মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর মিয়া (৬৯)। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। কৃষিশ্রমিক একমাত্র ছেলের রোজগারে নাতি-নাতনিসহ ৬ জনের সংসার চলে। নিজেও অসুস্থ। দুবার স্ট্রোক করেছেন। দু'বেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান। থাকার ঘরটিও ছিল নড়বড়ে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় কেড়ে নেয় অসহায় সুন্দর মিয়ার ঘরটি।
তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, একমাত্র ছেলের রোজগারে কোনোরকম দু’বেলা-দু’মুঠো খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাছি। থাকার জন্য একমাত্র সম্বল ছিল ওই ঘরটি। তাও কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের বেড়া, টিনের চাল উড়িয়ে নিয়েছে। বর্তমানে আমি অসহায়।
এই ঝড়-বৃষ্টির সময়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে সুন্দর মিয়ার পরিবার। এখনো সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা পাননি তিনি।
স্থানীয়রা জানান, খুব কষ্টে দিন কাটছে সুন্দর মিয়ার। এ মুহূর্তে সকলে তার কাছে এগিয়ে আসা উচিত। এদিকে ওই দিনের কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে বনগাঁও গ্রামের ২০-৩০টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন