শ্রম পরিবেশ উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন আইন
শ্রমিকের নিরাপত্তা ও সার্বিক অধিকার নিশ্চিতে বেশ সরব ইউরোপের নীতি-নির্ধারকরা। গত কয়েক বছর ধরেই বারবার তাদের আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। আর সে লক্ষ্যে শ্রমিকের নিরাপত্তা ও সার্বিক অধিকার নিশ্চিতে আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিলেন ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) আইনটি পাস হয় ইইউ পার্লামেন্টে।  ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অনুমোদিত নতুন এই আইন বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর শ্রম ও পরিবেশগত মান উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, দেশের ৬৪ শতাংশেরও বেশি পোশাক ইউরোপে রপ্তানি হয়।  আর ডিউ ডিলিজেন্স আইনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ব্যবসা করতে শ্রমিকদের সুরক্ষার মান নির্ধারণ করে দেবে। বাংলাদেশে রানা প্লাজা ভবন ধসে এক হাজার ১৩৮ পোশাক শ্রমিক নিহত ও দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার ১১তম বার্ষিকীতে ইইউ পার্লামেন্টে এই ভোট হয়।  ২০৩০ সাল পর্যন্ত ধীরে ধীরে কার্যকর হতে যাওয়া এই আইন রপ্তানি ও আমদানিকারকদের উত্পাদন, কমপ্লায়েন্স ও দায়িত্বশীল ব্যবসার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। ইইউ পার্লামেন্টে এই আইনের পক্ষে ভোট পড়ে ৩৭৪টি ভোট দানে বিরত ছিল ১৯ জন আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২৩৫।  ডিউ ডিলিজেন্স আইনে বলা হয়েছে, দেশে-বিদেশে ইইউর যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করবে এবং যাদের বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতম ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো ও কর্মী সংখ্যা ১০০০ এর উপরে তারা নতুন এই আইনের আওতায় পড়বে। সেসব করপোরেটদের নিশ্চিত করতে হবে শ্রমিক ও পরিবেশ নিরাপত্তা। নাহলে তাদের জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশের ইইউ ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এ বিষয়ে বলেন, ইউরোপের মালিকানাধীন কিংবা অন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান যাদের ১০০০ এর ওপর কর্মী আছে এবং বার্ষিক বিক্রি ন্যূনতম ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো তাদের সবাইকে যদি ইউরোপের বাজারে আগামীতে ব্যবসা করতে হয় তবে তাদের আগে কারখানায় শ্রমিকদের পরিবেশের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।  তবে এখনই শ্রম ইস্যুতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে জাতীয় রোডম্যাপ বাস্তবায়নে মনযোগী হবার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে শিল্প কারখানায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং শ্রমিকদের সার্বিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে যদি কোনো ইইউ প্রতিষ্ঠান দুটি বিষয় নিশ্চিত না করে, বার্ষিক মুনাফার ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে তাদের। নতুন আইনটি পাস হলেও এখন সদস্য রাষ্ট্রের সাথে আলোচনা শেষে আইনটি কার্যকর হতে আরও দুই বছর সময় লাগবে বলেও জানান চার্লস।   
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আমদানি-রপ্তানিতে ‘সেবা’ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন আইন
সেবা অন্তর্ভুক্ত করে ‘আমদানি ও রপ্তানি আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনানুযায়ী, সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধকরণের ১৯৫০ সালের আইন আছে। পুরোনো আইনগুলো পর্যায়ক্রমে যুগোপযোগী করার নির্দেশনা আছে। এজন্য নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে নতুন করে কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগে শুধু পণ্যের কথা বলা ছিল। এখন বাণিজ্যিকভাবে সেবা কার্যক্রমকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এ আইনের আওতায় সেবাকে যুক্ত করা হয়েছে। কমোডিটির (পণ্য) পাশাপাশি সার্ভিসকে (সেবা) যুক্ত করা হয়েছে। খসড়া আইনে থাকা সেবার সংজ্ঞা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের অধীন জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিস চুক্তিতে বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী যে কোনো সেবা। মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। এ সম্পর্কিত আদেশ ও বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। আমদানি ও রপ্তানি নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সভায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’, ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৪’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনগুলো গত সরকারের মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো তা সংসদে বিল আকারে পাস হয়নি। ফলে এখন নতুন করে আইনগুলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রয়োজন হচ্ছে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

আমদানি-রপ্তানিতে নতুন আইন
সেবা অন্তর্ভুক্ত করে ‘আমদানি ও রপ্তানি আইন-২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইন অনুযায়ী, সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধকরণের ১৯৫০ সালের আইন আছে। পুরোনো আইনগুলো পর্যায়ক্রমে যুগোপযোগী করার নির্দেশনা আছে। এ জন্য নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে।  তিনি বলেন, আগের আইনে নতুন করে কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগে শুধু পণ্যের কথা বলা ছিল। এখন বাণিজ্যিকভাবে সেবা কার্যক্রমকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সরকার কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। এ সম্পর্কিত আদেশ ও বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। আমদানি ও রপ্তানি নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।  এ ছাড়াও আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এবং পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন-২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। এ সময় আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ হলেও ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ থাকবে।  তিনি বলেন, এবারের রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। আর সে হিসেবেই ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল সরকারি ছুটি। আগামী ৮ ও ৯ তারিখ নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকছে না। তবে কেউ চাইলে এই ‍দুদিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

নতুন আইন অমান্য করলেই বড় শাস্তি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন আইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি। তবে টেস্টে থাকছে না এই আইন। মূলত সাদা বলের ক্রিকেট অর্থাৎ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চালু হবে স্টপ ক্লক নামের নতুন এই আইন। আগামী জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এই আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সব ধরণের সাদা বলের ক্রিকেটে চালু হবে এই আইন।    যদিও এই আইনটি এখনো পরীক্ষাধীন। গত বছর নভেম্বরে আইসিসি জানিয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত স্টপ ক্লক আইনটি পরীক্ষামূলকভাবে চলবে। তবে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‍ক্রিকবাজ জানিয়েছে জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রয়োগ করা হবে এই আইন। মূলত সময়মতো ম্যাচ শেষ করার লক্ষ্যে চালু করা হচ্ছে নতুন আইনটি। ফিল্ডিংয়ে থাকা দল, প্রতি ওভার শেষে নতুন ওভার শুরু করার আগে ৬০ সেকেন্ড সময় পাবে। এই ৬০ সেকেন্ডে মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে হবে। প্রতিবার এই নিয়ম ভাঙার জন্য রয়েছে পেনাল্টির ব্যবস্থা। ফিল্ডে থাকা আম্পায়ার দুবার সতর্ক করবে। তৃতীয়বার এই নিয়ম ভাঙলে পেনাল্টি হবে ৫ রান। তৃতীয়বার থেকে যতবার এই নিয়ম ভাঙবে, প্রতিবারই প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে যোগ হবে ৫ রান। তৃতীয় আম্পায়ার ইলেকট্রনিক স্ক্রিণে ৬০ সেকেন্ডের টাইমার চালু করবেন। তবে ব্যাটারদের কারণে বা ডিআরএস বা অন্য কোনো কারণে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হতে দেরি হলে চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন ফিল্ড আম্পায়াররা। ক্রিকবাজ আরও জানিয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর ভালো ফল পাওয়ায় এই আইনটি এখন স্থায়ী করতে যাচ্ছে আইসিসি। সাদা বলের সব ম্যাচে এই নিয়ম কার্যকর হবে। দুবাইয়ে চলমান আইসিসির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে নতুন আইন। এদিকে ক্রিকবাজ আরও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০২৫ সালে পাকিস্তানের হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি আইসিসির সভায়। ভারত, পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হবে না ধরে নিয়েই, সম্ভাব্য জটিলতা নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল এই সভায়। গত বছর একই জটিলতা তৈরি হয় এশিয়া কাপে। মূল আয়োজক পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি ভারত। ফলে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে হয় এই টুর্নামেন্ট। পাকিস্তানের সঙ্গে সহ-আয়োজক করা হয় শ্রীলঙ্কাকে। ফাইনালসহ ভারতের ম্যাচগুলো হয় লঙ্কান দ্বীপদেশটিতে।
১৫ মার্চ, ২০২৪

জার্মানির নাগরিকত্ব মিলবে সহজে, নতুন আইন অনুমোদন
জার্মানিতে অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব লাভের সময়সীমা কমিয়ে নতুন আইনের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগ। সেইসঙ্গে নতুন আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখারও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার মনে করছে, এ আইনের মাধ্যমে দেশটি দক্ষ কর্মীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। এতে কর্মীসংকট লাঘব হবে। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, শুক্রবারের অধিবেশনে নতুন আইনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৮২টি, বিপক্ষে পড়েছে ২৩৪টি। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ২৩ জন আইনপ্রণেতা। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটসসহ (এসপিডি) জোট সরকারের অংশীদার ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (এফডিপি) ও গ্রিন পার্টি আইনটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর কট্টর ডানপন্থি দল এএফডির সঙ্গে এ আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট (সিডিইউ) ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ)। নতুন আইনের অধীনে জার্মানিতে আট বছরের জায়গায় পাঁচ বছর বসবাস করলেই অভিবাসীরা জার্মান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশটিতে বর্তমানে এ সুবিধা শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্য সদস্যদেশ ও সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা পেয়ে থাকেন।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

এনডিটিভি থেকে / নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট নিয়ে নতুন আইন
নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রে জারি করা হচ্ছে নতুন নিয়ম। নতুন খসড়া নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে ঢুকতে বয়স যাচাইকরণের প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল করে তা আরও জোরদার করা হবে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, ব্যবহারকারীদের বয়স ১৮ বা তার বেশি কিনা তা নিশ্চিতে ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার এবং ক্রেডিট কার্ডের বিবরণের মতো তথ্য দরকার হবে।  যুক্তরাজ্যের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম সম্প্রতি একটি খসড়া নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। এতে শিশুদের পর্নোগ্রাফিক সামগ্রী থেকে রক্ষায় এসব ওয়েবসাইটে ঢুকতে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। এটি যুক্তরাজ্যের অনলাইন নিরাপত্তা আইনের অংশ বলে জানানো হয়েছে। বর্তমানে এ জাতীয় কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলে ব্যবহারকারীকে একটি বোতামে ক্লিক করে নিজেকে ১৮ বছরের বেশি ঘোষণা করতে হয়।  নতুন আইন অনুযায়ী বর্তমান পপ-আপ পৃষ্ঠাটিকে প্রতিস্থাপন করা হবে এবং সেখানে তথ্য দিতে হবে। দ্য ভার্জ জানায়, অফকম নামের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মঙ্গলবার থেকে এই নির্দেশনার বিষয়ে শলা-পরামর্শ শুরু করেছে।  প্রায় এক বছরের মধ্যে তার আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা চূড়ান্ত করার আশা করছেন তারা।     নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহারকারীর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, একটি নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর বা নথি থাকতে হবে।  অর্থাৎ ১৮ বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরাই শুধু এসব শর্ত পূরণে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।  ফিন্যান্সিয়াল টাইমস আরও জানায়,  যারা এ নিয়ম মানতে ব্যর্থ হবেন, তাদের বার্ষিক বৈশ্বিক রাজস্বের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এ ছাড়া, যুক্তরাজ্যে কাজ করা থেকে বিরত রাখাসহ অপরাধী গণ্য করে  শাস্তিও হতে পারে।  অফকমের অনলাইন নিরাপত্তাবিষয়ক পরিচালক গিল হোয়াইটহেড বলেন, অনলাইন নিরাপত্তা আইনের মূল বিষয় হলো-  নিরাপদে  শিশুদের ইন্টারনেট উপভোগ নিশ্চিত করা।  অফকমের খসড়া নির্দেশিকাতে বয়স যাচাইয়ের ছয়টি পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। উপরে উল্লিখিত শর্তগুলো ছাড়াও ব্যবহারকারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্টের মতো ফটো আইডি আপলোড করতে বলা হবে৷ নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, অফকম বড় সাইটগুলোর সঙ্গে সরাসরি কাজ করবে। এ ছাড়া ছোট সাইটগুলোর ক্ষেত্রে সংস্থাটি অভিযোগ শুনে, মিডিয়া কভারেজ মনিটর করে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরও জানায়, শিশুরা প্রথম অনলাইন পর্নোগ্রাফির মুখোমুখি হয় ১৩ বছর বয়সে। তবে, ২৭ শতাংশ  শিশু মাত্র ১১ বছর বয়সে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে পরিচিত হয়। (এনডিটিভি থেকে ভাষান্তর: সরকার জারিফ)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইহুদিবিরোধীদের নাগরিকত্ব না দিতে জার্মানিতে নতুন আইন
ইহুদিবিরোধীদের বিরুদ্ধে নতুন আইন করতে যাচ্ছে জার্মানি। এ আইনটি পাস হলে দেশটিতে ইহুদিবিরোধীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফাইশার। খবর রয়টার্সের।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনটি সংসদে পাসের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এটি পাস করা হলে ইহুদিবিরোধীরা আগামীতে কখনো দেশটির নাগরিত্ব পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।   এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত নতুন একটি আইন বুন্দেস্তাগে (জার্মানির পার্লামেন্ট) প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেটি পাস হলে কোনো ইহুদিবিরোধীকে জার্মানির নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এমনকি যেসব অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, তা ও বাতিল করা হবে। জার্মানে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন পেসারের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এমন বিবৃতি দেন।  বিবৃতিতে তিনি বলেন, জার্মানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সমর্থকদের বিরুদ্ধে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। এ জাতীয় লোকদের আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে বিচার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।  বিবৃতিতে হামাস সমর্থকদের সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজর রাখছে। কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে প্রপাগান্ডা চালানো হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এর আগে গত শুক্রবার ন্যান্সি ফাইশার হামাস সমর্থকদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। জার্মান পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, হামাসের সমর্থকদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো ক্ষমতা আমাদের থাকলে আমরা অবশ্যই তা প্রয়োগ করব।
২৬ অক্টোবর, ২০২৩

অনুভূতিতে আঘাত / পোশাক নিষিদ্ধে নতুন আইন করছে চীন
জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন বক্তৃতা ও পোশাক নিষিদ্ধে নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে চীন। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, নতুন এ আইন গৃহীত হলে দোষীদের জেল ও জরিমানা হতে পারে। ফলে আইনটি কেউ লঙ্ঘন করে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন এ আইনের বিষয়ে সবকিছু স্পষ্ট করা হয়নি। ফলে । সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং আইনজ্ঞরা এর ‘অত্যধিক প্রয়োগ’ এড়াতে আইনের আরও স্বচ্ছতা দাবি করেছেন। এ ছাড়া অনেকেই আইনটিকে বাড়াবাড়ি ও অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন।  নতুন আইনের ধারায় বলা হয়েছে, ‘চীনা জাতির চেতনাকে হেয় করে বা অনুভূতিতে আঘাত করে’ এমন পোশাক পরলে ১৫ দিনের কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া ওই ব্যক্তিকে ৫ হাজার ইউয়ান বা ৬৮০ ডলার জরিমানাও করা হতে পারে। প্রস্তাবিত ওই আইনে ‘স্থানীয় নায়ক ও শহিদদের নামে কুৎসা রটনা বা অপমান, অপবাদসহ’ তাদের স্মৃতিসৌধের ক্ষতিসাধন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে যে আইন প্রয়োগকারীরা কীভাবে বুঝবেন কখন জাতির অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে!  দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরাও এ আইনের অস্পষ্টতার জন্য সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এ আইনের অপব্যবহার হতে পারে। চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব পলিটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড ল-এর আইনের অধ্যাপক ঝাও হং বলেন, ‘এ আইনের অস্পষ্টতার কারণে ব্যক্তিগত অধিকারের লঙ্ঘন হতে পারে।’  উল্লেখ্য, দেশটিতে চলতি বছরের মার্চে নাইট মার্কেটে জাপানি সামরিক পোশাকের রেপ্লিকা পরায় পুলিশ তাকে আটক করে। এ ছাড়া বলতি মাসে বেইজিংয়ের এক অনুষ্ঠানে রংধনু ছাপের কাপড় পরা ব্যক্তিদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।   
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নতুন আইন চালু হলেও চলতি করবর্ষে সব বাস্তবায়ন হবে না
নতুন আয়কর আইন-২০২৩ পাস হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে চলতি ২০২৩-২৪ করবর্ষে তার প্রয়োগ হবে না। সে ক্ষেত্রে পুরোনো আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী তার পরিপালন হবে। নতুন ও পুরোনো আইনের প্রয়োগ নিয়ে করদাতাদের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ের ব্যাখ্যায় এসব জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আয়কর আইন-২০২৩ কার্যকর হওয়ার আগের অডিট মামলাগুলো নিষ্পত্তি হবে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী। এ ছাড়া ২০২২-২৩ করবর্ষের কর নিরূপণ আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এবং অর্থ আইন, ২০২২ এর অনুযায়ী সম্পন্ন হবে। তবে আয়কর আইন, ২০২৩ কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে পরের সব কার্যবিধি (যেমন—নোটিশ জারি, শুনানির তারিখ নির্ধারণ, কর নির্ধারণের ধারা) আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী উল্লেখ করতে হবে। ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, আয় নিরূপণের যেসব ক্ষেত্রে পরিপালনজনিত ব্যর্থতার কারণে কোনো খরচ অনুমোদনের বিধান আয়কর আইন ২০২৩-এ রয়েছে, কিন্তু আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-তে ছিল না, সেসব বিধান ২০২৪-২৫ করবর্ষ থেকে প্রযোজ্য হবে। যেমন—আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৫৫-তে ‘ব্যবসা হতে আয়’ পরিগণনাকালে কতিপয় ক্ষেত্রে বিয়োজন অনুমোদনযোগ্য না হওয়ার উল্লেখ রয়েছে। ধারা ৫৫-তে উল্লিখিত যেসব ক্ষেত্র নতুনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। অর্থাৎ আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ৩০-এ ছিল না সেসব বিধান ২০২৪-২৫ করবর্ষ থেকে প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, ‘ব্যবসা হতে আয়’ পরিগণনাকালে বেতন-ভাতাদি খাতে খরচ হিসাবে কোনো কর্মচারীকে মাসিক গ্রস বেতন ২০ হাজার টাকা বা এর অধিক ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করা না হলে তা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ৩০ (র) অনুযায়ী খরচ হিসেবে অননুমোদিত হতো। আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৫৫(ট) অনুযায়ী কর্মচারীর ‘চাকরি হতে আয়’ বলে বিবেচিত এরূপ কোনো অর্থ যদি ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করা না হয় তবে তা ‘ব্যবসা হতে আয়’ পরিগণনাকালে বেতন-ভাতাদি খাতে খরচ হিসেবে অনুমোদিত হবে। এ ক্ষেত্রে আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী ২০২০-২৪ করবর্ষের ‘ব্যবসা হতে আয়’ পরিগণনাকালে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ৩০ (র) প্রযোজ্য হবে। ব্যাখ্যায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩-২৪ করবর্ষে ‘ব্যবসা হইতে আয়’ পরিগণনাকালে ক্ষতির জের টানা ও সমন্বয় আয়কর আইন-২০২৩-এর বিধান প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ করবর্ষে লভ্যাংশ আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ‘আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়’ হিসেবে গণ্য হবে।
২৫ আগস্ট, ২০২৩
X