বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য দ্রুত দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় তুরস্ক বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত রামিস সেন। বুধবার (৮ মে) দুপুরে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। সাক্ষাৎকালে মেয়র রেজাউল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এছাড়া, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। তুরস্ক এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।  রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সবসময় তুরস্ক পাশে ছিল। তবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। এজন্য তুরস্কের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করে, অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তুরস্কের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি মেডিকেল ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের একটি তুরস্ক। গ্রীষ্মকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্যুরিস্টরা চিকিৎসা নিতে তুরস্কে যান কারণ তুরস্কের স্বাস্থ্য খাত অত্যন্ত জটিল ও বিরল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। কোভিডকালে তুরস্কে ট্যুরিস্টের সংখ্যা কিছুটা কমলেও গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে আবার ৫০ মিলিয়নে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তুরস্কের রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, কর্নেল এরদাল শাহিন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান প্রমুখ।
০৮ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
গাজায় অব্যাহত হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের কথা জানিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করেছে তুরস্ক। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ‘নিরবচ্ছিন্ন ও পর্যাপ্ত’ ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখার কথা জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাস ধরে চলা নির্বিচার এ হামলার জেরে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এরই মধ্যে ভেঙে পড়েছে। এর সঙ্গে অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এ অবস্থায় গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। দুই দিন আগে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টও ঘোষণা দেন, তার সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। বিবিসি জানিয়েছে, গত বছর তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়। তুরস্ক এক বিবৃতিতে বলেছে, বাণিজ্য স্থগিতের ঘোষণার আওতায় সব পণ্যই পড়বে। গাজায় ‘নিরবচ্ছিন্ন ও পর্যাপ্ত’ ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক কঠোর ও সন্দেহাতীতভাবে নতুন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে। এর আগে সীমিত পরিসরে ইসরায়েলের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তুরস্ক। কিন্তু এবার পুরোপুরিভাবে বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিলো এরদোয়ান প্রশাসন। উল্লেখ্য, প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে তুরস্ক ১৯৪৯ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশটির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ২০১০ সালে ফিলিস্তিনপন্থি তুর্কি কর্মী ইসরায়েলি কমান্ডোদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তুরস্ক। তুর্কি একটি জাহাজে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে ওই সংঘর্ষ বাধে। ২০১৬ সালে সেই সম্পর্ক আবার ফেরে। কিন্তু এর দুই বছর পর গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে বিক্ষোভের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের হত্যার কারণে তুরস্ক ও ইসরায়েল উভয়ই তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের সমালোচনায় আরও কঠোর হয়েছেন এরদোয়ান। গত জানুয়ারিতে তিনি বলেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন, তা ‘হিটলারের চেয়ে কম নয়’। গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ নিশ্চিত করতে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান। গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আদামা ব্যারোর সঙ্গে ফোনকলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ আহ্বান জানান। এদিকে বিপুল এ বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ‘স্বৈরশাসকের’ মতো আচরণ করছেন। এক্সে এক পোস্টে কার্টজ বলেন, এরদোয়ান তুর্কি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিকেও তিনি উপেক্ষা করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যের বিকল্প খুঁজতে এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। ধাক্কা সামলাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানির জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
০৪ মে, ২০২৪

ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টির মধ্যে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন ইসমাইল হানিয়া
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া আগামী শনিবার (২০ এপ্রিল) তুরস্ক সফরে যাবেন। সফরকালে তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। খবর রয়টার্সের। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলার কট্টর সমালোচক মুসলিম দেশ তুরস্ক। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেশ শক্তভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এরদোয়ান। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তুলোধুনো করছেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থনের জন্য পশ্চিমাদের নিন্দা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তেল আবিবের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আঙ্কারা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) তুর্কি পার্লামেন্টে নিজের দল একে পার্টির সংসদ সদস্যদের এরদোয়ান বলেন, আমি আগামী শনিবার হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ইস্তাম্বুলে স্বাগত জানাব। আমরা বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করার পর এটিই হামাস প্রধানের প্রথম ইস্তাম্বুল সফর হবে। এ ছাড়া তিনি এমন এক সময়ে তুরস্ক সফর করবেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে দোহায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান গাজায় মানবিক সহায়তা, যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা ও জিম্মিদের মুক্তি বিষয়ে আলোচনার জন্য হামাস নেতা ইসমাইলের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে যে তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ও এর শর্ত সম্পর্কে তাদের মতামত জানিয়েছেন। এরপর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিদান বলেন, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি রয়ে গেছে। যেসব দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন করছে তাদের অবস্থান সংশোধন করা উচিত।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

তুরস্ক ছাড়া গাজা সংকটের সমাধান হবে না : মার্কিন রাষ্ট্রদূত
তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তির ভূমিকা ছাড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যে সংকট চলছে তার সমাধান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফ ফ্লেক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর দ্য ডেইলি সাবাহর। জেফ ফ্লেক বলেছেন, তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তির ভূমিকা ছাড়া গাজায় দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানে পৌঁছানো কঠিন। তিনি বলেন, ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশ হিসেবে স্পষ্টতই ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের গভীর ভ্রাতৃত্বের একটি সম্পর্ক রয়েছে। তাই গাজায় ইসরায়েল যা করছে তা নিয়ে তারা কঠোর সমালোচনা করছে। গত অক্টোবরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিনসহ একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বড় সমর্থক তুরস্ক। এই সময় গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন দিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করছে দেশটি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু প্রশাসন যুদ্ধাপরাধ করছে। আর এই কাজে তাদের সহায়তা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া সেখানে এই পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। গাজার প্রায় শহর-নগরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে এখন রাফা শহরের দিকে চোখ পড়েছে দেশটির।
১৭ মার্চ, ২০২৪

হঠাৎ তুরস্ক সফরে জেলেনস্কি
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার জন্য আঙ্কারায় পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আঙ্কারার প্রেসিডেন্সি’স ডিরেক্টরেট অব কমিউনিকেশনের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যমগুলো। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তুর্কি ডিরেক্টরেট জানায়, দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ, কৃষ্ণ সাগরীয় শস্য চুক্তি নবায়ন, ইউরোপে পূর্ণ শান্তি ও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হবে। এমন এক সময়ে এরদোয়ানের দুয়ারে দাঁড়ালেন জেলেনস্কি যখন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম কালিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো ব্যবহার করে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিল তুরস্ক। ২০২২ সালে প্রবল যুদ্ধের মধ্যেও নিজেদের কূটনৈতিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল আঙ্কারার কূটনীতিকরা। তারপর থেকেই যুদ্ধ বন্ধ করাসহ বিভিন্ন স্বার্থে পশ্চিমাদের পাশাপাশি তুরস্কের ওপরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে কিয়েভ। যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য কৃষ্ণ সাগরীয় শস্য চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর অসহযোগিতার কারণে চুক্তির আওতায় পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছিল না রাশিয়া, এমন অভিযোগ তোলে মস্কো। পরে এ অভিযোগের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকলে গত বছরের জুলাই মাসে চুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। চুক্তি থেকে রাশিয়া বের হয়ে গেলে দিশেহারা হয়ে পড়ে জেলেনস্কি প্রশাসন। অর্থনীতি রক্ষায় একের পর এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। শেষ ভরসা হিসেবে এরদোয়ানের দ্বারস্থ হন।
০৮ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশ ও তুরস্ক ভুল তথ্য প্রতিরোধে কাজ করবে
বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনের আগে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। খবর বাসসের। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে অপতথ্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এর নেতিবাচক শিকার। অপতথ্য ও ভ্রান্ত তথ্য প্রতিরোধ তাই এখন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও তুরস্ক দুদেশের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ অপরাপর সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে ক্রমাগত বিভ্রান্তিকর অপতথ্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে, তা বিশ্ব খুব কমই দেখেছে। এ ধরনের অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য, প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফাহরেতিন আলতুন।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক এবং ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্ক এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও এলেসান্দ্রো এ সাক্ষাৎ করেন।  তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আগামী ১-৩ মার্চ আনতালিয়া ডিপ্লোম্যাসি ফোরামের আসন্ন তৃতীয় সম্মেলনের ওপর আলোকপাত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কার্যকর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। চলতি সনে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন নিয়ে আলোচনা করেন তারা। ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় যুদ্ধ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তুরস্কে বাংলাদেশিদের বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি, অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ, দু'দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। 
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৩০ দেশে ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক
বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশে বায়রাক্তার টিবি-টু ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ডিফেন্স শো-এর এক ফাঁকে তুর্কি বেইকার টেকনোলজি কোম্পানি সিইও হালুক বায়রাক্তার এমন তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। সিরিয়া, লিবিয়া, আজারবাইজান ও ইউক্রেন সংঘাতে বেশ সাফাল্য দেখিয়েছে তুরস্কের নির্মিত এই ড্রোন। বিশেষ করে সীমিত সেনা সক্ষমতা নিয়েও রাশিয়ার বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে তুর্কি ড্রোনের সহায়তায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে ইউক্রেন। এ জন্য বিশ্ববাজারে বর্তমানে তুর্কি ড্রোনের অনেক কদর বেড়েছে। তুরস্কের বেইকার টেকনোলজি কোম্পানি ২০১৪ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বায়রাক্তার টিবি-টু ড্রোন উৎপাদন ও বিক্রি করতে শুরু করে। এসব ড্রোন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং হামলায় অংশ নিতে পারে। এমনকি অনেক দূরে উড়ে গিয়ে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এসব ড্রোন। এতদিন বছরে ২০০টি ড্রোন তৈরি করে আসছিল তুর্কি এই কোম্পানি। তবে চাহিদা বাড়তে থাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই দেশটির রাজধানী কিয়েভের কাছে একটি ড্রোন কারখানা নির্মাণ করছে তুর্কি প্রতিষ্ঠানটি। বিশাল এই কারখানায় ৫০০ জনের মতো মানুষকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বেকারের সিইও হালুক বায়রাক্তার বলেন, আমাদের কারখানা নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হতে আমাদের প্রায় ১২ মাস সময় লাগবে। এরপর আমরা অভ্যন্তরীণ যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও সাংগঠনিক কাঠামোর দিকে নজর দিব। এই কারখানা থেকে বছরে ১২০টি ড্রোন তৈরি করা যাবে। তবে এখানে টিবিটু নাকি টিবিথ্রি মডেলের ড্রোন তৈরা করা হবে, তা এখনো পরিষ্কার না।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মিসরের কাছে ড্রোন বিক্রি করবে তুরস্ক
মিসরের কাছে নিজেদের জনপ্রিয় ড্রোন বিক্রির বিষয়ে রাজি হয়েছে তুরস্ক। টানা এক দশকের বেশি সময় বিচ্ছেদের পর গত বছরই কায়রোর সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করে আঙ্কারা। সম্পর্ক জোড়াদানের এক বছরের মাথায় ড্রোন বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। খবর রয়টার্সের। ২০১৩ সালে আঙ্কারার মিত্র মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে তুরস্ক ও মিসরের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরের বছর মিসরের তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর থেকে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে দুই দেশ। তবে তুরস্কে ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্প ও মে মাসে রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচনের পর সম্পর্কের বরফ গলাতে দুপক্ষই এগিয়ে আসে। ১৩ বছর পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে গত জুলাই মাসে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় তুরস্ক ও মিসর। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মিসর সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান। সম্পর্ক জোড়াদনের পর এটাই তার প্রথম মিসর সফর। সফরকালে তিনি মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে দেখা করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, বেসরকারি এ হ্যাবার টেলিভিশনকে বলেন, সিসির সঙ্গে বাণিজ্য, জ্বালানি ও নিরাপত্তাসহ দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনা করবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এরদোয়ানের এই সফরের আগে হাকান ফিদান বলেন, মিসর যেন কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তি পায় সে জন্য আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মিসরকে ড্রোন ও অন্যান্য প্রযুক্তি সরবরাহ করার জন্য আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে। সিরিয়া, লিবিয়া, আজারবাইজান ও ইউক্রেন সংঘাতে বেশ সাফাল্য দেখিয়েছে তুরস্কের নির্মিত ড্রোন। এ জন্য বিশ্ববাজারে বর্তমানে তুর্কি ড্রোনের অনেক কদর রয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যুদ্ধের মধ্যে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করতে তুরস্ক সফর করবেন। ওই দিন তিনি তুরস্কের মাটিতে পা দিলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটাই হবে ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক তুর্কি কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত বছরের মার্চে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তার বিদেশ সফর বেশ সীমিত হয়ে আসে। অবশ্য আইসিসির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো। রাশিয়া আইসিসির সদস্য না হওয়ায় তাদের আদেশের কোনো বৈধতা নেই বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন। অবশ্য তুরস্কও আইসিসির রোম সংবিধির সদস্য নয়। ফলে সেখানে গেলে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে তুরস্কের। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে দুই দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষার চেষ্টা করছে আঙ্কারা। ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক একদিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে অন্যদিকে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতাও করছে। কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তিতে ফিরে আসতে রাশিয়াকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক। এই চুক্তির আওতায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেন বিশ্ব বাজারে খাদ্য শস্য রপ্তানি করে আসছিল। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে হওয়া এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল তুরস্ক ও জাতিসংঘ। তবে পশ্চিমারা রাশিয়ার দাবি-দাওয়া পূরণ না করায় এক বছরের মাথায় গত বছরের জুলাই মাসে চুক্তি থেকে সরে যায় মস্কো। রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে; বিশেষ করে পর্যটন, গ্যাস সরবরাহ, শস্য ও অন্যান্য কৃষি বাণিজ্যে। তবে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও দুই দেশের মাঝে যথেষ্ট বিরোধও রয়েছে। সিরিয়া ও লিবিয়ার সংঘাতে দুই দেশ পরস্পর বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে আসছে। একই কথা প্রযোজ্য দক্ষিণ ককেশাসের আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা নিয়েও।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X