রোজায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
রোজায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গতকাল সোমবার সদর দপ্তরে এক সভা থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত জানুয়ারিতে সারা দেশে সংঘটিত অপরাধ পর্যালোচনা করতে ওই সভা হয়। অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় ভার্চুয়ালি সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা অংশ নেন। পুলিশ সদর দপ্তর প্রান্তে অপারেশনস বিভাগের ডিআইজি (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পাওয়া) মো. আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্রসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা ছাড়াও অতিরিক্ত আইজিপি হারানো মোবাইল সেট উদ্ধার অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মোবাইল ছিনতাই রোধে টহল বাড়ানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, সভায় সার্বিক অপরাধ পর্যালোচনা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, মামলা তদন্ত, সাজার হার এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আলোচনা করা হয়।
১২ মার্চ, ২০২৪

রোজায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
রোজার মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। সোমবার (১১ মার্চ) সদর দপ্তরে এক সভা থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  গত জানুয়ারি মাসে সারাদেশে সংঘটিত অপরাধ পর্যালোচনা করতে ওই সভা হয়। অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা অংশ নেন।  পুলিশ সদর দপ্তর প্রান্তে অপারেশন্স বিভাগের ডিআইজি (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পাওয়া) মো. আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্রসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা ছাড়াও অতিরিক্ত আইজিপি হারানো মোবাইল সেট উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশন দেন। পাশাপাশি মোবাইল সেট ছিনতাই বা চুরি প্রতিরোধে টহল বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তিনি কিশোর অপরাধ দমনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কোনো এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার আগেই তা নির্মূলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সভায় আঞ্চলিক সড়কে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া এবং অপমৃত্যু মামলা প্রতিরোধে প্রোঅ্যাকটিভ পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, জানুয়ারি মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সার্বিক অপরাধ পর্যালোচনা, সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, মামলা তদন্ত ও বিচারের ফলাফল, সাজার হার এবং সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আলোচনা করা হয়।
১১ মার্চ, ২০২৪

আ.লীগের সিন্ডিকেটেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সেলিমা রহমান
আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে লিফলেট বিতরণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। সেলিমা রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে আছে। জনগণের কথা না ভেবে দুর্নীতি ও জুলুম, নির্যাতনে ব্যস্ত রয়েছে। কারাগারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারের সব দুর্নীতি ও অপকর্মের হিসাব অবশ্যই জনগণকে দিতে হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের পাঁচ দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এ সময় বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাকি
সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকসহ সমস্ত অর্থনীতিতে লুটপাট, দুর্নীতি আর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ও আধিপত্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে মেজর হায়দার মিলনায়তনে দিনব্যাপী গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণের ভোট ছাড়া এই সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসন করে জবরদস্তি কায়দায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রশক্তির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের এবং নানা স্তরের সুবিধাভোগীদের অবাধে দুর্নীতি, লুটপাট ও অন্যায়ের সুযোগ দিচ্ছে। এইভাবে তাদের অপশাসনের অংশীদার করে এই কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রাখার তৎপরতা চালাচ্ছে। সে কারণে মিথ্যাচার আর দমন-পীড়নই এই তৎপরতার প্রধান দিক। তিনি আরও বলেন, জনগণ এইবার তাদের একই প্রক্রিয়ায় আর ক্ষমতা চালিয়ে যেতে দেবে না। ৭ জানুয়ারি ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ ভোট না দিয়ে যে গণরায়ের প্রকাশ ঘটিয়েছেন, যে নীরব গণপ্রতিরোধের সূচনা করেছেন তার ওপর ভিত্তি করেই দ্রুততম সময়ে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে উঠবে। সরকারকে বিদায় করে এই দেশে জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। এই লড়াইয়ে গণসংহতি আন্দোলনকে আরও ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালন করার জন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের সংগঠন গড়ে তোলা ও সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান সাকি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং বাছাইকৃত প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জরুরি সভায় মন্ত্রীরা, আসতে পারে যেসব সিদ্ধান্ত
দেশজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। বিষয়টি ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। এর মধ্যেই প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে জরুরি সভায় বসেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে জরুরি এ সভা শুরু হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে আরও রয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। ধারণা করা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ ছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম ও পোলট্রি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থার কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

অন্ধত্বকে জয় করলেও পথের কাঁটা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের পুরাতন কর্ণগাঁও গ্রামের বিরেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস (৩৪)। ১২ বছর বয়সে চোখে ব্যথা থেকে ধীরে ধীরে বাম চোখের আলো হারান তিনি।কয়েক বছর পর আবার চোখে ব্যথা শুরু হয়। এতে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান মৃত্যুঞ্জয়। দুচোখে আলো না থাকলেও হার মানেননি অন্ধত্বের কাছে। একাই ধরেন সংসারের হাল। নিজেকে গড়ে তোলেন হস্তশিল্পী হিসেবে। নিপুণ হাতে তৈরি করতে থাকেন টুকরি, কুলা, চাটাই, খালুইসহ বাঁশ ও বেতের নানান জিনিস। চোখে দেখতে না পাওয়া ছেলেটি হাতের কাজ করে সংসারের খরচ বহন করতে থাকে। স্ত্রী, মা, বাবা, ভাইকে নিয়ে ভালোই চলছিল তাদের। অন্ধত্বকে জয় করলেও বর্তমানে সংসার চালাতে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দৈনিক কালবেলাকে হস্তশিল্পী মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি বলে কম বয়সেই অন্ধ হয়ে যাই। কিন্তু কোনো প্রতিবন্ধকতা আমাকে আটকে রাখতে পারেনি। আমি অন্ধ হলেও পরিবারের বোঝা হয়ে থাকিনি। যাইনি ভিক্ষাবৃত্তিতে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাঁশ ও বেতের টুকরি, কুলা, চাটাই তৈরি করতে থাকি আর এ থেকে যে আয় হয় তা দিয়েই পরিবার চালাই। এভাবেই আমাদের পরিবার চলে আসছে। কিন্তু  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এখন আর চলতে পারছিনা। মানুষ এখন আর আগেরমত টুকরি, কুলা, চাটাই নিতে বাড়িতে আসেনা। বাঁশের দাম বেশি তাই এগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হয় বলে আগের মত ক্রেতারা আর আসেনা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ খেয়ে বেঁচে থাকতে হিমসিম খাচ্ছে। আর আমার ক্রেতাদের একটা বিরাট অংশ এই সাধারণ মানুষ। তারা অতি প্রয়োজন ছাড়া এখন আর এসব কিনতে আসে না।  তিনি বলেন, এখন মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী নিয়ে চলতে আমার জন্য বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। যে টাকা রোজি করি তা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসই কিনতে পারিনা। একটা কিনলে আরেকটা কিনতে পারিনা।  কালবেলাকে মৃত্যুঞ্জয়ের পিতা বিরেন্দ্র বিশ্বাস (৭৩) বলেন, ১২ বছর বয়সে মৃত্যুঞ্জয়ের দুই চোখে ব্যথা হতো। চিকিৎসা করে কোনো লাভ হয়নি। তার দুটি চোখই অন্ধ হয়ে যায়। আমার কোনো জায়গা জমি নাই যে কৃষিকাজ করে পরিবার চালাব। মৃত্যুঞ্জয় বাঁশ বেতের কাজ শুরু করলে কোন রকমে চলছিলাম। কিন্তু বর্তমানে জিনিস পাতির যে দাম বাড়ছে এসবে আর পোশে না। বড় অসহায় অবস্থায় আছি এখন। প্রতিবেশী নিরেশ দেবনাথ বলেন, মৃত্যুঞ্জয় আমাদের সাথে ফুটবল খেলত। কিন্তু হঠাৎ তার মাথাব্যথা দেখা দেয়। একসময় সে অন্ধ হয়ে যায়। তারপর সে বাঁশ ও বেতের কাজ শুরু করে। সে যে ভাবে সুন্দর করে বাঁশবেত দিয়ে টুকরি,কুলা, চাটাই তৈরি করতে পারে আমরা সুস্থ মানুষও সেই রকম সুন্দর করতে পারি না। কালবেলাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী বলেন, চোখ হারালেও জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে কাজ করে যাচ্ছে মৃত্যুঞ্জয়। প্রতিবন্ধকতা দমিয়ে রাখতে পারেনি তাকে। অভাব-অনটনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছে কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করেনি। প্রতিবন্ধকতা কখনো সাফল্যের অন্তরায় হতে পারে না। তার উদাহরণ মৃত্যুঞ্জয়। তিনি আরও বলেন, একসময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করত কিন্তু এখন আর সেটি করেনা। তাছাড়া দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এই শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ, দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। প্লাস্টিকসামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়া এই কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আর্থিক খাতের লুটপাট নিয়ে সংসদে ক্ষোভ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আর্থিক খাতের লুটপাট নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, বাংলাদেশে কোথাও কোনো  নিয়ন্ত্রণ আছে বলে আমরা টের পাই না। বুধবার জাতীয় সংসদে ফাইন্যান্স কোম্পানি বিল–২০২৩ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন। ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের দাম বৃদ্ধির সংবাদে বাংলাদেশে পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা হয়ে গেছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোন, কোথাও নিয়ন্ত্রণ আছে বলে.. সরকার আছে আমরা টের পাই না। এ সময় তার পেছনে বসা কয়েকজন সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা হাসি দেন। জবাবে চুন্নু বলেন, ‘আ হা করেন..বাজারে যান না, পেঁয়াজ কত করে দেখেন, আ হা করেন। এই আ হা বা হা হয়ে যাবে।' সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা মাইক ছাড়াই কথা বললে চুন্নু বলেন, ভাই ডিস্টার্বটা করেন! ডিস্টার্ব কইরেন না বাস্তবতায় আসেন। তিনি বলেন, ফাইন্যান্স কোম্পানির কথা মনে হলেই পিকে হালদার যিনি এখন কলকাতায় আছেন..যিনি লিজিং কোম্পানির এমডি ছিলেন। বান্ধবীর নামে ১০০ কোটি, তিন নম্বর বান্ধবীর নামে ৫০ কোটি, স্ত্রীর নামে ১০০ কোটি, শালীর নামে ৫০ কোটি.. মানে শালী, বান্ধবী, স্ত্রীর নামে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছেন। আইনতো ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকতো ছিল, তারা কি তখন ঘাস কেটেছিল? আইন করে লাভ কি? দিয়ে দেন না ফ্রি..যা।  পীর ফজলুর রহমান বলেন, লিজিং কোম্পানি থেকে পিকে হালদার হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছেন। তখনও আইন ছিল। আইন কার্যকর না হলে আইন করে লাভ হবে না। পিকে হালদাররা এভাবে টাকা নিয়ে চলে যাবে। আইন থাকবে আইনের জায়গায়। বিরোধী সদস্যদের জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফাইন্যান্স কোম্পানির শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি বা একই পরিবারের সদস্যরা কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। এক পরিবার থেকে দুই জনের বেশি পরিচালক নিয়োগ করা যাবে না। বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষ অথবা একই পরিবারের সদস্যরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক বা যৌথভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক বা যৌথভাবে কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির উল্লেখযোগ্য (কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫ ভাগের বেশি শেয়ার) শেয়ারধারক হলে অন্য কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি বা ব্যাংক কোম্পানির উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক হতে পারবে না। বিলে বলা হয়েছে, কারো কাছে ১৫ শতাংশের অতিরিক্ত শেয়ার থাকলে এই আইন কার্যকর হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অতিরিক্ত শেয়ার হস্তান্তর করতে হবে। এটি না করলে অতিরিক্ত শেয়ার সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। তবে এসব বিধান সরকারি মালিকানাধীন ফাইন্যান্স কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বিলে বলা হয়েছে, কোনো পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে দুই জনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না। শতকরা ৫ ভাগের বেশি শেয়ারের অধিকারী হলে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ দুইজন পরিচালক থাকতে পারবেন। 
০১ নভেম্বর, ২০২৩

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কানাডার হুঁশিয়ারি
কানাডার বাজারে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এ নিয়ে সরবরাহকারীদের সতর্ক করেছে দেশটি। তারা বলছে, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ না করলে অতিরিক্ত করের মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম না কমালে তারা নতুন করের মুখোমুখি হবেন। তিনি এ জন্য দেশটির পাঁচ শীর্ষ কোম্পানির প্রধান ব্যক্তিদের তলব করেছেন। তাদের কাছে এ বিষয়ে পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন।  বৃহস্পতিবার অন্টারিওতে এক অনুষ্ঠানে ট্রুডো বলেন, যদি ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ না নেন এবং মধ্যবিত্তদের মুক্তি না মেলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেননা একদিকে ব্যবসায়ীরা অনেক মুনাফা করছেন আর অন্যদিকে জনগণ জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে আপাতত মূল্য নিয়ন্ত্রণে করছাড়সহ কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।   তিনি বলেন, মুদি বাজারের বৃহত্তম কোম্পানি ওতায়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কানাডায় গক বছরের জুলাই মাসের তুলনায় বর্তমানে মুদি পণ্যের দাম ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানের ৩ দশমিক ত শতাংশের ওপরে রয়েছে।  দেশটির মুদি দোকানদারদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে অত্যতম হলো উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও কিছুটা দাম বেড়েছে।  কানাডার রিটেইল কাউন্সিল জানয়েছে, সরকার চাইলে অনেক পদক্ষেপ নিতে পারে। এ জন্য তারা সাময়িকভাবে কার্বন ট্যাক্স উঠিয়ে দিতে পারে। এমনকি তারা খাদ্যপণ্যের মোড়ককরণে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলে বছরে ৬০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হতে পারে। 
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X