‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’- শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
চলচ্চিত্র সমাজের দর্পণ। দেশ, সমাজ ও মানুষের চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি, আচার-আচরণ তুলে ধরা হয় চলচ্চিত্রে। দীর্ঘদিন ধরেই সেই চলচ্চিত্রে নানা সংকট। বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ। গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন। এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়। এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব। ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে। চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’। এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে। এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন—বাচসাস সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ। উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
০২ মে, ২০২৪

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক
উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে চলচ্চিত্র শিল্পের সৃষ্টি। বিশ্বের জন্য এটি একটি অপার বিস্ময়কর বিষয়। বিশ্বের চলমান নিত্যদিনের যাবতীয় ঘটনা অথবা চিত্রনাট্যের পরিকল্পনার আলোকে চলমান চিত্রধারণ করে চলচ্চিত্র শিল্পে রূপায়ণের মধ্য দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন শুরু হয়। স্থান-কাল ভেদে এবং পর্যায়ক্রমে চলচ্চিত্র নির্বাক থেকে সবাক হয়েছে। তবে চলচ্চিত্রের সোনালি অধ্যায় এখন অতীত। করোনা মহামারিতে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে ধস নামে। ধীরে ধীরে এহেন পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের চলচ্চিত্রে সুবাতাস বইতে শুরু করে। তবে এখনকার চলচ্চিত্র ঈদকেন্দ্রিক। বছরজুড়ে সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয় অধিকাংশ সিনেমা। দু-একটা সিনেমা বাদে বাকিগুলো প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। এমন অবস্থায় চলচ্চিত্রে শিল্পী দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ নেতৃত্বাধীন কমিটি চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক আলোচনার আয়োজন করেছে। এতে উপস্থিত থাকবেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট গুণীজনরা। উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাচসাস কাজ করছে বিনোদন সাংবাদিক, চলচ্চিত্র, টিভি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অভিনেতা-কলাকুশলীদের জন্য। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র পুরস্কারের প্রচলন হয় এই সংগঠনটির হাত ধরেই। এছাড়াও টেলিফিল্ম, টিভি সিরিয়াল, টিভি নাটক, টিভি অনুষ্ঠান, বিজ্ঞাপনচিত্র, মঞ্চ নাটক, সংগীত ও নৃত্যের জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
০১ মে, ২০২৪

‘ভয়াল ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ স্মরণ ও প্যারাবন নিধন প্রতিবাদ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘ভয়াল ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১ স্মরণ ও প্যারাবন নিধন শীর্ষক’ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রতিবুদ্ধিজীবীর সম্পাদক সাদাত উল্লাহ খান। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এডুসেন্ট্রিক প্রকাশক ও মুন্সিয়ানার সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিরানের স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে।  কবি মনির ইউসুফের সঞ্চালনা ও সমাজ গবেষক নির্বাণ পালের সমন্বয়ে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাহজাদা মহিউদ্দিন। বিশেষ আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. সোহরাব হাসান, বিশিষ্ট সাংবাদিক রাষ্ট্রচিন্তক মাহবুবু কামাল, ধর্মতত্ত্ববিদ ড. মোহাম্মদ আবদুল হাই, লেখক ও গবেষক শাওয়াল খান। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আতা উল্লাহ খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পাভেল মার্শাল, মোহাম্মদ আলী, শিশু পল্লী, পরিচালক; আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক, মহেশখালি সমিতি; সাঈদুর রহমান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী জসিম কাতাবি, আমেরিকান প্রবাসী কবি ইউসুফ রেজা, সমাজ গবেষক নির্বাণ পাল, ডুসাম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতিমা তাসনিমা ঝুমা, ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কাফিনুর-ইআজিজ, ইঞ্জিনিয়ার সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশগত বিপর্যয় রোধকল্পে বিভিন্ন কথা বলেন। রাষ্ট্রচিন্তক মাহবুব কামাল বলেন, উপকূলের বেড়িবাঁধগুলো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। এগুলো ৯৯ ভাগ মাটির তৈরি এবং বিভিন্ন স্থানে এগুলো ভেঙে গেছে। আশু পরিকল্পনা করে এগুলো মেরামত ও স্থায়ী কনক্রিটের বেড়িবাঁধ করা জরুরি। আবার ’৯১ এর মতো দুর্যোগ হলে লাখ লাখ লোক মারা যাবে, তলিয়ে যাবে সমুদ্র জলে। এটা উপকূলবাসীর শুধু জীবন রক্ষায় কাজ করবে তা নয় প্রবল জোয়ার থেকেও বাঁচাবে আর কানেকটিং সড়ক হিসাবে কাজ করবে।  সমাজ গবেষক নির্বাণ পাল বলেন, আমাদের আবাহাওয়া সতর্ক সংকেত অত্যন্ত সেকেলে এবং দুর্বোধ্য। সাধারণ মানুষ এর অর্থ জানে না। বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষ ও ১ থেকে ১০নং সতর্ক সংকেত এর মানে বুঝে না। সারা বিশ্ব চলে ৫টা সতর্ক সংকেত দিয়ে লাল, নীল, সবুজ হলুদ ও অরেঞ্জ এই ৫টা সংকেতে। ব্রিটিশ আমলে নাবিকদের সাগরে পথ দেখানোর জন্য যে সংকেত তৈরি হয়েছিল তা আবহমান চলতে পারে না, এটা অবশ্যই সহজবোধ্য ও জনবান্ধব করতে হবে।  গ্রিন বেল্ট এনজিও’র প্রধান নির্বাহী জসিম কাতাবী বলেন, উপকূলকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে প্যারাবন কিন্তু দুর্বৃত্তরা নির্বিচারে প্যারাবন ধ্বংস করছেন। এ কাজে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত সবাই একজোট হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ওদের প্রতিরোধ বা মামলা করা সম্ভব নয়। আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে একটা কমিটি করতে হবে যারা পরিবেশ ধ্বংসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে মামলা করবে। একমাত্র মামলাকেই অপরাধীরা ভয় পায়।  গণমাধ্যম গবেষক লেখক সাওয়াল খান বলেন, নারীরা দুর্যোগে সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ’৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে দুর্যোগ প্রতিরোধ এর প্রস্তুতি ও নীতি পরিকল্পনায় নারীদের বাঁচানোর আালাদা কর্মসূচি থাকতে হবে।  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাহজাদা মহিউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী উপকূলীয় জনগণের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। আপনাদের প্রস্তাবনাগুলো পরিবেশ ও দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। বক্তারা আরও বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় দুর্বৃত্তদের হাত থেকে মহেশখালী রক্ষা, কক্সবাজার রক্ষাসহ সম্প্রতি প্যারাবন নিধনের ওপর তারা কথা বলেন। তারা বলেন, এভাবে প্যারাবন নিধন হতে থাকলে মহেশখালী ধ্বংস হয়ে যাবে। ধ্বংস হয়ে যাবে কক্সবাজার। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। সরকারের নীতিনির্ধারণী উচ্চতর পর্যায়ে বিষয়গুলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য বক্তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। 
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
‘অগ্নি দুর্ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ (সাবেক মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান (সাবেক মহাপরিচালক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজস্টার সাইন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্সের অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ, বাপা সভাপতি স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব, ইসাব সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতি প্রমুখ। স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব বলেন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ঢাকাসহ সারাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে এবং চিহ্নিত ভবনের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার সাথে সাথে নির্দিষ্ট ভবনের সামনে তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যেন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করতে পারে এজন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইনগত অসামঞ্জস্য/বিরোধ দ্রুত সমন্বয় করা প্রয়োজন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান বলেন, শহর কেন্দ্রিক স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ ফায়ার সার্ভিসকে দুর্ঘটনার ধরনভেদে স্পেশাল টিম তৈরি করতে হবে। এছাড়া রাজউক, সিটি কর্পোরেশন বা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার কোড তৈরি করার পরামর্শ দেন তিনি। অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাইড্রেন্ট লাইন বসানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিসের স্থগিত বিধিমালা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটিতে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিয়ে যদি অকুপেন্সি পরিবর্তন করে তাহলে তা ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হবে এমন বিধান তৈরি করতে হবে। এছাড়া বিএনবিসির কিছু ধারা যুগোপযোগী করা উচিত। অগ্নি নির্বাপণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শহরের জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন। নিয়াজ উদ্দিন চিশতী বলেন, শুধু অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কিনে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে না। অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম মানসম্মত কিনা তা যাচাই করতে হবে, যেন তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। গোলটেবিল বৈঠকে কি নোট পেপার প্রেজেন্ট করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।
০৬ মার্চ, ২০২৪

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের গোলটেবিল বৈঠক অর্জন, প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি-আইইউবিএটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে দেশের ১৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন, প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তহবিল সংগ্রহে নানা পন্থা খুঁজছে। শিক্ষাব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে, যা ব্যয়বহুল। যে কারণে আলাদা কমিটি করে আউটকাম বেইজড এডুকেশন তথা ওবিই পরিচালনা করা হয়। কীভাবে ইউজিসি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করলে প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি আসবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়া, পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ডুয়েল সেমিস্টারের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার নির্দেশনার ফলে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান বক্তারা। উপাচার্যরা বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব একাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড থাকার পরও একই গ্রেডিং ব্যবস্থায় নিয়ে আসার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। চলমান প্রতিবন্ধকতা কাটাতে পাবলিক-প্রাইভেট চুক্তির মাধ্যমে নতুন তহবিল গঠনের গুরুত্বের কথা জানান আলোচকরা। এ ছাড়া, শিল্পকারখানাগুলোতে কাজে লাগে এমন কারিকুলাম তৈরির মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রবের সঞ্চালনায় আলোচনায় যে উপাচার্যরা অংশ নেন তারা হলেন—অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান (আইএসইউ), অধ্যাপক ড. এএফএম মফিজুল ইসলাম (সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি), অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম (বিইউএইচএস), অধ্যাপক ড. ইমরান রহমান (ইউল্যাব), অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া (ইউআইইউ), অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন (সিসিএন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস (নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম (প্রাইম ইউনিভার্সিটি), অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী (প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবুল কাশেম (তিস্তা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফাইয়াজ খান (বিইউবিটি), অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক গ্যাফনি (নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান (কেন্দ্রীয় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক ড. কুমরুল আহসান (ইউএপি), অধ্যাপক ড. এস এম ইকবাল হোসেন (জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), অধ্যাপক ড. শহীদ আখতার হোসেন (ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি), অধ্যাপক ড. শাহজাহান খান (এইউবি)।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘আমার ভাষা আমার শক্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
ভাষার মাসে সম্প্রীতির বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ‘আমার ভাষা আমার শক্তি’- শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারিতে) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ ছাড়াও আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. বিশ্বজিত ঘোষ, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. রতন সিদ্দিকি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিত চন্দ, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া আহমেদ, সাবেক সচিব নববিক্রম কিশোর ক্রিপুরা, ড. হামিদা আক্তার, অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকারসহ বিশিষ্টজনরা। অনুষ্ঠানে ড. কামাল আবদুল নাসের বলেন, প্রাচীনকাল থেকে এই অঞ্চলের মানুষ তাদের ভাষার জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই লড়াইকে সফল ও স্বার্থক করেছেন। এখনও আমাদের ভাষার ওপর আক্রমণ হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাংলা ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা রক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন এবং আরও কিছু উদ্যোগের পরিকল্পনা রয়েছে। যার ফলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও চর্চার ক্ষেত্র বাড়বে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক
জাতীয় নির্বাচন ও এর স্থিতিশীলতা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইসিএলডিএস)। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) লেকশোর হোটেলে আয়োজিত বৈঠকটির সঞ্চালনায় ছিলেন ড. ফারজানা মাহমুদ এবং নূর সাফা জুলহাস। গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিরা জাতীয় নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন। আইসিএলডিএসের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদের সূচনা বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ডিবিসির সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল আসেনি। তাই ঘাটতি বাজেটের মতো কতটুকু ঘাটতি সেটা নিয়েই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণ ও অবাধ নির্বাচন কামনা করেন তিনি। ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের তিনটি মানদণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষেই এই নির্বাচন হবে। দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, একেক জায়গায় স্থিতিশীলতার সংজ্ঞা একেক রকম। আমাদের স্থিতিশীলতা বলতে বোঝায় স্বাধীনতার পক্ষে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত থাকবে সমাজ ও দেশ। বিএনপি আসলে হয়তো আবার গ্রেনেড হামলা দেখতে হতে পারে। এখন আমাদের দেশে ভোটার এমপাওয়ারমেন্ট হচ্ছে। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আইসিএলডিএসকে যুগোপযোগী আলোচনার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করেন। নির্বাচন হবে আর শান্ত নদীর মতো থাকবে সেটা সম্ভব নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক ও শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। মাইনরিটি যেন ভোটের ভয়ে না থাকে। ভোটারদের আনতে হবে কেন? তারা আসবেন, তাদের আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি তরুণ ভোটাররা এবারও আসবে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন হয়তো শতভাগ অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। তবে একটা বড় অংশ নির্বাচনে আসছে, লড়াই করবে ভোটে। আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কর্মতৎপর। অপরদিকে ড. জিনাত হুদা জোর গলায় বলেন, ভোট বর্জন যারা করবে জনগণই তাদের বর্জন করবে। বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচব সম্ভব। দু’চারজনের মদদে নির্বাচন বাতিল হবে সেটা সম্ভব না। জনগণই চয়েজ করবে এবং আগুনসন্ত্রাস দিয়ে জনগণের মতামত ও ভোট আটকে রাখতে পারবে না। গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, আবু সাঈদ খান, নঈম নিজাম, ড. সাদেকা হালিম, ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, আবুল হোসেন চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, ফারুক ফয়সাল ও এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরীসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

চবিতে গোলটেবিল বৈঠক : প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংলাপের আহ্বান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ‘সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্র’ আয়োজিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে একটি জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে। কেন্দ্রটির নির্বাহী পরিচালক এবং চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর আহ্বানে  আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবীর, অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম, লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আককাছ আহমদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হওয়া না হওয়া নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পক্ষে বিপক্ষে নানারকম মত প্রকাশ করেন। সাধারন জনগণের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকারসহ গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কী হতে পারে, সে বিষয়েও নানা মত প্রকাশ করা হয়। তাছাড়া, জাতীয় রাজনীতিতে বৈশ্বিক চাপ ও কূটনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক্বিদিক নিয়ে আলোচনা হয়। দেশীয় অর্থনীতিতে মার্কিন-ইউরোপের আধিপত্যের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এগুলোর সঙ্গে সরকার ও বিরোধীদলগুলোর কীরূপ সম্পর্ক রয়েছে সে বিষয়েও বিস্তারিত মন্তব্য উপস্থাপিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা এবং তত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের সুফল-কুফল নিয়েও পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা উঠে আসে। বৈঠকের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশ আজ রাজনৈতিক সংকটে নিপতিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধীদলের অবস্থান বিপরীত মেরুতে। প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে রাজি নয়। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন। এ দাবিতে বিরোধীদল গত দেড় বছর থেকে। নির্বাচনের পুনঃতফসিল ও প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংলাপের আহ্বান করে অধ্যাপক পাটওয়ারী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলসমূহের অপরিণামদর্শী ও অসহনশীল আচরণ এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের ভিন্ন ভিন্ন তৎপরতা দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ এবং নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার পরিচয় দিয়ে সংলাপের আয়োজন করে এ রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিরোধীদলের উপর দমন পীড়ন বন্ধ করা উচিত। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সংলাপের আহ্বান জানানো যেতে পারে। নির্বাচনের পুনঃতফসিল এ ক্ষেত্রে একটি উপায় হতে পারে।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩
X