ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া আগামী শনিবার (২০ এপ্রিল) তুরস্ক সফরে যাবেন। সফরকালে তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। খবর রয়টার্সের।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলার কট্টর সমালোচক মুসলিম দেশ তুরস্ক। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেশ শক্তভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এরদোয়ান। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তুলোধুনো করছেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থনের জন্য পশ্চিমাদের নিন্দা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তেল আবিবের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আঙ্কারা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) তুর্কি পার্লামেন্টে নিজের দল একে পার্টির সংসদ সদস্যদের এরদোয়ান বলেন, আমি আগামী শনিবার হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ইস্তাম্বুলে স্বাগত জানাব। আমরা বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করার পর এটিই হামাস প্রধানের প্রথম ইস্তাম্বুল সফর হবে। এ ছাড়া তিনি এমন এক সময়ে তুরস্ক সফর করবেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে দোহায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান গাজায় মানবিক সহায়তা, যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা ও জিম্মিদের মুক্তি বিষয়ে আলোচনার জন্য হামাস নেতা ইসমাইলের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে যে তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ও এর শর্ত সম্পর্কে তাদের মতামত জানিয়েছেন।
এরপর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিদান বলেন, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি রয়ে গেছে। যেসব দেশ ইসরায়েলকে সমর্থন করছে তাদের অবস্থান সংশোধন করা উচিত।
মন্তব্য করুন