পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের ঘর বাতিলের হুমকি
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের বরাদ্দের ঘর বাতিলের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার এক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।  জানা গেছে, সোমবার (১৩ মে) উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রাজষপুর আশ্রয়ণে গিয়ে বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেন চিথলিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন। এ সময় ভূমি কর্মকর্তা ওই আশ্রয়ণের সর্দার মো. শাহাদাতকে মঙ্গলবারের (১৪ মে) মধ্যে বাসিন্দাদের নিয়ে পরশুরাম সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করতে নির্দেশনা দেন। পেনশন স্কিম চালু না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল করবেন বলেও জানান তিনি। একইসময় তার সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদও আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের দ্রুত পেনশন স্কিম চালু করতে বলেন।  রাজষপুর আশ্রয়ণের বাসিন্দা বিজলি আক্তার বলেন, আশ্রয়ণের সর্দার শাহাদাত ও ইউপি সদস্য পেয়ার আহাম্মদ একটি লিফলেট দিয়ে ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের কথা মতো ছবি, এনআইডি আর লিফলেট নিয়ে সোনালী ব্যাংকে গেছি। কিন্তু সঙ্গে ৫০০ টাকা না নেওয়ায় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ফিরিয়ে দিয়েছেন।  এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনো মতে বেঁচে আছি। এসব পেনশন স্কিমের বিষয়ে কিছু জানি না। ভূমি অফিসের একজন স্যার পেনশন স্কিমে নিবন্ধন না করলে আমাদের ঘর বাতিল করে দেবেন বলেছে। এখন কীভাবে কী করব জানি না। পারভীন আক্তার নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ঘরবাড়ি না থাকায় আমরা আশ্রয়ণে থাকি। সেখানের সবারই আর্থিক অবস্থা খারাপ। তারমধ্যে যদি এমন কিছু করে আমাদের আর যাওয়ার জায়গা থাকবে না। গরিব মানুষ কাউকে কিছু বলতেও পারি না। খুব কষ্টে দিন পার করেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য পেয়ার আহম্মদ বলেন, আমি ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে সেখানে গেছি। তাদের পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে চিথলিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে বলেছি। কাউকে জোর করা বা ঘর বাতিলের কথা বলিনি।   পরশুরাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, পেনশন স্কিম নিবন্ধন করতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা নিবন্ধন না করলে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়।  পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ভালো কাজের জন্য মানুষকে বলতে হয়। কিন্তু খারাপ কাজের জন্য বলতে হয় না। পেনশন স্কিম চালু করলে তাদের ভবিষ্যতের জন্যই উপকার হবে। তবে নিবন্ধন না করলে তাদের ঘর বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
১৯ ঘণ্টা আগে

থানচিতে আগুনে পুড়ল কটেজসহ ১১টি ঘর
বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম তিন্দু ইউনিয়নের থুইসাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কটেজসহ ১১টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, রান্নার চুলা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তে পার্শ্ববর্তী বসতবাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে কটেজসহ ১১টি ঘর পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা এসে আগুন নেভায়। আহতদের উদ্ধার করে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের মেডিকেল টিম প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। বি‌জি‌বির জনসং‌যোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে রান্নাঘরের চুলা থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ক্যাম্প থেকে বিজিবির সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভায়। আগুনে কটেজসহ ১১টি ঘর পুড়ে গেছে। বিজিবি সদস্যদের প্রচেষ্টায় অন্য বসতঘর ও বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র রক্ষা পায়। তিনি বলেন, আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষ আহত হয়েছেন। তা‌দের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে দুপুরের খাবারও সরবরাহ করা হয়েছে। তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা কালবেলাকে বলেন, আমার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থুইসা পাড়ায় আগুনে ১১টি বসতঘর পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ টাকার বেশি হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমতো সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
১৭ মে, ২০২৪

গাজীপুরে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে তিনটি কলোনির অর্ধশতাধিক ঘর। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার (১৫ মে) রাত তিনটার দিকে নগরীর ভোগড়ায় পেয়ারাবাগান গরুকাটা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া পেয়ারাবাগান এলাকায় শ্রমিক কলোনিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ভোগড়া গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের ৩টি ও কোনাবাড়ি মডার্ন ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন কাঁচা পাকা টিনশেডের তিনটি কলোনির অর্ধশতাধিক ঘর পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৬ মে, ২০২৪

চলাচলের রাস্তায় ঘর নির্মাণ করলেন আ.লীগ নেতা
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে নিজ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন না করায় প্রতিবেশির চলাচলের রাস্তায় ঘর নির্মাণ করেছেন সেলিম দেওয়ান নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা।  তিনি উপজেলা কুমারভোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদারের সমর্থক। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামের রাসেল হোসেনের পরিবারসহ অন্তত ১০ থেকে ১২টি পরিবারের চলাচলের পথে ঘর নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন এ নেতা। ভুক্তভোগী রাসেল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমার পরিবার ও আমার বাড়ির আশেপাশের বেশকিছু পরিবার বিএম শোয়েবের পক্ষে কাজ করছি। নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। যে যার যার মতো সমর্থন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা সেলিম দেওয়ানের কারণে তা করতে পারছি না। তিনি আমাদের আব্দুর রশিদ শিকদারের পক্ষে কাজ করতে বলে। আমরা তাতে রাজি না হলে বুধবার (৮ মে) রাতে মাটির সড়কটিতে বাঁশ-টিন দিয়ে ঘর নির্মাণ করে। সেই সময় আমরা কয়েকজন বাঁধা দিলে তার লাঠিয়াল বাহিনীর জিয়াউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে উপজেলা সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। পাশাপাশি একই বিষয়ে মারধরের ঘটনায় লৌহজং থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান রাস্তার উপর নির্মিত ঘর ভেঙ্গে দেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান বলেন, কেউ ইচ্ছে করলেই সরকারি রাস্তায় ঘর নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে না। এটি যেহেতু চলাচলের রাস্তা সেহেতু এটি উন্মুক্ত থাকবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি পাই। যাচাই বাছাই করতে এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তিনি সরেজমিনে তার সত্যতা পেয়ে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় নির্মিত ঘর অপসারণ করে দেন। তিনি বলেন, যারা ঘর নির্মাণ করেছে তাদের দাবি এ জায়গা তাদের। আমি তাদের কাগজপত্র নিয়ে ভূমি অফিসে আসতে বলেছি। তা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সেলিম দেওয়ান কুমারভোগ ইউনিয়নের নেতা হলেও বসবাস করেন হলদিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানকান্দি গ্রামে। তিনি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শিকদারের পক্ষে কাজ করছে। তবে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএম শোয়েবের সমর্থক হওয়াতে গত রাতে তার লোকজন আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এর আগেও নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের কারণে তিনি হলদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানকান্দি এলাকার অপর একটি রাস্তার উপরে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করে বেশকিছু পরিবারের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন তা ভেঙ্গে দেয়। তারা আরও বলেন, নির্বাচনে পক্ষ বিপক্ষ থাকবেই। তাই বলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিবে। এ কেমন শত্রুতা। সেলিম দেওয়ানের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম দেওয়ানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
১০ মে, ২০২৪

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সুন্দর মিয়ার ঘর
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর মিয়া (৬৯)। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। কৃষিশ্রমিক একমাত্র ছেলের রোজগারে নাতি-নাতনিসহ ৬ জনের সংসার চলে। নিজেও অসুস্থ। দুবার স্ট্রোক করেছেন। দু'বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান। থাকার ঘরটিও ছিল নড়বড়ে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় কেড়ে নেয় অসহায় সুন্দর মিয়ার ঘরটি।  তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, একমাত্র ছেলের রোজগারে কোনোরকম দু’বেলা-দু’মুঠো খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাছি। থাকার জন্য একমাত্র সম্বল ছিল ওই ঘরটি। তাও কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের বেড়া, টিনের চাল উড়িয়ে নিয়েছে। বর্তমানে আমি অসহায়। এই ঝড়-বৃষ্টির সময়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে সুন্দর মিয়ার পরিবার। এখনো সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা পাননি তিনি।  স্থানীয়রা জানান, খুব কষ্টে দিন কাটছে সুন্দর মিয়ার। এ মুহূর্তে সকলে তার কাছে এগিয়ে আসা উচিত। এদিকে ওই দিনের কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে বনগাঁও গ্রামের ২০-৩০টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
০৫ মে, ২০২৪

উপহারের ঘর ভেঙে নতুন ঘর
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষের সরকারি ঘর ভেঙে নতুন ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ঘরের মালিক আলম গাজী ওই ইউনিয়নের মৃত মিলন গাজীর ছেলে। জানা যায়, তিন বছর আগে মুজিব শতবর্ষের প্রথম ধাপে দেয়া সরকারি একটি ঘর পান আলম গাজী। সেই ঘর ভেঙে নকশা পরিবর্তন করে নতুন করে ঘর নির্মাণ করছেন তিনি। সুবিধাভোগী আলম গাজী বলেন, ‘আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। স্ত্রী নাই। ছেলে কোম্পানিতে চাকরি করে। আর মেয়ে একটি এনজিওতে কাজ করে। সরকার যে ঘর দেছে তাতে আমাদের হয় না। সামনে মাইয়া পোলা বিয়া দিমু। মেহমান আইলে কোথায় বইতে দিমু তাই ঘর ভাইঙ্গা বড় কইরা উঠাইতেছি’।
০৩ মে, ২০২৪

দরিদ্রদের ঘর তৈরিতে ঋণ দেবে আইডিবি
দেশের পল্লি ও শহর এলাকায় বসবাসরত দরিদ্র মানুষের বাড়িঘর নির্মাণে বাংলাদেশকে ঋণ দেবে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)। এজন্য বাংলাদেশ সরকার এবং আইডিবির মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, দরিদ্রদের ঘরবাড়ি তৈরিতে ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইডিবি। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের রিয়াদে আইডিবির বোর্ড অব গভর্নরসের বার্ষিক সভায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও আইডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর মুহতার এসংক্রান্ত চুক্তি সই করেন। এ সময় ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং আইডিবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আল জাসের। প্রকল্পটি বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে।
০১ মে, ২০২৪

এই গরমে এসি ছাড়া ঘর শীতল রাখবেন যেভাবে
আগুনে রৌদ। তীব্র গরম। ওষ্ঠাগত প্রাণ। এর মাঝেও যেতে হচ্ছে বাহিরে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। যাদের ঘরে এসি আছে তারা গরম থেকে কিছুটা রেহাই পেলেও গরমে পুড়ছে অন্যরা।  তবে ভাবনার কিছু নেই এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর। এই গরমে ঘরের তাপমাত্রা কম রাখার জন্য আপনার বাড়িতে লাগাতে পারেন এই গাছগুলো, যা আপনার ঘরকে এসি ছাড়াই শীতল রাখবে। ঘর শীতল করবে যে গাছগুলো- ইংলিশ আইভি : গবেষকদের মতে, এই গাছ মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে। ঘরের শোভা বাড়াতেও কাজ করে এটি। তাই ঘর ঠান্ডা ও দূষণমুক্ত রাখতে ঘরে রাখতে পারেন এই গাছ। স্নেক প্ল্যান্ট : অ্যালো ভেরার মতো এই গাছের পাতাও জলীয় উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই জানলার কাছে রেখে দিলে তা উত্তাপ শোষণ করে নেবে, ঘরের হাওয়াকে করে তুলবে শীতল। এটিতেও অতিরিক্ত জলসেচনের দরকার হয়। এরিকা পাম : বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতেই পারেন এরিকা পাম। এটি তাল গাছের তুতো ভাই। এরিকা পাম এক দিকে ঘর ঠান্ডা রাখে, আবার দেখতেও ভাল লাগে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয় এই গাছ। ঘৃতকুমারী : অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদ। বাড়ির ভিতরের তাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অ্যালভেরার গুণাগুণ বহু। মূলত বাংলার বুকে এই গাছ ঘৃতকুমারী নামে পরিচিত। এই গাছের পাতায় রয়েছে বহু ধরনের প্রতিকার। রবার প্লান্ট : এই গাছের পাতা এমনিতেই বড় হয়। পাশাপাশি যদি সব চেয়ে বড় পাতার শ্রেণি দেখে গাছটি কেনা হয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তা ঘর ঠান্ডা রাখবে। এতে মাঝে মাঝেই একটু পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ঘর শীতল রাখবে যেসব গাছ
গরম পড়লেই ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য আমরা সাধারণত এসির কথা চিন্তা করি। কিন্তু এসি কেনার জন্য প্রয়োজন হয় অনেক অর্থের, যা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। অথচ জানেন কি, উষ্ণ আবহাওয়ায় ঘরের ভেতর কিছু গাছ লাগালেও কমে যেতে পারে ঘরের উষ্ণতা! ঘরের মধ্যে থাকা গাছপালা যে শুধু প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখে তা-ই নয়, এ ধরনের গাছপালা ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করতেও সহায়তা করে। ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, সঠিক গাছপালা প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমাতে পারে। অন্যদিকে নাসার আর্থ সায়েন্স স্টাডি সম্প্রতি দাবি করেছে যে, বেশ কিছু গাছ আবহাওয়া যখন প্রচণ্ড গরম হয়ে যায়, তখন পাতার মাধ্যমে কিছুটা আর্দ্রতা মোচন করে থাকে বাতাসে। এর ফলে এসব গাছ ঘরের ভেতরে রাখলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়, দেখতে দেখতে শীতল হয়ে আসে বাড়ির অভ্যন্তর। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গরমে এসি ছাড়াই কোন গাছগুলো ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে— ফিকাস বেনজামিনা : উইপিং ফিগ বলেও ডাকা হয় এ গাছকে। অর্থাৎ এ গাছ চোখের জল ফেলে। চোখের জল ফেলার এ অনুষঙ্গ বাতাসে আর্দ্রতা মোচনেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই ঘরে রাখলে তাপমাত্রা যেমন শীতল থাকে, তেমনই বাড়তি পাওনা হয় সৌন্দর্য, গৃহশোভা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। বস্টন ফার্ন: শুধু ঘরের তাপমাত্রা কমানোই নয়, একই সঙ্গে ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও এ গাছের জুড়ি মেলা ভার। তবে ফার্ন যেহেতু শীতল পরিবেশের গাছ, তাই এটি রাখতে হবে ছায়ায়, ঘন ঘন পানিও দিতে হবে। অ্যালোভেরা: এই গাছের গুণাবলির কথা নতুন করে খুব একটা বলার নেই। এর পাতার ভেতরে থাকে জলীয় ঔষধি উপাদান, যা ত্বকে লাগালে নিমেষে ক্ষত বা পোড়া জুড়িয়ে যায়। একই সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রা কমাতেও কাজে আসে অ্যালোভেরা। এ গাছেও কিন্তু একটু বেশি পানি দিতে হয়। স্ন্যাক প্লাট: খুব অল্প যত্নেই এ গাছটি বেড়ে ওঠে। মৃদু আলো আর কিছুটা উষ্ণ তাপমাত্রাই যথেষ্ট। বাতাসে ভেসে বেড়ানো বিষাক্ত বস্তুকণা আর কার্বন-ডাইঅক্সাইড দূর করে বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে সহায়তা করে এ ইনডোর প্ল্যান্ট। বাতাসে আর্দ্রতা নিঃসরণ করে অ্যালার্জিবাহী কণাকে হ্রাস করতেও এ গাছ ভূমিকা রাখে। গরমে যারা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন, তারা ঘরের বিভিন্ন জায়গায় স্ন্যাক প্লান্ট লাগাতে পারেন। রাবার প্লাট: ঘরের বাতাসকে ঠান্ডা রাখতে শোবার ঘরের একদিকে রাবার প্লান্ট লাগাতে পারেন। এটি ঘরের কার্বন-ডাইঅক্সাইড শোষণ করতে পারে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। এ গাছেরও খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। সপ্তাহে এক-দুই দিন আলোতে রাখলেই হয়। পানিও দিতে হয় অল্প। গোড়া ভেজা থাকলে পানির প্রয়োজন হয় না। পিস লিলি: নামের সঙ্গে এ গাছের কাজেরও মিল রয়েছে। পিস লিলি ঘর শান্ত ও ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। এর শুভ্র ফুল মন ফুরফুরে রাখে। পিস লিলির বড় সবুজ পাতা বেশি পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত করে। এতে ঘর শীতল থাকে। এ গরমে শোবার ঘর, বসার ঘরে পিস লিলি লাগিয়ে নিন। পথোস: পথোস ও মানিপ্লান্ট ঘরের বাতাস ঠান্ডা রাখতে সর্বোচ্চ কাজ করে। এ গাছগুলো ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। একই সঙ্গে বাতাস বিশুদ্ধ রাখে। বাসার বিভিন্ন জায়গা যেমন শোবার ঘর, বসার ঘর, জানালার গ্রিল, বেসিনের সামনে মানিপ্লান্ট লাগাতে পারেন। জানালার দিকে লাগালে বিশুদ্ধ বাতাস ঘরে ঢুকবে। বাম্বু পাম: এর বড় পাতা খুব সহজেই চারপাশের উষ্ণতা শোষণ করে নেয়। তাই গ্রীষ্মে ঘর হিমশীতল রাখতে কাজে আসতে পারে বাম্বু পাম। শুধু দিনে বেশ কয়েকবার পানি দিতে ভুললে চলবে না! চায়নিজ এভারগ্রিন: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই চিরসবুজ গাছ ঘরে শান্তির আশ্রয় তৈরি করবে। বাতাস পরিশুদ্ধ রাখবে, গ্রীষ্মকে কাছে ঘেঁষতে দেবে না। যত বড় পাতা দেখে কেনা যাবে, উপকারও পাওয়া যাবে তত বেশি। এরিকা পাম: তালিকায় সবার শেষে এর নাম এলেও সারা কিন্তু তার গবেষণায় সবচেয়ে বেশি নম্বর দিয়েছে এরিকা পামকেই! তবে ঘরের ভেতরটা ঠান্ডা রাখতে মাঝেমধ্যে পানি দিতে হবে গাছে আর ছায়ায় রাখতে হবে একে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

গরমে গরিবের এসি যেন মাটির ঘর
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই মাটির ঘর আরামদায়ক বাসস্থান। দেশে চলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ আর গরমে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ। এ তীব্র গরমে মাটির ঘর যেন গরিব মানুষদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তীব্র গরমেও মাটির ঘরের ভেতরে বিরাজ করে ঠান্ডা। তাই গরিব মানুষের জন্য এসব মাটির ঘর যেন এসি। একটা সময় দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামেই মাটির ঘর পাওয়া যেত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা শান্তির নীড় মাটির ঘর। যা এক সময় ছিল গ্রামের মানুষের কাছে মাটির ঘর বা গরিবের এসি বাড়ি নামে পরিচিত।  মাটির ঘরের কদর কমিয়ে দিয়েছে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব মাটির ঘর ঠান্ডা থাকায় এক সময় এটাকে গরিবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরও বলা হতো। এ ঘর গরমের সময় আরামদায়ক। তাই অনেক গ্রামেই বিত্তশালীদের দোতলা মাটির ঘরও ছিল।  এ উপজেলার অনেক গ্রামে এখনো রয়েছে মাটির ঘর। উপজেলার সিদলা, ধূলজুরী, পুমদিসহ কয়েকটি অঞ্চল ঘুরে চোখে পড়েছে কয়েকটি মাটির ঘর। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও কনকনে শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী মাটির ঘর। এসব ঘর শুধু মাটির বাড়িই নয়, ছিল ধান-চাল রাখার জন্য মাটির তৈরি গোলা ঘর ও কুঠি। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় একসময় প্রায় প্রতিটি ঘর ছিল মাটির তৈরি। কিন্তু আধুনিকতার স্পর্শে এখন মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। গ্রামীণ অর্থনীতির গতি সচল হওয়ায় মাটির ঘরের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর। কয়েক বছর পর পর মাটির ঘর সংস্কারের ঝক্কি-ঝামেলা ও ব্যয়বহুল দিক পর্যবেক্ষণ করে মাটির ঘরের পরিবর্তে দালান-কোটা বানাতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন এখানকার মানুষ। উপজেলার ঢেকিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন জানান, মাটির ঘর তৈরি করতে প্রথমে এটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হতো। ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় অথবা টিনের ছাউনি দেওয়া হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের সময় লাগত দেড় থেকে দুই মাস। এক সময় আমাদের এলাকার প্রতিটা ঘর মাটি দিয়ে তৈরি করা হতো। অনেকেই মাটি, বাঁশ, টিন সংগ্রহ করে নিজেরাই মাটির ঘর তৈরি করত। তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির বাড়ি শত বছরেও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কালের বিবর্তনে ইটের দালানকোটা আর বড় বড় অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির বাড়িঘর। মাটির ঘরে দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের শিলিং তৈরি করে তার ওপর খর বা টিনের ছাউনি দেওয়া হতো। মাটির বাড়িঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। মাটির ঘর বড় মাপের হয় না। গৃহিণীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা এঁকে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির বাড়িঘরের ক্ষতি হয় বলে বর্তমান সময়ে দীর্ঘ স্থায়িত্বের কারণে গ্রামের মানুষ ইটের বাড়ি নির্মাণের আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলার ধূলজুরী গ্রামের গৃহিণী জেসমিন বেগমের বাড়িতে মাটির ঘর আছে। তিনি জানান, অর্থ সংকটে আজও তার টিনের ঘর তৈরি করা হয়নি। স্বামীর তৈরি করা মাটির ঘরটিতেই সন্তান স্বামী নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। তাদের পূর্বপুরুষরাও এই মাটির তৈরি বাড়িতেই জীবন কাটিয়ে গেছেন।  হোসেনপুর আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ হোসেন সোহাগ জানান, মাটির বাড়ি বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে আধুনিকতার সময় অধিকাংশ মানুষ মাটির বাড়ি ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে অনেক লোকের নিবাসকল্পে গ্রামের মানুষরা ইটের বাড়িঘর তৈরি করেছেন। অনেকেই শখ করে আবার অনেকেই বাড়ি করার অর্থবিত্ত না থাকায় মাটির বাড়িতেই বসবাস করছেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪
X