ইরানের হাতে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম
যে কোনো ধরনের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে নতুন ধরনের হাতিয়ার প্রস্তুত করেছে ইরান। তেহরানের হাতে এমন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চলে এসেছে যা অত্যাধুনিক মার্কিন স্টেলথ যুদ্ধবিমানকেও শনাক্ত করবে এবং বহুদূরে থাকতেই তা ধ্বংস করে ফেলবে। এই হাতিয়ারের নাম বাভার- ৩৭৩। কী এই বাভার- ৩৭৩?  বাভার- ৩৭৩ ইরানের নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। শত্রুর যে কোনো আক্রমণ রুখে দিতে ২০১৯ সালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই বাভার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে আসে ইরানের। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্ষমতা আমেরিকার প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম বা রাশিয়ার এস- ৩০০ মিসাইল সিস্টেমের থেকে কোনো অংশে কম নয়।  এবার এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেই আরও উন্নত ও নিখুঁত করে তুলেছে তেহরান। গত ১৭ এপ্রিল মহড়ায় বাভারের নতুন সংস্করণ প্রকাশ্যে আনে ইরান প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইরানের দাবি ১৮৬ মাইল পর্যন্ত দূরের যে কোনো শত্রু বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হানতে সক্ষম বাভারের নতুন সংস্করণ। এমনকি ইরানের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, মার্কিন বিমানবাহিনীর এফ-৩৫ ও এফ-২২ স্টেলথ যুদ্ধবিমানকেও শনাক্ত করে তাতে আঘাত করতে পারে বাভার- ৩৭৩।  উল্যেখ্য, মার্কিন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কার্যত ‘অদৃশ্য’। শত্রুপক্ষের রাডারে ধরা পড়ে না। ফলে ফাইটার জেটগুলোর আঘাত প্রতিরোধ করা খুবই কঠিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান প্রতিহত করতেই বাভার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করেছে ইসলামিক রিপাবলিকান।   প্রসঙ্গত, হামাস-ইজরায়েল হামলা পাল্টা হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা জোরদার হয়েছে। ইসরায়েল ভুখণ্ডে প্রথমবারের মতো আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে এই অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে।  ইরান-ইসরায়েল বড় ধরনের সংঘাত হলে ইরানের জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারে বাভার- ৩৭৩-এর মতো অস্ত্র। 
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
X