আজ সাংবাদিক গৌতম দাসের ৫২তম জন্মবার্ষিকী
মফস্বল সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র গৌতম দাসের ৫২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চন্দ্রীদাসদী গ্রামে ১৯৭২ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিক গৌতম দাস সারা দেশ ও সংবাদমাধ্যমকে আলোকিত করতে জীবন দিয়েছেন, কর্মের প্রতি তার এই বস্তুনিষ্ঠতা আর গণমাধ্যমের নৈতিক শক্তির সক্ষমতা নিজের জীবনের বিনিময়ে প্রমাণ করে গেছেন। ফরিদপুর জেলায় গণমাধ্যমের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার যোদ্ধা সাংবাদিক গৌতম দাস। স্কুলে পড়া অবস্থায় ছাত্রদের বেতন ও পরীক্ষার ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোচ্চার হন তিনি।  তিনি ভাঙ্গা কাজী মাহবুল্লাহ কলেজ শাখার ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি থাকা অবস্থায় সাপ্তাহিক একতা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর স্থানীয় অনেকগুলো পত্রিকা ও জাতীয় পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তিনি প্রথম আলো ও সমকাল পত্রিকায় ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার সাংবাদিকতা ছিল মফস্বল সাংবাদিকদের জন্য আদর্শ। অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখে ফরিদপুর জেলায় সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠেন গৌতম দাস। সাংবাদিকদের অন্যতম একজন আদর্শবান ব্যক্তিত্ব, সমাজের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরা এবং মানুষের সেবায় ব্রত ছিলেন। সমকাল পত্রিকায় কাজ করা অবস্থায় ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরের নিলটুলী মুজিব সড়কে সরণি মার্কেটে দৈনিক সমকাল ব্যুরো অফিসে গৌতম দাসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা।  ফরিদপুর শহরের প্রধান সড়ক মুজিব সড়কের সংস্কার কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট ঠিকাদার গোষ্ঠী।  ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর সকালে ঠিকাদার আসিফ ইমরান ও ৯ সহযোগী মিলে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ের কাছে সরণি সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় সমকাল অফিসে ঢুকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। ওই দিন সকাল ১১টার দিকে তার সহকর্মীরা সরণি সুপার মার্কেটের নিচে, যেখান থেকে সাংবাদিকরা নিউজ ফ্যাক্স করতেন, সেই দোকানে সমবেত হন। সেখানে গৌতমকে না দেখে তার মোবাইলে ফোন করা হয়। মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় ধারণা করা হয়, হয়তো সে রাত জেগেছে, তাই ঘুমাচ্ছে।  তার মৃত্যুর খবর তখনও কেউ জানেন না। দুপুর ১২টার দিকে সমকালের তখনকার ফরিদপুর প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান সমকাল অফিসে গৌতমকে ডাকতে যান। কিন্তু অনেকক্ষণ তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সহকর্মী নির্মলেন্দু চক্রবর্তী শংকরকে নিয়ে পাশে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে সমকাল অফিসের জানালা দিয়ে গৌতমকে খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা যা দেখেন তা মর্মান্তিক, যা তাদের ভাবনায়ও ছিল না। যে ব্যানার নিয়ে মুজিব সড়কের সংস্কারকাজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছিল, সেই ব্যানারের পাশেই পড়ে ছিল গৌতমের নিষ্প্রাণ দেহ, মুখে নির্যাতনের তীব্র যন্ত্রণার ছাপ, গলায় পেঁচানো নাইলনের এক টুকরো রশি।  দুপুরে পুলিশ দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধারের পর হাজার হাজার জনতার ঢল নামে গৌতমের লাশ দেখতে। নিরীহ, সহজ-সরল ছেলেটি কারও শত্রু হতে পারে, তা ছিল সবার ধারণার বাইরে। কিন্তু তার সহজাত সারল্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিত্ব ও সত্য প্রকাশের অদম্য সাহস তার অজান্তেই যে কায়েমি স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তা যেমন বুঝতে পারেনি মানুষ, যেমনটি বোঝেননি গৌতম নিজেও।  তার অকালমৃত্যু নাড়া দিয়েছিল সর্বস্তরের ফরিদপুরবাসীসহ সারা দেশের সাংবাদিক সমাজকে। সেদিন থেকেই ফরিদপুরসহ সারা দেশে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন শুরু করে। ফরিদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে চলে লাগাতার আন্দোলন।  এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম্য হয়ে মাঠে নামেন ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, নারী সংগঠন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এরই ফলে পুলিশ মাত্র দুই মাসের মাথায় বেশির ভাগ আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং মামলার চার্জশিট দেয়। তৎকালীন সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে মামলাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনা করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করে। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পাঁচজন আসামিকে যাবজ্জীবন হাইকোর্টের রায়ে বহাল রেখেছে এবং চারজনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিল।
১৮ মে, ২০২৪

শিল্পকলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন। ৩ দিনব্যাপী রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রদীপ প্রজ্বালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম দিনের আয়োজন। এরপর সদ্য প্রয়াত শিল্পী সাদি মহম্মদকে স্মরণ করা হয় যন্ত্রসংগীতের করুণ সুর পরিবেশনার মাধ্যমে। ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ এবং বঙ্গবন্ধুর দর্শন একসাথে দেখলে তার কেন্দ্রে বাঙালি জাতিসত্তা , আত্মপরিচয় এবং আত্মমর্যাদা খুঁজে পাই’। তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠাই ছিল রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যেকার নিবিড় যোগসূত্র। রবীন্দ্রনাথ বাঙালিকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব সভায়, বঙ্গবন্ধুও ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সভায় প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় সংগীতরূপে বেছে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথের দর্শন অনেকটাই বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে যিনি বিশ্বকবি হয়েছেন, স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি জাতীয় সংগীতকেও বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমনই এক রবি যে রবির উদয় আছে, কিন্তু অস্ত নেই। এছাড়াও আলোচনা পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘কবিগুরু মুক্ত চিন্তার পাঠের মাধ্যমে যেভাবে সাহিত্যকে রাঙিয়ে তুলেছেন, তেমনি জাতির পিতার দর্শন, আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম আমাদের শক্তি জোগায়। সব পরিস্থিতিতেই বঙ্গবন্ধু ও কবিগুরুকে আমাদের ধারণ করতে হবে।’ আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আমরা যার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুধু বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধিই নয়, তার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য বিশ্ব দরবারে পৌঁছেছে।’
০৮ মে, ২০২৪

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে প্রস্তুত শিলাইদহের কুঠিবাড়ি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উৎসব। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। প্রতিবারের মতো এবারও কুঠিবাড়ির আঙিনায় বাঁশ-কাঠ-ত্রীপল দিয়ে চলছে মঞ্চ ও দর্শনার্থীদের বসার স্থান নির্মাণ। শেষ হয়েছে এসব কাজের ব্যস্ততা। বিরূপ আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ঝড়-বৃষ্টি মাথায় রেখেই চলছে এ আয়োজন। রং-তুলির আঁচড়, ব্যবহৃত জিনিসপত্রকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের প্রস্তুতিও শেষ। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা। জন্মবার্ষিকী কেন্দ্র করে কুঠিবাড়ির পাশেই দুই দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলারও আয়োজন করা হয়েছে। অতিথিদের আমন্ত্রণপত্র বিতরণ এবং জাতীয়ভাবে রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপনে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরাও সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বুধবার (৮ মে) ২৫ বৈশাখ উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের জাতীয় সাংসদ সদস্য মাহাবুব-উল আলম হানিফ। এ ছাড়াও এবারের রবীন্দ্র জয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীরা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়া কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে উদযাপিত হয়েছিল রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। তাই ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এখন সাজসাজ রব পুরো কুঠিবাড়ি প্রাঙ্গণজুড়ে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তী সময়ে ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে জমিদার হয়ে আসেন। এখানে শিলাইদহে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনা করেন। এখানে অবস্থানকালে তিনি রচনা করে তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালীসহ আরও বিভিন্ন গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে বসেই গীতাঞ্জলি কাব্য গ্রন্থের অনুবাদের কাজ শুরু করেন। পরে ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি গ্রন্থের অনুবাদে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এখানে বসে রচনা করা বিশ্বকবির অসংখ্য গান, কবিতা ও সাহিত্যকর্ম বাঙলা সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। তাই রবীন্দ্র সাহিত্যে শিলাইদহের গুরুত্ব অন্যতম। এ বছর স্থায়ীভাবে নির্মিত মঞ্চে চলবে কবিগুরুর সাহিত্য ও শিল্পজীবন নিয়ে আলোচনা, গান ও কবিতা। এখানে এসে কবিগুরুর শিল্প ও সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিজীবনে অনুপ্রেরণা জোগায় এমনটাই মনে করেন রবীন্দ্র ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। বৈশাখের ঝড়-বৃষ্টিতে উৎসবের আয়োজন যাতে বিফলে না যায় তাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছে নির্মাণ শ্রমিকেরা। পাশাপাশি আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন তারা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবারও উদযাপিত হতে যাচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। সে আয়োজনকে সফল করতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে। এ ব্যাপারে শিলাইদহ রবিন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল আলামিন হুসাইন জানান, বিশ্বকবির ১৬৩তম জন্ম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এ বিষয়টা সামনে রেখে শিলাইদহ কুঠিবাড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ যেসব কাজ আছে সেগুলো শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। কুমারখালী থানার ওসি মোহা. আকিবুল ইসলাম আকিব জানান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলার বাহিনী তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। অনুষ্ঠান এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান এলাকায় ডিবি টিম থাকবে ও সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। এ ছাড়াও পোশাকি পুলিশও থাকবে অনুষ্ঠানে আসা অতিথি ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মিকাইল ইসলাম বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির ১৬৩তম জন্মোৎসব উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কবিগরুর জীবনদর্শন ও সাহিত্যকর্মের ওপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মঞ্চ নাটকের মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুই দিনব্যাপী উৎসব। এ সময় দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসেন কুঠিবাড়িতে। তাদের জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেয়। মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে উদযাপন করতে হবে। আগামী ২৫ বৈশাখ ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ১১ জ্যৈষ্ঠ ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সোমবার (৬ মে) দেশের মাদ্রাসাগুলোর অধ্যক্ষ, সুপার ও এবতেদায়ি প্রধানদের দুই কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
০৭ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনা দিনে ৩ ঘণ্টা ঘুমান, বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন : কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন। রাত ২টায় ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়। সোমবার (১৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারও নেই। উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় তিনি আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। এ বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে, সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাব বিজয়ের সোনালি বন্দরে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্রহননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন। স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগাসির মৃত্যু হবে না।  এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না- আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন? বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। রাত ২টায় ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়। 
১৮ মার্চ, ২০২৪

আ.লীগের আলোচনা সভা আজ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।  সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত শনিবার (১৬ মার্চ) জাতির পিতার ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ওইদিন ক্ষমতাসীন দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়। ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দিবসটিকে ঘিরে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও শিশু সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সরকারপ্রধান।   
১৮ মার্চ, ২০২৪

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। সারা দেশে মানুষ এদিন গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে স্মরণ করে। গতকাল রোববার সকাল থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বাসভবন এবং টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিসৌধে নামে মানুষের ঢল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি সমাধি প্রাঙ্গণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানান। এদিন সকাল ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। দিনটি উপলক্ষে গণভবনে একটি স্মারক ডাকটিকিট, একটি প্রথম দিনের কভার এবং একটি ডেটা কার্ড প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানো শেষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীর ঢল নামে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কোরআনখানি, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর মিরপুরে ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ প্রার্থনা সভা করে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। দিনটি উপলক্ষে মুহম্মদ নূরুল হুদার রচনা ও মীর বরকতের নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় উদ্ভাসন আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তি প্রযোজনা স্বাধীন জাতির স্বাধীন পিতা। শিল্পকলা একাডেমি আর্টক্যাম্প, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ইউজিসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও দিবসটি উদযাপন হয়। সাধারণ জনগণের মাঝে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে র‌্যাব।
১৮ মার্চ, ২০২৪
X