বঙ্গোপসাগরে জাহাজ ডুবিতে ১১ নাবিক উদ্ধার, নিখোঁজ ১
নোয়াখালী হাতিয়ার ভাসানচর সংলগ্ন পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ঘটনায় ১১ নাবিককে উদ্ধার করেছেন মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা। তবে এখনো ১ নাবিক নিখোঁজ রয়েছে।   বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে জাহাজডুবির এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা কালা মিয়া জানান, এমভি মৌমনি নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে ভাসানচরের পূর্ব অংশে ইসলাম চর এলাকায় পৌঁছালে দুপুর ১২টার দিকে ১২ নাবিক ও মালামালসহ জাহাজটি বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা ১২ নাবিক ডুবে যাওয়া জাহাজের ওপরের অংশ ধরে ভাসতে থাকে। এ সময় নাবিকরা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান।  পরে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে রওনা হয়। এর মধ্যে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়া জাহাজের নাবিকদের দেখতে পেয়ে জেলেদের একটি বোট তাদের মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে।  হাতিয়া থানার ওসি জিসান আহমেদ জানান, কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই জেলেদের একটি বোট নাবিকদের উদ্ধার করে। তাদের নিরাপদে পৌঁছানোর সব ব্যবস্থা করছে কোস্টগার্ড। তবে এখনো এক নাবিক নিখোঁজ রয়েছে।   
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

নদীতে নিখোঁজ ২ বোনের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালের মুলাদীতে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসলে নেমে নিখোঁজের ৪৪ ঘণ্টা পর দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ও ১০টায় আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে তাদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মুলাদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা মো. নুরুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) বেলা ২টার দিকে ঢালীবাড়ি লঞ্চঘাটে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয় তারা। মৃত দুই বোন হলো- উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের গলইভাঙ্গা গ্রামের মো. মাহমুদ হাসানের মেয়ে হাবিবা হাসান অর্পা (১৭) এবং মো. বাবুর মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা হাফসা (১৩)। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। স্থানীয়রা জানায়, ওই দুই বোনের পরিবার ঢাকায় থাকত। ঈদে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গোসলে নদে নেমে ডুবে যায়।  মুলাদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দুই বোন নিখোঁজের পর জেলে ও স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। সকাল ৭টার দিকে ঢালীবাড়ি লঞ্চঘাট থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে অর্পার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পশ্চিমে বানীমর্দন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সিদরাতুল মুনতাহা হাফসার ভাসমান মরদেহ পাওয়া গেছে। মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া জানান, ‘নিখোঁজ দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সিলেটের হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ
সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদ শফিক মিয়া নামের এক রোগী নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার (৪ মার্চ) রাত ৩টা থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের সপ্তম তলার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শফিক মিয়া (৮০) জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার আজিজপুরে বনগাঁও এলাকার বাসিন্দা। এদিকে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছেন শফিক মিয়ার ছেলে আরশ আলী। আরশ আলী বলেন, ‘সোমবার বাবাকে প্রেসার ও ব্রেনের সমস্যা নিয়ে ভর্তি করেছি। রাতে আমার বাবা বেডেই ছিলেন। হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খুঁজে না পেয়ে জিডি করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমরা বার বার ডাক্তারকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার অনুরোধ করলেও তারা সহযোগিতা করেননি। সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই?’ কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ওসমানী হাসপাতাল থেকে শফিক মিয়া নামের এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছেন। থানায় জিডি করেছেন তার ছেলে। শফিক মিয়াকে উদ্ধার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

সারিয়াকান্দিতে ৭ দিন ধরে শিক্ষার্থী নিখোঁজ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাত দিন ধরে নাছিম মিয়া (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। নাছিম উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী পশ্চিমপাড়া বা গাবতলা পাড়া গ্রামের ওয়াজেল মিয়ার ছেলে। সে উপজেলার ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শবেবরাতের দিন এশার নামাজের পর নাছিম মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। এ সময় তার গায়ে নীল রঙের জ্যাকেট, পরনে জিন্সপ্যান্ট এবং পায়ে হলুদ বার্মিজের স্যান্ডেল ছিল। নাছিমের গায়ের রং শ্যাম বর্ণের। নাছিমের বাবা ওয়াজেল মিয়া গত সোমবার সারিয়াকান্দি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সারিয়াকান্দি থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, থানার হারানো ডায়েরি অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে।
০৪ মার্চ, ২০২৪

সাড়ে তিন মাসেও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৯ জেলের
সাড়ে তিন মাসেও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হওয়া ৯ জেলের। গত ১৭ নভেম্বের মাছ শিকারের সময় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ নিখোঁজ হন ওই ৯ জেলে। নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন, চট্টগ্রামের হামিনি জলদাসের পুত্র সুদান, আব্দুল কারিমের পুত্র নেছার, হাবিবুর রহমানের পুত্র আবুল কাসেম, মো. ইসলামের পুত্র বাদশা, করিম আকনের পুত্র মো. কালু, হরিসন্ন দাসের পুত্র হরি রঞ্জন, সোনায়েত আলীর পুত্র আমির হোসেন, ইসলাম মিয়ার পুত্র নুরুল আফসার, মো. জামাল মিয়া। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালি, সাতকানিয়া ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আগামী ২৮ মার্চ সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি পল্লির কার্যক্রম শেষ হবে। সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন জেলে-বহাদ্দরা। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে হারিয়ে যাওয়া জেলেদের কোনো খোঁজ না মেলায় উৎকণ্ঠা কাটছে না তাদের নিয়ে আসা বহাদ্দরের।  দুবলার চরের ইসাহাক বহদ্দার ও আবু বহদ্দার জানান, তার এফবি আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলারের ১৪ জেলে মাছ ধরার সময় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে নিখোঁজ হন। পরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ৬ জেলেকে অপর একটি ফিশিং ট্রলারের জেলেরা জীবিত উদ্ধার করে। কিন্তু ৯ জেলে এবং ফিশিং ট্রলারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হলেও জেলেদের সন্ধান না পেয়ে তিনি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।  শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তারা আমাকে জানায়নি। যার কারণে মিধিলির ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেওয়ার সময় নিখোঁজ ৯ জেলের বিষয়টি উল্লেখ করা যায়নি।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিখোঁজ স্কুলছাত্রকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
পঞ্চগড় থেকে নিখোঁজ হওয়া সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পার্বতীপুর রেল জংশন স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। থানা সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে নীলফামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার্বতীপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এ সময় মো. সিয়াম নামে ওই ছাত্রকে প্ল্যাটফরমে সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করতে দেখেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পরে থানার নারী ও শিশু ডেস্কে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এরপর সাব ইন্সপেক্টর সাজিদ হাসানের নেতৃত্বে এএসআই আবু হানিফ কিশোর সিয়ামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার বাবা হামিদুল ইসলাম ও মা শাহিনা আক্তার থানায় এলে তাদের কাছে সিয়ামকে হস্তান্তর করা হয়। তাদের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারহার ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া গ্রামে। সিয়াম একদিন আগে থেকে নিখোঁজ ছিল বলে জানায় তার পরিবার। তবে কী কারণে সে এখানে চলে আসে তা জানাতে পারেনি পরিবার। এদিকে নিখোঁজ সন্তানকে খুঁজে পাওয়ায় পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাবা হামিদুল ইসলাম। পার্বতীপুর রেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাজিদ হাসান জানান, ওই কিশোরকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এএসআই আবু হানিফ। এমন মানবিক কাজের সাক্ষী হওয়া পুলিশ বাহিনীর অন্যতম অর্জন বলে জানান তিনি।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৭ দিন পর মিলল ছেলের মরদেহ, এখনও নিখোঁজ বাবা
ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর পারভেজ (২৮) নামে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মেঘনার জোরখাল পয়েন্টে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার পারভেজ ট্রলার মালিক আ. রাজ্জাকের ছেলে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আ. রাজ্জাক। বাবা-ছেলের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পূর্বচর সুলতানি গ্রামে। ভোলা নৌপুলিশের পরিদর্শক বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মেঘনা নদীতে পারভেজের মরদেহ ভাসতে দেখে জেলেরা নৌপুলিশকে জানান। পরে নৌপুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে মনপুরা থেকে মেহেন্দীগঞ্জ যাওয়ার পথে প্রবল স্রোতের কবলে পড়ে ডুবে যায় একটি ট্রলার। সেসময় ট্রলারে থাকা পাঁচজন জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন বাবা-ছেলে। ঘটনার দুইদিন পর ট্রলারটি উদ্ধার করা গেলেও বাবা-ছেলে নিখোঁজ ছিলেন। রোববার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বাবা।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মাশহাদ উদ্দীন নাহিয়ান। নিহত রীনা বেগম (৩২) পিরোজপুর জেলার পারেরহাট সংকরপাশা গ্রামের অলি উল্লাহর স্ত্রী।  মাশহাদ উদ্দীন নাহিয়ান বলেন, সোমবার সকালে মেঘনা নদীর হাইমচরের গাজীপুর ইউনিয়নের এয়ারটেলচর এলাকা থেকে রীনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমিরবাদ এলাকায় মেঘনা নদীতে মার্কেন্টাইল-৩ নামের কার্গোর ধাক্কায় তলা ফেটে চরে আটকা পড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ। ওই সময় এই নারী নিখোঁজ হন। ওই লঞ্চের পাঁচ শতাধিক যাত্রী মতলব উত্তরের আমিরাবাদ চরে আটক পড়ে। পরে এমভি সুন্দরবন-১৪ ও এমভি সুন্দরবন-১৫ লঞ্চ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশাল ঘাটে নিয়ে পৌঁছায়।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বগুড়ায় নিখোঁজ ২ বিএনপি নেতার সন্ধান মিলেছে
বগুড়ায় দুই বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের সন্ধান মিলেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে আনোয়ার হোসেন তার নিজ বাড়িতে ফেরেন এবং দেলোয়ার হোসেন গতকাল রাতে তার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন।  তবে তারা কোথায় কীভাবে ছিলেন এ ব্যাপারে দুই পরিবারের কেউ মুখ খোলেননি। আনোয়ারের বাড়ি ফেরার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করলেও দেলোয়ারের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি। আনোয়ার হোসেন কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে ও উপজেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি বীরকেদার ইউপির সাবেক সদস্য। অপরজন উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। আনোয়ারের মামাতো ভাই নাহিদ পারভেজ বলেন, ‘আমার ভাই ভোরে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তিনি সুস্থ আছেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলছেন না।’  আনোয়ারের মা রমেনা বেগম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমার ছেলে ফিরে এসেছে। সে সুস্থ ও ভালো আছে।’  দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, ‘বুধবার রাতে আমার স্বামী আমাকে মোবাইলে কল দিয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন চিন্তার কিছু নেই। তিনি ভালো আছেন। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন সে ব্যাপারে কিছু বলেনি। শুধু বলেছে খুব শিগগিরই দেখা হবে।’  বগুড়া নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ওমর আলী বলেন, ‘নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মধ্যে আনোয়ার তার বাড়িতে ফিরেছেন বলে অবগত হয়েছি। তিনি আসার পর কাউকে কিছু বলছেন না। আমরা এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছি। তবে দেলোয়ারের ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না।’
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

মেঘনা নদীতে মাছধরার ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ১ 
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে। নিখোঁজ জেলের নাম মৃদুল (২০)।  সে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ফজল মাঝি গ্রামের হরিবন্ধু দাসের ছেলে।   সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অমিত কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের নলচিরা ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   অমিত কুমার বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে নলচিরা ঘাট এলাকা থেকে একটি বাল্কহেড চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। ওই সময় ট্রলারে সাতজন জেলে মাছ ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাল্কহেডটি মাছ ধরার ট্রলারে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ছয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। তবে মৃদুল নামে এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।  তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে নৌ-পুলিশ। 
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X