খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলার চার্জ শুনানি ২৫ জুন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ জুন ধার্য করেছেন আদালত।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার দেশের বাইরে থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, মামলাটিতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু হয়। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর মামলায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১৫ জন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলার সাজা স্থগিত করে সোমবার (১ এপ্রিল) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ রায় দেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বলেছেন, ঈদের ছুটির পর ১০ দিনের মধ্যে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এর আগ পর্যন্ত ইমরান দম্পতির সাজা স্থগিত থাকবে। খবর আল জাজিরার। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ইমরান ও তার স্ত্রীকে কারাদণ্ড দেন অপর একটি আদালত। রায়ে তাদের ১০ বছরের জন্য সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষিদ্ধ এবং প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন রুপি জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। ৭১ বছর বয়সী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৪০ মিলিয়ন রূপীর রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করেছেন তিনি। এ তথ্য তিনি সুকৌশলে গোপনও করেন। পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন সংস্থা মামলাটি করে। এর বিবরণে বলা হয়, খান ও তার স্ত্রী মিলে বেআইনিভাবে উপহার কেনা এবং বিক্রি করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। একাধিক মামলার রায়ে গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিটিআইয়ের রাজনীতিবিদ সাইদ জুলফিকার বুখারি বলেন, যেভাবে রাষ্ট্রীয় উপহারের মামলাটি আদালতে অগ্রসর হচ্ছে তার ভিত্তিতে তিনি ইমরানের মুক্তির বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আশা করি, খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্য সব মামলায় এ রায় প্রভাব ফেলবে।’
০১ এপ্রিল, ২০২৪

ঘর-সংসার ছেড়ে হঠাৎ রাজনীতির মাঠে কেজরিওয়ালের স্ত্রী
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুক্তি কবে মিলবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। জেলে বসে বর্তমানে দল ও সরকার সামাল দিলেও কতদিন তা পারবেন তারও কোনো ঠিক নেই। স্বামীর এমন দুঃসময়ে ঘর-সংসার সব ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছেন স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। প্রশাসন ও দলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের অন্যতম দূত হয়ে উঠেছেন সুনীতা। এমনকি কেজরিওয়ালের অবর্তমানে সরকার ও দলের প্রধান হিসেবে তার নামও আলোচনায় এসেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হন। এরপর ২৮ মার্চ পর্যন্ত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পরপরই মুখ খুলেন সুনীতা। এক্সবার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। সুনীতি বলেন, ‘তিনবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতার দম্ভে মোদিজি গ্রেপ্তার করিয়েছেন। উনি সকলকেই ধ্বংস করে দিয়ে চাইছেন। দিল্লির মানুষের প্রতি এটা বিশ্বাসঘাতকতা। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী সবসময় আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ওর জীবন দেশের প্রতি নিয়োজিত।’ ১৯৯৪ সালে কেজরিওয়ালকে বিয়ে করেন সুনীতা। ২০১৫ সালে কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। তবে এত বছরের সংসার জীবনে কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি সুনীতা। উল্টো রাজস্ব কর্মকর্তার চাকরি ছেড়ে ঘর ও সংসার সামাল দিয়েছেন। তবে গত বৃহস্পতিবার স্বামী গ্রেপ্তার হলে বারবার আলোচনায় আসছেন সুনীতা। গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে পড়েন তিনি। আর এতে রসদ জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে কড়া ভাষায় দেওয়া তার একাধিক এক্সবার্তা। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের পর তার ক্ষমতাসীন সরকার ও দল আম আদমি পার্টি (আপ) বড় ধরনের নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে। এমন সংকটকালে সরকার ও দল পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেয়। দল ও সরকার দুটিই একসঙ্গে সামলাতে পারবেন, কেজরিওয়ালের এমন যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করাই দলটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অরবিন্দের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে যে তিনজনের নাম আলোচনায় এসেছে তাদের অন্যতম সুনিতা। অন্য দুজন হলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য অতীশি ও সৌরভ ভরদ্বাজ। আনন্দবাজার পত্রিকার খবের বলা হয়েছে, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের পর প্রচারের আলোয় উঠে এসেছেন সুনীতা। এতে এই সংকটের সময় তাকে দলের মুখ করতে চাইছে আপ নেতৃত্ব।
২৫ মার্চ, ২০২৪

নাইকো দুর্নীতি / খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য 
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরও দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। দুই সাক্ষী হলেন মিরাজ হোসেন ও আব্দুল বাকী। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। পরে দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় দেন। এর মধ্যে মিরাজের জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়েছে। তবে আব্দুল বাকী আংশিক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ জন্য আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৯ মার্চ আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অন্য ৭ আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
০৪ মার্চ, ২০২৪

নাইকো দুর্নীতি / খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।   এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। এসময় অপর আসামি সেলিম ভূঁইয়ার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।   কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৯ মার্চ আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।   মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

গ্যাটকো দুর্নীতি / খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ফের পেছাল
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আলী হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবী শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জানুয়ারি দেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এই মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন। এরই মধ্যে মামলার ২৪ আসামির ১১ জন মারা গেছেন। মামলার জীবিত আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া, আরও রয়েছেন গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহণ) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি মুলতবি
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি চলতি সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। খালেদার আইনজীবীর পক্ষে সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।   বিচারিক আদালতে নথি দেখে দেখে বাদীপক্ষের ১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২০ জুন বিচারিক আদালতের দেওয়া এক আদেশ সূত্রে গত আগস্টে হাইকোর্টে আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া। এই আবেদনের ওপর গত ১৭ ও ১৮ অক্টোবর শুনানি হয়। ১৮ অক্টোবর শুনানি নিয়ে আদালত ১ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীর পক্ষে সময়ের আরজি জানান আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৯ মার্চ আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩

খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ফের সাক্ষ্য দেবেন দুই কানাডিয়ান পুলিশ
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কানাডিয়ান দুই পুলিশ কর্মকর্তা ফের সাক্ষ্য দেবেন। রাষ্ট্রপক্ষের রিকলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।  দুই সাক্ষী হলেন-কানাডা অ্যান্ড রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ। গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বিদেশি সাক্ষী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিন বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেন আদালত। এরপর গত ১৯ অক্টোবর কানাডিয়ান দুই সাক্ষীকে আদালতে হাজিরে সমন দেন আদালত। ওইদিন বিচারক দুই সাক্ষী কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর শোয়েপের জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরদিন ২০ অক্টোবর সাক্ষী কেবিন দুগ্গানের জেরা হয়। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ দুই সাক্ষীকে রিকলের আবেদন করেন। এরপর আদালত শুনানির জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। এর আগে এ মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে৷ কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ১৯ মার্চ আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।   মামলার অন্য সাত আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।  এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
০২ নভেম্বর, ২০২৩

গ্যাটকো দুর্নীতি: খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি ২৩ নভেম্বর
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।  সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসেন এ দিন ধার্য করেন।  আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজকে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি হবে। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। এতে আসামি করা হয় চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।  এরই মধ্যে ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানসহ আটজন মারা গেছেন। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়াসহ এ মামলার আসামি রয়েছেন ১৫ জন। অন্যরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আনছার, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ৩ বিদেশি কর্মকর্তাকে আদালতের অনুমতি
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডিয়ান রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুজনকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।  রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ অনুমতি দেন।  এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। সেদিন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে গত ২৩ মে তার বক্তব্যের একটি অংশ রেকর্ড করেন আদালত। এরপর মামলার ২ আসামি-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়ার পক্ষে কয়েক দফায় সাক্ষীর জেরা শেষ হয়। শুনানি মুলতবি চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেছবাহ। আবেদনে মেছবাহ উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া এর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং বলেন, বিচারিক কার্যক্রম চলবে। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ-টু-আপিল করা হবে তাই শুনানি স্থগিত করা উচিত বলে জানান তিনি। খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য এর আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। আদালতে তার অনুপস্থিতিতে প্রতিনিধিত্ব করেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেছবাহ। একই আদালত গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় অভিযুক্ত জামিনে থাকা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ইউসুফ হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীসহ তিনজন পলাতক আছেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কানাডার কোম্পানি নাইকোকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন চুক্তি দেওয়ার ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করে। সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদসহ মামলার ৩ আসামি মারা গেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X