মেসিদের চীন সফর বাতিল
সম্প্রতি রেকর্ড অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন লিওনেল মেসি। চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক সফরের অংশ হিসেবে চীনে আসার কথা ছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার ইন্টার মায়ামির। কিন্তু দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের মৃত্যুতে সফরটি বাতিল হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) ইন্টার মায়ামি বিবৃতিতে, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির’ কারণে চীন সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সফরের আয়োজক এনএসএন জানিয়েছে যে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং-এর মৃত্যুতে সম্মান জানানোর জন্য সফরটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত জুলাই মাসে ফ্রান্সের পিএসজি থেকে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর এটিই ছিল মায়ামির হয়ে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর। চাইনিজ সুপার লিগের দল কিংডাও হাইনিউ এফসির বিপক্ষে ৫ নভেম্বর এবং চেংডু রংচেং এর সঙ্গে ৮ নভেম্বর খেলার কথা ছিল মায়ামির। প্রায় ১ লাখ দর্শকের উপস্থিতি হওয়ার কথা ছিল ম্যাচ দুটিতে। মেজর লিগ সকারের (এমএসএল) পরের মৌসুম শুরুর আগ পর্যন্ত আপাতত আর কোনো খেলা নেই মেসির মায়ামির।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ মন্ত্রীর প্রথম চীন সফর
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ মন্ত্রী। চীনের কৌশল নিয়ে এমপিদের সমালোচনা উপেক্ষা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এবার দেশটিতে সফর করবেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে শীর্ষ মন্ত্রী হিসেবে ক্লেভারলি চীন সফর করেছিলেন। এর পাঁচ বছর পর তিনি আবার দেশটিতে সফর করবেন। তিনি বলেন, এমপিদের বিরোধ সত্ত্বেও বৈশ্বিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।  দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির এমপিরা তার এ সফরকে চীনের কৌশলের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন। সিনিয়র কনজারভেটিভ স্যার লাইন ডাঙ্কান স্মিথ এ সফর চীনকে তুষ্টিকরণ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এরমানে আমরা কেবল ব্যবসা বাড়াতে চায়। চীনকে কোনোভাবেই ব্যথিত করতে চায় না।  সফরে ক্লেভারলির সাথে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হান জেংয়ের সাথে বৈঠক করবেন। এ সময় তিনি জিনজিয়াং ও তিব্বতে মানবাধিকার, হংকংয়ের প্রতি আচরণ ও যুক্তরাজ্যের এমপিদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে। সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেভারলি বলেন, জলাবায়ু পরিবর্তন থেকে মহামারি, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে পরামাণু শক্তিবৃদ্ধি সকল সমস্যাই চীনকে ছাড়াই সমাধান করা সম্ভব। এতে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা নেই। যদিও চীনের আকার ইতিহাস ও বৈশ্বিক গুরুত্বের কারণে তাদের উপেক্ষার করার সুযোগ নেই। তবে এজন্য অবশ্যই তাদের বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্বতার সাথে আসতে হবে। আর এ দায়িত্ব বলতে আন্তর্জাতিক দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা পূর্ণ করা।  চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, সফরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক কমন উদ্বেগ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে। আমার আশা করি ব্রিটিশরা আমাদের পারস্পারিক সম্পর্ক ও চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা রাখবে, পারস্পারিক আদান-প্রদান আরো গভীর হবে এবং দুদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।  পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির উদ্বেগের পর দেশটিতে সফর করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেভারলি। যুক্তরাজ্যের ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে চীনের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। তারা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকাণ্ডকে যুক্তরাজ্য ও তাদের স্বার্থের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  কমিটি চীনের সরকারের পাবলিক প্রাইভেট সেক্টরের গাইডলাইনে সমন্বয়ে দুর্বলতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। এ বিষয়ে কমিটি চীনের এ কৌশলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রীদের ব্যাখ্যা চেয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করারও দাবি জানিয়েছে।  উল্লেখ্য, দুই দেশের পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে বুধবার (৩০ আগস্ট) চীন সফর করবেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।   
৩০ আগস্ট, ২০২৩
X