ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চাকরিচ্যুত ৩
রাজধানীর মুগদায় ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চালকসহ তিনজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। চাকরিচ্যুতরা হলেন ট্রাকচালক কামাল, পরিচ্ছন্নতাকর্মী আক্তার হোসেন ও আব্দুল কাদের জিলানী। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহিন আহমেদ। দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, চালক ও হেলপার হিসেবে যাদের গাড়িতে থাকার কথা ছিল তারা সেদিন দায়িত্ব পালন করেননি। সিটি করপোরেশনের আদেশে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রুবেল নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সে সময় গাড়িতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. আক্তার হোসেন ও মো. আব্দুল কাদের জিলানী বাবু অনুপস্থিত থাকায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হলো।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় ছাত্রের মৃত্যু, চালকসহ তিনজন চাকরিচ্যুত
ঢাকার মুগদা পাড়ায় ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চালকসহ তিনজনকে চাকরিচ্যুত করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।  চাকরিচ্যুত তিনজন হলেন- ট্রাকের চালক মো. কামাল এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. আক্তার হোসেন ও মো. আব্দুল কাদের জিলানী।  গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুগদার মদিনাবাগ এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মাহিন আহমেদ। ১৩ বছর বয়সী মাহিন আহমেদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায়। মুগদায় মামা-ভাগ্নে গলিতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত সে। গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী মো. মাসুম আহমেদের তিন সন্তানের মধ্যে মাহিন দ্বিতীয়। চালকসহ তিনজনের কেউই দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন না। চালক অন্য একজনকে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন।  দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, গাড়িচালক ও হেলপার হিসেবে যাদের গাড়িতে থাকার কথা ছিল তারা সেদিন দায়িত্ব পালন করেননি। তাদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে সেদিন দুর্ঘটনা হয়েছে। তাই গাড়িচালকসহ মোট ৩ জনকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের আদেশে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি যিনি চালাচ্ছিলেন তার নাম মো. রুবেল এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকা মেট্রো-শ-১১-৪২৮১ ফুসো গাড়িটির চালক মো. কামাল নিজে না চালিয়ে অন্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেন। ফলে ওই দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি ঘটে। ওই সময় ময়লার গাড়িতে থাকার কথা থাকলেও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. আক্তার হোসেন ও মো. আব্দুল কাদের জিলানীর বাবুর অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হলো। দায়িত্ব পালনে তাদের চরম অবহেলা ও গাফিলতির কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সুনাম ও ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।  দুর্ঘটনার পর মহিনের ভাই মাহফুজ আহমেদ বলেছিলেন, ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় তার ভাই। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে সেখানেই মারা যায় এই কিশোর।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

দারাজের আরও ২৫০ কর্মী চাকরিচ্যুত
আবারও বড় আকারে কর্মী ছাঁটাই করেছে ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ। সূত্র বলছে, প্রায় ২৫০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে চীনভিত্তিক আলীবাবা গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি দারাজের বিরুদ্ধে এসেছে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ। গ্রাহকরা বলছেন, অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও অর্ডারকৃত পণ্যের ডেলিভারি পাচ্ছেন না তারা। প্রতিষ্ঠানটির সূত্রমতে, অন্তত ৪ লাখ অর্ডারের ডেলিভারি দারাজে থমকে আছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করে দারাজ বাংলাদেশ। এক হাজার ৭০০ জনের কর্মীবাহিনী কমিয়ে ৫০০-এর নিচে নামিয়ে আনা হয়। পূর্ণকালীন প্রায় ৯০০ ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী মিলিয়ে সেই ছাঁটাই করা হয়েছিল। এই ছাঁটাইয়ে ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরাও। এমন ঘটনার পর কর্মীদের আবারও দুঃসংবাদ দিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ। এবার পূর্ণকালীন এবং চুক্তিভিত্তিক প্রায় ২৫০ কর্মী চাকরি হারালেন। সূত্র বলছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ জন পূর্ণকালীন কর্মী ছিলেন। আর বাকিরা ছিলেন ডেলিভারি হাব সংশ্লিষ্ট চুক্তিভিত্তিক প্রতিনিধি। পূর্ণকালীন কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন আইটি, প্রশাসন এবং মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠানটির আইটি অপারেশন্স লিড মোহাম্মদ আসিফ ক্যারিয়ার নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কড ইনে এক পোস্টে এ তথ্য জানান। পোস্টে তিনি নিজেও চাকরিচ্যুত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র বলছে, ৪০-এরও বেশি কর্মী ছিল মানবসম্পদ বিভাগে। এখন আছে তিনজন। একদিকে প্রতিষ্ঠানটি থেকে কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে, অন্যদিকে গ্রাহকরা পোহাচ্ছেন ভোগান্তি। অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও অনেকে কাঙ্ক্ষিত পণ্য বুঝে পাচ্ছেন না। এমনকি পণ্যের জন্য পরিশোধিত অর্থও দারাজ ফেরত দিতে চাইছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। ই-কমার্সে কেনাকাটা করা গ্রাহকরা ফেসবুকের বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপে এমন হয়রানিমূলক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন। ‘ই-কমার্স রিভিউজ’ নামক একটি গ্রুপে গত ২২ এপ্রিল গ্রাহক তাহফিম সানি জানান, ১ মাসেও অর্ডারকৃত পণ্য পাচ্ছেন না তিনি। অর্ডার ক্যান্সেল করে টাকা ফেরত চাইলে দারাজ সে বিষয়েও সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ তার। আরেক গ্রাহক সাগর সিকদার জানান, দারাজে সরাসরি অভিযোগ জানানোর পন্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। এখন শুধু অ্যাপে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে সেবা মিলছে। দারাজের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের এমন অসংখ্য অভিযোগে এখন সয়লাব ফেসবুক। গ্রাহকরা যেমন পণ্য পাচ্ছেন না, তেমনি বিপাকে রয়েছেন দারাজে পণ্য বিক্রেতারা। নির্ধারিত সময়ে গ্রাহকের কাছে সরবরাহে ব্যর্থ পণ্যগুলো বিক্রেতারা ফিরে পাচ্ছেন না। গ্রাহক হারিয়ে এবং পণ্য ফেরত না পেয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সম্প্রতি দারাজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন বিক্রেতাদের একটি অংশ। তবে এখন পর্যন্ত আশ্বাস ছাড়া কার্যকর কোনো সমাধান তারা পাননি। সূত্র বলছে, চাকরিচ্যুত ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রাহকের পার্সেল নিয়ে চলে গেছেন। অনুসন্ধান বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ছাঁটাইয়ের পর সীমিত লোকবল নিয়ে ঈদুল ফিতর এবং পহেলা বৈশাখের সময় গ্রাহকদের অর্ডার সামলাতে হিমশিম খেতে হয় দারাজকে। প্রচুর অর্ডার আসার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা এবং ক্যাশ অন ডেলিভারিসহ দারাজে অন্তত ৪ লাখ অর্ডার আটকে আছে গ্রাহকের। এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দারাজ। তবে গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়। এসব বিষয় দ্রুত সমাধান হবে বলেও জানানো হয়।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু / পল্লী বিদ্যুতের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত, চাকরিচ্যুত ১
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) তিনজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় এক কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে পল্লী বিদ্যুতের মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক সোহেল রানা চৌধুরী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল হুদা ও জুড়ী কার্যালয়ের ইনচার্জ রেজাউল করিম তালুকদার। অন্যদিকে শিক্ষানবিশ লাইনম্যান মো. আশিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান বলেন, এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আরইবির পক্ষ থেকে প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কমিটির সদস্যদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।  তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক একরামুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে রহমত আলী নামের এক ব্যক্তির জমিতে টিনের ঘর বানিয়ে বাক্‌প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাঁচ-ছয় বছর ধরে থাকতেন। তার ঘরের ওপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন টানানো ছিল। গত ২৬ মার্চ ভোরে বসতঘরের ওপর ঝড় ও বজ্রপাতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে টিনের পুরো ঘরটি বিদ্যুতায়িত ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী  শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া  (১৫ ), সাবিনা (০৯) এবং একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরের দিন এ ঘটনায় আহত ফয়জুর রহমানের ছোট মেয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার (৮) ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পারিবারিক আদালতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউসুফ উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দত্তখারুয়া গ্রামের ইয়াছিন আলী মৃধার ছেলে ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি চাকরিচ্যুত। তিনি দুই মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া আরও দুটি মামলা চলমান রয়েছে।    রোববার (১০ মার্চ) উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাবেক পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী আদালত কর্তৃক একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ছিল। শনিবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন রিয়ার যৌতুক মামলায় আদালত তাকে সাজা প্রদান করেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ডাকাতির একাধিক মামলা বিচারাধীন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে পুলিশ সদস্য ইউসুফ শাহজাদপুর উপজেলার ফরিদপাঙ্গাসী গ্রামের মৃত হাজি শাহজাহান আলীর মেয়ে নাসিমা খাতুন রিয়াকে (২৫) বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় ইউসুফ এক নার্সের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী রিয়া প্রতিবাদ করলে ইউসুফ তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে মারধর করে রিয়ার সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত করেন। এক দিন তাকে সজ্ঞাহীন করে ফেলে রাখেন ইউসুফ। মুমূর্ষু অবস্থায় রিয়াকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সব ঘটনা নিয়ে রিয়া আদালতে ইউসুফের বিরুদ্ধে যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ দুটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ডাকাতি করার অভিযোগে অপর মামলাটি দায়ের হয় ইউসুফের বিরুদ্ধে।
১০ মার্চ, ২০২৪

চাকরিচ্যুত হয়েও অফিস করছেন বুয়েট কর্মকর্তা
আর্থিক অনিয়মসহ দুর্নীতির নানা অভিযোগে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুজন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। একজনকে চাকরিচ্যুত এবং অন্যজনের পাঁচ বছরের জন্য পদোন্নতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বিষয়টি জানিয়ে দুই কর্মকর্তাকেই চিঠি দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। চাকরিচ্যুতর নোটিশের পরও একজন কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুয়েটের দুটি হলের ইলেকট্রিক মেইনটেন্যান্স কাজে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থবিরোধী অবস্থান গ্রহণ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি আড়াল করার চেষ্টা, শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ উঠে প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মুহাম্মদ আল-আমিনের বিরুদ্ধে। তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মেলায় তাকে বুয়েটের আর্থিক ক্ষতির ৭০ শতাংশ জরিমানা ও চাকরিচ্যুতের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৫৪০তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আল-আমিনকে একটি চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই দিন স্বাক্ষরিত আরও একটি নোটিশে প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের আরেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাম এস্টিমেটর মো. হামিদুল ইসলামকে বুয়েটের আর্থিক ক্ষতির ২০ শতাংশ জরিমানাসহ পাঁচ বছরের জন্য পদোন্নতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে চাকরিচ্যুত আল-আমিনকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাবসহ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে চিঠির জবাব না দিলে এবং জবাব সন্তোষজনক না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার চাকরিচ্যুতর সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়। গত ৩০ জানুয়ারি সাত দিন সময় শেষ হয়েছে। যদিও এই সময়ের মধ্যে একটি লিখিত জবাব দিয়েছেন আল-আমিন, তবে সেই জবাব সন্তোষজনক হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি বুয়েট প্রশাসন। জানতে চাইলে মোহাম্মদ আল-আমিন কালবেলাকে বলেন, ‘আমি নিয়মিত অফিস করছি। আমি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা। আমার জবাব লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেই, তাহলে আপনারা এটা নিয়ে পড়ে আছেন কেন? দেশে তো আরও অনেক কিছু আছে, ওগুলো নিয়ে রিপোর্ট করেন। এটা নিয়ে রিপোর্ট করার কী হলো। একজন শাস্তি পাওয়ার পরও তাকে নিয়ে রিপোর্ট করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা কি সাংবাদিকতার ইথিকস?’ তদন্তে আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’ আল-আমিনের চাকরিচ্যুতর বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘কিছু বলা যাবে না। বলা ঠিক হবে না।’ গত ২৩ জানুয়ারির নোটিশে বলা হয়েছিল, সাত দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আল-আমিনের চাকরি চলে যাবে। তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বিষয়টি প্রসেসিংয়ে আছে। আমাদের সিন্ডিকেট সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’ আল-আমিন যে জবাব দিয়েছেন সেটি সন্তোষজনক কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটি বলা যাবে না।’
০২ মার্চ, ২০২৪

অবশেষে চাকরিচ্যুত জাবির শিক্ষক জনি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে ‘নৈতিক অসচ্চরিত্র’র অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সচিব আবু হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন বিবেচনা করে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৪ (জ) ধারা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর মাহমুদুর রহমান জনি এবং একই বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রভাষক আনিকা বুশরা বৈচির একটি অন্তরঙ্গ ছবি (সেলফি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হয়। একইসঙ্গে বিভাগের শিক্ষক পদে আবেদনকারী আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ কথাবার্তার অডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর জন্য বলেন ওই শিক্ষক। এ ছাড়া, জনির সঙ্গে ছাত্রলীগের একাধিক নেত্রীর ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপন এবং ‘অশালীন’ চ্যাটিংয়ের ছবি ও তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনির বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফিলিস্তিনের পক্ষে পোস্ট দেওয়ায় চাকরিচ্যুত অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের পক্ষে পোস্ট দেওয়ায় এক অস্ট্রেলীয় নারী সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। চাকরিচ্যুত ওই সাংবাকিদের নাম এন্টোইনেট লাট্টুফ। তিনি এবিসির সিডনি রেডিওতে সাংবাদিক ও সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। বিবিসির প্রতিবেন অনুযায়ী, গত ১৯ ডিসেম্বর মার্কিন মানবিধাকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদন নিজের ওয়ালে শেয়ার করেন সাংবাদিক লাট্টুফ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদও প্রচার করেছে এবিসি। সামাজিক মাধ্যমে এমন পোস্ট দেওয়ার জেরে ইসরায়েলপন্থি কয়েকটি গোষ্ঠীর চাপের মুখে পরের দিন লাট্টুফকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয় এবিসি কর্তৃপক্ষ। লাট্টুফ বলেন, এবিসির আরও অনেকে এ পোস্ট শেয়ার করেছেন। এমনকি তাদের অনেকে অতীতে আমার চেয়ে আরও উসকানিমূলক কথা বলেছেন। তবে তারা চাকরিতে বহাল আছেন। তারা চাকরি করছেন। তাদের সঙ্গে আমার পার্থক্য হলো তারা শ্বেতাঙ্গ। আর আমি আরব বংশোদ্ভূত। লাট্টুফ লেবানন বংশোদ্ভূত একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ইতিহাসে প্রথম আরব-অস্ট্রেলীয় নারী সাংবাদিক। তবে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিসি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন শেয়ার করে লাট্টুফ তাদের প্রতিষ্ঠানের সামাজিক মাধ্যম নীতির লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

তিন মাস হওয়ার আগেই চাকরিচ্যুত হলেন রুনি
ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম বড় কিংবদন্তি হিসেবে ধরা হয় ম্যানচেস্টার ‍ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনিকে। ক্লাব ফুটবলে ইউনাইটেডের হয়ে সব ট্রফি জেতা সাবেক এই খেলোয়াড় কোচ হিসেবে এখনও তেমন সাফল্যের দেখা পাননি। ইংলিশ দ্বিতীয় বিভাগের দল বার্মিংহ্যাম সিটির দায়িত্ব নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডে ফিরেছিলেন তিনি তবে তিন মাস পার হওয়ার আগেই ছাঁটাই হলেন তিনি। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে রুনির ছাঁটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্মিংহ্যাম। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কয়েক দিন দিন ধরে রুনির ছাঁটাই হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটিই আজ সত্য হলো। রুনির ছাঁটাইয়ের ঘোষণায় বার্মিংহ্যামের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বার্মিংহ্যাম সিটি আজ কোচ ওয়েইন রুনি ও কার্ল রবিনসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও প্রত্যাশামতো ফল আসছিল না। যে কারণে বোর্ড ক্লাবের ভালোর জন্য এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’ ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে বার্মিংহ্যাম। ২৪ দল খেলে চ্যাম্পিয়নশিপ। বার্মিংহ্যাম ২৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ৭ জয়ে ২৮ পয়েন্টে আছে ২০ নম্বরে। অথচ রুনির দায়িত্ব নেওয়ার আগে তাদের অবস্থান ছিল পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে। রুনির অধীনে বার্মিংহ্যাম ১৫ ম্যাচে খেলে জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে, হেরেছে ৯টি। নতুন বছর শুরুর দিনেও বার্মিংহ্যাম হেরেছে লিডসের কাছে। এরপরই রুনিকে বরখাস্ত করে বার্মিংহ্যাম।   ছাঁটাই হওয়ার পর বিবৃতি দিয়েছেন রুনি নিজেও, ‘আমি টম ওয়েঙ্গার, টম বার্ডি এবং গ্যারি কুককে (ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তা) বার্মিংহামের কোচ হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। ক্লাবে স্বল্প সময়ে দায়িত্ব পালনকালে তারা আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন।’ এর আগে রুনি ইংলিশ ক্লাব ডার্বি কাউন্টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএসের ডিসি ইউনাইটেডের দায়িত্ব পালন করেছেন।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

চাকরিচ্যুত ব্যাংকারদের চিঠি গভর্নরকে
করোনাকালে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শত শত ব্যাংকার। উপায়ান্তর না দেখে চাকরি ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন তারা। হাইকোর্ট সম্প্রতি তাদের চাকরি ফিরে পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আবেদন পুনর্বিবেচনা করে তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চাকরিতে পুনর্বহালে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনাও দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনার পর গতকাল মঙ্গলবার চাকরি ফিরে পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন চাকরিচ্যুত ব্যাংকাররা। গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগ করার পর ব্যাংক খাতের অভিভাবক হিসেবে তাদের দায়িত্বে ফিরিয়ে এনে আপনি অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছেন, যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু করোনাকালে চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং ছাঁটাই করা বহুসংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন দ্বারে দ্বারে ঘুরে, রাজপথে মানববন্ধন করেও চাকরি ফিরে পাইনি। আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তবে হাইকোর্টের নির্দেশনার পর আশান্বিত হয়েছি, আপনার আন্তরিক উদ্যোগে এবার আমরা চাকরিতে পুনর্বহাল হতে পারব। এর মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরির নিরাপত্তা বিধানসহ ব্যাংক খাত শক্তিশালীকরণে আপনার বলিষ্ঠ ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বিষয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘অনিয়মের জন্য বর্তমানে ব্যাংক খাত প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম হচ্ছে। এর প্রধান কারণ ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তা না থাকা। অনিয়মকারীরা ব্যাংকারদের চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করিয়ে নিচ্ছে।’ তিনি ব্যাংকারদের চাকরির নিশ্চয়তার দাবি জানান।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X