নাটোরের গুরুদাসপুরে শিকারির ফাঁদে আটকা পড়া অর্ধশতাধিক বক পাখিকে মুক্তাকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) কাক ডাকা ভোরে উপজেলার কান্টাগাড়ি বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে শিকারিদের ধরতে অভিযানে যায় উপজেলার পাখিপ্রেমী একটি যুব সংগঠন।
অভিযানে ৫টি পাখি শিকার করা ফাঁদ (কিল্লা ঘর) ধ্বংস ও প্রায় অর্ধশতাধিক বক উদ্ধার করেন তারা। উদ্ধার করা বক পাখিগুলো মুক্তাকাশে ছেড়ে দিয়ে আটক শিকারিদের জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। পরে আর কখনো পাখি শিকার করবে না এ শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পাখিপ্রেমী সংগঠনের আহ্বায়ক মো. মিলন প্রামাণিক বলেন, শীত না আসতেই উপজেলাজুড়ে চলছে পাখি শিকারের মহোৎসব। উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন থেকেই যদি এলাকাভিত্তিক কমিটি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসনের পক্ষে অবৈধ পাখি শিকার বন্ধ করা সহজ হবে।
সংগঠনের সদস্য শাকিল, আকাশ, জাহিদ ও আরিফুল ইসলাম জানান, আমরা প্রতিদিন ভোরে উঠি। উঠেই পাকা রাস্তা দিয়ে না হেঁটে জমি দেখার ছলে বিলের মধ্যে প্রবেশ করি। কিছু সময় পালিয়ে থাকি তার পর ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই পাখি শিকারিদের আস্তানা দেখতে পাই। তখন চুপিসারে গিয়ে ধরে ফেলি। অনেক সময় টের পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়েও যায় শিকারিরা।
শিকার করা পাখিগুলো স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। অনেক সময় প্রশাসনের ভয়ে গোপনে বাসাবাড়ির মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্রি দেওয়া হয়।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও যেসব অসাধু ব্যক্তি পাখি শিকার করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তা ছাড়াও পৌর সদরের বিভিন্ন মাঠে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হবে। এই পাখিপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে ভালো কাজের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন