চবি আইইআর ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি কাওসার, সম্পাদক মিমি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট ভিত্তিক বিতর্ক সংগঠন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ডিবেটিং ক্লাবের (আইইআরডিসি) কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪ এর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লাবটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী কাওসার আলম এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সায়মা বিনতে ইসলাম মিমি। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ইনস্টিটিউটের কক্ষে সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষিত হয়। সদস্যদের বার্ষিক কাজের প্রতিবেদন এবং সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে কমিটি মনোনয়ন দেওয়া হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি আরিফ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম মহিউদ্দিন।  এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ, সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সুস্মিতা দত্ত, প্রভাষক আব্দুল মান্নান ও তাসনিয়া রুবায়েত। ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মিরাজ ইমরান ও শরীফুল ইসলাম জুনাইদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল বোখারী, তৌহিদুল ইসলাম সাকিব; সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিনা রহমান; বিতর্ক সম্পাদক (বাংলা ও ইংরেজি) এ এম সাইফুল্লাহ ও কেফায়েত উল্লাহ; অর্থ সম্পাদক নাবিল সাদ; লাইব্রেরি ও রিসার্চ সম্পাদক সাকিব হোসেন; অনুষ্ঠান ও গণযোগাযোগ সম্পাদক তানভীর কায়েস; অনলাইন ও ডিজাইন সম্পাদক তানিয়া আক্তার; দপ্তর সম্পাদক মো: আবু নাঈম তুষার; সহ বিতর্ক সম্পাদক মো আবিল ইমাম রাফি; সহ অর্থ সম্পাদক আইয়ুব, সহ অনুষ্ঠান ও গণযোগাযোগ সম্পাদক বৃষ্টি, সহ লাইব্রেরি সম্পাদক সাদিয়া, সহ মিডিয়া সম্পাদক তারেক, সহ অনলাইন সম্পাদক কানিজ ফাতেমা, সহ দপ্তর সম্পাদক মোরসালিন ইসলাম। এছাড়াও সহযোগী সদস্য হিসেবে আছেন বাপ্পি, রাকিব ও সালমা। এছাড়াও ক্লাবটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন।  এ  ছাড়াও আইইআরডিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বন্ধু সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ মে, ২০২৪

বাজার করতে গিয়ে দোকানির হাতে মারধরের শিকার চবি শিক্ষার্থী
বাজার করতে গিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং ফটকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আনাস মাহদী। তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ সেশনের ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২নং ফটকে বাজার করতে যান ওই শিক্ষার্থী। দোকানির সঙ্গে দামাদামির একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর ওপর হাত তোলেন দোকানি। এ সময় পাশ থেকে আরও কয়েকজন গিয়ে মারধর করে ভুক্তভোগীকে। এ ঘটনায় মাথা ফেটে রক্ত বের হয় তার ভুক্তভোগীর।  মারধরের শিকার আনাস মাহদী কালবেলাকে বলেন, প্রতিদিনের মতোই আমি বাজার করতে ২নং ফটকে যাই। এ সময় রহমানিয়া হোটেলের পাশের একটি দোকানে বাজার করতে গেলে দাম বেশি চায় শামসুদ্দিন নামের ওই দোকানি। তখন কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আমাকে ওই দোকানি ও তার কিছু অনুসারী মিলে মারধর করে। এতে আমার মাথা ফেটে রক্ত পড়ে পুরো গেঞ্জি লাল যায়।  আনাস মাহদী আরও বলেন, পরবর্তীতে খোঁজ পেয়ে আমার কিছু বড় ভাই ও প্রক্টর স্যার আসেন। চবি মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাটহাজারী থানায় একটি একটি সাধারণ ডায়েরি করছি। প্রশাসনের কাছে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার বিচার চাচ্ছি।  এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদী হয়ে মামলা করার দাবি জানায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।  এ বিষয়ে চবি মেডিকেলে দায়িত্বরত ডা. আতাউল গনি পারভেজ বলেন, মারধরের ঘটনায় তার (ভুক্তভোগী) মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে অনেক।  তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ২নং ফটকে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক ওই জায়গায় যাই। পরে স্থানীয় দোকানদের সঙ্গে কথা বলে তাকে (ভুক্তভোগী) মেডিকেলে পাঠাই। সে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নেবে।
০৮ মে, ২০২৪

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সম্পাদক ড. আবু নোমান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ নির্বাচন শেষ হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান এবং আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম আবু নোমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটরিয়ামে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে মোট ভোট দিয়েছেন ৮৮২ জন শিক্ষক। ভোট গণনা শেষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক এমদাদুল হক।  ৪৪৮টি ভোট পেয়ে সভাপতি পদে ড. মাহবুবুর রহমান রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া পেয়েছেন ২৮৯টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম আবু নোমান পেয়েছেন ৩৯১টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক পেয়েছেন ৩৪০ ভোট। সহসভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া ৬ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মঞ্জুরুল আলম, ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. রাশেদ-উন-নদী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের এসএম সাদাত আল সাজীব, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ড. একেএম রেজাউর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. এএসএম বোরহান উদ্দীন । এ বছর আওয়ামী ও বামপন্থি শিক্ষকদের হলুদ দলের ২২ জন প্রার্থী বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকের কোনো সদস্য এবারের নির্বাচনে অংশ নেননি। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির গত কার্যনির্বাহী পরিষদে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী সভাপতি ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের আবদুল হক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সোমবার, ১১ পদে ২২ প্রার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৪ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)। নির্বাচনে ১১ পদের বিপরীতে লড়বেন ২২ জন প্রার্থী।  এর আগে গত ২১ এপ্রিল নির্বাচন পদপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২১ মার্চ মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। এবার আওয়ামী ও বামপন্থি শিক্ষকদের হলুদ দল থেকে ১১ পদে পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম অংশগ্রহণ করছেন না নির্বাচনে।  আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ভোট চলবে। একই দিনে ভোট গণনা শেষে ঘোষণা করা হবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম।  চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী ১১ পদের বিপরীতে ২২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, সভাপতি পদে ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। সহসভাপতি পদে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন। কোষাধ্যক্ষ পদে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল। সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক। যুগ্ম সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস লাবলু ও ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া ৬ সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ১২ প্রার্থী। তারা হলেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. অনিমেষ বিশ্বাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন, দর্শন বিভাগের এফ এম, এনায়েত হোসেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের এসএম সাদাত আল সাজীব, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ড. একেএম রেজাউর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের পারভীন সুলতানা, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মঞ্জুরুল আলম, আরবি বিভাগের ড. মুহাম্মাদ নুর হোসাইন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. রাশেদ-উন-নদী ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের সুফিয়া বেগম। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় নিয়োগ ও নির্বাচনের কোনো পরিবেশ না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি বলে জানান সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে নিয়োগ বাণিজ্য ও দলীয়করণ করা হচ্ছে তাতে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।  নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির নিয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক জানান, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকাও ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও সফল একটি নির্বাচন হবে বলে আশাবাদী।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষক নিয়োগে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না : চবি উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আবু তাহের বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। কারণ একজন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি তিনি ভালো শিক্ষক না হন তাহলে ৪০টি বছর জাতির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টায় এক সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক আবু তাহের আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে এবং প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সুচারুরূপে তৈরি করতে হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হালদা ফুটবল টুর্নামেন্টে টিম সাউথ পাহাড়তলী চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এক নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট-ফতেয়াবাদ কলেজ সংলগ্ন মাঠে বিজয়ী দলের সদস্যদের অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। চসিক এক নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী শফিউল আজিমের সভাপতিত্বে উক্ত সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মো. আবু তাহের, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ ইউনুছ গণি চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. শামীম, হাটহাজারী পৌর প্রশাসক আলহাজ মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর আলী আজগর চৌধুরী, অধিনায়ক জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, টিম ম্যানেজার এমএ হোসেন খোকাসহ সংবর্ধিত খেলোয়াড়রা।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও এ এফ রহমান হলের সদ্য নবনিযুক্ত প্রভোস্ট ডক্টর আলী আরশাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব মো. শাহজাহান রশীদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও একজন ক্রীড়ামোদী। তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা খেলাধুলাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি এজন্য যে, তরুণ প্রজন্ম যত বেশি এতে অংশ নেবে ততটাই তাদের মনমানসিকতা আরও ভালো হবে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, চবি ছাত্রলীগের প্রতিবাদ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বনবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এসএম সাকিব হোসাইনের বিরুদ্ধে করা মামলাকে মিথ্যা দাবি করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শাখা ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর করেন চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্মুখ সারির যোদ্ধা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য (১৯৭৭-১৯৮০), বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাচিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিমের পুত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বনবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মেধাবী ছাত্রসংগঠক এসএম সাকিব হোসাইনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা মনে করি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সম্মানিত উপদেষ্টা  এসএম সেলিমকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত সময়ে এই মিথ্যা মামলার তদন্ত সম্পন্ন করার জন্য এবং তদন্তসাপেক্ষে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা বাদীদের আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ জানাই। প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে তছলিমা বেগম নামে এক মহিলা বাদী হয়ে এসএম সাকিব হোসাইন ও এসএম সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিগত ৫ বছরে সাকিব তার (তাছলিমা বেগম) ছেলে ফয়সালের নিকট থেকে এ পর্যন্ত জোরপূর্বক আনুমানিক ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছেন। এক দিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বসতঘর ভাংচুর, হত্যার হুমকি ও সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

দরিদ্রদের মাঝে চবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার সামগ্রী বিতরণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের ৩০ জন দিনমজুর ও দরিদ্র রিকশা চালকের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় উপস্থিত থেকে অসহায়দের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।  চবি উপাচার্য সাংবাদিক সমিতির এ ধরনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার, সহসভাপতি আহমেদ জুনায়েদ, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমুসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
৩১ মার্চ, ২০২৪

চবি উপাচার্য হলেন অধ্যাপক আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে ডেপুটেশনে কর্মরত চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২(২) ধারা অনুযায়ী এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য ড. মো. আবু তাহেরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। যোগদানের তারিখ থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে।    ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসিতে ডেপুটেশনে যোগদানের পূর্বে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লিয়েনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি জীবন বিমা করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালনসহ পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।   ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের পড়ালেখার হাতেখড়ি বাবুনগর প্রাইমারি স্কুলে। অতঃপর তিনি কাঞ্চনা হাইস্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইনহা বিশ্ববিদ্যালয় (দক্ষিণ কোরিয়া) ও টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ে (যুক্তরাষ্ট্র) পড়াশোনা করেছেন। তিনি অনার্স (১৯৮২) ও মাস্টার্স (১৯৮৩) উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। কর্মজীবনের শুরুতে প্রফেসর আবু তাহের ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। পরে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে ওই বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।  দীর্ঘ কমর্জীবনে তিনি সফলতার সঙ্গে অধ্যাপনাসহ গবেষণায় সুখ্যাতি অর্জন করেন। তার রচিত ব্যবসায় প্রশাসনবিষয়ক ১৭টি বই অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত। দেশে-বিদেশে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ১০৭ এর অধিক। এমফিল/পিএইচডি গবেষণা সম্পন্নকারী ২৫ জন গবেষকের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক/কনভেনর/থিসিস এক্সামিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যা আজও অব্যাহত আছে। বর্তমানে প্রফেসর তাহেরের সাইটেশনের সংখ্যা ৩০০’র অধিক। ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ ও ‘শিল্প সম্পর্ক’-বিষয়ক শিক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে তার খ্যাতি আছে। ভিজিটিং প্রফেসর/এডজান্ট প্যাকাল্টি/রিসার্চ ফেলো/অতিথি বক্তা হিসেবে দেশে বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন।  অধ্যাপনা ছাড়াও তিনি বিশ্বব্যাংক, আইএলও, ব্রিটিশ কাউন্সিল, কমনওয়েলথ অব লার্নিং, ইউজিসি, ইউএনডিপি, এটুআই, পরিকল্পনা কমিশন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, এসএসআরসি সংস্থায় কনসালটেন্ট/প্রকল্প পরিচালক/ সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার/ ট্রেইনি ভেরিফায়ার/ গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
১৯ মার্চ, ২০২৪

চবি উপাচার্য হতে যাচ্ছেন অধ্যাপক তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো. আবু তাহের। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ড. তাহের কালবেলাকে বলেন, এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তার আগে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ৪ বছরের জন্য ইউজিসিতে যোগ দেন। এর আগে তিনি চবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ছিলেন। ডেপুটেশনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং লিয়েনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ছিলেন জীবন বীমা করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকও।
১৯ মার্চ, ২০২৪

চবি উপাচার্য হতে যাচ্ছেন অধ্যাপক আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বা মঙ্গলবার যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে ড. মো. আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, এখনও কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। প্রজ্ঞাপন জারির আগে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।  পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ৪ বছরের জন্য ইউজিসিতে যোগদান করেন। এর আগে তিনি চবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক তাহের ডেপুটেশনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং লিয়েনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জীবন বীমা কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক আবু তাহেরের জন্মস্থান চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। সেখানকার বাবুনগর প্রাইমারী স্কুলে প্রাথমিক, কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসির পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আবু তাহের। ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি ওই বিভাগের অধ্যাপক হন। তার রচিত ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ক ১৭টি বই অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত। দেশে বিদেশে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ১০৭ এর বেশি।
১৮ মার্চ, ২০২৪
X