ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে রেডিওলজি যন্ত্রপাতি পরিদর্শন জাপান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গ্রাস-রুট হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টসের (জিজিএইচএসপি) অধীনে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন জাপানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাকা ইয়াসুশি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওমা কিমিনোরি। জাপান দূতাবাসের সহায়তায় হাসপাতালটির রেডিওলজি বিভাগে আধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে এবং ওপিজি মেশিন স্থাপন করা হয়। বুধবার (১৫ মে) তারা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগ পরিদর্শন করেন। এ সময় সেবা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। হোসাকা ডিসিএইচটি-এর সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের তৃণমূল জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন। ডিসিএইচটি, সিআইএস ও এ-প্যাড চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. কাজী কামরুজ্জামান ডিসিএইচটি, সিআইএস ও বাংলাদেশকে অসামান্য সহায়তার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  বাংলাদেশে জাপান জাপান দূতাবাসের সেকেন্ডারি সেক্রেটারি ইওয়াসাকি দাইচি, দূতাবাসের পরামর্শক খান নানামি, দূতাবাসের সমন্বয়কারী প্রফেসর ডা. মাহমুদার রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে

কাবাডি / আসছে কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে গত দুটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ার প্রতিষ্ঠিত শক্তি পাকিস্তানও এবারের আসরে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। গতকাল ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সভাকক্ষে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হবিবুর রহমান, যিনি আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব। ২০২১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে বাংলাদেশ। নিয়মিত আয়োজিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের বর্ষপঞ্জিতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আসরটি, যা বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ২৩ মে থেকে ৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ আসর। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া—তিন মহাদেশের ১১ বিদেশি দলের সঙ্গে অংশ নেবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইউরোপের পোল্যান্ড, আফ্রিকার কেনিয়া এবং এশিয়া থেকে থাকছে দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড এবং এশিয়ান কাবাডির পরাশক্তি পাকিস্তান। বিদেশি দলগুলো আসবে ২৩ ও ২৪ মে। ২৫ মে ম্যানেজার্স মিটিংয়ে সম্পন্ন হবে গ্রুপিং ও ফিকশ্চার। খেলা হবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। ২০২১ সাল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তির বছর। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতার চতুর্থ আসরকে বর্ণিল রূপ দিতে চায় ফেডারেশন। সারা দেশে একযোগে কাবাডি উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে, হবে আতশবাজি—এমনটাই জানালেন কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান গাজী মো. মোজাম্মেল হক। প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল ৬ দেশ। ২০২২ সালে দ্বিতীয় আসরে ৮ এবং ২০২৩ সালে তৃতীয় আসরে অংশ নেয় ১২ দেশ। গত তিন আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। প্রথম দুবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। গত আসরে চায়নিজ তাইপেকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা।
০৭ মে, ২০২৪

জাপান সফর শেষে ফিরেছেন ঢাবি উপাচার্য
জাপানে ১১ দিনের সরকারি সফর শেষে গত শুক্রবার ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ১৬ এপ্রিল তিনি জাপান যান। সফরকালে ড. মাকসুদ কামাল কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন স্টাডিজ-এ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কয়েকটি বক্তৃতা প্রদান করেন। এ ছাড়া তিনি কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ফুজিসাওয়া মাসাতো ও কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. তাতসুরো ইশিবাশির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এহেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. হিরোশিজে নিশিনা, ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. কাজুহিরো মিতসুনোবুসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান
ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান। দেশটিতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, জাপানের বোনিন দ্বীপপুঞ্জে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।  ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার গভীরে।  মার্কিন জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে সেখানে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।  বার্তা সংস্থা রয়টার্স ভূমিকেম্পর খবর জানালেও প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতি  বা হতাহতের কোনো তথ্য জানানো হয়নি।  এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জাপানে ৪০ সেন্টিমিটার (এক দশমিক ৩ ফুট) উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে। দেশটির রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে হাচিজোজিমা দ্বীপে এই সুনামি আঘাত হেনেছিল। ওই সময়ে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। অন্যদিকে ফিলিপাইনি সংস্থা জানিয়েছিল, এটির তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৯।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

১১ দিনের জাপান সফরে ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ১১ দিনের এক সরকারি সফরে জাপানের উদ্দেশে আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা ত্যাগ করেছেন। জাপানের কোবে বিশ্ববিদ্যালয়, কিউশু বিশ্ববিদ্যালয় এবং এহিমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে তিনি এই সফর করছেন। সফরকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন স্টাডিজ-এ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক বেশ কয়েকটি বক্তৃতা প্রদান করবেন। উপাচার্য কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এসময় উপাচার্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদার এবং শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময় নিয়ে মতবিনিময় করবেন।  এ ছাড়া, উপাচার্য গ্রেট হানশিন-আওয়াজি আর্থকুয়েক মেমোরিয়াল ডিজাস্টার রিডাকশন অ্যান্ড হিউম্যান রিনোভেশন ইনস্টিটিউশন পরিদর্শন করবেন এবং এর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে মতবিনিময় করবেন। এই সফরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ অন্যান্য কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনা করবেন।  এই সফরে উপাচার্য কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড মিটিংসহ বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এ ছাড়াও তিনি এহেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এহেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর সম্ভাব্যতা নিয়ে মতবিনিময় করবেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আগামী ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। তার অনুপস্থিতিতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে উপাচার্য-এর রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান
জাপানে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে এ কম্পন অনুভূত হয়। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পন ছিল ৬ দশমিক ১ মাত্রার। যা উত্তর জাপানের ইওয়াতে এবং আওমোরি অঞ্চলে আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ইওয়াতে অঞ্চলের উত্তর উপকূলীয় এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সেখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। রয়টার্স জানায়, ভূমিকম্পের ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কম্পনের পর সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি। জাপান একটি যৌগিক আগ্নেয়গিরীয় দ্বীপমালা। এটি রিং অব ফায়ার টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত হওয়ায় প্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

মৎস্য খাতে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান
মৎস্য খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরির এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রকল্পের আওতায় এ টাকা ব্যয় হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, জাপান সরকারের অনুদানে মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতিতে ব্যয় হবে। ইআরডি জানিয়েছে, দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ইউএস ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রদান করেছে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। নমনীয় ঋণ ছাড়াও জাপান বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। যার মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
২৯ মার্চ, ২০২৪

ছোটদের ডায়াপার বানানো কমিয়ে বড়দের জন্য বানাবে জাপান
জাপানের একটি ডায়াপার প্রস্তুতকারক কোম্পানি ঘোষণা করেছে, তারা দেশে শিশুদের জন্য ডায়াপার উৎপাদন বন্ধ করবে এবং পরিবর্তে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ডায়াপার তৈরি করবে। এর আগেও দেশটির বেশকিছু কোম্পানি এধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। আর এই সিদ্ধান্তের জন্য তারা কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে জাপানের জন্মহার হ্রাস এবং বার্ধক্যের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিকে।  গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাপানে প্রতিবছর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ডায়াপারের বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি এই সময়ে শিশুদের জন্য তৈরি ডায়াপারের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ডায়াপার। ২০২৩ সালে জাপানে শিশুর জন্মহার হ্রাস পেয়েছে ৫.১ শতাংশ।  এই বছর দেশটিতে মোট ৭,৫৮,৬৩১ টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। ১৯ শতকের পর এটিই জাপানে রেকর্ডে সর্বনিম্ন জন্মের সংখ্যা। ১৯৭০ সালে দেশটিতে শিশু জন্মের সংখ্যা ছিল ২০ লক্ষ্যেরও বেশি।  শিশুদের ডায়াপার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া কোম্পানি ওজি হোল্ডিংস বলছে, তারা এখন বছরে ৪০০ মিলিয়ন শিশু ডায়াপার তৈরি করে। ২০০১ সালে এই পরিমান ছিল ৭০০ মিলিয়ন। ২০০০ সালের পর থেকেই জাপানে শিশুদের ডায়াপার বিক্রি ক্রমবর্ধমান ভাবে কমছে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি।  ২০১১ সালে, জাপানের সবচেয়ে বড় ডায়াপার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউনিচর্ম বলেছিল, তাদের প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ডায়াপারের বিক্রি শিশুদের ডায়াপারের চেয়েও বেশি।  জাপানে প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াপারের বাজার বাড়ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে এর মূল্য ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ। জাপান এখন বিশ্বের অন্যতম বাধ্যক্যপূর্ণ জনসংখ্যার দেশ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। গত বছর, ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের অনুপাত প্রথমবারের মতো মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ অতিক্রম করেছে।  জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পেয়ে বরং প্রতিবছর তা কমছে। জনসংখ্যা হ্রাস বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশটির জন্য একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। আর এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে জাপানে নারীদের সন্তান ধারণের অনাগ্রহ থেকে। সন্তান ধারণে উৎসাহিত করতে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জাপান সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা খুব সামান্যই সফলতার মুখ দেখেছে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিম্ন বিবাহের হার এবং কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি নারী যোগদান থেকে শুরু করে সন্তান লালন-পালনের বর্ধিত খরচ এ সবই সন্তান গ্রহণে অনিচ্ছুক করে তুলছে জাপানি নারীদের। তবে জাপান একা নয়। হংকং, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও শিশু জন্মের হার হ্রাস পাচ্ছে। 
২৭ মার্চ, ২০২৪

ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের নিবন্ধ / বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জাপান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জাপানের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে জাপান ও চীন এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিবেচিত হতো। চীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানপন্থি নীতি গ্রহণ করলেও জাপান বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে।  জাপান বরাবরই বাঙালির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। জাপান বাঙালি জাতীয়তাবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল। সরকারি নীতির সঙ্গে জাপানের বুদ্ধিজীবী, ছাত্রসমাজ, পত্রপত্রিকাগুলোর ভূমিকা ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা, শরণার্থী সমস্যা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা এ সকল বিষয় নিয়ে জাপানে বেশ জনমত তৈরি হয়েছিল। জাপান টাইমস, ইয়েমুরি শিম্বুন, আসাহী শিম্বুন, মেইনিচি শিম্বুনসহ বিভিন্ন জাপানি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়, ও নিবন্ধে পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের ন্যায্য দাবির যৌক্তিকতা ফুটে ওঠে।  ১৯৭১ সালের মার্চেই জাপানের বহুল প্রচারিত দৈনিক ইয়েমুরি শিম্বুন ঢাকার পরিস্থিতি জানার জন্য সংবাদদাতা হিসেবে ওসামু তাকেদাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। জাপানি পত্রিকায় পাকিস্তান সরকার এবং নীতির কঠোর সমালোচনা করা হয়। সাংবাদিক নাওয়াকি উসুই এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে জাপানে পাঠাতেন। যেগুলো জাপানে বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক শিহরন সৃষ্টি করেছিল। বলা বাহুল্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব থেকেই পাকিস্তান ছিল জাপানের সাহায্যভুক্ত দেশ। ১৯৬১-১৯৭১-এক দশকে পাকিস্তান জাপানের ওডিএ বা অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্ট প্রোগ্রামের আওতায় মোট বিদেশি সাহায্যের ১৮ ভাগ পেয়েছিল। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা, নির্যাতন এবং মুক্তিযুদ্ধের কারণে জাপান ১৯৭১ সালের মে মাস থেকে পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধ রাখে। শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধে ত্বরিত সহযোগিতার কারণে জাপান ঢাকায় কনসাল জেনারেল অফিস বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান সরকার প্রথম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অভ্যন্তরীণ সংকট এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক-এ অভিমত প্রকাশ করলেও জাপান সরকার তাতে সমর্থন দেয়নি। উপরন্তু পূর্ব পাকিস্তানের জন্য তিনটি জাপানি জাহাজভর্তি চাল অশান্ত পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এলে তা করাচিতে খালাস করতে বলা হলে জাহাজ কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে। অবশ্য পরে তা জাকার্তায় এসে খালাস করে।  অন্যান্য দেশের মতো  মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয়রত শরণার্থী সমস্যাটি প্রথমেই জাপানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। জাপান অত্যন্ত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে লক্ষ লক্ষ বাঙালি প্রাণভয়ে পূর্ব বাংলা থেকে পালিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাতে বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু হলে প্রাণভয়ে ও নিরাপত্তার সন্ধানে লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন পথে পাশের দেশ ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রাম ও শহরগুলোতে আশ্রয় নেয়।  শরণার্থীদের সাহায্যের ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জাপান অত্যন্ত উদার হস্তে এগিয়ে আসে। শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ১৯৭২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে জাপান সরকারের সাহায্যের পরিমাণ ছিল ৫০০০০০০ ইউএস ডলার। বেসরকারি উদ্যোগেও জাপানের অনেক সাহায্য ছিল। জাপান রেডক্রস সোসাইটি, জাপান বেঙ্গল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি জাপানের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য। সংগঠনের কর্মীরা বিভিন্ন স্কুল কলেজসহ প্রতিষ্ঠানে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। অনেক স্কুলের শিশুরা টিফিনের অর্থ দিয়েও সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এইসাকু সাতো (Eisaku Sato)।  জাপানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তিনি শান্তির পক্ষে ছিলেন। তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল love of freedom and devotion to peace' (Jiyu o ai shi, heiwa ni tessuru) | এ কারণে নিক্সন প্রশাসনের সাথে মৈত্রীবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেননি। তার প্রশাসন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সহায়তা করে। ফলে জাপান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখে।  জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোচি আইচি  জাপানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ভি এইচ কোয়েলহোকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী এইসাকু সাতোর লেখা একটি পত্র হস্তান্তর করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা ওই চিঠিতে পূর্ব বাংলা থেকে ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী লাখ লাখ উদ্বাস্তুদের সহযোগিতার কথা বলা হয়। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোচি আইচি শরণার্থীদের জন্য সাহায্য বৃদ্ধির নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক সাহায্যের মাধ্যমে তিনি জাপানি ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেন।  জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোচি আইচি একজন ঝানু কূটনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরির পূর্ব পরিচিত এবং তাদের সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক ছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকাও ফুদুকা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত ও জাপান উভয় দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উভয়দেশে প্রতিনিধিদল পাঠান এবং আলোচনা অব্যাহত রাখেন। যেমন ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাপান সংসদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চার প্রতিনিধিদলের সদস্য ভারতে আসেন। ইয়েশিও সাকুরাচি  এই দলের নেতৃত্ব দেন। তারা ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শীর্য পর্যায়ের সাথে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন এবং জাপানের স্বীকৃতিদানের জন্য হায়াকাওয়া জাপানের পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে একযোগে কাজ করেন।  ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে জাপানের সোসালিস্ট নেতা  কে. নিশিমুরার নেতৃত্বে ভারতে আসেন। তিনি বেশ কয়েকটি রিফিউজি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী  ইন্দিরা গান্ধীর  সঙ্গে দেখা করেন। কে.নিশিমুরা পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত সেনাবাহিনীর পৈশাচিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন। এ জন্য তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে দায়ী করেন।  জাপানি বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। প্রফেসর টি. নারা, টি. ফুকিউরা, প্রফেসর এম. কিরিউয়ু, টি. সুজুকি, এম. ইয়ামানাকা, টি. ওয়েমাদা, কি. তাকেনাকা, লে. জে. ফুজিউরা, তাকাশি হায়াকায়া প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। জাপানের প্রথিতযশা এই সকল  বুদ্ধিজীবীগণ বিভিন্ন বিবৃতি বক্তৃতা ও সম্মেলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা পাকিস্তানিদের গণহত্যা, রিফিউজি সমস্যা এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে সমর্থন দানের জন্য আন্তর্জাতিকমহলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। তবে ওই সময়  জাপান প্রবাসী বাঙালি এস্কান্দর আহমেদ চৌধুরি এবং এস এ জালাল এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ত্রিশজনের মতো ছাত্র অধ্যয়ন করত। এদের সহায়তায় জাপানি বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য বেশ কয়েকটি সভা সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিল। জাপান বেঙ্গল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন, জাপান বাংলাদেশ সলিডিটারি ফ্রন্ট, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ছিল উল্লেখযোগ্য।  জাপানের বিখ্যাত সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ জাপানে সংগঠিত এই সকল অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্বন্ধে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বলা যায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনকারী জাপানি অধ্যাপক, শিল্পী, সাহিত্যিকদের সংখ্যাই ছিল বেশি। শিক্ষাঙ্গনে জাপানি পণ্ডিত ব্যক্তির মধ্যে পাকিস্তানের সমর্থক পাওয়া দুষ্কর ছিল। এসব পণ্ডিতরা বিভিন্ন বিবৃতি বক্তৃতা ও সম্মেলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বলা বাহুল্য তাদের চিন্তা ও ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।  ১৯৭১ সালের নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে টোকিওসহ জাপানের গুরুত্বপূর্ণ শহরে অনেকেরই বাসা এবং অফিস হয়ে উঠে বাংলাদেশ সহায়ক কার্যালয়। সব মিলিয়ে জাপান সরকার, জাপানি সংবাদপত্র, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদসহ বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় সর্বস্তরের জাপানি জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম: অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম 
২৬ মার্চ, ২০২৪

জাপান উপকূলে ট্যাংকারডুবি, ৮ নাবিকের মৃত্যু
জাপানে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার ডুবে গেছে। এতে আট নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। একজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বুধবার স্থানীয় সময় ৭টার দিকে ট্যাংকারটি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের ইয়ামাগুচি উপকূলে ট্যাংকারটি ডুবে যায়। জাহাজে থাকা দুই নাবিকের খোঁজে এখনো অভিযান চলছে। ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে ট্যাংকারটি নোঙর করে ছিল বলে জানা গেছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে শিমোনোসেকি শহরের কাছে উদ্ধার অভিযান চলছে। জাপানি কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ট্যাংকারে দুই কোরিয়ান, আট ইন্দোনেশিয়ান ও একজন চীনা নাগরিক ছিলেন। এর আগে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছিল, কিয়োংসান নামের ওই ট্যাংকারটি স্থানীয় সময় ৭টার দিকে সহযোগিতা চেয়েছিল। তবে সহায়তা আসার আগেই ট্যাংকারটি কাত হয়ে ডুবে যায়। 
২১ মার্চ, ২০২৪
X