Fri, 17 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
৩ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের বাস নিয়ে প্রোগ্রামে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ
৫ ঘণ্টা আগে
শাবিতে মাহিদ মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
৬ ঘণ্টা আগে
হাজিদের স্বাগত জানাচ্ছে নারীরা!
৬ ঘণ্টা আগে
সরকার পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই : মির্জা ফখরুল
৬ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৭ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ইরানের বড় অস্ত্র চোরাচালান আটকে দিল জর্ডান
ইরানের বড় অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান। বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠিয়েছিল। এ সেলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার সম্পর্ক রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানিয়ান সেলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রের চালানও জব্দ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্রের চালান জব্দের খবর সামনে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জর্ডানের দুটি সূত্র চলমান তদন্ত এবং গোপন অভিযানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ত্র দিয়ে কি ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তা তারা জানাননি। এছাড়া কি ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তাও তারা জানাননি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ইরান এবং তার মিত্রদের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছে। এসব চালানে ক্লেমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাশনিকভ রাইফেল এবং ১০৭ মিমি কাতিউশা রকেট ছিল। জর্ডানের সূত্র অনুসারে, এ সব অস্ত্রের বেশিরভাগ ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য নির্ধারিত ছিল। এছাড়া মার্চে জব্দ করা অস্ত্র জর্ডানে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল। জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা। এর আগে সম্প্রতি ইরানের চালানো নজিরবিহীন হামলায় ইসরায়েলের পক্ষ নেয় জর্ডান। ওই সময়ে ইরানের ছোড়া বেশকিছু ড্রোন ভূপাতিত করে তারা। তাদের দাবি, জর্ডানের আকাশসীমায় প্রবেশ করায় জনগণের নিরাপত্তার জন্য এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে তাদের। ওই সময়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদামাধ্যম জানায়, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এমন সবকিছুর মোকাবিলা করবে যা মাতৃভূমি এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্ন করবে। এ ছাড়া আকাশসীমা ও ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
১৫ মে, ২০২৪
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তাল জর্ডান
জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে আম্মানে এ বিক্ষোভ হয়। ফিলিস্তিনি মিডিয়ার বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে আম্মান। বিক্ষোভকারীরা তেলআবিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা গাজা উপত্যকার নিপীড়িত জনগণের পক্ষে। ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে তারা নিন্দা জানান। ইসরায়েলকে এখনই থামাতে হবে। এ বর্বরতা চলতে থাকায় তারা মানসিক যন্ত্রণায় ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। বিবেকের তাড়নায় মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আম্মান সফর করছেন। তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের এক ঘণ্টা পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে জর্ডানে ইহুদিবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী কিছু দিন পর পরই ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জর্ডানিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং অভিযানের নামে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া বাদশাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করার অভিযোগ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা শরণার্থী ফিলিস্তিনিদের গণহারে জর্ডানে আশ্রয় দেওয়ার দাবিও জানিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলা করতে ইরানের ছোড়া ড্রোন ভূপাতিত করে মুসলমান বিশ্বে সমালোচিত হয় জর্ডান। জর্ডানিরা বলেন, ইসরায়েলকে সহায়তা করে জর্ডান সরকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা লজ্জার।
০১ মে, ২০২৪
আর্চারকে ফিরিয়েই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের
আর এক মাস পরেই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশ ঘোষণা করে ফেলেছে তাদের দল। এবার সেই তালিকায় যোগ দিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডও। জস বাটলারের দলে এক বছর পর ফিরেছেন ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জোফরা আর্চার। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডও (ইসিবি) যদিও এটিকে প্রাথমিক স্কোয়াড বলে উল্লেখ করেছে। দীর্ঘদিন পর জোফরা আর্চারের সাথে ফিরেছেন অভিজ্ঞ পেস অলরাউন্ডার ক্রিস জর্ডানও । সর্বশেষ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইংলিশ দলে দেখা গিয়েছিল এই ক্রিকেটারকে। ইংল্যান্ডকে ২০১৮ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা আর্চার ইনজুরিতে অনেক দিন ধরেই দলের বাইরে। সর্বশেষ গত বছরের মার্চে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের দলে তিনি ছিলেন। এরপর কনুইয়ের চোটের কারণে ওয়ানডে বিশ্বকাপও খেলা হয়নি তার। এছাড়াও ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের বাঁ-হাতি স্পিনার টম হার্টলিও প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলে। চলতি বছরের জুনের এক তারিখ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর বসবে। তবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড মাঠে নামবে জুনের ৪ তারিখ। ইংল্যান্ড বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মোকবিলা করবে। প্রথমবারের মতো এই বিশ্বকাপে খেলার জন্য ইংলিশ দলে ডাক পেয়েছেন আইপিএলে ঝড়ো শতক হাঁকানো উইল জ্যাকসও। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার বেশিরভাগ ক্রিকেটারই খেলছেন চলতি আইপিএলে। ২২ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও একই দল খেলবে। ক্রিস জর্ডান অবশ্য দলে ডাক পাওয়ার জন্য ক্রিস ওকসকে ধন্যবাদ জানাতে পারেন। ইনজুরিতে ওকসের ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ হয়েছে তার। জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দলটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। সর্বশেষ ২০২২ আসরে তারা পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ওই জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখা বেন স্টোকস আগেই নিজেকে বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবার ওকসও ছিটকে যাওয়ায় আগের আসরের বড় দুই তারকাকে পাচ্ছে না ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড : জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি (সহ-অধিনায়ক), স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার, মার্ক উড, রিস টপলি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বিপদে জর্ডান
ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপদে পড়েছে জর্ডান। দেশ দুটির মধ্যে যদি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ বেধে যায়, জর্ডান তাহলে বড় সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল ইউনির্ভাসিটির জর্ডান–বিশেষজ্ঞ সেন ইয়োম। তিনি বলেন, জর্ডানকে খোলাখুলিভাবে এই ঝঞ্ঝাটের বাইরে থাকতে হবে। যুদ্ধে কোনো এক পক্ষের সঙ্গে হাত মেলালেই বিপদ। আমেরিকা ও ইসরায়েলের সাথে জর্ডানের রয়েছে কৌশলগত সম্পর্ক। গাজায় ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা এবং তাতে ওয়াশিংটনের সমর্থনের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন জর্ডানের মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি— আম্মানকে অবশ্যই দেশ দুটির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি গভীর সহানুভূতি রয়েছে জর্ডানের বাসিন্দাদের। দেশটিতে আনুমানিক ২০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এমন পরিস্থিতিতে ১৩ এপ্রিল রাতে ইরানের ড্রোন ধ্বংসের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়েছেন। জর্ডানের পদক্ষেপে প্রথম দিকে চটেছিল তেহরানও। জানিয়েছিল, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের চালানো কোনো অভিযানে নাক গলালে জর্ডানকেও ভবিষ্যতে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে। তবে, দ্রুতই নিজেদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেয় দুই দেশ। মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ বাধলে জর্ডানও এর শিকার হতে পারে বলে মনে করেন সেন ইয়োম। তিনি বলেন, যুদ্ধ বাধলে দেশটির অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া পর্যটন খাতে আয় কমে গিয়ে এবং বাণিজ্য হ্রাস পেয়ে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে। জর্ডানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে দেশটির রাজতন্ত্র চাপে রয়েছে। এমনকি ৭ অক্টোবরের আগেও দেশটির ভেতরে ও সীমান্তে বহু চ্যালেঞ্জ ছিল। জর্ডানের সাবেক মন্ত্রী ও ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক ইব্রাহিম সাইফ বলেন, করোনার পর জর্ডানের অর্থনীতি ধীরে ধীরে চাঙা হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধে তা বড় ধাক্কা খেয়েছে। এখন সবার নজর গাজার দক্ষিণে সীমান্তবর্তী রাফা এলাকায়। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। তাদের আশঙ্কা, খুব শিগগিরই হয়তো রাফায় স্থল অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনটা হলে জর্ডানের বিক্ষোভকারীরা আবার রাজপথে নামতে পারেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪
ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করে তোপের মুখে জর্ডান সরকার
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে এ হামলায় শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে দেশটি। কিন্তু এর অনেকটি ড্রোন ইসরায়েলে পৌঁছার আগেই ভূপাতিত করে জর্ডান। দেশটির এ ধরনের ভূমিকায় স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। জর্ডানিরা বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করে তাদের সরকার বেঈমানি করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় নির্যাতিত মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যারা কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন তারা খুবই মর্মাহত হয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের। প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে জর্ডানিরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর মধ্যে ‘জর্ডানের রাজা ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য তার নাগরিকদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছিলেন’- এমন একটি পোস্ট এক্স-এ ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। পোস্টটির সঙ্গে জর্ডানের কারাক শহরে ড্রোন ধ্বংসাবশেষের একটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে। শহরটি ইসরায়েলের সীমান্ত থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এ পোস্টটি ব্যাপকহারে শেয়ারের পাশাপাশি এতে মন্তব্য করছেন অনেকে। সেখানে জর্ডান সরকারের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নিজেদের শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ফেলে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে জর্ডান।’ এদিকে আত্মরক্ষার জন্য ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে জর্ডান। জর্ডান সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, ‘এগুলো আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এদিকে সঠিক তথ্যের পাশাপাশি জর্ডান নিয়ে অনেক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের কেউ কেউ দাবি করছেন, ইরানের ভূপাতিত ক্ষেপণাস্ত্রে জর্ডানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ভুল তথ্য বলে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজন জর্ডানির মন্তব্য তুলে ধরা হয়। তাতে হুসেইন নামে একজন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত৷ এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না। গাজায় যা ঘটছে তারও নিন্দা জানাই। তবে গাজায় হামলা বাধাগ্রস্ত করে এমন যে কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে একাত্মতা জানাই।’ মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি।’ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আম্মানে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তারা ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে সই হওয়া শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানান। এরই মধ্যে ইসরায়েলে হামলা করে ইরান। তেহরানের ওই হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ ময়দানে প্রকাশ্যে যুক্ত হয়েছে মুসলিম দেশ জর্ডানও। তারা কয়েক ডজন ইরানি ড্রোনগুলি করে ভূপাতিত করেছে। রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলের দিকে হামলা চালাতে উত্তর ও মধ্য জর্ডানের ওপর দিয়ে নিক্ষেপ করা কয়েক ডজন ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে জর্ডান। মূলত জর্ডানের যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের নিক্ষেপ করা এসব ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এ ছাড়া অন্য ড্রোনগুলোকে ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে আটকে দেওয়া হয় বলেও জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এদিকে, ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা ফারস দেশটির একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তেহরানের প্রতিশোধমূলক হামলার সময় ইসরায়েলের সমর্থনে যে কোনো পদক্ষেপের জন্য জর্ডানকে নজরে রাখছে ইরান। এমনকি দেশটি (জর্ডান) ‘পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু’ হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তেহরান।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪
ইরানের হামলা ঠেকাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাল জর্ডান
ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে দেশটির ছোড়া ড্রোনের বেশকিছু ভূপাতিত করেছে জর্ডান। দেশটির দাবি, তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করায় জনগণের নিরাপত্তার জন্য এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে দেশটির। রোববার (১৪ এপ্রিল) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান হয়েছে। জর্ডানের মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত রাতে ইরান যখন ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে তখন তারা বেশকিছু ড্রোন ভূপাতিত করেছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করায় এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া কিছু শার্পনেল বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে। তবে এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া হতাহতের কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদামাধ্যম জানিয়েছে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এমন সবকিছুর মোকাবিলা করবে যা মাতৃভূমি এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্ন করবে। এ ছাড়া আকাশসীমা ও ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, উত্তেজনা বৃদ্ধি বিপজ্জনক হবে। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে অপারেশন ট্রু প্রোমিজ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে ইরান। এ প্রতিক্রিয়া সীমিত ও নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের কর্মকর্তারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান কী করতে সক্ষম তার সামান্য চিত্র দেখাল মাত্র। এটা এমন একটি দৃশ্য যা কখনো কেউ দেখেনি। এমন হামলার পরেই পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে আইআরজিসির এক কমান্ডার জানান, ইসরায়েল যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তার চেয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে ইরান।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার ‘জম্বি ফুটবলের’ ইতি টেনে ফাইনালে জর্ডান
এবারের এশিয়ান কাপে ফেভারিট হিসেবেই এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠতে ভাগ্য এবং দলটির হার না মনোভাবের প্রভাব ছিল বেশি। তাইতো সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও অবিশ্বাস্য দুই জয় নিয়ে সেমিতে ওঠে তারা। তবে সেমিতে উঠেই দলটির হার না মানা মনোভাবের ইতি ঘটল। র্যাঙ্কিংয়ের ৬৪ ধাপ পিছনে থাকা দল জর্ডানের কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেল সন-কিমরা। সেমিফাইনালের ম্যাচ হওয়ার আগে অনেকের চোখেই জর্ডানের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার সহজেই জয় পাওয়ার কথা। তবে সবার চোখে সহজে হারার অপেক্ষায় থাকা জর্ডানই ঘটিয়ে দিল এবারের আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কাতারের আহম্মদ বিন আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করল জর্ডান। এশিয়া কাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস গড়েছিল জর্ডান। তবে ফুটবলভক্তদের বেশিরভাগের ধারণা ছিল এতটুক পর্যন্তই এগোতে পারবে ৮৭ নস্বর দলটি। এ ছাড়াও অভিজ্ঞতায় সন-হুয়াংয়ের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল দলটি। তবে সন-হুয়াংদের রাত কেটেছে হতাশায়। ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানের শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দিল জর্ডান। আর ১৯৬০ সালের পর প্রথম ট্রফি জয়ের জন্য কোরিয়ানদের অপেক্ষা সেই সঙ্গে আরও বাড়ল। সন দের হারানো জর্ডানের সামনে দাঁড়াতে বুধবার আরেক সেমিফাইনালে লড়বে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কাতার এবং তিনবারের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইরান। আজকের প্রথম সেমিতে দক্ষিণ কোরিয়া বল দখলে রাখলেও আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল জর্ডান। তারই পুরস্কার তারা পায় দ্বিতীয়ার্ধে। দক্ষিণ কোরিয়া বলের দখল হারালে ৫৩তম মিনিটে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোলের দেখা পান ইয়াজান আল নাইমাত। কাতারে চার ম্যাচে হারার মতো অবস্থা থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমিফাইনাল পর্যন্ত এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এতটুকু পর্যন্তই থাকল তাদের এবারের ট্রফি জয়ের প্রচেষ্টা। ৬৬ তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত শটে দক্ষিণ কোরিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মুসা আল তামারি। নাইমাত ও তামারির গতি ও শক্তির সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ বাঁশি বাজতেই অবিশ্বাসী চোখে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সন। আর জর্ডানের হাজারো সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। পুরোটা সময় তারা তাদের দলকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। টুর্নামেন্টে একমাত্র দল হিসেবে এখন জর্ডানই টিকে রইল, যারা কখনও এশিয়ান কাপের ট্রফি জিততে পারেনি। আগামী শনিবার সেই আক্ষেপ ঘুচানোর অপেক্ষায় দলটি।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
জর্ডান চার হাজার নারী কর্মী নিচ্ছে
বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার দক্ষ নারী কর্মী নিচ্ছে জর্ডান। এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ৬৫১ জনকে বাছাই করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট দক্ষ নারী কর্মী বাছাই করা হবে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে তাদের সরকারিভাবে নিয়োগ দেবে দেশটি। এসব কর্মীকে মেডিকেল ফি বাবদ ১ হাজার এবং আঙুলের ছাপের জন্য ২২০ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি সব খরচ জর্ডানের নিয়োগকর্তারা বহন করবেন। এমনকি এসব কর্মীর কাছ থেকে নেওয়া ওই ১ হাজার ২২০ টাকাও সে দেশে কাজ শুরুর পর ফেরত দেবেন নিয়োগকর্তারা। জানা গেছে, প্রথম ধাপে দেশটির ক্ল্যাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেলস গার্মেন্ট কোম্পানির মেশিন অপারেটর পদে ৩০০, গ্যালাক্সি অ্যাপারেলস গার্মেন্টে মেশিন অপারেটর পদে ১০১, জিয়া অ্যাপারেলস গার্মেন্টে মেশিন অপারেটর পদে ১০০, এম অ্যান্ড কে আশরাফ ট্রেডিং গার্মেন্টে মেশিন অপারেটর পদে ১০০ এবং নিডেল ক্রাফট গার্মেন্টে সুইং মেশিন অপারেটর পদে ৫০ জন কর্মী নিয়োগ দেবে। প্রত্যেককে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে কোম্পানি চাইলে কর্মীদের কাজের মেয়াদ নবায়ন করবে। কর্মীদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করতে হবে। মাসে তারা ১২৫ দিনার বেতন পাবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ হাজার ৩৩৩ টাকা। পাশাপাশি কর্মীদের থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা ও যাতায়াত খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা কোম্পানি। চাকরিতে যোগদান করতে যাওয়ার এবং তিন বছর পর দেশে ফিরে আসার সময় বিমানভাড়া বহন করবে নিয়োগদাতা। ২০ থেকে ৩৬ বছর বয়সী দক্ষ নারীদের আবেদনের ভিত্তিতে গত ১২ ও ১৩ জানুয়ারি মিরপুর দারুসসালাম রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বোয়েসেলের ব্যবসা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) নোমান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, জর্ডানে দক্ষ নারীদের জন্য বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশ থেকে তারা ৪ হাজারের বেশি কর্মী নেবে। আমরা ইতোমধ্যে সাড়ে ৬০০ দক্ষ কর্মী বাছাই করেছি। তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী দেশটি ভিসা দেবে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
পেট্রো ডলারের মোহ কাটল হেন্ডারসনের
লিভারপুল ছেড়ে জর্ডান হেন্ডারসনের সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু পেট্রো-ডলারের হাতছানি উপেক্ষা করতে পারেননি ইংলিশ মিডফিল্ডার। সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে তিন বছরের চুক্তিতে আল-ইত্তিফাকে নাম লিখিয়েছিলেন এ মিডফিল্ডার। মোহ কাটতে সময় লাগেনি—ছয় মাসেই সৌদি অধ্যায় শেষ করে আয়াক্সে পাড়ি জমালেন হেন্ডারসন। এ মিডফিল্ডার ইউরোপে ফিরতে মরিয়া ছিলেন। এতটাই মরিয়া যে, ইংল্যান্ডের বাইরের যে কোনো লিগে হলেও সৌদি আরব ছাড়তে চাচ্ছিলেন সাবেক লিভারপুল অধিনায়ক। শেষপর্যন্ত তা-ই হলো। নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্সে যাওয়া নিয়ে কয়েকদিন ধরে জোর গুঞ্জন ছিল। সেটাই বাস্তবে রূপ নিল। আয়াক্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আড়াই বছরের জন্য হেন্ডারসনের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। আল-ইত্তিহাদ ছাড়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর হেন্ডারসন বলেছেন, ‘বিষণ্ন মনে জানাচ্ছি যে, এ মুহূর্ত থেকে আল-ইত্তিহাদ ছেড়ে যাচ্ছি। সিদ্ধান্তটি মোটেও সহজ ছিল না। নিজের ও পরিবারের জন্য এটাই ছিল সেরা পদক্ষেপ।’ ইংলিশ ফুটবলার আরও বলেছেন, ‘ছয় মাস পাশে থাকার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রথমদিন থেকেই ভালোবাসা অনুভব করেছি এখানে। আমি আল-ইত্তিফাককে অনুসরণ করব এবং ভবিষ্যৎ সাফল্যের প্রত্যাশা করব। ক্লাবটির প্রতি শুভকামনা।’ ইউরোপ ছেড়ে একঝাঁক ফুটবলার সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু হেন্ডারসনের সৌদি প্রো লিগ খেলতে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার কারণ হচ্ছে, তিনি ছিলেন সমকামীদের কট্টর সমর্থক। কিন্তু সৌদি আরবে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এ কারণে সমকামিতার সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে ৩৩ বছর বয়সী এ ফুটবলারকে। অক্টোবরে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে দর্শকরা হেন্ডারসনকে দুয়ো দিয়েছিল।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদই ইসরায়েলের লক্ষ্য : জর্ডান
গাজায় ইসরায়েলের অভিযান নিয়ে আবারও কড়া বার্তা দিয়েছে জর্ডান। দেশটি জানিয়েছে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করাই ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বের করে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। গাজায় ইসরায়েলের এমন আচরণ আইনিভাবে গণহত্যার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ইসরায়েল সৃষ্টি হয়েছে বিদ্বেষ থেকে। তারা এ বিদ্বেষ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশটি ১৯৪৮ সালে সৃষ্টির পর থেকে ফিলিস্তিনিদের শুষে আসছে। দোহায় এক সম্মেলনে সাফাদি বলেন, আমরা দেখছি যে, গাজায় কেবল ইসরায়েল নিরীহ লোকদের হত্যা এবং তাদের জীবন-জীবিকাকে বাধাগ্রস্ত করছে না। বরং তারা গাজাকে শূন্য করার জন্য নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তিনি বলেন, গাজায় যা হচ্ছে তার জন্য আমরা বিশ্ব এক জায়গায় সমবেত হতে পারিনি। আমাদের গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য দ্ব্যর্থহীন আওয়াজ দিতে এক জায়গায় আসতে হবে। এ যুদ্ধের মাধ্যমে আইনিভাবে গাজায় তারা গণহত্যা চালিয়ে আসছে। হামাসকে ধ্বংস করার নামে ইসরায়েল হাজার হাজার বেসামরিক লোকদের হত্যার মাধ্যমে তারা তাদের লক্ষ্যকে অস্বীকার করে আসছে বলেও মন্তব্য করেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের কারণে গাজায় ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ হাজার। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
আরও
X