সামনে এখনো প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জয়ের সুযোগ আছে। গার্দিওলা চাইবেন তার শিষ্যরা সেই হতাশা ভুলে সেদিকেই তাদের পূর্ণ মনোযোগ দিক।  
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

রক্ষণাত্মক খেলা ছাড়া সিটিকে হারানোর উপায় দেখছিলেন না আনচেলত্তি
ইউরোপের ক্লাবগুলোর এলিট প্রতিযোগিতা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বকালের সেরা দল যে রিয়াল মাদ্রিদ সে ব্যাপারে কারও খুব বেশি সন্দেহ থাকার কথা নয়। আসরটির সর্বোচ্চ ১৪ বারের শিরোপাজয়ী দলকে থামাতে পারে এমন দল খুব কমই আছে। তবে বুধবারের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে শুরু থেকেই স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ফুটবল থেকে সরে এসে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ম্যাচ শেষে রিয়ালের ইতালিয়ান কোচ জানালেন এর কারণ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে রিয়ালের সামনে পড়ার আগে নিজেদের ঘরের মাঠে কখনোই হারেনি গত মৌসুমের ট্রেবল জয়ী দল ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে ইতিহাদকে একপ্রকার দুর্গই বানিয়ে রেখেছিল সিটিজেনরা। ৫৩ হাজার দর্শকের এই দুর্গে অন্যদিকে কোনো জয় নেই রিয়ালের। তবে এই দুর্গ ঠিকই জয় করেছে কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ। তবে পুরো ম্যাচজুড়ে লো-ব্লক করে খেলা রিয়াল মাদ্রিদকে অনেকেই চিনতে পারেনি। ম্যাচ শেষে চারবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী এই কোচ জানালেন এর কারণ। তার মতে রিয়ালের ইতিহাদ থেকে বিজয়ী হয়ে ফেরার একটিই পথ খোলা ছিল। তিনি সেই পথটিই বেছে নিয়েছেন এবং সেটি তাকে সাফল্যও এনে দিয়েছে। আনচেলত্তি ম্যাচ শেষে সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। রদ্রিগোর গোল আমাদের এগিয়েও দিয়েছিল তবে তারপর আমাদের ডিফেন্ড করতে হয়েছে। পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য যা করতে হয়েছে তা আমরা করেছি।’ আনচেলত্তি আরও বলেন ‘আমরা আসলে অন্যভাবে খেলার কথাও ভেবেছিলাম, কিন্তু যখন আমরা এগিয়ে গেলাম, আমরা ডিফেন্সিভ লাইনটাকে অনেক কমিয়ে এনেছিলাম এবং এতে ম্যাচে সিটির নিয়ন্ত্রণ বেশি চলে আসে। তবে ওটা নতুন কিছু নয়।’ সিটির শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে আনচেলত্তি বলেন ‘আসলে এখান থেকে (ইতিহাদ) বেঁচে ফেরার একটা পথই খোলা ছিল। তা হলো- সুযোগ পেলে তা কাজে লাগানো, আমরা সুযোগটা শুরুতেই নিতে পেরেছিলাম, এরপর খুবই ভালো রক্ষণ সামলেছি। ম্যানসিটির বিপক্ষে এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ তার কথার সত্যতা পাওয়া যায় ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে। ১২০ মিনিটের খেলায় পুরো সময়জুড়ে ম্যানচেস্টার সিটি কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। ৬৭ শতাংশ সময় বল তাদের দখলে ছিল। পুরো ম্যাচে রিয়াল শট নিয়েছে ৮টি বিপরীতে সিটির শট ৩৩টি। কর্ণারেও ছিল তাদের একচেটিয়া সাফল্য। তাদের ১৮টি কর্নারের বিপরীতে রিয়ালের কর্নার একটি। তবে এতসব আক্রমণ থামিয়ে দিয়েছে রিয়ালের যে রক্ষণ তার প্রশংসা করতে ভুললেন না তিনি। খেলোয়াড়দের এই সবটা বিলিয়ে দেওয়ার মনোভাবে সন্তুষ্ট রিয়াল কোচ আনচেলত্তি, ‘আমি অনেকবার রিয়াল মাদ্রিদের এই অসাধারণ মনোভাবের সাক্ষী হয়েছি। এই দলটাই এমন কিছু করে দেখিয়েছে যা ভাবনাতেই ছিল না। টাইব্রেকার নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। লুনিনের জন্য এটা অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।’
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

গানারদের ক্লাব বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ
সর্বশেষ ২০০৮-০৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ১৪ বছর পর গানারদের কাছে আবার সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার, শুধু হারাতে হতো গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বায়ার্ন টিমকে। তবে সেই কাজে ব্যর্থ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।    বুধবার (১৭ এপ্রিল) বায়ার্নের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় গানাররা। তবে আর্সেনাল শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয়নি একই সঙ্গে আরেকটি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জায়গা হারাল গানাররা। আগামী বছরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপেও খেলা হচ্ছে না আর্সেনালের। ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে দাপট বজায় রেখেও ড্র করতে হয় আর্সেনালের। আলিয়াঞ্জ এরিনায় অবশ্য আর পেরে ওঠেনি আর্সেনাল। জসুয়া কিমিচের একমাত্র গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে সেমির টিকিট কাটে বায়ার্ন। এদিকে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসা নতুন ফরম্যাটের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও খেলা হচ্ছে না আর্সেনালের। ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে এবার ইউরোপ থেকে মোট ১২টি ক্লাব অংশ নেবে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমসহ শেষ তিন মৌসুমের শিরোপাজয়ী দলগুলোর জায়গা আগেই নিশ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বার্সেলোনার বিদায়ে তারাও ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে। বার্সেলোনার জায়গায় ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছেন আরেক স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। এরপর ইউরোপের ক্লাবগুলোর জন্য আরেকটি স্পট ফাঁকা ছিল ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার জন্য। সেই এক স্পটের জন্য প্রতিযোগিতায় ছিল দুই দল। আর্সেনাল ও সালজবার্গ। কালকের ম্যাচ হারায় ইউরোপ থেকে সর্বশেষ জায়গাটি পাচ্ছে অস্ট্রিয়ান ক্লাব আরবি সালজবার্গ। এদিকে র‍্যাঙ্কিং বিবেচনায় ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপ থেকে আগেই জায়গা করে নিয়েছে- বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বেনফিকা, য়্যুভেন্তাস, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং সালজবার্গ। আর গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দল ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ ও চেলসি তাদের জায়গা আগে থেকেই নিশ্চিত করেছে। আগামী বছর জুনের ১৫ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বসবে বসবে নতুন ফরম্যাটের এই প্রতিযোগিতা। বেশ মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি থাকবে অংশগ্রহণকারী সব ক্লাবের জন্য। তবে কতও তা এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
X