শৌচাগারে গোঙানির শব্দ, মা ছুটে গিয়ে পেলেন গলাকাটা মরদেহ
নওগাঁর মহাদেবপুরে নার্গিস বেগম (৪৫) নামের এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা সদরের মডেল স্কুল মোড় এলাকার নিজ বাড়ির শৌচাগার থেকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। নিহতের স্বজন, স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নাগির্স বেগম ছোটবেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। মানসিক সমস্যার কারণে তার বিয়ে হচ্ছিল না। অবশেষে দুই বছর আগে উপজেলা সদরের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৪৭) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। এক মাস আগে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে নার্গিসের স্বামী আনোয়ার হোসেন মারা যান। নার্গিস নিঃসন্তান ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি মায়ের সঙ্গে উপজেলা সদরের মডেল স্কুল মোড় এলাকার বাসায় থাকতেন। স্বজনরা দাবি করেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আজ ভোরে তার মা মেরিনা আক্তার ফজরের নামাজ শেষে নিজের ঘরে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করছিলেন। এ সময় তিনি গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান। গোঙানির শব্দ পেয়ে বাড়ির একটি শৌচাগারে গিয়ে নার্গিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মেরিনা আক্তার। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে নার্গিসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাদেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, তার মায়ের দাবি নার্গিস নিজেই বঁটি দিয়ে নিজের গলাকেটে আত্মহত্যা করেছেন। যে বঁটি দিয়ে গলাকাটা হয়েছে সেটি মরদেহের পাশেই পাওয়া গেছে। তার মায়ের দাবি, বাড়িতে তারা মা-মেয়ে ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে। তদন্তে হত্যা হিসেবে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মাগুরায় দুই ভাইয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা গ্রামে আপন দুই ভাইকে গলাকেটে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এলাকাবাসির খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন সবুজ মোল্যা (৩০) ও তার ছোট ভাই হৃদয় মোল্যা (১৪)। নিহত দুভাই নহাটা গ্রামের মঞ্জুর মোল্যার ছেলে। সবুজ পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী ও হৃদয় মোল্যা একজন স্কুল ছাত্র।  পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে তাদের দুজনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তাদের দুজনকেই দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে, দুজনের মরদেহ স্থানীয় একটি মাঠে ফেলে রেখে যায়। আজ রোববার ভোরে এলাকাবাসি মরদেহ দুটিকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে। মহম্মদপুর থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে আটক করা হয়েছে। এর প্রকৃত কারণ উদ্ধারে তদন্ত চলছে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

রাজশাহীতে বৃদ্ধের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর চারঘাটে এরশাদ আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকার একটি আম বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, এরশাদ আলী উপজেলার বাসুদেবপুর ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।  পুলিশ জানায়, এরশাদ আলী একজন আম ব্যবসায়ী। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তানের জনক তিনি। দুই বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন। দ্বিতীয় বিয়ে করলেও সেই স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করেননি। এরপর থেকে ছেলেদের সঙ্গেই থাকতেন। রোববার বাড়ির পাশের আম বাগানে ডাল কাটতে যান- এর কিছুক্ষণ পরই বাগানে মরদেহ দেখে স্থানীয়দের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। পরে খবর পেয়ে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বড় ছেলে মানিক আলী বলেন, আমার মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। শারীরিকভাবে অসুস্থও ছিলেন। এজন্য আমরা ধারণা করছি তিনি নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই আমাদের।  স্থানীয় রাজানান, নিহত এরশাদ আলী প্রায় ১৫ বিঘা জমির মালিক। বড় ছেলে ৩ থেকে ৪ মাস ঢাকায় চাকরি করার পর এখন বাড়িতে বেকার বসে আছে। ছোট ছেলে পোস্ট অফিসে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। মেয়ে নার্স হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন। এরশাদ আলী তার সব সম্পদ নিজেই দেখাশোনা করতেন। ছেলেদের এখনো ভাগ করে দেননি। প্রতি সপ্তাহে হাটের দিন বাজার করার টাকা দিতেন ছেলেদের। আর তিনি দিনের বেশির ভাগ সময় নামাজ ও কোরআন হাদিস পড়ে সময় কাটাতেন। নিজে গলাকেটে আত্মহত্যার বিষয়টি মেলোনো যাচ্ছে না।  এ বিষয়ে রাজশাহীর চারঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছি। তবে ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় মৃত্যুও সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ অক্টোবর, ২০২৩

চাটখিলে যুবলীগ নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদ রনি নামে এক যুবলীগ নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দলপুরের ফটিক বাড়ির বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের পাশ থেকে একটি দা, দুই জোড়া জুতা, একটি খাতা, সিগারেট ও কিছু তাস জব্দ করে পুলিশ। মোহাম্মদ রনি চাটখিল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। রনির বাড়ি থেকে মাত্র দুই বাড়ি পর ঘটনাস্থল ফটিক বাড়ি। গতকাল ভোরে ওই বাড়ির এক নারী বাগানে গেলে সেখানে রক্তাক্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করেন। এরপর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে রনির পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাংবাদিকের মায়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার নিউজ এডিটর আবু সায়েম আকন্দের মা সুরাইয়া সুলতানার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সায়েমের মায়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থে‌কে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুরাইয়া সুলতানা সাংবাদিক আবু সায়েম আকন্দের মা এবং পশ্চিম ভূঞাপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুর রহিম আকন্দ ওরফে আবুল পুলিশের স্ত্রী। তার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নিলু রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র অফিসার। স্থানীয়রা জানায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার নারী সুলতানা সুরাইয়া পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকায় একাই বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে বাড়িতে যান। এ সময় ঘরের লাইট জ্বালানো ও ফ্যানের শব্দে সন্দেহ হওয়ায় গেট টপকে প্রতিবেশীরা ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। ভূঞাপুর থানার ও‌সি আহসান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে একদিন আগে তাকে হত্যা করে ফে‌লে রেখে গে‌ছে দুষ্কৃ‌তকারীরা। তদন্ত চল‌ছে, দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নরসিংদীতে ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নরসিংদীর শিবপুরে সাইফুল ইসলাম (৫০) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের পচ্চবটি ইদগাহ মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  জানা গেছে, নিহত সাইফুল একই ইউনিয়নের সানখোলা গ্রামের হেলিম মিয়ার ছেলে এবং একজন পেশাদার রাজমিস্ত্রি ও গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, সকালে স্থানীয় কৃষকরা সাইফুল ইসলামের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ইদগাহ মাঠে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। শিবপুর মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গরু ব্যবসা সংক্রান্ত টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় লাভলু নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রোহিঙ্গা শিবিরে যুবকের গলাকাটা মরদেহ
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পানি চলাচলের নালা থেকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০ এইচ/২৫ ও ২৭ ব্লকের মাঝের একটি নালা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মুহাম্মদ মুজিব (২৪) উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট ব্লক এ/৪৬ এর ওবায়দুল হকের ছেলে। উখিয়া থানার ওসি শেখ মুহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করনে। তিনি বলেন, শনিবার সকাল ৬টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০ এর এইচ/ ২৫ ও ২৭ ব্লকের মাঝখানে নালায় এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরবর্তী সময়ে তারা ক্যাম্প মাঝিদের জানালে মাঝিরা পানবাজার ৮ এপিবিএনকে জানায়। এপিবিএনের দেওয়া খবরে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আশপাশের রোহিঙ্গারা মরদেহটি শনাক্ত করে। তিনি আরও বলেন, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা এখনো কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। সুরতহাল তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X