তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার জন্য আঙ্কারায় পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আঙ্কারার প্রেসিডেন্সি’স ডিরেক্টরেট অব কমিউনিকেশনের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যমগুলো।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তুর্কি ডিরেক্টরেট জানায়, দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ, কৃষ্ণ সাগরীয় শস্য চুক্তি নবায়ন, ইউরোপে পূর্ণ শান্তি ও দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হবে। এমন এক সময়ে এরদোয়ানের দুয়ারে দাঁড়ালেন জেলেনস্কি যখন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম কালিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো ব্যবহার করে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী ছিল তুরস্ক। ২০২২ সালে প্রবল যুদ্ধের মধ্যেও নিজেদের কূটনৈতিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল আঙ্কারার কূটনীতিকরা। তারপর থেকেই যুদ্ধ বন্ধ করাসহ বিভিন্ন স্বার্থে পশ্চিমাদের পাশাপাশি তুরস্কের ওপরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে কিয়েভ।
যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য কৃষ্ণ সাগরীয় শস্য চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর অসহযোগিতার কারণে চুক্তির আওতায় পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছিল না রাশিয়া, এমন অভিযোগ তোলে মস্কো। পরে এ অভিযোগের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকলে গত বছরের জুলাই মাসে চুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো।
চুক্তি থেকে রাশিয়া বের হয়ে গেলে দিশেহারা হয়ে পড়ে জেলেনস্কি প্রশাসন। অর্থনীতি রক্ষায় একের পর এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। শেষ ভরসা হিসেবে এরদোয়ানের দ্বারস্থ হন।
মন্তব্য করুন