ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থীদের নেতৃস্থানীয় পর্যায় তুলে ধরছে ছাত্র ইউনিয়ন
ট্রান্সজেন্ডারসহ সব শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অধিকার, শিক্ষা অধিকার এবং সামাজিক নিরাপত্তার বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সে লক্ষ্যে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস গড়েছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পর পর দুজন ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থীকে তুলে ধরলেন জেলার শীর্ষ নেতৃত্বে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসা ট্রান্সজেন্ডার নারী রাজবাড়ী জেলার সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী শিশির বিন্দু। তিনি রাজবাড়ী জেলা ছাত্র ইউনিয়নে সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। শিশির বিন্দু বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জাতীয় পরিষদের সদস্য। গত বছর ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাজবাড়ী জেলার ১২তম সম্মেলনের মধ্যদিয়ে তিনি শীর্ষ নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বে নির্বাচিত হয়ে নতুন এক ইতিহাস গড়েন। এর পর বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪১তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জাতীয় পরিষদের সদস্য হোন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলার সহকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার জারা ইসলাম। মৌলভীবাজার ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম ও জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় ট্রান্সজেন্ডার ছাত্রনেতা তিনি। যারা শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১০ মে) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা সংসদের ২৯তম কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা কমিটির গঠন হয়। এ সময় প্রধান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার উপস্থিতিতে কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে প্রশান্ত কৈরীকে সভাপতি এবং প্রিন্স রায় পিয়াসকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা সংসদের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সহকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জারা ইসলাম। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র ইউনিয়ন সময়ের প্রগতিশীল ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত। সংগঠনটির বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে জন্মলগ্ন থেকে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ঊনসত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ স্থানে অংশগ্রহণ করে নেতৃত্ব দেয় সংগঠনটি। সাম্প্রতিককালে নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন-নির্যাতন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও আদিবাসীদের অধিকার এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট ট্যাক্সবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখে। দেশের সব মানুষের শিক্ষাগ্রহণের সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলন করে যাচ্ছে সংগঠনটি। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বলা হয় প্রগতির ভ্যানগার্ড তারা ইতিহাসে সময়ের সবচেয়ে সূক্ষ্ম ও আধুনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যায়। তা ছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একবছর আগে থেকেই তারা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এর পর ’৭৫-এর কালো রাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রথম প্রতিবাদ মিছিল করেছিল ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। সাম্প্রতিক সময় ৪০তম জাতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দীপক শীল বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে ছাত্র ইউনিয়ন বাঙালির ছাত্রদের প্রগতির পক্ষের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্র রাজনীতিতে আসা নতুন প্রগতিশীল-মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। সাম্প্রতিক সময় ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটসহ সারা দেশে ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থীদের ছাত্র ইউনিয়নের পতাকা তলে আসার প্রবণতা বাড়ছে। দীপক শীল বলেন, শিশির বিন্দু নিজেকে সমাজের অন্যান্য জায়গা থেকে বেশি নিরাপদ ও প্রশান্তির জায়গা মনে করেন ছাত্র ইউনিয়নকে। আমরা সারা দেশের শিক্ষার্থীদের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করছি। সেখানে শিক্ষার্থীর জাতিপরিচয়, ধর্মীয় পরিচয় বা লিঙ্গ পরিচয় মুখ্য নয়। সেখানে সব শিক্ষার্থীদের অধিকার বাস্তবায়নে আমরা লড়াই করছি। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি একদিন বাংলাদেশের সমাজে ট্রান্সডেন্টার মানুষদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে। আমরা বাংলাদেশের সব মানুষের সামাজিক -রাজনৈতিক ও শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন চাই। তাই শুধু ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী বা আদিবাসী শিক্ষার্থীরাই না, সুবিধাবঞ্চিত চা বাগান শ্রমিকের সন্তান, হরিজন সম্প্রদায়ের সন্তান, কৃষক ও গার্মেটন্স কর্মীদের সন্তানরা শিক্ষার দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের পতাকার নিচে আসছে প্রতিনিয়ত।
১৫ মে, ২০২৪

ঢাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র কল্যাণ সংগঠনের কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ- ‘তিতাস’-এর নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান। সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম রিয়াদ। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। নতুন কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসানের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিয়াদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটির এক সভা শেষে সভাপতি নুর আল-আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মুরাদ হায়দার টিপু, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সী, আরিফুল ইসলাম আরিফ, জহিরুল ইসলাম শিশির, নাজমুল হাসান রনি, আমান উল্লাহ আমান, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. লুৎফর রহমান, জাকারিয়া খান শাকিল, মাহমুদুল হাসান পলাশ, তারিকুল ইসলাম রাজিব, ইমরান হাসান, ইসরাত জাহান নূর ইভা, সাকিব আল হাসান, ইরফান খন্দকার সোহেল, ফাল্গনী দাস তন্নী, কে এম শরিফুল আলম প্রমুখ। সংগঠনের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শতভাগ নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।’ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিয়াদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষার্থীদের ভালোবাসার এই সংগঠন। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করব, সাবেকদের পরামর্শ এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা করার।’
১০ মে, ২০২৪

মধ্যরাতে ছাত্র হলে গিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ছাত্রলীগ নেত্রী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী মধ্যরাতে ছাত্র হলের গেস্ট রুমে গিয়ে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রীর নাম সাবিহা সায়মন পুষ্প। তিনি শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। জানা যায়, বুধবার (৮ মে) শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের জন্মদিন ছিল। জন্মদিন উপলক্ষে রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেত্রী সাবিহা সায়মন পুষ্প ছাত্রদের আবাসিক হল শাহ পরাণের সামনে যান। পরে সেখান থেকে অন্যান্য নেতাকর্মীর সঙ্গে শাহ পরাণ হলের ভেতরে গেস্ট রুমে গিয়ে কেক কেটে সাধারণ সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান তিনি। শুভেচ্ছা জানানো শেষে সেখান থেকে তিনি ছাত্রী হলে ফিরে যান। ছাত্র হলে প্রবেশ করতে পারেন কি না এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেত্রী সাবিহা সায়মন পুষ্প জানান, তিনি অপরিচিত কাউকে তার কোনো পারসোনাল তথ্য দিবেন না। মধ্যরাতে ছাত্র হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর প্রবেশ নিয়ে শাহ পরাণ হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক কৌশিক সাহা বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত হয়েছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ছাত্র হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর প্রবেশ নিয়ে শাবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ছাত্র হলে প্রবেশের বিষয়টা আমি বেশ পরে জেনেছি। এ বিষয়ে দুই হলের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হলেও তিনি প্রভোস্টের সহযোগিতায় এখনো হলে থাকেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
০৯ মে, ২০২৪

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে নীলফামারীতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ
ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর চলমান হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে নীলফামারীতে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে সোমবার (৬ মে) দুপুরে নীলফামারী সরকারি কলেজ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়।  ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ্ আপেলর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি জয়দেব রায়, সাধারণ সম্পাদক মাসদ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসমিউল আযম, দপ্তর সম্পাদক সংগীত দ্বীপংকর, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হাসিব আহমেদ আকাশ, শাকিল হোসেন, আতিক হোসেন, হোস্টেল শাখা সভাপতি এমদাদুল হক প্রমুখ। ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান ইসরায়েলের হামলা, নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা দাবি করেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে তাদের ওপর সব হামলা, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের চৌরঙ্গী মোড়স্থ জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
০৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনের পক্ষে ঢাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশ আয়োজন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সংবলিত ব্যানার দেখা যায়। এ ছাড়াও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশ নেয় নেতাকর্মীরা। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড; স্বৈরাচার নিপকত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জয় জয় ফিলিস্তিন; ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভেতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত বেরিকেট, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়াব। ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবর্জিত নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি আগ্রাসনের জন্য যারা অস্ত্র এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে, ইতিহাসের কি অমোঘ পরিণতি, সেখান থেকেই এই দুর্বার প্রতিবাদের জয়ধ্বনি শুরু হয়েছে। যারা জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভ্যাটো দিয়েছে, সেই দেশের তারুণ্য আজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে 'হ্যাঁ' বলেছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যতবার 'নো' বলেছে, তার চেয়ে বহুগুণ জোর দিয়ে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 'ইয়েস' বলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে যারা কথা বলেছে এবং ইসরায়েল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, পুলিশি হামলার শিকার হয়েও যারা কণ্ঠস্বরকে উচ্চ করেছে তাদের প্রতি ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আমরা সংহতি জানাই, অভিনন্দন জানাই। কারণ, দশকের পর দশক ধরে গাজাকে যুদ্ধ নগরীতে পরিণত করে পুরো ফিলিস্তিনকেই ক্রমান্বয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যেখানে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন চলছে, সেখানে আড়াই হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্দোলন করার কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিষ্কারাদেশ জারি করা হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশি নাগরিক মাইমুনা ইসলাম নোহা স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বহিষ্কারাদেশের আওতায় নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর জন্য তার শিক্ষক সামনে এগিয়ে গেলে তার পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের প্রতি ধিক্কার জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে যারা নির্মম নির্যাতন ও নিষ্পেষণ পরিচালনা করে তাদের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এ সময় সাদ্দাম হোসেন ইংরেজিতে একটি শান্তি স্মারক পড়ে শোনান। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর সৈকত এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
০৬ মে, ২০২৪

মাদ্রাসার দুই ছাত্র বলাৎকার, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
তৃতীয় শ্রেণিপড়ুয়া দুই শিশুশিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজনগর মুহাম্মদিয়া জামিয়া শরিফ নামের এক মাদ্রাসার। যা ঢাকার রাজারবাগ দরবার শরিফ হতে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। শুক্রবার (৩ মে) অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। পরে শনিবার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ফারুক (৭০)। তিনি এই মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ে শিশুদের পড়ান কয়েক বছর হলো। এর আগে তিনি পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে জানায় এলাকাবাসী। এ ছাড়াও তিনি গুলশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শিশুদের অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক ফারুক আহমেদ বাগান থেকে বাঁশ আনবে বলে গত বুধবার শিশুশিক্ষার্থী আমার ভাগিনাকে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। বাগানের টং ঘরে শিশুটিকে বলাৎকার করে এবং কাউকে বলতে নিষেধ করে। এ সময় সে চকলেট খেতে ৫০ টাকা দেয়। এরপর গতকাল শুক্রবার আমার শিশুপুত্রকেও বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাঁশ বাগানের একই স্থানে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে। শিশুটি বাড়িতে ফিরে অসুস্থ বোধ করলে পুরো ঘটনা জানতে পারি আমরা। এরপর আমরা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। এরপর শনিবার সকালে আমরা থানায় মামলা করি। আমরা এই ভণ্ড শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও একই মাদ্রাসার অন্য কয়েকজন ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠলে এলাকার মানুষজন তা স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দেন।  বিষয়টি নিয়ে কথা হলে মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা হাফিজ বলেন, গতকাল শুক্রবার আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। ফারুক স্যার আমাকে কল দিয়েছিল, তিনি বাগান থেকে কিছু বাঁশ আনবে। সেই সুবাদে মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে লোকমুখে শুনি তিনি সেই ছাত্রদের বলাৎকার করেছেন। যদি এর সত্যতা পাই তাহলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, শিশুদের পরিবার আমার কাছে আসলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসি। দুই পক্ষের কথা শুনে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে সহযোগিতা করি। গুলশাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওলি উল্লাহ জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে অভিযুক্ত ফারুক আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরে তাকে লংগদু থানায় হস্তান্তর করি। লংগদু থানার ওসি হারুনুর রশিদ জানান, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৪ মে, ২০২৪

ছাত্র না হয়েও ছাত্রলীগ নেতা থাকেন ঢাবির হলে, করেন ইন্টারনেট ব্যবসাও
ছাত্র না হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলে দীর্ঘদিন ধরে থাকার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সিফাতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে শুধু হলে থাকাই নয়, বরং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক এ শিক্ষার্থী হলটিতে করেন ইন্টারনেট ব্যবসাও। জানা গেছে, সাব্বির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের আশ্রয়ে হলটিতে থাকেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাব্বির সূর্যসেন হলের ৩৪৩ নম্বর কক্ষে থাকেন। হলটির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুদিন আগে ‘গ্রিন অনলাইন জোন’ নামক এক কোম্পানি থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নেন তিনি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। পরে জানা যায়, কোনো কোম্পানির থেকে নয়, বরং তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে এ কানেকশন নিয়েছেন তারা। তাদের দুইজনের সহায়তায়ই তৃতীয় পক্ষের রবিন ও নাভিদ সাচ্চু নামে দুই ব্যক্তি বিলের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় গত মাসের বিল পরিশোধ না করায় প্রায় এক মাস ধরে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে হলটিতে। এ প্রসঙ্গে ঢাবির এক শিক্ষার্থী বলেন, সাব্বির ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের শেল্টারে দীর্ঘদিন ধরে দোর্দণ্ডপ্রতাপে থাকছেন সূর্যসেন হলে। শুধু তাই নয়, হলের ইন্টারনেটের ঠিকাদারিও তার হাতে। এ পর্যন্ত সবকিছু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু গত একমাস ধরে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নিয়েও হলে ইন্টারনেট কানেকশন দিচ্ছেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চলমান। এদিকে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। হল প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরাও আবার অসহায়। তাদের আছে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়। ছাত্রলীগের হাত থেকে হলকে উদ্ধার করবে কে? জানতে চাইলে সাব্বির আহমেদ সিফাত অভিযোগ অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, আমি সূর্যসেন হলে থাকিনা। ঢাকায় আমার বাসা আছে। আব্বু-আম্মু আছেন, আমি তাদের সঙ্গে থাকি। আর আমি ইন্টারনেটের ব্যবসাও করিনা। সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নকে বারবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
০৩ মে, ২০২৪

গাজীপুরে ছাত্র ও পরিবহন শ্রমিকের মারামারি, বাস চলাচল বন্ধ
গাজীপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র ও শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে গাজীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অন্যান্য রোডের বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরী জানান, গত রাত একটার দিকে ডুয়েটের তিনজন শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলে শিববাড়ি মোড় থেকে ডুয়েট যাওয়ার সময়ে বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে প্রায় ধাক্কা লাগিয়ে দেয়। এতে ওই শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে  শ্রমিকদের ওপর চড়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ডুয়েট শিক্ষার্থীরা এসে বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কয়েকটি বাসের জানালা-কাচ ভাঙচুর করে এবং শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এই ঘটনার জেরে সকাল থেকে গাজীপুর বাস স্ট্যান্ডের শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে বাস চলাচল বন্ধ রাখে। তবে অন্যান্য সকল পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি সুরাহা করে বাস চালানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
০৩ মে, ২০২৪

শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান
মহান মে দিবসে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের। বুধবার (১ মে) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীল এবং সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।  বিবৃতিতে মে দিবসের বিপ্লবী প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতারা। তারা বলেন, মহান মে দিবসে নতুন করে শপথ নিয়ে শ্রমজীবী মানুষকে সব ধরনের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। শ্রমিকশ্রেণির রক্তস্নাত লাল পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সকল দাবি দাওয়া আদায় করে নিতে হবে। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই শ্রমিকশ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে তার কোনো বিচার এখন পর্যন্ত জনগণ পায় নাই।  নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন তার ইতিহাস অর্পিত দায় থেকে সর্বদায় শ্রমিকশ্রেণির মানুষের পাশে রয়েছে। শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষক, শ্রমিক, জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলায়ে ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিটি নেতাকর্মী লড়াই করবে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্য সাধনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে। নেতারা অবিলম্বে শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। বন্ধ করে দেওয়া কল-কারখানা চালু, ন্যূনতম শ্রমসময় ৮ ঘণ্টা নির্ধারণ, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকাসহ সব সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত, আইএলও কনভেশন অনু্যায়ী শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিকদের অকারণ হয়রানি এবং ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ সঠিক সময়ে চলতি মাসের বেতন এবং উৎসব বোনাস প্রদান, সব ধরনের শ্রমিক হত্যার বিচার দাবি করেন নেতারা।   উল্লেখ্য, আজ মহান দিবসের ১৩৮তম বার্ষিকী। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের সামনে জমায়েত হওয়া শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনায় শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে এ দিবস পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আট ঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়।
০১ মে, ২০২৪
X