কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অর্ধেক দামেও ক্রেতারা কিনছে না তরমুজ। রমযানের শুরুর দিকে তরমুজের আকাশচুম্বি দামের ফলে নাকাল ছিলো সাধারণ মানুষ। ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও পরিবার নিয়ে তরমুজ খাওয়ার সুযোগ পায়নি নিম্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।
রমযানকে উপলক্ষ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় অপরিপক্ক তরমুজ বাজারজাত করেন। অনেক ক্রেতাই সে সময় কারণে বেশ চড়া দামে তরমুজ ক্রয় করলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সেই কালার ও মিষ্টি না আসায় ঠকেছেন। এ ক্ষোভ থেকেই তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তা ভাইরাল হয়। এ সময় স্লোগান উঠে অন্তত এক সপ্তাহ তরমুজ না কিনে সেইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিরব প্রতিবাদ জানানোর।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, গত সপ্তাহেও যে তরমুজটি ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি করলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে।
কথা হয় তরমুজ ক্রেতা সকিনা বেগমের সঙ্গে, তিনি জানান, ‘শিশু নাতি সাইমনকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে নাতি বায়না ধরে তরমুজ খাবে। শুনেছি এখানো এসব পরিপক্ক না হওয়ায় সুমিষ্ট না। তারপরও নাতির আবদারে ২০০ টাকা দিয়ে একটি কিনলাম।’
চৌদ্দগ্রাম বাজারের ওয়াপদা রোডের সম্মুখের বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, ‘পাকাপোক্ত না হওয়ায় বেশি দামে কেনা তরমুজ হ্যান্ড মাইকে ডেকে ডেকে অর্ধেক দামে বিক্রি করছি। তারপরও ক্রেতারা কিনতে চায় না।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, ‘রমযান উপলক্ষে কেজি মাপে তরমুজ বিক্রি রোধে এবং সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এ সময় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে।’
মন্তব্য করুন