মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঢোল বাজিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই ইউনিয়নবাসী।তবে সংঘর্ষ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছার আগেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শিমুলবাজার এলাকার পাশ থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। পরে পুলিশ তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের প্রচেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে এক সালিশবৈঠকে পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের ৪-৫ জন যুবককে মারধর করে পুকুরপাড় গ্রামের লোকজন। এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের পক্ষ হয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের লোকজন এবং পুকুরপাড় গ্রামের লোকজনের হয়ে আজিমনগর ইউনিয়নবাসী মাঠে নামে। দুই গ্রুপ মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঢোল বাজিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের সহযোগিতায় বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে।
আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার বলেন, আমরা স্থানীয় ঘারুয়া, কালামৃধা ও আজিমনগর তিন চেয়ারম্যান মিলে পরিবেশ শান্ত করি।
কালামৃধা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল মাতবর বলেন, আমার এলাকার লোকজন পাতরাইল থানমাত্তা গ্রামের সমর্থন দেয়। পরে আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ হেফাজত করেছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়াতে পারে এই দুই দল।
মন্তব্য করুন