গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী
স্লোভাকিয়ার জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) তিনি সরকারি বৈঠকের পর বাইরে বের হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাকে গুলি করা হয়। বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, আহত অবস্থায় তাকে হাপাতালে নেওয়া হয়েছে। রাজধানী থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর পূবাঞ্চলের হান্ডলোভা শহরে তিনি এ হামলার শিকার হন। তবে বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।  BREAKING: Prime minister of Slovakia Robert Fico has just been shot pic.twitter.com/ww3zCNzM1B — Insider Paper (@TheInsiderPaper) May 15, 2024 ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী মানুষের সঙ্গে দেখা করার সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে এ সময় সেখান থেকে তাকে গুলি করা হয়। যদিও স্লোভাকিয়ার পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।  টেলিভিশন চ্যানেল টিএ৩-এর বরাতে এপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিষয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও কিছু জানানো হয়নি। 
১৫ মে, ২০২৪

সাজেকে গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সেই ছোট্ট রোমিওর মৃত্যু
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যকার গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ শিশু রোমিও ত্রিপুরার (৭) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে অপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি সাজেক ইউনিয়নের মালেংপাড়া ও গন্ডাছড়া এলাকায় দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যকার গোলাগুলির ঘটনায় তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয় সে। এরপর থেকে টানা ৩ মাস যাবৎ চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছিল শিশুটি। রোমিও ত্রিপুরার বাবা প্রবেন ত্রিপুরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেলের চিকিৎসক শিশু রোমিওকে সোমবার রাত ১১টার দিকে পিআইসিইউতে রেফার করেন। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিআইসিইউতে কোনো সিট খালি ছিল না। তাই সেখানে থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ডেন্টাল হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক জানায় শিশুটির লাইফ সাপোর্ট লাগবে। কিন্তু ডেন্টাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট না থাকায় সেখানে থেকে এশিয়ান হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই রোমিও মৃত্যু হয়।  কান্নাজড়িত কণ্ঠে রোমিও ত্রিপুরার বাবা বলেন, আমার সন্তানের মতো যেন আর কারও সন্তানের এমন করুণ মৃত্যু না হয়। পাহাড়ে এমন গোলাগুলি বন্ধেরও জোর দাবি করেন তিনি। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার শিশু রোমিও ত্রিপুরার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।  উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি সাজেক ইউনিয়নের মালেংপাড়া ও গন্ডাছড়া এলাকায় দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যকার গোলাগুলির ঘটনায় রোমিও ত্রিপুরা তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাজেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আর্থিক অনুদানে দীর্ঘ ৩ মাস চট্টগ্রাম মেডিকেলে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের তত্ত্বাবধানে রোমিও ত্রিপুরার চিকিৎসা চলে।
০৭ মে, ২০২৪

চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ওসমানের মৃত্যু
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীতে চিংড়ি ঘের দখল-বেদখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলা সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া মো. ওসমান (৩৮) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৪ মে বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  মো. ওসমান বড় মহেশখালীর ফকিরাকাটা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।  নিহতের ভাই খাইরুল আমিন বলেন, গত ৪ মে স্থানীয় আমানের নেতৃত্বে এহাছান করিম, রাহমত করিম, মকসুদ মিয়া, আবু বক্করসহ কয়েকজন আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে ফেলে রেখে চলে যায়। আজ রাতে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমি এ ঘটনায় বিচার চাই।   স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে চিংড়ি ঘের দখল-বেদখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বড় মহেশখালী আমান ও গফুর গ্রুপের মধ্যে অস্ত্রের মহড়া, গুলি বিনিময়, তুলে নিয়ে মারধরসহ বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। এরই জের ধরে গত ৪ মে বিকেল ৪টার দিকে আমান গ্রুপের লোকজন ওসমানকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে উসমানসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। ওসমানকে উদ্ধার করে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ওসমানের অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও শাহাব উদ্দিন নামে এক গুলিবিদ্ধের নাম জানা গেলেও বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।  মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, বড় মহেশখালীতে জমি সংক্রান্ত দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
০৬ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ভাঙচুর, আগুন
উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গভীর রাতে থানায় ঢুকে বিশৃঙ্খলা করায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১০ কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া মাগুরার শ্রীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দুই প্রার্থীদের সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষ-গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহতরা হলেন ভায়না এলাকার রশিদ প্রামাণিকের ছেলে বাদশা প্রামাণিক (৪০), শেকেল শেখের ছেলে মতিন শেখ (৫০) এবং মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (৩৫)। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক শাহিনের এক সমর্থকের পায়ের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে শাহিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির ওপরে শাহিনের লোকজন হামলা করেছে। আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে। এ ব্যাপারে সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেলে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগান থেকে ফায়ার করলে একজনের পায়ে লাগে। তবে হামলার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন বলেন, ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমার এক সমর্থককে মারধর করা হয়। এটা নিয়েই উত্তেজনা। পরে আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আমার লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে আমার কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে গভীর রাতে থানায় ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, গালাগাল ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার এ ঘটনা ঘটে। বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারিক জানান, বুধবার রাতে নির্বাচনী প্রচারে চালা সাত রাস্তার মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার ও বদিউজ্জামান ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বদি ফকির থানায় আসেন অভিযোগ দিতে। কিছুক্ষণ পর আমিনুলের লোকজন থানার ভেতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে আমিনুল গ্রুপের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নির্বাচনী কার্যালয় ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত ১০ জনের মধ্যে দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার গয়েসপুর ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজার এলাকায় বুধবার রাতে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শরীয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম মোতাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। শরীয়তউল্লাহ বলেন, নবগ্রাম বাজারে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংগ্রামের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তবে সংগ্রাম বলেন, মিছিল যাওয়ার সময় আমার কর্মীদের ওপর হামলা হয়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। শ্রীপুর থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোরহাটে বুধবার রাতে নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ঘোড়ার অস্থায়ী নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা।
০৩ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২
পাবনার সুজানগরে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন সাতজন। এ ঘটনায় দেশিয় অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার দিকে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন, ভায়না ইউনিয়নের ভায়না এলাকার রশিদ প্রামাণিকের ছেলে বাদশা প্রামাণিক (৪০), শেকেল শেখের ছেলে মতিন শেখ (৫০) ও মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল আওয়াল (৩৫)। অন্যান্য আহত এবং আটককৃদের তাৎক্ষণিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে ভায়নার কালিরমোড় এলাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা আ. লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক শাহিনের এক সমর্থকের পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল তুলে দেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আব্দুল ওহাবের সমর্থক ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে শাহিনের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সঙ্গে শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হোন। ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির ওপরে শাহিনুজ্জামান শাহিনের লোকজন হামলা করেছে। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে। এখন তাদের লোকজন কিভাবে আহত হয়েছে পুলিশই ভালো বলতে পারবে। সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেলে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ফায়ার করলে একজনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থল থেকে দেশিয় অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে হামলার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন,  ‘ভোট নিয়ে কথাকাটাকাটির একজন প্রার্থী আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ নামে আমার এক সমর্থককে মারধর করে। এটা নিয়েই উত্তেজনা। পরে আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে আমার লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে আমার কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দিনাজপুরে নিহত ১
দিনাজপুর বিরল উপজেলার আমিজপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে শটগানের গুলিতে হাজী মোহাম্মদ আলী নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে শটগানের গুলিতে তিনি নিহত হন। নিহত হাজী মোহাম্মদ আলী বিরল উপজেলার ১নং আজিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মাহামুদ বক্সের ছেলে। দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ জানান, সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ১নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জবাইদুর রহমান ২০ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন।  পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের সমর্থকরা মেনে না নিয়ে কেন্দ্র প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। পুলিশ জানমাল রক্ষার্থে ৫০ থেকে ৬০ রউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন হাজী মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসার পথে মারা গেছেন। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে গিয়ে ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি।  এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজন কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। জানা গেছে, নিহত হাজী মোহাম্মদ আলী বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী জবাইদুর রহমানের চাচা। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও ময়নাতদন্তের জন্য হাসাপাতালে হিমঘরে রাখা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

মহেশখালীতে ফের লবণ মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ফের লবণ মাঠ দখল-বেদখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতেরা হলেন- স্থানীয় মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র আনচার উদ্দিন (৪০), ফকিরাকাটা গ্রামের মোক্তার মিয়ার স্ত্রী মিনহার বেগম (৩০), কবির আহমদের স্ত্রী সোনা খাতুন (৪৫)। এ ছাড়াও আরও ২ জন আহত হলেও তাৎক্ষণিক ২ জনের নাম পাওয়া যায়নি। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপর ২ থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লবণ মাঠ দখল নিয়ে বড় মহেশখালীর স্থানীয় আমান ও বাদশা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কিছু দিন আগে উভয় গ্রুপের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। ফের আজ আবারও লবণ মাঠ দখল করতে গেলে উভয় গ্রুপের আলা উদ্দিন ও আব্দুল গফুরের নেতৃত্বে গুলাগুলি হয়। এতে উভয় পক্ষের ৩ নারী-পুরুষ গুলিবিদ্ধ হন এবং ২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় বলে জানা যায়।   মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহফুজুল হক সন্ধ্যায় বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে ১ জন পুরুষ ও ২ জন নারী হাসাপাতালে আসলে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।   মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, বড় মহেশখালীতে লবণের মাঠ দখল-বেদখল নিয়ে দুইটি গ্রুপের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানান।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীত মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাফনদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  গুলিবিদ্ধ জেলেদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওই জেলেরা হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ও মাঝের ডেইল এলাকার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল। গুলিবিদ্ধ জেলেরা সাগরে শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকার ছিদ্দিকের ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা শেষে নাফ নদী দিয়ে কূলে ফিরছিলেন।  ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মাঝি ইউসুফ আরও বলেন, আমরা নাফনদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি।  টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুরাইয়া ইয়াছমিন জানান, আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপর জেলে ফারুকের ৩টি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলিতে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ গুলিবিদ্ধ জেলেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওপারে মাছ শিকারে গিয়ে জেলেরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিষয়টির খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’ পাশাপাশি সীমান্তের পরিস্থিতি আপততে শান্ত আছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।  টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গনি বলেন, শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীতে মাছ শিকার করে ফেরার পথে মিয়ানমার বাহিনীর গুলিতে দুই জেলে আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনার উদ্ধারে আমাদের লোকজন সহ সবাই ওদেরকে টেকনাফ সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে প্রাইমারি টিট দেওয়ার পর একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার দেওয়া হয়েছে। এদিকে রোববার সকাল থেকে কোস্টগার্ডের নাফ নদে টহল চলে। টহল পরিদর্শন করেন কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী। তার পরিদর্শনের সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে আহতের ঘটনা ঘটেছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিল দখলের চেষ্টা, কর্মী গুলিবিদ্ধ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে বিল দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জানা যায়, ছাত্রলীগের ওই নেতা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ। তার সমর্থকদের নিয়ে বোয়ালিয়া বিল দখল করতে যান তিনি। এ সময় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ছাত্রলীগ নেতার সমর্থকেরা কয়েক রাউন্ড গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতে গ্রামবাসীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। নিজেদের ছোড়া গুলিতে আহত হওয়া ওই ছাত্রলীগকর্মী শাহেদ আহমেদ (২৩) কুষ্টিয়া সদর ইউনিয়নের মোল্লা তেঘরিয়া এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে। সংঘর্ষে অন্য আহতরা হলেন- বোয়ালিয়া এলাকার মুফাজ মিরে ছেলে আক্তারুল ইসলাম (৩৫), মৃত আনারুল মিরের বড় ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫) ও ছোট ছেলে মিনহাজ মির (৪০) আহত হন। এ বিষয়ে বিলের জমির মালিকানা দাবিকারী আব্দুল মতিন বলেন, আরএস রেকর্ড অনুসারে এই বিলের মালিক আমরা। এখানে সরেজমিনে সরকারের কোনো খাসজমি নাই। তবে এসএ রেকর্ড অনুসারে সরকারের শর্ত থাকায় সরকার এ বিল ইজারা দিয়ে থাকে। যা আমি প্রতি বছর ইজারা নিয়ে থাকি। তবে এবার কোনো নোটিশ ছাড়াই বিল ইজারার কথা বলে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ প্রায় শতাধিক ক্যাডার বাহিনী সঙ্গে নিয়ে আমার বিলে চাষ করা মাছ ধরতে নামে। এ সময় এলাকাবাসীসহ আমি বাধা দিতে গেলে তার সঙ্গে আসা ক্যাডার বাহিনী গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায় ও গুলি করে। এদিকে এই বিলের জায়গা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের ২০১৫ সাল থেকে মামলা চলছে, যার কোনো রায় হয়নি। তবুও কীভাবে এই বিল ইজারা হয় আমার জানা নাই। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের মোবাইল ফোনে কল দিলেও ফোন রিসিভ হয়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার পরিদর্শক রাকিবুল হাসান বলেন, বিল ইজারাকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা গুলি করার বিষয়ে শুনেছি। তবে কারা করেছে তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সাগর মিয়া (২০) নামে যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ১০জন আহত হয়। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রায়পুরা উপজেলার দূর্গমচরাঞ্চল নিলক্ষায় ইউনিয়নের বীরগাঁও সোনাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।  রায়পুরা থানার এসআই মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত সাগর মিয়া (২০) নিলক্ষা ইউনিয়নেরসোনাকান্দি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে এবং তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা থেকে বাইরে ছিলেন কান্দাপাড়ার রাজিবসহ তার গ্রুপ। ভোরে লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকা দখলের জন্য বীরগাঁও, সোনাকান্দি, আমিরাবাদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় রাজিব গ্রুপ। এ সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে বীরগাঁও এলাকার আনোয়ার গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুপক্ষে গোলাগুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা হাসপতালে নেওয়ার পথেই সাগর মিয়া (২০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন স্বজনরা। নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম জানান, সোনাকান্দি এবং আমিরাবাদ গ্রামের পূর্ব বিরোধসহ বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
X