ইরানে ঘটে যাওয়া বড় বড় বিমান দুর্ঘটনা
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার নিহতের ঘটনায় আবারও সামনে এসেছে ইরানের দুর্বল বিমান ব্যবস্থা। দেশটিতে অনেক আগে থেকেই বিমানখাতে দুর্বলতার প্রমাণ  রয়েছে। এর আগেও বেশকিছু বড় বড় দুর্ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি।  সোমবার (২০ মে) কাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ১৯৭৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৫৩টি বিমান দুর্ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে ইরান। এতে দেশটির তিন হাজার ৩৩৫ জন নিহত হয়েছেন। জেনেভাভিত্তক ব্যুরো অব এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট আর্কাইভসের বরাতে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ১৯৮০ সালের ২১ জানুয়ারি ইরান  এয়ারের একটি বোয়িং ৭২৭-১০০ বিমান তেহরানের আলবোর্জ রেঞ্জের একটি পাহাড়ের ঢালে আঘাত হানে। এ দুর্ঘটনায় ১২৮ জন যাত্রী নিহত হন। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়, অকার্যকর ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) এবং রাতের কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়া ও প্রতিকূল আবহাওয়া।  ১৯৮৬ সালের ৩ নভেম্বর ইরানের বিমানবাহিনীর একটি লকহিড সি-১৩০ হারকিউলিস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই সময় বিমানটি নূন্যতম নিরাপদ উচ্চতা থেকে সাড়ে ছয় হাজার ফিট থেকে নিচে চলে আসে  এবং সিস্তান বেলুচিস্তান প্রদেশে এটি পাহাড়ের ঢালে আঘাত করে। এতে ১০৩ জন যাত্রীসহ সকলে মারা যান।  এ সময় বিমানে ৯৬ জন সেনা ছিলেন।  বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত অল্টিমিটারে একটি ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।  ১৯৮৮ সালের ১৩ জুলাই ইরানের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন ইরান এয়ার পরিচালিত একটি এ৩০০ এয়াবাসে মার্কিন নৌবাহিনীর ক্রুজার ইউএসএস ভিনসেনেস থেকে ভুলক্রমে সামরিক বিমান ভেবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে করে বিমানের ২৯০ জন যাত্রী নিহত হন।  ২০০২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ইরান এয়ারটুরের একটি টুপোলেভ টিইউ-১৫৪ বিমান খোরমাবাদে একটি পাহাড়ের ঢালে আঘাত হানে। বিমানটি তার গতিপথ থেকে ছিটকে পড়ায় বিষয়টি ক্রুরা বুঝতে না পারার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১১৯ আরোহী নিহত হন। তাদের মধ্যে চারজন স্প্যানিশ নাগরিক ছিলেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ।  এরপর ২০০৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) পরিচালিত ইলুশিন II-৭৬ সিরিজের একটি বিমান অবতরণের সময় পাহাড়ে আঘাত হানে। এ সময় বিমানের ২৭৫ জন যাত্রী নিহত হন।  ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই ক্যাস্পিয়ান এয়ারলাইন্স পরিচালিত একটি টুপলোভ টিইউ-১৫৪ বিমান অস্বাভাবিকভাবে নিচে নামতে থাকে  এবং কাজভিনের একটি খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানের ১৬৮ যাত্রী নিহত হন।  যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে দুঘটনার কবলে পড়ে  এ বিমান।  এছাড়া ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স পরিচালিত একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান উড্ডয়নের কয়েক মিনিটির মধ্যে ভূপাতিত হয়।  ওই সময় বিমানটিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে বিমানের ১৭৬ যাত্রী নিহত হন। পরে এ ঘটনায় ভূল স্বীকার করে ইরান।   
৭ ঘণ্টা আগে

রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও অন্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ শোক প্রকাশ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মৃত্যুকে মর্মান্তিক ও অত্যন্ত দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেন। নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করেছে, কিন্তু পরে দেখা যায়, সেটি ক্রাশ করেছে। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক জানাচ্ছি। কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জানান, এখনো পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি ছাত্রদের কোনো গুরুতর আহত বা হতাহতের খবর নেই। পাশের দেশ উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থানরত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে যেতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে

রাইসির আত্মার মাগফিরাত কামনায় সৌদি বাদশাহ
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও অন্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। সোমবার (২০ মে) এক শোকবার্তায় তিনি আল্লাহর দরবারে এ দোয়া করেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই পবিত্র মসজিদের রক্ষক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের মৃত্যুতে খুব শোকাহত। বাদশাহ ইরানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। শোকবার্তায় বাদশাহ ইরানের জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি মৃতদের আত্মার প্রতি রহমত বর্ষণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে আবেদন জানান। এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির মৃত্যুতে শোকাহত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, একজন ভালো বন্ধুকে হারিয়েছে চীন। শোকবার্তায় তিনি এ কথা বলেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আবদুল্লাহিয়ানসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতের খবরে দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বলেন, ইরানকে সহযোগিতা করার জন্য এই মুহূর্তে যা যা প্রয়োজন সব করতে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্কসহ সারা বিশ্ব রাইসির জন্য শোক প্রকাশ করছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির মৃত্যুতে যেন থমকে গেছেন বিশ্ব নেতারা। রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। পরে সোমবার দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। এ দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ কেউই আর বেঁচে নেই। এদিকে ঘটনার আকস্মিকতা শেষ না হতেই চিরশত্রু ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা আলোচনায় ওঠে এসেছে। কয়েকটি সূত্র বলছে, তেহরানে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের তৎপরতা এত নিখুঁত যে, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যার সফল অভিযান পরিচালনা করেছে মোসাদ। তাই দিন যত গড়াবে ইসরায়েলের দিকে সন্দেহের তীর আরও শক্তিশালী হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে

রাইসির মৃত্যুতে শি’র মাতম
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির মৃত্যুতে শোকাহত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছেন, একজন ভালো বন্ধুকে হারিয়েছে চীন। শোকবার্তায় তিনি এ কথা বলেন। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে চীন খুব দুঃখ পেয়েছে। তা জানিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইরানের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। শোকবার্তায় শি বলেন, রাইসি ইরানে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তিনি চীন-ইরান কৌশলগত অংশীদারত্ব সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আরও বলেন, রাইসির দুর্ভাগ্যজনক প্রয়ান ইরানের জনগণের জন্য একটি বড় ক্ষতি এবং চীন একজন ভালো বন্ধুকে হারিয়েছে। চীনা সরকার ও জনগণ ইরানের সঙ্গে বন্ধুত্ব লালন করে। চীন (রাইসির রেখে যাওয়া) অংশীদারত্বকে আরও গভীর ও বিকাশ অব্যাহত রাখবে।  এ ছাড়া চীন এই ঘটনার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যে কোনো উপায়ে ইরানকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আবদুল্লাহিয়ানসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতের খবরে দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে বলেন, ইরানকে সহযোগিতা করার জন্য এই মুহূর্তে যা যা প্রয়োজন সব করতে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। পরে সোমবার দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। এ দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ কেউই আর বেঁচে নেই।
১৯ ঘণ্টা আগে

রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা পাকিস্তানের
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ ৯ আরোহী নিহতের ঘটনায় একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার (২০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে এ শোক পালনের ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, ইরানের সঙ্গে ভ্রাতৃসুলভ একাত্মতা প্রকাশ, প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সহযাত্রীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশে পাকিস্তানে এক দিনের শোক দিবস পালন করা হবে এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। তিনি বলেন, এক মাসেরও কম সময় আগে পাকিস্তানে এক ঐতিহাসিক সফরে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তারা পাকিস্তানের ভালো বন্ধু ছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উদ্বেগের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি অনুসরণ করছিলাম। আশা করছিলাম ভালো খবর পাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তা আর হল না। আমি, পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তানের জনগণ ইরান জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতিতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান ইরান জাতি তাদের সাহসিকতাকে অবলম্বন করে এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে, এটাই আশা করছি। এর আগে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট তিনি। একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী ওই হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
২২ ঘণ্টা আগে

রাইসিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, বললেন ইসরায়েলি নেতা
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ইহুদি ধর্মীয় নেতা। এটা ঈশ্বরের পক্ষ থেকে শাস্তি বলেও বিশ্বাস তাদের। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছেন ইহুদি ধর্মীয় নেতারা। ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ইহুদি ধর্মীয় নেতারা রাইসির মৃত্যুর পর তার প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। সফরসঙ্গীসহ রাইসি নিহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা শোক প্রকাশ করছেন। তার বিপরীতের ইহুদি ধর্মীয় নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি ইহুদি ধর্মীয় নেতা দাবি করেছেন, এটা ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ ছিল। রাইসিকে ‘তেহরানের জল্লাদ’ উল্লেখ করেছেন রাবি মেইর আবুতবুল। ফেসবুকে এক পোস্ট করে তিনি রীতিমতো রাইসির সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েল ও ইহুদিদের প্রতি রাইসির মনোভাবের কঠোর নিন্দা জানান আবুতবুল। তার ভাষায়, এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঐশ্বরিক শাস্তি। খুব নোংরা ভাষায় আবুতবুল লেখেন, সে ইহুদিদের ঝুলাতে চেয়েছিল, তাই ঈশ্বর তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ইসরায়েল বিরোধী ক্রুকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে বাতাসে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিষবাষ্প উগড়ে দিয়েছেন রাবি নির বেন আর্টজিও। এ ঘটনাকে ঈশ্বরের অসন্তোষ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এক ফেসবুক পোস্টে এই রাবি লেখেন, নিজের প্রতি জুলুম করো না, ঈশ্বর বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আপনি ঈশ্বরকে রাগান্তিত করেছেন। রাইসি ও তার প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্য করেন বেন আর্টজি। ইহুদি আরেক ধর্মীয় নেতা রাবি ইৎজ-চাক বাৎজরি আরও এক কাঠি সরেস। তিনি রাইসিকে ফেরাউনের দোসর হামানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগে বাৎজরি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুষ্টু হামান। নিজের পোস্টে বাইবেলের একটি লাইনও জুড়ে দেন এই রাবি। ইরানের উত্তরাঞ্চলে মর্মান্তিক ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসিসহ আরোহী ৯ জনের কেউ প্রাণে বাঁচেননি। প্রায় ১৫ ঘণ্টার অভিযান শেষে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকারীরা কারও জীবনের চিহ্নই খুঁজে পাননি। ইরানের সরকার জানিয়েছে, হার্ড ল্যান্ডিং কারণে এই দুর্ঘটনার ঘটেছে। তবে দুর্ঘটনার আগে হেলিকপ্টার থেকে একবার যোগাযোগ করা হয়, সেই ছিল শেষ কথা।
২২ ঘণ্টা আগে

ইরানকে সহযোগিতায় সবকিছু করতে প্রস্তুত পুতিন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ার পর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরানকে সহযোগিতা করার জন্য এই মুহূর্তে যা যা প্রয়োজন সব করতে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কোয় ইরানি রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালির সঙ্গে দেখা করে এ কথা বলেন।  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর শুনে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানি রাষ্ট্রদূতকে তার কার্যালয়ে জরুরি আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি দুর্ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং ইরানের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানান। যদিও রোববার রাশিয়ায় সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন ছিল তবুও প্রেসিডেন্ট পুতিন জরুরিভিত্তিতে তার অফিসে আসেন এবং ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সেখানে শীর্ষপর্যায়ের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এই দুর্ঘটনায় তারা অত্যন্ত দুঃখিত এবং মর্মাহত। রাশিয়ার পক্ষ থেকে শোকবার্তা ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালীকে অনুরোধ জানান।  প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য তারা দুটি বিমান প্রস্তুত রেখেছেন, সঙ্গে রয়েছে ৫০ সদস্যের একটি শক্তিশালী ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল। এর আগে রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। এ দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক। রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
২২ ঘণ্টা আগে

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের পাশে ভারত
ইরানের প্রেডিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (২০ মে) সকালে এক এক্স (সাবেক টুইট) হ্যান্ডেলে এ শোক বার্তা জানান তিনি।  ওই বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে তার অবদান সর্বদা স্মরণ করা হবে। তার পরিবার ও ইরানের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। এই দুঃসময়ে ইরানের পাশে আছে ভারত। এর আগে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট তিনি। একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী ওই হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
২৩ ঘণ্টা আগে

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি বেঁচে আছেন? 
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। দেশটির কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানাতে না পারায় ইরানেই রাইসির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে।  ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেয়নি রেড ক্রিসেন্ট। ফলে রাইসির মৃত্যুর আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।  এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে এক ফ্লাইট ক্রুর মোবাইল ফোনের সংকেত শনাক্ত করে উদ্ধারকারী দল। ওই সংকেতের সূত্র ধরেই উদ্ধারকারী দলটি দুর্ঘটনাকবলিত স্থানটি খুঁজে পায়।  ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে পূর্ব আজারবাইজানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস এর কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহ বলেন, আমরা এখন সমস্ত সামরিক বাহিনী নিয়ে ওই এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমি আশা করি আমরা জনগণকে খুব দ্রুত সুসংবাদ দিতে পারব। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন। দুর্ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বর্ণনায় ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। কিন্তু এতে হেলিকপ্টারটির অবস্থা কী হয়েছে তা বলা হয়নি। এ পরিভাষায় কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। দেশটির ফারস নিউজ এজেন্সি প্রেসিডেন্টের জন্য দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে, রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্ধার অভিযানের সর্বেশেষ তথ্য নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও, দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য উদ্ধারকারী দলগুলো আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়াও দুর্ঘটনার পরপর এর কারণ অনুসন্ধানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও সমর্থন দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানের পাশে আছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে। দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠিয়েছে।
২০ মে, ২০২৪

খোঁজ মিলল রাইসির হেলিকপ্টারের, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২ কিমি দূরে উদ্ধারদল
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনচি ড্রোন (ইউএভি) দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা সেখানে পৌঁছবেন। সোমবার (২০ মে) এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু। তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এর আগেত গতকাল রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়াও দুর্ঘটনার পরপর এর কারণ অনুসন্ধানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও সমর্থন দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানের পাশে আছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে। দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠাচ্ছে। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।
২০ মে, ২০২৪
X