ধর্ষণ করে গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তসলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তরমুজ ব্যবসার আড়ালে ২২ বছর যাবত আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
প্রায় ২২ বছর আগে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানা এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে ছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা গাউসিয়া মার্কেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে ২৬ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন খামারপাড়া ইউনিয়নে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামক এনজিওতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরিরত ছিল। সেই একনজিওর একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন ভুক্তভোগী নারী। চাকরিরত থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বন্ধুত্বের সুত্র ধরেই ওই নারীকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তসলিম। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়লে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করায়।
ঘটনার পরে ভুক্তভোগী নারীর পরিবার তার বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, দিনাজপুর তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের রায় ঘোষণা করেন।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন জানান, মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তসলিম। আর রায় হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকার উদ্দেশে কখনো ভ্যান চালিয়ে, কখনো মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সব শেষ তিনি গাউছিয়া বাজারে ফলপট্টিতে একটি ফলের আড়তের তরমুজ ব্যবসা শুরু করে। এভাবেই দীর্ঘ ২২ বছর পলাতক থাকার পর র্যাবের জালে ধরা পড়লেন তরমুজ ব্যবসায়ী তসলিম। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মন্তব্য করুন