তরমুজ মিন্ট মকটেল
উপকরণ কয়েকটি পুদিনাপাতা, পরিমাণমতো বরফ, তিন-চার কাপ তরমুজের রস, আধ কাপ ক্লাব সোডা, সাজানোর জন্য ছোট ফালি তরমুজ। যেভাবে বানাবেন একটি বড় গ্লাসের নিচে একটি ছোট চামচ দিয়ে পুদিনাপাতা কিছুটা থেঁতলে মেশান। গ্লাসে এক-তৃতীয়াংশ বরফ ও তরমুজের রস দিন। ক্লাব সোডা দিয়ে ওপরে এবং তরমুজের টুকরো এবং আরও পুদিনাপাতা দিয়ে সাজান। তরমুজের রস তৈরি করতে দুই কাপ কেটে নেওয়া বীজহীন তরমুজ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর একটি পাত্রে সূক্ষ্ম জালের চালনি দিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। চামচ দিয়ে চিপে রস বের করুন। কঠিন অংশটুকু ফেলে দিন। এ রস চার দিন পর্যন্ত ফ্রিজে ভালো থাকবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

তরমুজ কেনা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০
হবিগঞ্জে তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে শহরের শায়েস্তানগ এলাকায় রাজু নামে এক তরমুজ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পার্শ্ববর্তী বহুলা গ্রামের সৈয়দ আলী তরমুজ কেনেন। রাজু হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া সৈয়দ আলী এলাকায় ‘মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে পরিচিত।  এ সময় তরমুজের দাম নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দুই গ্রামের লোকজন জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে প্রধান সড়কে এক ঘণ্টার জন্য যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জ সদর সার্কেকের সহকারী পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  
৩০ মার্চ, ২০২৪

ত্বক ঝকঝকে রাখবে তরমুজ
ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ফলে রূপচর্চার রুটিনও পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে পরে। শীতের রূপচর্চা আর গরমের রূপচর্চার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারণ দুই মৌসুমের সমস্যার মধ্যেও ভিন্নতা আছে। গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। তার জন্য শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলে চলবে না। ভেতর থেকেও যেন ত্বক ভালো থাকে সেজন্য মৌসুমি বিভিন্ন ফল খেতে হবে। গরমে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল পাওয়া যায় বাজারে। তরমুজ তার মধ্যে অন্যতম। শুধু পেটের খেয়াল রাখতে নয়, গরমে ত্বকের যত্ন নিতেও তরমুজ খুব উপকারী। ব্রণের সমস্যা গরমে বেশি হয়। ত্বক ঝকঝকে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন তরমুজের কিছু প্যাক, জেনে নিন কী কী- তরমুজ ও কলার ফেসপ্যাক কলা ত্বককে খুব ভালোভাবে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটা পটাশিয়াম ও ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ফল যা শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখে। কলাতে আছে ভিটামিন এ, যা ত্বক মসৃণ রাখে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। ত্বক সুন্দর রাখার জন্য কলার ভূমিকা অনবদ্য। তরমুজ ও কলা যদি ত্বকের যত্নে কাজে লাগান, সুফল পাবেন। এক কাপ তরমুজ ও দুটি পাকা কলা একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে এ প্যাক ত্বকে মাখুন, ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুহূর্তেই ত্বক টানটান ও মসৃণ হয়ে যাবে। টকদই ও তরমুজ গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য তরমুজ এবং টকদই খুবই উপকারী। তাই এ দুটি উপদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। ফেটানো টকদইয়ের মধ্যে তরমুজ আর সামান্য মধু মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। তারপর ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখলেই ত্বক হবে উজ্জ্বল। তরমুজ ও টমেটোর রস ত্বকের ছিদ্রমুখ থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তরমুজ এবং টমেটোর রস একসঙ্গে মিক্সড করে ব্যবহার করলে বাড়তি সুফল মিলবে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এ মিশ্রণটি সত্যিই দারুণ কাজ করে। তরমুজের ক্বাথের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। কয়েক মুহূর্তে ত্বকে আসবে দারুণ জেল্লা।
২৯ মার্চ, ২০২৪

ক্রেতা সংকটে তরমুজ বিক্রেতারা
সপ্তাহের ব্যবধানে তরমুজের দাম কমলেও দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট। শুরুর দিকে বাজারে তরমুজের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় ক্রেতা সংকটে ভুগছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার তরমুজ বিক্রেতারা। তরমুজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় লাভ তো দূরে থাক পুঁজি হারানোর শঙ্কায় রয়েছে ব্যবসায়ীরা। শুরুর দিকে তরমুজের আকাশচুম্বী দাম, বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে অপরিপক্ব তরমুজ বাজারজাত, অধিক পরিমাণে তরমুজ সরবরাহ ও আবহাওয়ায় গরমের তীব্রতা না থাকায় তরমুজের চাহিদা অনেকটা কমে এসেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।  সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর বাজার এলাকায় তরমুজ দোকানে নেই ক্রেতাদের ভিড়। নানা সাইজের তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানীরা। রমজানে তরমুজের বেচাকেনা যে হারে হওয়ার কথা সে তুলনায় দোকানগুলোতে নেই বেচাকেনা। নির্দিষ্ট তরমুজের দোকান ছাড়াও পিক-আপ ভ্যান ও অটোরিকশা করেও মাইকিং করে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তরমুজ বিক্রেতারা। তবুও যেন আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে তরমুজ বিক্রেতাদের তরমুজ নষ্ট হয়ে লাভের পরিবর্তে লোকসানও গুনতে হতে পারে।  তরমুজ বিক্রেতা মুমিনুল ইসলাম বলেন, এ বছর রমজানের শুরুর দিকে বাজারে তরমুজের চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো ছিল। সেসময় তাপমাত্রাও ছিল, যে কারণে তরমুজের ক্রেতা ছিল বেশি। এখন তরমুজের দাম অর্ধেকের চেয়েও কমে গেলেও আশানুরূপ ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এ দিকে আবহাওয়ায় এখন গরমের তীব্রতা নেই, যে কারণে তরমুজের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের সরবরাহকৃত তরমুজ বিক্রি করতে না পারলে লাভের পরিবর্তে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। তরমুজ বিক্রেতা উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের বিল্লাল হোসেন বলেন, বাজারে হঠাৎ করেই তরমুজের ক্রেতা কমে গেছে। তরমুজের দামও অনেক কমেছে তবুও তেমন ক্রেতা নেই। আমাদের মজুদ অনুযায়ী ক্রেতা না পেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমরা লোকসান থেকে বাঁচতে পিকআপ ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা করে যাচ্ছি। ক্রেতা না বাড়লে আমাদেরকে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, দু'দিন আগে একটি তরমুজ কিনেছিলাম, ভেতরে কিছুটা লাল হলেও নেই তরমুজের পরিপূর্ণ স্বাদ। বেশি দামে বিক্রির জন্য অপরিপক্ক তরমুজ বাজারজাত করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ কারণেও হয়তো বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম হতে পারে।  স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বলেন, এ বছর বাজারে তরমুজ বেশি সরবরাহ হয়েছে, সেই অনুপাতে ক্রেতার সংখ্যা কম। রোজায় গরম পড়লে ক্রেতা হয়তো আরও বাড়বে। তরমুজের দাম কমলেও ভালো তরমুজ তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। চান্দলা মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. অপু খান চৌধুরী বলেন, ক্রেতা সংকট সাময়িক সময়ের জন্য। গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে তরমুজের চাহিদাও বাড়বে। এ বছর তরমুজের সরবরাহও বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে শুরুর দিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্যের কারণে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে একটি নীরব ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে সিজনাল ফল হিসেবে এ সময়টাতে তরমুজ খাওয়া উচিত। 
২৯ মার্চ, ২০২৪

কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন / সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ : কৃষিমন্ত্রী
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  মন্ত্রী বলেন, বাফা নেতারা আমার সঙ্গে যখন পরামর্শ করতে এলো, তখন আমি তাদের বললাম, ভোক্তারা তরমুজ খেতে চায়, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কিনতে পারছেন না। আপনারা উদ্যোগ নিন। এরপর তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।  সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরও বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। আপনারা গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরুন। কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি ভাঙতে আমরা দেরি করব না।  মন্ত্রী বলেন, সরকার তো জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য যতটুকু পারছি কাজ করে যাচ্ছি।  বাফার সভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে এবং বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তারা কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনে। যার ফলে পণ্যের দামের তফাৎ অনেক বেশি দেখি। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার। বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকরা পায় না। মধ্যস্বত্বভোগীরা লভ্যাংশটা খেয়ে ফেলে, তাদের আটকাতে হবে। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।  রোজার শুরুতে বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।  বাফা নেতারা জানান, আজ দুপুর থেকে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করছেন।  রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম চলছে। স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। ২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তরমুজ কেনায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে এবং আজ প্রথমদিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
২৮ মার্চ, ২০২৪

রাজধানীতে ক্ষেতের দামে তরমুজ
ক্ষেতে কৃষক যে দামে বিক্রি করেন, সেই দামে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর পাঁচটি স্থানে তরমুজ বিক্রি করা হবে। ‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) ব্যবস্থাপনায় কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করবেন। পাঁচটি স্থান হলো—খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। ২৭ রমজান পর্যন্ত এ উদ্যোগটি চলবে। পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করা হবে। আয়োজকরা জানান, কৃষক দাম পাচ্ছেন না, আবার ভোক্তা বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন—এমন খবর এখন গণমাধ্যমে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, বেগুন, লাউ, মুলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি কৃষক ও উৎপাদক পর্যায়ে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বিপরীতে ঢাকায় ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেশি।
২৮ মার্চ, ২০২৪

শিক্ষিকাকে ধর্ষণের ২২ বছর পর ধরা পড়লেন তরমুজ ব্যবসায়ী
ধর্ষণ করে গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তসলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তরমুজ ব্যবসার আড়ালে ২২ বছর যাবত আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।  প্রায় ২২ বছর আগে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে ছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা গাউসিয়া মার্কেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে ২৬ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন খামারপাড়া ইউনিয়নে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামক এনজিওতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরিরত ছিল। সেই একনজিওর একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন ভুক্তভোগী নারী। চাকরিরত থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  বন্ধুত্বের সুত্র ধরেই ওই নারীকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তসলিম। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করায়। ঘটনার পরে ভুক্তভোগী নারীর পরিবার তার বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।  মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, দিনাজপুর তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের রায় ঘোষণা করেন।  র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন জানান, মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তসলিম। আর রায় হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকার উদ্দেশে কখনো ভ্যান চালিয়ে, কখনো মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সব শেষ তিনি গাউছিয়া বাজারে ফলপট্টিতে একটি ফলের আড়তের তরমুজ ব্যবসা শুরু করে। এভাবেই দীর্ঘ ২২ বছর পলাতক থাকার পর র‍্যাবের জালে ধরা পড়লেন তরমুজ ব্যবসায়ী তসলিম। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।
২৭ মার্চ, ২০২৪

দাম অর্ধেক তবুও কেউ কিনছেন না তরমুজ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অর্ধেক দামেও ক্রেতারা কিনছে না তরমুজ। রমযানের শুরুর দিকে তরমুজের আকাশচুম্বি দামের ফলে নাকাল ছিলো সাধারণ মানুষ। ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও পরিবার নিয়ে তরমুজ খাওয়ার সুযোগ পায়নি নিম্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। রমযানকে উপলক্ষ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় অপরিপক্ক তরমুজ বাজারজাত করেন। অনেক ক্রেতাই সে সময় কারণে বেশ চড়া দামে তরমুজ ক্রয় করলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সেই কালার ও মিষ্টি না আসায় ঠকেছেন। এ ক্ষোভ থেকেই তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তা ভাইরাল হয়। এ সময় স্লোগান উঠে অন্তত এক সপ্তাহ তরমুজ না কিনে সেইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিরব প্রতিবাদ জানানোর। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, গত সপ্তাহেও যে তরমুজটি ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি করলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। কথা হয় তরমুজ ক্রেতা সকিনা বেগমের সঙ্গে, তিনি জানান, ‘শিশু নাতি সাইমনকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে নাতি বায়না ধরে তরমুজ খাবে। শুনেছি এখানো এসব পরিপক্ক না হওয়ায় সুমিষ্ট না। তারপরও নাতির আবদারে ২০০ টাকা দিয়ে একটি কিনলাম।’ চৌদ্দগ্রাম বাজারের ওয়াপদা রোডের সম্মুখের বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, ‘পাকাপোক্ত না হওয়ায় বেশি দামে কেনা তরমুজ হ্যান্ড মাইকে ডেকে ডেকে অর্ধেক দামে বিক্রি করছি। তারপরও ক্রেতারা কিনতে চায় না।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, ‘রমযান উপলক্ষে কেজি মাপে তরমুজ বিক্রি রোধে এবং সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এ সময় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে।’
২৭ মার্চ, ২০২৪

তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের ৪ সদস্য হাসপাতালে
রাজবাড়ীতে তরমুজ খেয়ে একই পরিবারের চারজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের দাবি তরমুজ খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে তাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীরা হলেন- সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের হাউলী জয়পুর গ্রামের আমজাদ হোসেন (৫২), ছেলে রুহুল আমিন (২৩), পুত্রবধূ রূপসি বেগম (২০), নাতনী রাজিয়া আক্তার (১৩)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুহুল আমিন জানান, শনিবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী বাজার থেকে একটি তরমুজ কেনেন। ওই দিন অর্ধেক তরমুজ খাওয়া হয়। রোববার ইফতারের সময় বাকি অর্ধেক তরমুজ পরিবারের সবাই মিলে খান। পরে পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার দুপুরে তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান কালবেলাকে জানান, অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তরমুজ খেয়েই যে অসুস্থ হয়েছে সেটা বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়ে এরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কী কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে সেটা নিশ্চিত হতে পরীক্ষা শেষে বলা যাবে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি, কমেছে তরমুজের দাম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার জামতলা বাজারে মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া দাম কমে ৩০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গোয়ালন্দ বাজার ও পৌর জামতলা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। দৌলতদিয়া থেকে গোয়ালন্দ বাজারে তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা মানিক বলেন, বাড়ি থেকে বাচ্চারা তরমুজ খেতে চাওয়ায় গোয়ালন্দ বাজারে তরমুজ কিনতে এসেছি। এসে দেখি তরমুজের দাম কেজিতে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই ১০ কেজি ওজনের একটা তরমুজ কিনলাম। পৌর জামতলার দেওয়ানপাড়া গ্রামের তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা মিসুক বলেন, গত কয়েক দিন তরমুজের দাম অনেক বেশি ছিল। এখন কেজিতে দাম কম হওয়ায় ৩০ টাকা কেজি দরে ৮ কেজি ওজনের একটা তরমুজ কিনেছি। গোয়ালন্দ বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি বরিশাল থেকে ২ ট্রাক তরমুজ ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে কিনে এনেছিলাম। এখন দাম একটু কমে যাওয়াতে টাকা তোলার জন্য তরমুজগুলো ছেড়ে দিচ্ছি। অপর তরমুজ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, তরমুজ ৩০ টাকা কেজি দরে হওয়ায় আমাদের তরমুজ ভালো বিক্রি হচ্ছে। এখন একটু লোকসান হচ্ছে বলে জানান। পৌর জামতলা বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী রনি বলেন, আমরা মাইকিং করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি না করে, পিস হিসেবে নির্দিষ্ট টাকা ধরে বিক্রি করছি। এতে সব শ্রেণির ক্রেতারা তরমুজ কিনতে পারছেন। মাহে রমজান মাসে জনগণের একটু সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
৩০ নভেম্বর, ০০০১
X