মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
চাকরি ছেড়ে বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে উল্লাস
যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া বিচিত্র কিছু নয়। প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ চাকরি ছাড়েন। তবে এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। অফিস থেকে চাকরি ছেড়ে বসের সামনেই ঢোল বাজিয়ে উল্লাস করেছেন এক কর্মী। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমন ঘটনা জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ম পরিবেশকে বিরক্তিকর উল্লেখ করে চাকরি ছেড়েছেন এক কর্মী। বিক্রয় সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তবে সেখান থেকে চাকরি ছেড়েই যেন মহাখুশি ওই ব্যক্তি। বসের সামনে ঢাকঢোল পিটিয়ে নৃত্য করেছেন। এরপর তারই কনটেন্ট ক্রিয়েটর এক বন্ধু ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছেন।  ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সামনে আরও দেখা যাবে। দিন দিন অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে কর্ম পরিবেশ। আর অফিসের কর্ম পরিবেশ ভালো না হলে কাজ করা কঠিন।  তিনি বলেন, তার বন্ধু তিন বছর ধরে কর্ম পরিবেশ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন। ইসন্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করে তার বন্ধু বলেন, বসের কাছে আমার কোনো সম্মান ছিল না। মধ্যবিত্ত হওয়ায় এতদিন বাধ্য হয়ে চাকরি করেছি।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অঙ্কিত নামের ওই ব্যক্তি অফিসের শেষ দিন স্মরণীয় করে রাখতে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় তার  এক বন্ধু অফিসের বাইরে ঢোল বাজানোর পরামর্শ দেন। এরপর বন্ধুর বুদ্ধি অনুসারে যখন অফিসের বস বের হন তখনই তারা ঢোল বাজাতে শুরু করেন। এতে রেগে দিয়ে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন বস।  ২০২৩ সালে হারাপ্পা ইনসাইডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মীবান্ধব বস এবং কর্মপরিবেশ ভালো না হওয়ায় অনেকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। বসের খারাপ আচরণের কারণে প্রায় ৫৮ শতাংশ কর্মী চাকরি ছাড়েন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।   
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

দিঘির নাম ‘ঢোল সমুদ্র’
জনশ্রুতি আছে, এক সময় স্থানীয় লোকজন বিয়েশাদির অনুষ্ঠান আয়োজন করলে, আগের দিন দিঘির পাড়ে গিয়ে থালাবাসনের কথা বলে আসতে হতো। অনুষ্ঠানের জন্য দিঘির পাড়ে অদৃশ্যভাবে প্রয়োজনমতো চলে আসত থালাবাসন। ব্যবহারের পরে তা পরিষ্কার করে ফেরত দিতে হতো। তবে এখন সেই চল না থাকলেও বিশাল দিঘির জলরাশিজুড়ে রয়েছে নয়নাভিরাম দৃশ্য।  দিঘির চারপাশ সবুজ গাছের সমারোহে সারাক্ষণই পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে থাকে। বলছি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ঢোল সমুদ্র দিঘির কথা। দিঘিটি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার উত্তরে বোয়ালী ইউনিয়নের ঢোল সমুদ্র গ্রামে অবস্থিত। বিশাল আকারের এই দিঘিটির দৈর্ঘ্য ৬০০ হাত ও প্রস্থ ৩০০ হাত (প্রায়)। দিঘিটি ঠিক কবে খনন করা হয়, সে সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। তবে জনশ্রুতি রয়েছে, দশম শতাব্দীতে রাজা যশোপাল বিশাল আয়তনের এ দিঘি খনন করেন। দিঘিটি এতই গভীরভাবে খনন করা হয়েছিল যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখা যেত না। এত গভীরভাবে খনন করার পরও দিঘিতে পানি না ওঠায় রাজা যশোপাল পড়েন মহাবিপদে। এমতাবস্থায় এক রাতে হঠাৎ তিনি স্বপ্নে দেখেন, তার ছয় রানির মধ্যে ছোট রানি যদি ঢাক-ঢোল বাজাতে বাজাতে দিঘির ওপর থেকে নিচের দিকে যান তাহলে দিঘিতে পানি উঠবে। রাজার কথা মতো ছোট রানি ঢাক-ঢোল বাজাতে বাজাতে দিঘির নিচের দিকে নামতে থাকেন। এভাবে রানি যতই নিচের দিকে নামতে থাকেন দিঘিতে ততই পানি উঠতে থাকে। একপর্যায়ে রানি পানিতে তলিয়ে যান। তারপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। ঢোল বাজিয়ে পানি ওঠানো হয়েছে বলে দিঘিটার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ঢোল সমুদ্র’।   দিঘির নামকরণ নিয়ে আরেকটি জনশ্রুতি রয়েছে। কথিত আছে, দিঘিটি এতই গভীর ছিল, এটি পরিমাপ করা ওই সময়ে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পাল রাজা দিঘিটির গভীরতা পরিমাপের জন্য কয়েকজন ঢুলিকে দিঘির ভেতরে নামিয়ে দেন। ঢুলিরা ঢোল বাজাতে বাজাতে দিঘির নিচে নামতে থাকলে একপর্যায়ে ঢোলের আওয়াজ আর শোনা যাচ্ছিল না। সেই থেকে এই দিঘিটির নামকরণ করা হয় ঢোল সমুদ্র দিঘি। এই দিঘি ঘিরে আরেকটি জনশ্রুতি রয়েছে—এই গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় যদি কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান হতো দিঘির পাড়ে গিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য প্লেট, গ্লাস, রান্না করার হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চাইলে দিঘির পাড়ে উঠে আসত। অনুষ্ঠান শেষে সব জিনিস দিঘির পাড়ে রেখে এলে তা আপনা-আপনি দিঘির নিচে চলে যেত। এ ছাড়া দিঘিতে মাঝে মধ্যে সোনার নাও ভেসে উঠত বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। এ জন্য ঢোল সমুদ্র দিঘিকে ‘সোনা দিঘি’ নামেও ডাকা হয়। স্থানীয়রা জানান, ঢোল সমুদ্র গ্রামের তৎকালীন ডিসট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট আবু নাসের ফজলুল হক ওরফে ডা. ইয়াদ আলি এলাকাবাসীর পক্ষে দিঘিটি নিয়ে মামলা করেন। দিঘিটি জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য আদালতের রায় পান। বর্তমানে দিঘিটির আয়তন আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে দিঘিটির একপাশ থেকে অন্য পাশ দেখা যেত না। সরকারিভাবে যদি ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। একইসঙ্গে সরকারও আর্থিক লাভবান হবে। হাশেম মিয়া নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের গ্রামে এক সময় কোনো নলকূপ ছিল না। গ্রামের সবাই নানা কাজে এই দিঘির পানিই ব্যবহার করত। আস্তে আস্তে দিঘির আয়তন কমে আসছে, পানিও আগের মতো পরিষ্কার নেই।’ কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘ঢোল সমুদ্র দিঘি নিয়ে মামলা চলছে। মামলা শেষ হলে দিঘিটির খননকাজ করা হবে। এই ঐতিহ্যবাহী দিঘি নিয়ে আমাদের বিশদ চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।’  
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

কমেছে ‌গ্যাসের দাম, ঢোল পিটিয়ে প্রচার করলেন মন্ত্রী
গ্যাসের দাম কমানোর খবর নতুন নয়। কিন্তু এ রকম অভিনব কায়দায় প্রচার হয়তো এর আগে ঘটেনি। সম্প্রতি গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। খবরটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঢোল পিটিয়ে প্রচার করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুভাষ সরকার।  গতকাল বুধবার কলকাতার বাঁকুড়ায় বদড়া গ্রামে ঢাক বাজিয়ে গ্যাসের দাম কমানোর প্রচার চালাতে দেখা যায় তাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার সিলিন্ডার প্রতি গ্যাসের দাম ২০০ টাকা ও উজ্বলা গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি ৪০০ টাকা কামানোর নির্দেশ জারি করে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।  তবে দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, রাখি ও ওনাম উপলক্ষে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।  খবরটি প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ঢোল পিটিয়ে সবার বাড়ি বাড়ি যান। শুধু তাই নয়, এখনো যারা গ্যাসের কানেকশন পাননি তাদেরও বিনামূল্যে নতুন কানেকশন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। সুভাষ সরকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাখি পূর্ণিমার দিনে দেশের নারীদের বড় উপহার দিলেন। গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা ও উজালা যোজনায় সিলিন্ডার প্রতি ৪০০ টাকা কমানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ৭৫ লাখ পরিবারকে বিনামূল্যে নতুন গ্যাসের কানেকশন দেওয়া হবে। প্রতিটি ব্লকে প্রায় ৮০০ করে বিনামূল্যে গ্যাসের কানেকশন দেওয়া হবে।’
৩১ আগস্ট, ২০২৩
X