বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সুস্থ হয়ে আকাশে ডানা মেলল আট শকুন

চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করা হচ্ছে শকুন। ছবি : কালবেলা
চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করা হচ্ছে শকুন। ছবি : কালবেলা

দেশে ৭টি জাতের শকুন রয়েছে। তবে কালের পরিক্রমায় এখন বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রায় শকুন পাখি। বিলুপ্ত প্রায় এই পাখিটি রক্ষা ও বংশ বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছে শকুন উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।

সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর ও আইইউসিএন বাংলাদেশ যৌথভাবে এই কেন্দ্রে দিনাজপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে শকুন সংগ্রহ করে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। পরে অসুস্থ ও দুর্বল শকুনদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করার পর আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০১২ সালে উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে এবং ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস উৎযাপন করা হয়। কেন্দ্রটি চালু করার পর থেকে এখানে প্রতি বছরে ১০ থেকে ১৫টি শকুন উদ্ধার করে আনা হতো। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ৮টি শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

তাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৮টি শকুনকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ মো. বশিরুল আল মামুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার মিসেস তাসলিমা খাতুন, সিংড়া শালবন জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ পাল, আইইউসিএন বাংলাদেশ সিনিয়র প্রোগ্রামার সহকারী সাকিব আহমেদ, কাজী জেনিফার আজমেরী।

এ ব্যাপারে আইইউসিএন বাংলাদেশ সিনিয়র প্রোগ্রামার সহকারী সাকিব আহমেদ বলেন, ২০১২ সালে উত্তরবঙ্গের একমাত্র শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রটি স্থাপন করার পর এ পর্যন্ত মোট ১৫৬টি শকুনকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করার পর আবার প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। গত বছর অবমুক্ত করা শকুনের মধ্যে ৩টি শকুনকে স্যাটেলাইট ট্রাকিংয়ের আওতায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে তিব্বত, চায়না এবং নেপালে তারা অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এবার ৮টি শকুনের মধ্যে ৩টি শকুনকে স্যাটেলাইট ট্রাকিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। যা থেকে আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারব।

দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. বশিরুল আল মামুন বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। এ কারণে এই এলাকায় এখনো কিছু শকুন দেখা যায়। অনেক সময় এগুলো অতিথি হয়ে আসে। এই শকুনগুলো অনেক দূর থেকে আমাদের দেশে আসার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে তারা মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে এই কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার পর আবার প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ পর্যন্ত ১৫৬টি শকুন সুস্থ অবস্থায় প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ এলাকার মানুষ যদি সচেতন হয় এবং সহযোগিতা করে তাহলে উদ্ধারকৃত শকুন পুনর্বাসন কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি

তারের পর এবার চুরি হলো সেতুর রিফ্লেক্টর লাইট

‘এবার আমাদের পালা’ স্বরূপ আচরণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে : টিআইবি

ভূমি অধিগ্রহণে আটকে আছে ইউলুপ, ইউটার্নে মরছে মানুষ!

কনে দেখতে যাওয়ার পথে নৌকাডুবি : নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার

থাইল্যান্ডের ক্লাবে আবার ভাইরাল ‘কাঁচা বাদাম গার্ল’ অঞ্জলি

চাকসুতে সমকামিতা সমর্থক ও মাদকাসক্তদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১০ শয্যার এইচডিইউ উদ্বোধন

এবার তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

১০

রাকসুতে প্রথম দিনে ৫ জনের মনোনয়ন সংগ্রহ 

১১

ফিলিস্তিনিদের ৩০০০ জলপাই গাছ উপড়ে ফেলল ইসরায়েলি বাহিনী

১২

দেশে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে : টুকু

১৩

ভারতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা ১৪ দিনের জেল হেফাজতে

১৪

বিয়ের আসরেই ১৫ লাখ টাকা খোয়ালেন বর

১৫

ডিজিটাল ব্যাংক খুলতে লাগবে কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা

১৬

ইউল্যাবে অনুষ্ঠিত হলো বৃহত্তম মার্কেটিং সামিট 

১৭

থানার ব্যারাকে ধর্ষণের শিকার সেই নারী সতীনের সংসার করতে চান

১৮

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইসহাক দারের সাক্ষাতে রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি : ডা. জাহিদ

১৯

‘পরিবেশ সংরক্ষণ করেই মাছ উৎপাদন করতে হবে’

২০
X