কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীতে চিংড়ি ঘের দখল-বেদখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলা সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া মো. ওসমান (৩৮) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৪ মে বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মো. ওসমান বড় মহেশখালীর ফকিরাকাটা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।
নিহতের ভাই খাইরুল আমিন বলেন, গত ৪ মে স্থানীয় আমানের নেতৃত্বে এহাছান করিম, রাহমত করিম, মকসুদ মিয়া, আবু বক্করসহ কয়েকজন আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে ফেলে রেখে চলে যায়। আজ রাতে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমি এ ঘটনায় বিচার চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে চিংড়ি ঘের দখল-বেদখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বড় মহেশখালী আমান ও গফুর গ্রুপের মধ্যে অস্ত্রের মহড়া, গুলি বিনিময়, তুলে নিয়ে মারধরসহ বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। এরই জের ধরে গত ৪ মে বিকেল ৪টার দিকে আমান গ্রুপের লোকজন ওসমানকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে উসমানসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। ওসমানকে উদ্ধার করে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ওসমানের অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও শাহাব উদ্দিন নামে এক গুলিবিদ্ধের নাম জানা গেলেও বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, বড় মহেশখালীতে জমি সংক্রান্ত দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন