হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত / ইরানি প্রেসিডেন্টকে জীবিত উদ্ধার নিয়ে শঙ্কা
দুর্ঘটনার কবলে পড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির এখনো কোনো সন্ধান মেলেনি। তারা জীবিত আছেন কি না, সেটিও এখন পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। দুর্ঘটনাস্থলটি একটি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে উদ্ধারকারী দলকে উদ্ধার অভিযানে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ৪০টি উদ্ধারকারী দলকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। ড্রোনও উড্ডয়ন করা হয়েছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি দেশটির সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসসহ (আইআরজিসি) আইন প্রয়োগকারী অন্য সব বাহিনীকে উদ্ধার তৎপরতায় শামিল হতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় গত রাত ১২টার দিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়ার খবর দেওয়া হলেও দেশটির রেড ক্রিসেন্ট সে খবরের সত্যতা নাকচ করে দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এ ঘটনায় নজর রাখছে। যুক্তরাজ্য সরকারিভাবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আর পাকিস্তান বলেছে, তারা সুখবর পাওয়ার প্রতীক্ষা করছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম অলিয়েভ বলেছেন, তিনি এ খবর শুনে খুবই মর্মাহত। তিনি তেহরানকে যে কোনো সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনার সঠিক অবস্থান দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে। এ প্রদেশের আরাসবারান জঙ্গলে অবস্থিত ওজি গ্রামের কাছে কপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইআরসিএস) প্রধান পীর হোসেন কৌলিভান্দ বলেছেন, সেখানে ৪০টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। ঘন কুয়াশার মধ্যে তারা কাজ করছে। এ ছাড়া কপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য ড্রোনও উড্ডয়ন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কপ্টারটির হদিস মেলেনি। উল্লেখ্য, রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখান থেকে ফেরার সময় হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী কপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর সেটি থেকে জরুরি ফোনকল এসেছিল। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোন করেছিলেন। ওই হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলি আল-হাশেম ছিলেন। তারা পূর্ব আজারবাইজান জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন করে ফিরছিলেন। প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজানের সঙ্গে যৌথভাবে এ জলাধার প্রকল্প তৈরি করা হয়। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গতকাল এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে ফেরার পথেই এ দুর্ঘটনার খবর আসে। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ওই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছিল। কথা চলার মধ্যেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাইসির ওই হেলিকপ্টারের সঙ্গে আরও দুটি হেলিকপ্টার ছিল। সেগুলো অক্ষত রয়েছে। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি কোন ধরনের ছিল, তা এখনো জানা যায়নি। ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের সময়েরও আগের। ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলি রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ৪০টি উদ্ধারকারী দল ছাড়াও আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
১৬ ঘণ্টা আগে

ইরানে বিরল ‘মাছবৃষ্টি’, আকাশ থেকে পড়ছে জীবিত মাছ
ভারী বর্ষণের সঙ্গে উপর থেকে পড়ছে মাছ। বাতাসের সঙ্গে উড়ে আসছে এগুলো। কিছু মাছ এখনও জীবিত। মাটিতে পড়ে ছটফট করছে। হ্যাঁ! মাছবৃষ্টি। সম্প্রতি এ ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  সোমবার অবাক করা এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ইরানের ইয়াসুজ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির সঙ্গে রাস্তায় পড়া মাছগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছেন মানুষজন।  স্থানীয় পৌর প্লাজার কাছ থেকে এক ব্যক্তির করা ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু মাছ। এর মধ্যেই উপর থেকে পড়ছে আরও। ভিডিওকারী ব্যক্তি নিজেই মাটি থেকে একটি মাছ তুলেছেন, সেটি নড়াচড়া করছে। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এ ঘটনায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ঘটে যখন একটি টর্নেডো সমুদ্রের পানির ওপর দিয়ে যায়। টর্নেডোর প্রচণ্ড শক্তি পানির সঙ্গে ব্যাঙ, কাঁকড়া বা মাছ তুলে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যায়। এরপর সেগুলো কোনো জায়গায় বৃষ্টির সঙ্গে নিচে এসে পড়ে। ইরানেও তাই হয়েছে। মাছবৃষ্টির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ ও ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সারকানা ও ক্যালিফোর্নিয়ার অরভিলেও মাছবৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস 
০৯ মে, ২০২৪

জীবিত থেকেও মৃত রুস্তম আলী
ফরিদপুরের নগরকান্দার চরযশোরদি ইউনিয়নের আশফোরদী গ্রামের রুস্তম আলী মীর একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ৮১ বছর বয়সী রুস্তম আলী মীরকে ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বাস্তবে জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি এখন মৃত। এ ছাড়া শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারিভাবে থেকে পেতেন প্রতিবন্ধী ভাতা। জীবিত এ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটিও বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। ফলে গত চার বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী। এ বিষয়ে রুস্তম আলীর কন্যা মোসা. রোকসানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।   পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করায় সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল হওয়ায় আর্থিক সংকটে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন । প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী মীর কালবেলাকে বলেন, আমি জীবিত থাকতেই আমাকে মৃত দেখানোর কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। আমি কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি না। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো হয়েছে। আর আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করেছে তারা।  কারা করেছে এ কাজ? এর জবাবে বৃদ্ধ রুস্তম আলী বলেন, আমার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীরের যোগসাজশে মুকন্দপুট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি টাকার বিনিময়ে আমাকে মৃত দেখিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করেছে ওরা। এতে আমি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার ক্ষতি যারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার ক্ষতিপূরণ চাই। স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশি কুদ্দুস আলীর মীরের তথ্যের ভিত্তিতে রুস্তম তাকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। এখানে আমার কোনো ত্রুটি নেই। প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীর ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনি না। শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি আমার কাছে তথ্য নিতে আসেনি। রুস্তম আলী মীরের সম্পর্কে আমি এ ধরনের কোনো তথ্য তাকে দেইনি।  উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলের জন্য মূলত এমনটি হয়েছে। যা একটা বড় গাফেলতি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।  নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুস্তম আলী মীরের মেয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষযটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

জীবিত থেকেও মৃত রুস্তম আলী
ফরিদপুরের নগরকান্দার চরযশোরদি ইউনিয়নের আশফোরদী গ্রামের রুস্তম আলী মীর একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ৮১ বছর বয়সী রুস্তম আলী মীরকে ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বাস্তবে জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি এখন মৃত। এ ছাড়া শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারিভাবে থেকে পেতেন প্রতিবন্ধী ভাতা। জীবিত এ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটিও বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। ফলে গত চার বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী। এ বিষয়ে রুস্তম আলীর কন্যা মোসা. রোকসানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।   পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করায় সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল হওয়ায় আর্থিক সংকটে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন । প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী মীর কালবেলাকে বলেন, আমি জীবিত থাকতেই আমাকে মৃত দেখানোর কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। আমি কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি না। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো হয়েছে। আর আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করেছে তারা।  কারা করেছে এ কাজ? এর জবাবে বৃদ্ধ রুস্তম আলী বলেন, আমার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীরের যোগসাজশে মুকন্দপুট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি টাকার বিনিময়ে আমাকে মৃত দেখিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করেছে ওরা। এতে আমি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার ক্ষতি যারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার ক্ষতিপূরণ চাই। স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশি কুদ্দুস আলীর মীরের তথ্যের ভিত্তিতে রুস্তম তাকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। এখানে আমার কোনো ত্রুটি নেই। প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীর ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনি না। শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি আমার কাছে তথ্য নিতে আসেনি। রুস্তম আলী মীরের সম্পর্কে আমি এ ধরনের কোনো তথ্য তাকে দেইনি।  উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলের জন্য মূলত এমনটি হয়েছে। যা একটা বড় গাফেলতি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।  নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুস্তম আলী মীরের মেয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষযটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

জীবিত থেকেও মৃত রুস্তম আলী
ফরিদপুরের নগরকান্দার চরযশোরদি ইউনিয়নের আশফোরদী গ্রামের রুস্তম আলী মীর একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ৮১ বছর বয়সী রুস্তম আলী মীরকে ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বাস্তবে জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি এখন মৃত। এ ছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সরকারিভাবে থেকে পেতেন প্রতিবন্ধী ভাতা। জীবিত এ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় তার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটিও বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। ফলে গত চার বছর ধরে ভাতাবঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী। এ বিষয়ে রুস্তম আলীর কন্যা মোসা. রোকসানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।   পরিবারের অভিযোগ, জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করায় সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল হওয়ায় আর্থিক সংকটে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন । প্রতিবন্ধী রুস্তম আলী মীর কালবেলাকে বলেন, আমি জীবিত থাকতেই আমাকে মৃত দেখানোর কারণে আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে দিয়েছে সমাজসেবা অফিস। আমি কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারি না। ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো হয়েছে। আর আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করেছে তারা।  কারা করেছে এ কাজ? এর জবাবে বৃদ্ধ রুস্তম আলী বলেন, আমার প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী মীরের যোগসাজশে মুকন্দপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি টাকার বিনিময়ে আমাকে মৃত দেখিয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করেছে ওরা। এতে আমি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমার ক্ষতি যারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার ক্ষতিপূরণ চাই। স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশী কুদ্দুস আলীর মীরের তথ্যের ভিত্তিতে রুস্তম তাকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দেওয়া হয়েছিল। আমি নিয়ম মেনেই কাজ করেছি। এখানে আমার কোনো ত্রুটি নেই। প্রতিবেশী কুদ্দুস আলী মীর ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, স্কুলশিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনি না। শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি আমার কাছে তথ্য নিতে আসেনি। রুস্তম আলী মীরের সম্পর্কে আমি এ ধরনের কোনো তথ্য তাকে দেইনি।  উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলের জন্য মূলত এমনটি হয়েছে। যা একটা বড় গাফিলতি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।  নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রুস্তম আলী মীরের মেয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষযটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

জীবিত থেকেও ‘মৃত’ তারা
জীবিত থেকেও ভোটার আইডির মৃত তালিকায় নাম উঠেছে একই পরিবারের তিনজন নারীর। এতে করে ওই বিধবা ও বয়স্কা নারীরা সরকারি ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।  জামালপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের হিরণ্য বাড়ি এলাকায় ভুক্তভোগীদের বাড়ি।  ভুক্তভোগী নারীরা হলেন- আলমগীরের স্ত্রী মোছা. আঞ্জুয়ারা (৩৯), মৃত মেহার আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৬৪) ও মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. জাহানারা (৫২)। আঞ্জুয়ারা জানান, গত ৬ বছর যাবৎ ভোটার আইডি তালিকায় আমাকে মৃত দেখানো হয়। আমি ভোটার আইডিতে মৃত হওয়ায় আমার ছেলেমেয়েদের স্কুলের উপবৃত্তি করাতে পারছি না। এ ছাড়াও ভিজিডি, ভিজিএফ, টিসিবিসহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে সমস্যা হচ্ছে। আমি মৃত বলে আমার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পাইনি। আমি নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম। তবুও আমার আইডি তারা ঠিক করে দেয়নি। তারা এই এলাকার তথ্য সংগ্রহকারী শফিকুল মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। পরে আমি ভোটার আইডি ঠিক করার জন্য তাকে টাকাও দিয়েছি। তবুও সে ঠিক করে দেয়নি।  মরিয়ম বেগম বলেন, আমার স্বামী-সন্তান কেউ নেই। আমার বয়স ৬০ বছরের বেশি। আমি এখন কাজ করতে পারি না। সরকার একটি বিধবা ভাতার কার্ড দিয়েছিল। সেটিও আমি মৃত বলে বন্ধ করে দিয়েছে। গত ৮ বছর যাবৎ আমি মারা গেছি, এটাই ভোটার আইডিতে দেখায়। আমি সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাই না। আমি এবার ভোটও দিতে পারিনি। দয়া করে আপনারা আমার ভোটার আইডিটি ঠিক করে দিন। জাহানারা বলেন, গত ৭ বছর যাবত ভোটার আইডিতে আমাকে মৃত দেখানো হয়। আমি দিব্বি বেঁচে আছি। তারা কীভাবে আমাকে মৃত বানায় আমি বুঝি না। তাদের এই ভুলের কারণে আজ আমি এই ভোটার আইডি দিয়ে কিছুই করতে পারছি না। যেখানেই কোনো কিছুর জন্য যাই, তারাই বলে আপনার ভোটার আইডিতে আপনি মৃত। এই আইডি দিয়ে কোনো কাজই আপনি করতে পারবেন না। আইডি কার্ড ঠিক করার জন্য শফিকুল মাস্টারের পেছনে অনেক ঘুরেছি। সে এই কার্ডটি ঠিক করে দিচ্ছে না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম নিজের ভুলের দায় স্বীকার করে বলেন, এটা আমারই ভুল। আমি এজন্য অপরাধী। আমি এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাজ করে দেব। সাবেক ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন বলেন, ঐ সকল নারীদের মৃত দেখিয়ে তাদের সুবিধাভোগী বিধবা ভাতার কার্ড অন্যত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব কাজ আমার সময় হয়নি। বর্তমান ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা যখন ঘটেছে তখন আমি মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত ছিলাম না। এইটা দুর্নীতি করছে দুই ব্যক্তি। একজন হলেন সাবেক ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন, আরেকজন ভোটার তালিকা তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। ভোটার আইডি ও বিধবা কার্ডের বিষয়ে মহাদান ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে.এম আনিছুর রহমান জুয়েল বলেন, ভোটার আইডিতে তিনজনকে মৃত দেখালেও তারা এখনো জীবিত। যারা তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে তারাই এই ভুলটি করেছে।  জীবিত মরিয়ম বেগমকে মৃত বানিয়ে তার বিধবা ভাতার কার্ড বাতিল করে অন্যজনকে দেওয়ার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার ইউনিয়ন নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, তারা আমার কাছে আসলে আমি প্রথমেই তাদের আইডি কার্ডের বিষয়টি সমাধান করব। তারা যেন দ্রুত নাগরিক সেবা পান। এছাড়াও অভিযুক্ত তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ওই শিক্ষককে আমার স্টাফদের মাধ্যমে আসতে বলেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এর সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ভোটার আইডি ও বিধবা কার্ড প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার বলেন, তারা অফিসে এসে বললে এবং আবেদন করলে তাদের আইডি কার্ড সংশোধন ও বিধবা ভাতার বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

মরদেহ জীবিত হওয়ার গুজবে এলাকায় চাঞ্চল্য, অতঃপর...
মোর্শেদা আক্তার নামের এক ব্যক্তি নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মোর্শেদাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফনের উদ্দেশ্যে গোসল করান। এ সময় গোসলদানকারীর মনে সন্দেহ হয় মোর্শেদা আক্তার মারা যাননি। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান তার স্বজনরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ জামাল মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মোর্শেদা আক্তার (৩৮) জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ জামাল মাদবর কান্দি গ্রামের এস্কান্দার মাদবরের স্ত্রী। তিনি জাজিরা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ১০ বছর যাবৎ চাকুরী করেন। জানা যায়, সকালে মাথা ঘুরে পরে যান মোর্শেদা আক্তার। পরে তাকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরে তার স্বজনরা মোর্শেদা আক্তারের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে দুপুর ২টার দিকে গোসল করাতে নিয়ে যান। গোসলের দায়িত্ব নেন মোর্শেদার মা রোকেয়া বেগম। গোসলের পানি মোর্শেদার শরীরে দিতে গেলে রোকেয়া বেগম দেখতে পান পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, বুকের স্থানটা অনেক গরম অনুভব হচ্ছে। বিষয়টি অন্যান্যদের জানানো হলে তারা এসে মোর্শেদার প্রেশার পরিমাপ করেন। তাদেরও মনে হয় মোর্শেদা জীবিত থাকতে পারেন। পরে স্বজনরা মোর্শেদার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণাই করেন। কিন্তু প্রথমে মোর্শেদা জীবিত এমন খবরে জাজিরাসহ শরীয়তপুর জেলা জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। নিহত মোর্শেদা বেগমের বেয়াই ফারুক বেপারী কালবেলাকে বলেন, আমরা মোর্শেদা আক্তারকে জীবিত ভেবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসছিলাম। এখানকার ডাক্তারও তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। জাজিরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেকান্দর হাকিদার কালবেলাকে বলেন, মোর্শেদা আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জাজিরা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে তার স্বজনদের মনে হয় মোর্শেদা আক্তার জীবিত। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ঢাকার চিকিৎসকও মোর্শেদা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, নিহতের স্বজনদের অজ্ঞতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। কোনো মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার শরীরের রিলাক্স হওয়ার সময় মাসেল একটু নাড়াচাড়া করতেই পারে। এমনটা মেডিকেল সাইন্সেও বলা আছে। একটা মানুষের মৃত্যুর ডিসিশন দেওয়া এতটা সহজ নয়, আমরা আমাদের সকল চেকআপ শেষ করেই নিশ্চিত হয়েই বলেছি তিনি মৃত্যু বরন করেছেন। মূলত নিহতের স্বজনদের অজ্ঞতা ও গুজবের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্বামী জীবিত থাকলেও স্ত্রী ভোগ করছেন বিধবা ভাতা
স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বিধবা ভাতার সুবিধাভোগ করে আসছেন আনু বেগম নামের এক গৃহিণী। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভায় চাঁদগ্রাম ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।  সরেজমিনে দেখা যায়, আনু বেগমের স্বামী ফজল হক জীবিত। তারা একসঙ্গে একই বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। তার স্বামী এক মসজিদের মোয়াজ্জিন এবং খাদেম। পাশাপাশি তিনি নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন।  সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে তিনি যে সুবিধা ভোগ করে আসছেন তা কেবল বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তার স্বামী ফজল হক কালবেলাকে বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমি আমার স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমাদের চার মেয়ে দুই ছেলে। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার। তার বিধবা কার্ডের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ভেড়ামারা সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত  মাসিক ১৫০০ টাকা বিধবা ভাতা হিসেবে সে ব্যাংক থেকে তুলেছেন। পরবর্তীতে তা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তোলার পদ্ধতি চালু হয় বলে জানা যায়। এর আগে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে বইয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতেন। তার বই নাম্বার ২৩৪৫। এ বিষয়ে আনু বেগম বলেন, আমার বিধবা ভাতার কার্ড আছে। আমার স্বামীও জীবিত আছে। অল্প কিছুদিন ধরে আমি এই সুবিধা ভোগ করছি। সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর আমাকে এ কার্ড করে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুবিধাভোগীর পরিবার যথেষ্ট সচ্ছল ও তাদের দোতলা বাড়ি আছে। ছেলে এবং স্বামীর মাসিক আয়ও ভালো। দীর্ঘদিন ধরেই সে বিধবা ভাতা তুলছে। স্থানীয় কাউন্সিলর সবুজ বলেন, এ বইটা অনেক আগের বই। আমরাও এ বিষয়টা জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ইমদাদুল হক বিশ্বাস কালবেলাকে  বলেন, আনু বেগমের ব্যাপারে আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে খুব দ্রুতই তার বই বাতিল করা হবে। বইটি খুব সম্ভবত ২০১৮-১৯ সালের দিকে খোলা হয়েছে। আমি এখানে নতুন এসেছি। পরবর্তীতে আরও সতর্কতার সাথে কাজ করব।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি : জীবিত উদ্ধার ১০
বাল্কহেডের ধাক্কায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা রজনীগন্ধা নামের ছোট একটি ফেরি ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ফেরির চালকের সহকারী নিখোঁজ রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মো. সালাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরিটি ৯টি গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ফেরিটি মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল। সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এলে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

জীবিত নবজাতক রেখে দেওয়া হলো মৃত বাচ্চা!
কুমিল্লার চান্দিনায় এক প্রসূতি মায়ের জীবিত নবজাতক বদলে অন্যের মৃত বাচ্চা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সদরের ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’-এর মালিকসহ নার্সদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মৃত শিশুর মরদেহ কবর থেকে দুই মাস পর উত্তোলন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলা সদরের মোকাববাড়ি কবরস্থান থেকে শিশুর মরদেহ উত্তোলন করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বিকেলে আবারও একই কবরে সমাধিত করা হয় শিশুর মরদেহ। এসময় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার।  জানা যায়, গত বছরের ১৫ নভেম্বর চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের থানগাঁও গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন আক্তারের প্রসব ব্যথা অনুভব হলে রাত ১টায় চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত ৩টায় অস্ত্রোপচারে ওই প্রসূতির পুত্র সন্তান জন্ম হয়। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিবারের লোকজন নবজাতককে দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই নবজাতক মৃত বলে জানায়। কিন্তু বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি প্রসূতির পরিবার।  ওই ঘটনায় প্রসূতির ভাই মো. কাউসার বাদী হয়ে গত ২০ নভেম্বর কুমিল্লা আদালতের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ‘চান্দিনা মা ও শিশু হাসপাতালের’ মালিক ও পরিচালক মাহাবুব মিয়াসহ পাঁচজন নার্সকে আসামি করা হয়।  মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন- ঘটনার দিন রাতে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর গভীর রাতে সিজার করা সম্ভব হবে না বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাত ৩টার দিকে রোগীর পরিবারের কারও কোনো অনুমতি ছাড়া এবং কোনো বিশেষজ্ঞ গাইনি ডাক্তারের উপস্থিতি ছাড়াই পারভীন আক্তারকে সিজার করানো হয়। অপারেশনের পর জীবিত পুত্র সন্তানকে দেখিয়ে ওই নবজাতক শিশুকে হাসপাতালের ভেতরের কক্ষে নিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর রোগীর স্বজনরা নবজাতককে দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় প্রসূতি মৃত সন্তান জন্ম দিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই প্রসূতির নবজাতক পুত্র সন্তান অন্যত্র পাচার করে অন্যকোনো প্রসূতির মৃত বাচ্চা প্রদান করেন।  এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কুমিল্লা পিবিআই-এ পাঠান। পুলিশ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট জরুরি মনে করে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য আদালতের অনুমতি চান। গত ১৬ ডিসেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ মরদেহ উত্তোলন করার অনুমতি দেয় আদালত।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুমিল্লা পিবিআই-এর উপপরিদর্শক মো. ইব্রাহিম জানান, রোববার চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার স্যারের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে আবারও একই স্থানে দাফন করি। মামলাটি আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। তবে আমাদের তদন্তের শুরুতে সুস্পষ্ট হয়েছি, চান্দিনার মা ও শিশু হাসপাতালটির কোনো অনুমোদন নেই।  এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চান্দিনা মা ও শিশু হাসপাতালের মালিক মাহবুব মিয়া বলেন, আমরা কারও বাচ্চা পরিবর্তন করিনি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট আছে। তারা যেহেতু মামলা করেছে, তাই আমরা পিবিআইয়ের মাধ্যমে আবেদন করেছি ডিএনএ টেস্ট করার জন্য। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরাও চাই বিষয়টি পরিষ্কার হোক। তবে আমরা কোনো ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেইনি।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X