সুস্থ হয়ে আকাশে ডানা মেলল আট শকুন
দেশে ৭টি জাতের শকুন রয়েছে। তবে কালের পরিক্রমায় এখন বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রায় শকুন পাখি। বিলুপ্ত প্রায় এই পাখিটি রক্ষা ও বংশ বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে শকুন উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।  সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর ও আইইউসিএন বাংলাদেশ যৌথভাবে এই কেন্দ্রে দিনাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে শকুন সংগ্রহ করে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। পরে অসুস্থ ও দুর্বল শকুনদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করার পর আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে এবং ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস উৎযাপন করা হয়। কেন্দ্রটি চালু করার পর থেকে এখানে প্রতি বছরে ১০ থেকে ১৫টি শকুন উদ্ধার করে আনা হতো। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ৮টি শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।  তাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৮টি শকুনকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ মো. বশিরুল আল মামুন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার মিসেস তাসলিমা খাতুন, সিংড়া শালবন জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ পাল, আইইউসিএন বাংলাদেশ সিনিয়র প্রোগ্রামার সহকারী সাকিব আহমেদ, কাজী জেনিফার আজমেরী। এ ব্যাপারে আইইউসিএন বাংলাদেশ সিনিয়র প্রোগ্রামার সহকারী সাকিব আহমেদ বলেন, ২০১২ সালে উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রটি স্থাপন করার পর এ পর্যন্ত মোট ১৫৬টি শকুনকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করার পর আবার প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। গত বছর অবমুক্ত করা শকুনের মধ্যে ৩টি শকুনকে স্যাটেলাইট ট্রাকিংয়ের আওতায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে তিব্বত, চায়না এবং নেপালে তারা অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এবার ৮টি শকুনের মধ্যে ৩টি শকুনকে স্যাটেলাইট ট্রাকিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। যা থেকে আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারব। দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। এ কারণে এই এলাকায় এখনো কিছু শকুন দেখা যায়। অনেক সময় এগুলো অতিথি হয়ে আসে। এই শকুনগুলো অনেক দূর থেকে আমাদের দেশে আসার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে তারা মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে এই কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১৫৬টি শকুন সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ এলাকার মানুষ যদি সচেতন হয় এবং সহযোগিতা করে তাহলে উদ্ধারকৃত শকুন পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

দুই বিঘা জমিজুড়ে ডানা মেলেছে শতবর্ষী বটবৃক্ষ
দুই বিঘা জমিজুড়ে ডালপালা বিছিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী বটগাছ। এই গাছটির নিচে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনা করেন। গাছটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন। শতবর্ষী এ বটগাছের অবস্থান ছোট যমুনা নদীর কোল ঘেষে গড়ে ওঠা দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে। পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বিরামপুর-ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন বারিন্দ্রনাথ সরকারের জমিতে বটবৃক্ষটি দুই বিঘা জমিজুড়ে ডানা মেলেছে। স্থানীয় মজিদনগর কারিগরি ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা কলেজের প্রভাষক কালীপ্রসন্ন সরকার বলেন, ‘ছোট থেকেই আমি শুনেছি যে আমার ঠাকুর দাদারা এই গাছটি রোপণ করেছেন। পারিবারিক জায়গা জমি বণ্টনের পর এই প্রাচীন বটগাছটি আমার বাবা বারীন্দ্রনাথ সরকারের অংশে পড়ে। সেই সূত্রে জমি এবং বটগাছটির উত্তরাধিকার আমরা।  তিনি বলেন, লোকমুখে শুনেছি, আমার পরিবারের তিন প্রজন্মের কাছে গাছটির বয়স নাকি শত বছর পেরিয়েছে। গাছটির উত্তর অংশে শারদীয় দুর্গামন্দির স্থাপন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনার পাশাপাশি এখানে একটি মেলা বসান। গাছটির চারপাশে ডালপালা মেলে ধরায় স্থানটি বেশ শীতল। দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল সরেন বলেন, ‘আমি ছোট থেকে বটগাছটি দেখছি। ধীরে ধীরে শাখা-প্রশাখা চারপাশে ছড়িয়েছে। গাছটি আমাদের এলাকার সম্পদ। গাছটিকে দেখার জন্য দূর থেকে বিভিন্ন বয়সের লোকজন আসেন। আমরা এখানে পূজা-অর্চনা করি।’ বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, এটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো বটগাছ। গাছটির বয়স ১০০ বছর পেরিয়েছে। দুই বিঘা জমিজুড়ে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি। এটিকে দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসেন। এখানে পূজা-অর্চনা করের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
২৪ মার্চ, ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসনভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ / শান্তির আবাহনেই ডানা মেলেছে আজাদের ঈগল
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে জয় পেয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ. কে. আজাদ। গত রোববারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার কাছে হেরেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকার প্রার্থী শামীম হক। এ জয়-পরাজয় নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা, চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে বিষয়টি নিয়ে রয়েছে দুপক্ষের ভিন্নমত। আজাদপন্থিরা মনে করেন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত ফরিদপুর গড়ে তোলার আহ্বানে সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে। শান্তির আবাহনেই মানুষ আন্দোলিত হয়ে গণরায় দিয়েছে এ. কে. আজাদকে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকায় ঈগলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলায় ভোটাররা নৌকার প্রার্থীকে বর্জন করেছেন। এ. কে. আজাদ পক্ষের কয়েকজন নির্বাচন পরিচালনাকারী জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চারপাশে কিছু অপরাধী ও সন্ত্রাসী থাকে। তাদের কারণে মানুষ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর গণরায়ে এ. কে. আজাদের জয় হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ সঠিক মনে করেন না শামীমপন্থিরা। গতকাল দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচন-পরবর্তী মতবিনিময় সভা করে জেলা কমিটি। সেখানে নৌকার কর্মীদের নানা ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তোলা হয়। এতে শামীম হক বলেন, প্রশাসন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকার পরাজয় নিশ্চিত করেছে। প্রশাসনের যারা নৌকা হারাতে ভূমিকা রেখেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। এ আসনে নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ. কে. আজাদ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী শামীম হক ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট পেয়েছেন।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসনভিত্তিক ফল বিশ্লেষণ / শান্তির আবাহনেই ডানা মেলেছে আজাদের ঈগল
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে জয় পেয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ. কে. আজাদ। গত রোববারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার কাছে হেরেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকার প্রার্থী শামীম হক। এ জয়-পরাজয় নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা, চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে বিষয়টি নিয়ে রয়েছে দুপক্ষের ভিন্নমত। আজাদপন্থিরা মনে করেন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত ফরিদপুর গড়ে তোলার আহ্বানে সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে। শান্তির আবাহনেই মানুষ আন্দোলিত হয়ে গণরায় দিয়েছে এ. কে. আজাদকে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকায় ঈগলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলায় ভোটাররা নৌকার প্রার্থীকে বর্জন করেছেন। এ. কে. আজাদ পক্ষের কয়েকজন নির্বাচন পরিচালনাকারী জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চারপাশে কিছু অপরাধী ও সন্ত্রাসী থাকে। তাদের কারণে মানুষ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর গণরায়ে এ. কে. আজাদের জয় হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ সঠিক মনে করেন না শামীমপন্থিরা। গতকাল দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচন-পরবর্তী মতবিনিময় সভা করে জেলা কমিটি। সেখানে নৌকার কর্মীদের নানা ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তোলা হয়। এতে শামীম হক বলেন, প্রশাসন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকার পরাজয় নিশ্চিত করেছে। প্রশাসনের যারা নৌকা হারাতে ভূমিকা রেখেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। এ আসনে নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ. কে. আজাদ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী শামীম হক ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট পেয়েছেন।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

নরসিংদীর চার আসনেই ডানা ঝাপটাচ্ছে ঈগল
লটকন, সাগর কলা ও তাঁতের জন্য বিখ্যাত নরসিংদী জেলা। এক সময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জেলার পাঁচটি আসনেই ১৯৯১ সালে জয় পায় ধানের শীষ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও তিনটি আসন পায় বিএনপি। ২০০১ সালে রায়পুরার আসন বাদে সব আসনে জয় পান ধানের শীষের প্রার্থীরা। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ঘুরে যায় হাওয়া। সেই নির্বাচনে সব আসনই ঘরে তোলে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপিবিহীন নির্বাচনে তিনটি আসনে নৌকা ও দুটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন। দুটি আসনে ভোটের প্রয়োজন হয়নি। এই তিন আসনের দুটিতে নৌকা হেরেছিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের অনেক হিসাব-নিকাশই পাল্টে গেছে। এবার বিএনপি-জামায়তসহ সমমনা অন্য রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি। ফলে ভোটের মাঠে লড়াই হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগে। একদিকে দল মনোনীত নৌকার প্রার্থী, অন্যদিকে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ কারণে জেলা আওয়ামী লীগও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সভাপতি আছেন নৌকার পক্ষে আর সাধারণ সম্পাদক কাজ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পক্ষে। এ নিয়ে চলছে বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কার। ৭ জানুয়ারির ভোট গ্রহণ ঘিরে সংঘাতেরও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ‘নৌকার সমর্থকরা পালানোর সুযোগ পাবে না’—সম্প্রতি এমন বক্তব্য দেওয়ায় জেলার মাধবদী উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামকে গত ২৬ ডিসেম্বর অব্যাহতি দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন। সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী এক চিঠি দিয়ে জানান, সিরাজুল ইসলাম স্বপদে বহাল আছেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধ ছাড়াও আরও নানা ইস্যুতে দ্বন্দ্ব রয়েছে দলের অভ্যন্তরে। এ কারণে দলের অনেক নেতাই ঝুঁকে পড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে। ফলে নরসিংদীর পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতেই এবার নৌকা কঠিন পরীক্ষায় পড়তে যাচ্ছে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঈগল প্রতীক ডানা ঝাপটানো শুরু করেছে। তবে উড়তে পারবে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। নরসিংদী-১ (সদর): এ আসনে এবারও নৌকার প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (ঈগল প্রতীক) তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, নজরুল ইসলাম হিরু সৎ মানুষ হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। তার পরও গত ১৫ বছর তিনি এলাকার সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোনো অ্যাকশনে যেতে পারেননি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুলকে তিনি হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, ছিনতাই ও ধর্ষণ মামলার আসামি বলে বিভিন্ন সময় নানা কটূক্তি করে আসছেন। অথচ সেই কামরুল এক সময় তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকেই দুবার পৌর মেয়র হয়েছেন। এখন দিন যত যাচ্ছে গুরু-শিষ্যের এই লড়াই আরও তীব্র হচ্ছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, বহুল আকাঙ্ক্ষিত শেখ হাসিনা সেতু নির্মিত হওয়ায় চরাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অবস্থান শক্ত হয়েছে। এতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। নরসিংদী-২ (পলাশ ও সদরের একাংশ): এ আসনে এবার ভোটের তেমন উত্তাপ নেই। বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ আবারও নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আরও তিনজন। তারা হলেন মাসুম বিল্লাহ, স্বতন্ত্র (ঈগল); রফিকুল আলম সেলিম, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) ও আফরোজা সুলতানা, স্বতন্ত্র (দোলনা)। তবে এই তিনজনের একজনকেও ভোটের মাঠে সক্রিয় দেখা যায়নি। নরসিংদীর পাঁচটি আসনের মধ্যে এই একটিতেই নৌকা অনেকটা নির্ভার। নরসিংদী-৩ (শিবপুর): ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান। বর্তমান সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঞা মোহন দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ভোটের লড়াই থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তবে তার অনুসারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বির চাচা শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান গত ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এর আগে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন রাব্বির বাবা সাবেক সংসদ সদস্য রবিউল আলম খান কিরণ। পরিবারটিকে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার করতেই প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। নরসিংদী-৪ (মনোহরদী ও বেলাব): এ আসনে চারজন প্রার্থী রয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এবার এ আসনে নৌকার প্রায় ডুবো ডুবো অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা। মনোহরদী উপজেলা পরিষদের পাঁচবারের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম খান বীরু ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বীরুর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এলাকার ভোটাররা। নরসিংদী-৫ (রায়পুরা): এ আসনে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজুর প্রতিদ্বন্দ্বী এবার আটজন। এ আসনে রয়েছে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ। দলের একটা বড় অংশ রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীর (ঈগল প্রতীক) হয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে রাজি উদ্দিন প্রায় অসুস্থ থাকায় ভোটের প্রচারেও খুব একটা নামতে পারছেন না। তবে প্রচার চালাচ্ছেন তার অনুসারীরা। উপজেলার চরাঞ্চলের নিলক্ষা ইউনিয়নের নিলক্ষা গ্রামের কৃষক রহমত উল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে এ এলাকার মানুষ ঈগলেই ভোট দেবে।’
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

পাখির মতো ডানা মেলেছে বাংলাদেশ
হেডলাইন কি একটু বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে! কিন্তু বছর ঘুরে দেখলে হয়তো সেটা মনে হওয়ার কথা নয়। এ বছর এখন পর্যন্ত খেলা ৯টি টি-টোয়েন্টির ৮টিতে জিতেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ এবং নিউজিল্যান্ডে প্রথমবার জেতা—সবকিছু যেন বলছে, পাখির মতো নির্ভার উড়ছে বাংলাদেশ। অন্তত টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ডই সে কথা বলে। সে কারণেই হয়তো কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জের সামনেও চাপমুক্ত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সহকারী কোচ নিক পোথাস বলছেন, চ্যালেঞ্জ উপভোগ করছে তার দল। নেপিয়ার থেকে মাউন্ট মঙ্গানুই—আকাশপথে দূরত্ব ২৮৯ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ভ্রমণের মতোই সময় লাগার কথা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সে কারণেই অনুশীলন না করে বিশ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে এগিয়ে থাকার অ্যাডভান্টেজও বলা যায়। গতকাল বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় পোথাস বলেছেন, ‘আজ (গতকাল) লম্বা ভ্রমণ হলো। এমন সূচিতে অভ্যস্ত থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের দায়িত্ব। আপনি অনুশীলন করছেন কি না, তা জরুরি নয়, বিশ্রাম নেওয়াটা জরুরি।’ ম্যাচের আগের দিন নেটে প্রস্তুতি নিতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকাকেই বেশি প্রাধান্য দিতে চায় বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট। পোথাসই বলছেন সে কথা, ‘সব সময় ম্যাচের আগে প্রস্তুতি নিতেই হবে, এমন নয়।’ তিন ম্যাচের সিরিজে এরই মধ্যে ১-০-তে এগিয়ে বাংলাদেশ। যে দেশে আগে খেলা ৯ ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার সেখানেই সিরিজ জয়ের হাতছানি দিচ্ছে টাইগারদের। পোথাস বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেদের আগের উদ্যম নিয়েই নামতে হবে। আপনি যে বল মোকাবিলা করছেন, শুধু সেটা নিয়েই ভাবতে পারেন। পরের দুই বল কী হবে, তা ভাবতে পারবেন না। কারণ ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নেই। আমরা তাই বর্তমান নিয়েই ভাবছি।’ কিউইদের সমীহ করেই নিজেদের আত্মবিশ্বাসী ভাবছেন পোথাস, ‘আমরা অবশ্যই সেরা ফলাফলটা পেতে চাই। তবে ভুলে যাবেন না, তারা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল।’ সিরিজ জয়ের চ্যালেঞ্জ উপভোগ করছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এই চ্যালেঞ্জটা আমরা উপভোগ করছি। আমরা কিন্তু ৫ উইকেটে জিতেছি (প্রথম ম্যাচ)। টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটের জয়, বড় জয়। এই ছেলেরা যদি আগামী দু-তিন বছর খেলতে থাকে, দেখিয়ে দেবে তারা কী করতে পারে।’ পোথাসের বিশ্বাস, এ দলটিই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। অবশ্য সেটা হওয়াটা অস্বাভাবিকও নয়। বছরের শুরুতে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও বলেছিলেন সে রকম কথা। ছয় মাসের ব্যবধানে ভিন্ন মানসিকতার দল তৈরির কথা বলেছিলেন তিনি। এক বছর পর সে পথেই আছেন তারা—পারফরম্যান্সই বলছে সে কথা।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্বাধীন আকাশে ডানা মেলল ৪২ টিয়া
মিরসরাইয়ে পাচারের সময় উদ্ধার ৪২টি দেশি জাতের টিয়া পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যানে পাখিগুলোকে খোলা আকাশে মুক্ত করে দেওয়া হয়।  বড়তাকিয়া বিট কর্মকর্তা মো. মামুন ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেজবাউল আলম মুন্না পাখিগুলো অবমুক্ত করেন। এর সোমবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বড়তাকিয়া এলাকায় পাচারের সময় উদ্ধার করে বড়তাকিয়া বিট কর্মকর্তারা।  বড়তাকিয়া বিট কর্মকর্তা মো. মামুন কালবেলাকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া এলাকায় কিছু খাঁচা দেখতে পাই। তখন স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করে এগুলো কার তারা বলে আমরা জানি না। পরে আমি খাঁচার ভেতরে থাকা প্লাস্টিকের ভেতরে দেখতে দেশি জাতের ৪২টি টিয়া পাখি। তখন এগুলো উদ্ধার করে আমার হেফাজতে নিয়ে যাই। মঙ্গলবার সকালে এগুলো বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।  তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে টিয়াগুলো পাচারকারী চক্রের সদস্যরা পাচারের জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া একইদিন রাতে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের দুয়ারু এলাকা থেকে তিনটি গোখরা সাপ উদ্ধার করে বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

ডানা স্কালি হতে চেয়েছিলেন রুম্মান চৌধুরী
এআই ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য বিশ্বসেরা ১০০ জনের নাম ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী ম্যাগাজিন টাইম। এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন রুম্মান চৌধুরী। লিখেছেন টুসী বোস। ছোট থেকেই শক্তিশালী নারী চরিত্রের অধিকারী হতে চেয়েছিলেন রুম্মান চৌধুরী। তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল বিজ্ঞানের কল্পকাহিনির নারী চরিত্রগুলো। নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি বিশেষ প্রজন্মের একজন, টিভি শোতে বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনির শক্তিশালী নারী চরিত্রগুলো দেখে বড় হয়েছি। এ চরিত্রগুলো নব্বইয়ের দশকে স্কুল ও কলেজের অনেক মেয়েকে প্রভাবিত করেছিল। এটাকে ‘ডানা স্কালি ইফেক্ট’ বলা হয়—আমি ডানা স্কালি হতে চাইতাম। কারণ তিনি পুরুষশাসিত সমাজের একজন শক্তিশালী নারী ছিলেন। যিনি পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নারীত্বের সঙ্গে আপস করেননি। রুম্মান চৌধুরী জন্ম ১৯৮০ সালে নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে। ছয় বছর ধরে তিনি নৈতিক, ব্যাখ্যাযোগ্য এবং স্বচ্ছ এআইর জন্য অত্যাধুনিক সামাজিক-প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরিতে কাজ করছেন। ড. রুম্মান চৌধুরী হিউম্যান ইন্টেলিজেন্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইওর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারের মেটা বা এমইটিএ (এমএল এথিকস, ট্রান্সপারেন্সি, অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি) দলের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। রুম্মান চৌধুরী একজন ডেটা সায়েন্টিস্ট। সোশ্যাল সায়েন্টিস্ট এবং অ্যালগরিদমিক নৈতিকতা নিয়ে কাজ করছেন তিনি। মূলত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এআইবিষয়ক অ্যালগরিদমিক ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত ও তা কমিয়ে আনতে ফলিত গবেষক এবং প্রকৌশলীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। গার্ডিয়ানকে ড. রুম্মান বলেন, তার কাজ ডাটার মাধ্যমে মানুষকে বোঝার সঙ্গে সম্পর্কিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী থেকে ডাটা সায়েন্টিস্ট। কীভাবে সম্ভব? রুম্মান চৌধুরীকে প্রায়ই এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তার মতে, দুটি ক্ষেত্র প্রায় একইরকম। এ দুই ক্ষেত্রই আচরণগত নমুনা নিয়ে কাজ করা হয়। রুম্মান সবসময়ই আগ্রহী ছিলেন মানুষ ও ডাটা নিয়ে কাজ করতে এবং কীভাবে এ দুটিকে সংযুক্ত করতে হয় তা বুঝতে। তার মতে, মডেল, ডাটা এবং অ্যালগরিদম ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসাগুলোকে তাদের গ্রাহকদের বুঝতে এবং অফারগুলোকে উন্নত করতে সহায়তা করাই ডাটা সায়েন্সের উদ্দেশ্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পটভূমি থেকে ডাটা সায়েন্সে এসেছি আমি। এ পটভূমি আমাকে মানবতা এবং এর অগোছালোতার দিকে নজর রেখে ডাটার কাছে যেতে শিখিয়েছে। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে গিয়েছিলেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক পড়তে; কিন্তু গবেষণাগারে প্রবেশের পর উপলব্ধি করেন, বিষয়টি তার জন্য নয়। পরিবেশ ছিল খুবই নির্জন। বুঝলেন, তার ক্ষমতা মানুষকে বোঝার মধ্যে নিহিত। আর এটা তিনি গাণিতিকভাবে করতে চেয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি ক্লাস নেওয়ার পরই পথের সন্ধান পান। কলেজের পর পাবলিক পলিসি এবং অলাভজনক ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি জানতেন, মডেল এবং ডাটা আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। সে কারণেই কোয়ান্টিটিভ মেথডে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে কলাম্বিয়ায় যান। এরপর অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেন। ক্ষেত্র বড় না হলেও কাজে করেছেন ডাটা সায়েন্স নিয়েই। পরে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মুক্তাকাশে ডানা মেলল শিকারির ফাঁদে আটকা অর্ধশতাধিক বক
নাটোরের গুরুদাসপুরে শিকারির ফাঁদে আটকা পড়া অর্ধশতাধিক বক পাখিকে মুক্তাকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।  শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) কাক ডাকা ভোরে উপজেলার কান্টাগাড়ি বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে শিকারিদের ধরতে অভিযানে যায় উপজেলার পাখিপ্রেমী একটি যুব সংগঠন।  অভিযানে ৫টি পাখি শিকার করা ফাঁদ (কিল্লা ঘর) ধ্বংস ও প্রায় অর্ধশতাধিক বক উদ্ধার করেন তারা। উদ্ধার করা বক পাখিগুলো মুক্তাকাশে ছেড়ে দিয়ে আটক শিকারিদের জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। পরে আর কখনো পাখি শিকার করবে না এ শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।    পাখিপ্রেমী সংগঠনের আহ্বায়ক মো. মিলন প্রামাণিক বলেন, শীত না আসতেই উপজেলাজুড়ে চলছে পাখি শিকারের মহোৎসব। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন থেকেই যদি এলাকাভিত্তিক কমিটি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসনের পক্ষে অবৈধ পাখি শিকার বন্ধ করা সহজ হবে।  সংগঠনের সদস্য শাকিল, আকাশ, জাহিদ ও আরিফুল ইসলাম জানান, আমরা প্রতিদিন ভোরে উঠি। উঠেই পাকা রাস্তা দিয়ে না হেঁটে জমি দেখার ছলে বিলের মধ্যে প্রবেশ করি। কিছু সময় পালিয়ে থাকি তার পর ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই পাখি শিকারিদের আস্তানা দেখতে পাই। তখন চুপিসারে গিয়ে ধরে ফেলি। অনেক সময় টের পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়েও যায় শিকারিরা। শিকার করা পাখিগুলো স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। অনেক সময় প্রশাসনের ভয়ে গোপনে বাসাবাড়ির মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্রি দেওয়া হয়। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও যেসব অসাধু ব্যক্তি পাখি শিকার করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তা ছাড়াও পৌর সদরের বিভিন্ন মাঠে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হবে। এই পাখিপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে ভালো কাজের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দেন।  
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রকাশ্যে মেঘদলের অ্যালুমিনিয়ামের ডানা
দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের তৃতীয় অ্যালবামের কাজ করে আসছে ব্যান্ড মেঘদল। গত এপ্রিলে ব্যান্ডটির ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে তখনই তারা জানিয়েছিল, তৃতীয় অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত ‘অ্যালুমিনিয়ামের ডানা’ প্রকাশ পাচ্ছে শিগগির। এবার আর অপেক্ষা নয়, গতকালই ভিডিও আকারে উন্মুক্ত হয়েছে গানটি। নতুন গানটি প্রসঙ্গে ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট শিবু কুমার শীল বলেন, “গানের লিরিক অনেক আগে লেখা ছিল, গান করা হয়নি। আমাদের ‘অ্যালুমিনিয়ামের ডানা’ অ্যালবামের ধারণা এ গানের মাধ্যমে হাজির করছি। ধারণার সঙ্গে গানের সংগতি খুঁজে পাওয়ায় গানটি করছি।” প্রসঙ্গত, ‘অ্যালুমিনিয়ামের ডানা’ মেঘদলের তৃতীয় অ্যালবাম। এর আগে এ অ্যালবামের ছয়টি গান প্রকাশ পেয়েছে। বছরখানেক আগে প্রকাশিত এ অ্যালবামের গান ‘এ হাওয়া’ শ্রোতামহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়। এবার প্রকাশ্যে এলো অ্যালবামটির শিরোনাম সংগীত। প্রায় পাঁচ বছর ধরে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে একটি করে নতুন অ্যালবামের গান মুক্তি দিচ্ছে ব্যান্ডটি। এ নিয়ে তৃতীয় অ্যালবামের ছয়টি গান প্রকাশ পেয়েছে।
১৯ আগস্ট, ২০২৩
X