Thu, 09 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যবসায় মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’
১১ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে জুয়েলের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন
১২ ঘণ্টা আগে
২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
১২ ঘণ্টা আগে
নানা আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড সেন্ট দিবস’ পালিত
১২ ঘণ্টা আগে
৩৪০ টাকার জন্য লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যা
১২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে প্রেম, বিয়ের ৬ মাসেই লাশ তরুণী
কক্সবাজারের টেকনাফে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বামী মুহাম্মদ ইমাদের। শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর নাম মুমতাহিনা মুহনা। সে খুলনার মুহাম্মদ মোস্তফা ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে। নিহতের স্বামী ইমাদ জানান, ফ্রি ফায়ার খেলার সময় পরিচয় হয় মুমতাহিনার সঙ্গে। ৬ মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১১টার দিকে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায় ইমাদ। বোনের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ হয় না। পরে সকালে বাড়িতে এসে দেখে ঘরের বাইরে থেকে তালা দেওয়া। তালা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে তার স্ত্রী। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদশাহ মিয়া বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের গলায় দাগ দেখেছি। তবে বিস্তারিত তেমন কিছু জানি না। মূল রহস্য কী সেটা প্রশাসন তদন্ত করে বের করতে পারবে। হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি শাহাদাত সিরাজী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা খুন না কি আত্মহত্যা সেটি বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে।
০৪ মে, ২০২৪
স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে সেই ছাত্রলীগ নেতাকে ‘খুঁজছে’ তরুণী
ফেনীর সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, ভ্রুণ হত্যাসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন সাদিয়া খান আদুরী ওরফে সিমরান সাদিয়া নামে এক তরুণী। বৃহস্পতিবার (২ মে) ফেনীর একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের ডেকে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। সাদিয়া খান আদুরী অভিযোগ করে বলেন, গত আট মাস আগে কক্সবাজারে শুটিং করতে গিয়ে বিজয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক। বিজয় বিয়ে করবে বলায় ফেনীতে এসে তার বোনের বাসাসহ কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক করি আমরা। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিজয় ভ্রুণ হত্যা করতে বাধ্য করে। তার পরিবারসহ সবাই জানে যে, বিজয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। এ অবস্থায় বিজয়কে বিয়ের কথা বললে সে কালক্ষেপণ করতে থাকে। তিনি বলেন, আমার সব মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়ায় আমি গত ২৮ এপ্রিল বিয়ের দাবিতে ঢাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলনের সহযোগিতা চাই। তিনি গ্রাম পুলিশসহ বিজয়ের বাড়িতে পাঠায় আমাকে। কিন্তু বিজয় ওই দিন আমার সঙ্গে ছলচাতুরী করে প্রতারণার মাধ্যমে আমাকে হয়রানি করে। আমাকে প্রতারিত করে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জোর করে ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেমে ছেড়ে দেয়। আমাকে সহযোগিতা করায় চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রপাগাণ্ডা তৈরি করে সে। যা আমি তখন বলতে না পারায় সাংবাদিকদের জানাতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, আমি স্ত্রীর অধিকার আদায় করে তার সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমি তাকে ছাড় দিচ্ছি, কিন্তু ছেড়ে দেব না। আমি প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাতেও কাজ না হলে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। তবুও আমি আমার অধিকার আদায় করে ছাড়ব। চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয় বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এগুলো করতেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সাইমুন বলেন, চরচান্দিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান বিজয়ের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। সে শোকজের জবাব দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা ছাত্রলীগের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন বলেন, গত ২৮ এপ্রিল এক তরুণীর সঙ্গে আরও এক মেয়েকে নিয়ে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসে ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা বলেন। তখন তারা বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, আমি গ্রামপুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে তাদের বাড়ি পাঠিয়েছি। গ্রামপুলিশ সদস্যরা বাইরে অবস্থানের সময় বিজয় তাদের নিয়েই অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান বলে জানতে পেরেছি। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদীপ রায় কালবেলাকে বলেন, বিষয়টা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৩ মে, ২০২৪
একাধিক অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল, কে এই তরুণী
ইসরাত জাহান লামিয়া (২০)। বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলীর মো. বাহাদুর আকনের মেয়ে। ওই তরুণী মানিকঝুড়ি দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলায় বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। মায়ের অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার পর সৎ মায়ের সংসারে অবহেলায় অনাদরে শৈশব থেকেই লাগামহীন জীবনযাপন করতেন তরণী। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৩ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী গ্রাম টিয়াখালীতে প্রথম বিবাহ হয়। কিন্তু পাত্র পছন্দ না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনেও বিভিন্ন ধরনের কলহে সম্পর্কটা খুব একটা ভালো বনিবনা ছিল না। আরও জানা যায়, এর মধ্যে স্থানীয় এক আবাসিক হোটেল থেকে ওই তরুণীকে দুই যুবকের সঙ্গে পাওয়া যায়। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ হলেও পরবর্তীতে মামলা পর্যন্ত আগায়। এ ঘটনায় ওই দুই যুবক জেলও খাটেন, মামলাটি এখনো চলমান। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর বরিশালে নিজের পছন্দে চাকরিজীবী ছেলেকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। সেই স্বামীর সঙ্গে শুরুর দিকে সম্পর্ক ভালো ছিল না। বর্তমানে তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হওয়া শুরু করে। এরই মধ্যে আবার ভিডিও ভাইরালের কবলে পড়ে ওই তরুণী। সোমবার (২২ এপ্রিল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০ এপ্রিল তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবুল কবির পচাকোরালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক, নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু ও তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনাজুল আবেদিন মিঠু বরগুনা পুলিশ সুপার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ করে উপজেলা আ. লীগের জনৈক নেতা কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে জনৈক তরুণীকে ব্যবহার করে তাদের অন্তরঙ্গ ভিডিও গোপনে ধারণ করে। তাদের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেঞ্জারে ভিডিও পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছে। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জকে নিয়োজিত করা হয়। আরও জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা অনুসন্ধানকালীন প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তরুণী এবং সহযোগীকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিষয় তারা স্বীকার করেন। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গোপনে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও সম্বলিত পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান বাচ্চুর অভিযোগের ভিত্তিতে তালতলী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা স্বীকার করেন ও বিজ্ঞ আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এক্ষেত্রে অভিযোগকারীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া শুরু করে প্রাথমিক অনুসন্ধান, জিজ্ঞাসাবাদ, মামলা রুজু আসামি গ্রেপ্তার, আলামত উদ্ধার, আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করাসহ সব প্রক্রিয়ায় যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪
বান্ধবীকে বিয়ে করতে টাঙ্গাইলে ছুটে গেলেন কিশোরগঞ্জের তরুণী
টাঙ্গাইলের কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় কিশোরগঞ্জের এক তরুণীর। সেই পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সেই বন্ধুত্ব রূপ নেয় গভীর এক সম্পর্কের। এবার সেই বান্ধবীকে বিয়ে করতে টাঙ্গাইলে ছুটে গেলেন কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী। রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গোপালপুরের হাসপাতাল সংলগ্ন স্টেডিয়ামের পাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের। ওই তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। আর কিশোরীর বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে। জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মাধ্যমে তাদের দীর্ঘ এক বছরের পরিচয়। ফেসবুকেই দীর্ঘ আলাপচারিতা। এরপর একজনের প্রতি অন্য জনের আসক্তি বাড়তে থাকে। জড়িয়ে পড়েন গভীর সম্পর্কে। সিধান্ত নেন ঘর ছাড়ার। তিনদিন আগে দু’জনে একসঙ্গে ঘরও ছেড়েছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল গোপালপুর যান কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী। এমনকি তারা হাসপাতালের পিছনে স্টেডিয়াম সংলগ্ন একটি বাসার এক রুম মাসিক ১৫০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে বসবাসও শুরু করে। এ সময় তারা নিজেদের গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। পরবর্তীতে বাসার আশপাশের নারীরা তাদের জীবনযাপন ও চলাফেরা দেখে সন্দেহ করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। টাঙ্গাইলের কিশোরী বলেন, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি এবং দুজন দুজনকেই বিয়ে করতে চাই। সমাজ আমাকে যাই দেখুক না কেন, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। তাই বাড়ি থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন আমাদের পরিবার এসব মানবে না তাই আমরা দুজন পালিয়ে এসে এখানে বসবাস করছি। কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী বলেন, আমি তার কাছে ছুটে এসেছি, কারণ আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। আমরা এখন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারবো না। এদিকে, টাঙ্গাইলের কিশোরীর বাবা বলেন, আমি তিন দিন ধরে আমার মেয়েকে খুঁজে পাই নাই, খুঁজে না পেয়ে গোপালপুর থানায় জিডি করতে এসেছিলাম, তারপর খোঁজ পেলাম থানায় আমার মেয়েকে অন্য মেয়ের সঙ্গে নিয়ে এসেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমন ঘটনা তারা কখনো শুনেননি বা দেখেননি। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। জানাজানি হলে পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে গোপালপুর থানা পুলিশ দুই মেয়েকে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখে। পরবর্তীতে তাদের টাঙ্গাইল জেলা জজ কোর্টে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দারা জানান, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী ওই মেয়েটি তিন দিন আগে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। তাদের দাবি-তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকবে না। তারা গার্মেন্টসে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী মনে করছেন। গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনো আমি শুনিনি, আর আজ আমি নিজে দেখতে পেলাম। গোপালপুর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় দুজনকেই টাঙ্গাইল জেলা বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
পহেলা বৈশাখে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী
ঢাকার কেরানীগঞ্জে পহেলা বৈশাখে ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মিলন (২৩), মো. মাসুদ (২৫), শহিদুল ইসলাম (২১), মো. রাহাত (১৮) ও মো. সোহাগ (২০)। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের ঘাটার চর মধু সিটিতে ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে আসেন ভুক্তভোগী (১৯)। একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাউজিংয়ের ভেতর ফাঁকা জায়গায় বসে তরুণী তার বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলছিল। এ সময় অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন যুবক তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই বন্ধুকে জিম্মি করে তরুণীকে জোরপূর্বক প্লটের বাউন্ডারির ভেতরে নিয়ে ৩ আসামি পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় বাকি দুই আসামি পাহারায় ছিল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ পরিদর্শক মুন্সী আশিকুর রহমান, উপপুলিশ পরিদর্শক অলক কুমার দে ও রিয়াজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল কেরানীগঞ্জ ও ডিএমপির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
২৭ বছর পর বাড়ি ফিরলেন শাহীদা
২৭ বছর আগে ঢাকায় গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন শাহীদা আক্তার। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮ বছর। এরপর অনেক খুঁজেও তার মা-বাবা মেয়েকে ফিরে পাননি। শাহীদাও ঠিকানা বলতে না পারায় আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। সেই শাহীদাই দীর্ঘ ২৭ বছর পর বাবার বাড়ি খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, তার মা-বাবাই আর বেঁচে নেই। চার বছর আগে দুজনে মারা গেছেন। বাড়িতে ফিরে ভাই-বোনদের সঙ্গে শাহীদার দেখা হয়েছে। তাদের পুনর্মিলনের মুহূর্তটিতে তৈরি হয় এক আবেগঘন দৃশ্য। জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দিকপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল ও ছাবেদা বেগম দম্পতির মেয়ে শাহীদা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি ফিরে এসেছেন তার বাড়িতে। এ সময় তার বড় বোন খালেদা বেগম যখন চিনতে পারেন শাহীদাকে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে তারা ডুকরে কাঁদতে শুরু করেন। শাহীদারা তিন বোন ও এক ভাই। তাদের মধ্যে শাহীদা তৃতীয়। বর্তমানে শাহীদা জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ভৌলাকীপাড়া গ্রামে তার বড় বোন খালেদার বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, ইব্রাহিম খলিল ও ছাবেদা বেগম দম্পতির অভাবের সংসার ছিল। গ্রামে তেমন কোনো কাজকর্ম ছিল না। বাধ্য হয়ে ১৯৯৭ সালে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় উত্তরায় চলে যান। সেখানে তার বাবা রিকশা চালাতেন। ঢাকায় যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে ছোট্ট শাহীদা লাকড়ি কুড়াতে যান। সেখান থেকে শাহীদা হারিয়ে যান। তার মা–বাবা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তার আর সন্ধান পাননি তারা। এরপর থেকে শাহীদা নিখোঁজ ছিলেন। এরপর কীভাবে যেন শাহীদা চট্টগ্রামে চলে যান। সেখানে এক বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তারাই তাকে গাজীপুরে সেলিম মিয়া নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেন। তারপর থেকে শাহীদা স্বামীকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করেন। শাহীদার ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। শাহীদা আক্তার বলেন, ‘আমি জীবনেও কল্পনা করিনি নিজের গ্রামে ফিরতে পারব। আমার ভাইবোনদের সঙ্গে দেখা করতে পারব। প্রায় সময় মা–বাবা ও পরিবারের কথা মনে পড়ত। কিন্তু ছোটবেলার আর কিছুই স্মরণ করতে পারতাম না। সম্প্রতি আমার মেয়ে নানা-নানির কথা জানতে চাইল। মেয়ের নানা রকম প্রশ্নে হঠাৎ বকশীগঞ্জের দিকপাড়া নামটি মনে পড়ে যায়। তখন থেকে বকশীগঞ্জের দিকপাড়া খুঁজতে থাকি। মা-বাবাকে দেখার জন্যই খুঁজতে খুঁজতে এই গ্রামে চলে আসি। নিজের পরিবার ও বাড়ি ঠিকই খুঁজে পেলাম। কিন্তু আমার মনের আশা পূরণ হলো না; কারণ, আমার মা–বাবাই আর পৃথিবীতে নেই। বোন, ভাইসহ পরিবারের অন্য সবাইকে পেলাম ঠিকই। কিন্তু মা–বাবাকে পেলাম না। তারপরও নিজের পরিবার পেয়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে।’ শাহীদা নিজের ভাইবোনকে খুঁজে পেয়েছেন, এতে খুশি তার স্বামী সেলিম মিয়া। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ২৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছোট বোনকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বড় বোন খালেদা বেগম। তিনি বলেন, মা-বাবার সঙ্গে তারা সবাই ঢাকায় চলে গিয়েছিলেন। ঢাকায় যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে তার ছোট বোন শাহীদা হারিয়ে যায়। তারপর তার আর কোনো সন্ধান পাননি তারা। তার কোনো দিন সন্ধান পাবেন, তিনি চিন্তাও করেননি। দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর পর বোনকে ফিরে পেয়ে তাঁরা সবাই এখন আনন্দিত। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহীদাকে এক পলক দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন গ্রামবাসী। খালেদা বেগম আরও বলেন, ‘বোনের ছোট বয়সের অনেক স্মৃতি আমার মনে আছে। বোনকে হারানোর পর মন খারাপ করতাম। মনে হতো, বোনকে বুঝি কখনো ফিরে পাব না। তবে বাবা বলতেন, ‘শাহীদা বেঁচে আছে, কোনো একদিন ফিরে আসবে। একদিন না একদিন ঠিকই মেয়েকে পাব।’ অবশেষে বাবার কথাই সত্য হলো। কিন্তু বাবা আর বেঁচে নেই। মা-বাবা বেঁচে থাকলে কতই না খুশি হতেন।’
১৫ এপ্রিল, ২০২৪
প্রেমের টানে এবার ফরিদপুরে মালয়েশিয়ান তরুণী
প্রেমের টানে এবার মালয়েশিয়ান তরুণী ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এসেছেন।রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এরপর রাতেই ঢাকার একটি হোটেলে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে প্রেমিককে বিয়ে করেন। প্রেমিক শামীম হোসেন (৩৫) উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ খারদিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন শেখের ছেলে। মালয়েশিয়ান তরুণী সুয়াইলা বিনতে আব্দুর রহমান (৩৭)। তিনি মালয়েশিয়ায় একটি রেস্তোরাঁর কর্মচারী। জানা গেছে, সুয়াইলার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। চার বছর আগে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন। অপরদিকে শামীম হোসেন পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার ভিসা ছিল কনস্ট্রাকশনের। তিন বছর আগে সুয়াইলা অনলাইনে ফুলের ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে তাদের পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেম এরপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য মালয়েশিয়া থেকে সুয়াইলা বাংলাদেশে আসেন। এদিকে বিয়ের পর নববধূ সেজে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে যান ওই তরুণী। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বরণ করে নেন। নববধূকে এক নজর দেখতে শত শত গ্রামবাসী ভিড় জমান শামীমের বাড়িতে। এ বিষয়ে শামীম হোসেন বলেন, ‘আমি কনস্ট্রাকশনের ভিসায় যাই। ওই দেশের আইনে মালয়েশিয়ার নাগরিককে বিয়ে করা নিষিদ্ধ থাকায় বিয়ে করতে পারিনি। শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম। তিন বছর ধরে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হলে গত ডিসেম্বরে আমি দেশে চলে আসি। ওর সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত কথা হতো। সুয়াইলা অবশেষে বাংলাদেশ এসে ঘর বাঁধতে রাজি হয়। তার পরিবারের সঙ্গে অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে সবাইকে রাজি করে বাংলাদেশের চলে আসে সুয়াইলা। রাতেই তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। হয়তো এখন ধুমধাম করেই বাকি কাজটুকু সারা হবে।’ নববধূ সুয়াইলা তার ভাষায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের তথা শ্বশুরবাড়ির মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ। ঘর বাঁধতে এক মাসের ছুটি নিয়ে শামীমের কাছে ছুটে এসেছি। আমি খুব খুশি।’ এদিকে ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ মুন্সী বলেন, ‘শুনেছি মালয়েশিয়ান একটি মেয়ে আমার ইউনিয়নের ছেলেকে বিয়ে করতে চলে এসেছে। আমি ওদের বিষয়ে কোনো সহযোগিতা লাগলে অবশ্যই করব।’
২৫ মার্চ, ২০২৪
অমুসলিম হয়েও রোজা রাখেন তিনি
পবিত্র রমজান মাসে সারা দিন না খাওয়ার মাধ্যমে সংযম ও আত্মশুদ্ধির চর্চা করে থাকেন বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম। মাসটির তাৎপর্য ও আত্মিক উৎকর্ষ অনুধাবন করে অনেক অমুসলিমও এ মাসে সিয়াম সাধনা করেন। তবে তাদের সংখ্যা হাতেগোনা। তেমনি একজন হিন্দু তরুণী নীলাম গোকুলসিং। রমজানের সময় খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থেকে নিজের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা, শৃঙ্খলা ও সংকল্প নিয়ে আরও দৃঢ় থাকার শিক্ষা গ্রহণ করেন নীলাম গোকুলসিং। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মরিশাসের এই নাগরিক প্রথমে মুসলিম বন্ধুদের দেখে রোজা পালন শুরু করেন। তারপর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে রোজা রাখা শুরু করেন তিনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা যায়। ২০২১ সালে প্রথম রোজা রাখা শুরু করেন নীলাম। সে সময় মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার জন্য যান তিনি। খালিজ টাইমসকে নীলাম জানান, মালয়েশিয়া মুসলিমপ্রধান দেশ। ২০২১ সালে তিনি সেখানে থাকার সময় রোজা রাখা শুরু করেন। মালয়েশিয়ায় তার অনেক মুসলিম বন্ধু-বান্ধব রয়েছে। সেখানে তাদের সঙ্গে তিনি সেহরি ও ইফতার করতেন। মূলত হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম বন্ধুদের সংস্কৃতিকে বোঝা ও একাত্মতা প্রকাশের জন্যই তিনি রোজা রাখা শুরু করেন। ২৬ বছর বয়সী নীলাম বর্তমানে কাজ করছেন একটি ফিনটেক কোম্পানিতে। দুই বছর আগে কাজের সূত্রে আরব আমিরাতের দুবাইতে আসেন তিনি। প্রবাসী এ তরুণী জানান, দুবাইতে এসেও তিনি নিয়মিত রোজা রাখেন। কারণ তার আশপাশের সবাই পবিত্র এই মাসে রোজা রাখেন। খালিজ টাইমসকে নীলাম জানান, খাবার ও পানি পান করা ছাড়া কাজ করা কতটা কঠিন তিনি রোজার মাধ্যমে সেটি অনুধাবন করেন। হিন্দু এ তরুণী জানান, প্রথমে কৌতূহলবশত রোজা রাখা শুরু করলেও এখন রোজা তার কাছে একটি নতুন জিনিস। নীলামের মতে রোজার মাধ্যমে উপবাসের আধ্যাত্মিক দিকটি উপলব্ধি করা যায়, যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত পরিশুদ্ধি ও সংযম সম্পর্কিত মূল্যবোধগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারে। তার মতে, এটি একটি যৌথকাজের মতো যেখানে নিজের সম্পর্কে সব ধরনের মূল্যায়ন আবিষ্কার করা যায়।
১৫ মার্চ, ২০২৪
প্রকাশ্যে নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল, দুই তরুণী গ্রেপ্তার
প্রকাশ্যে নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দুই তরুণী। ফারসি নববর্ষ নওরোজের প্রস্তুতি উপলক্ষে তারা নেচেছিলেন। আর এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই দুই তরুণী। শনিবার (০৯ মার্চ) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই দুই তরুণী নববর্ষ উপলক্ষে প্রকাশ্যে নাচের ভিডিও ধারণ করেছিলেন। এরপর এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে। ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তরের জনপ্রিয় এলাকা তাজরিশ স্কয়ারে তারা কোমর দুলিয়ে নাচের ভিডিও ধারণ করেন। এরপর এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ওই দুই তরুণী তাজরিশ স্কয়ারে নাচের মাধ্যমে সামাজিক নিয়ম ভেঙেছেন। তেহরান প্রসিকিউটর তাদের গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই দুই তরুণী ইরানি সংস্কৃতির কাল্পনিক চরিত্র হাজি ফারোউজের অনুকরণে লাল পোশাক পরেছিলেন। দেশটিতে আগামী ২০ মার্চ ফার্সি নববর্ষ শুরু হবে। ইসলামিক আইনানুসারে ইরানে প্রকাশ্যে নাচ অথবা জনসম্মুখে একা বের হওয়া নিষেধ। ইরানে সম্প্রতি প্রকাশ্যে বিশেষ করে মেট্রোতে নাচের অসংখ্য ভিডিও ভাইরাল হওয়া শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে পুলিশি হেফাজতে মাসা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। এরপর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই ঘটনার পর থেকে ইরানে তরুণীদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদী ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তাকে ইরানের নৈতিক পুলিশ হিজাবের বিধান লঙ্ঘন করায় গ্রেপ্তার করে।
০৯ মার্চ, ২০২৪
ডুমুরিয়ার সেই তরুণী ও তার মা পুলিশ হেফাজতে
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার মাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে ডুমুরিয়া চেচুড়ি ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে। চেচুড়ি ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তরুণী ও তার মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের ডুমুরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে। এর আগে তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান চালায় র্যাব। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেছে জানতে পেরে, র্যাব সদস্যরা ফিরে যান। বুধবার (৬ মার্চ) ধর্ষণের ঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই তরুণীর মামাতো ভাই গোলাম রসুল সরদার। আদালত মামলাটি গ্রহণের জন্য ডুমুরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।
০৮ মার্চ, ২০২৪
আরও
X