সাড়ে তিন মাসেও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হওয়া ৯ জেলের। গত ১৭ নভেম্বের মাছ শিকারের সময় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারসহ নিখোঁজ হন ওই ৯ জেলে।
নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন, চট্টগ্রামের হামিনি জলদাসের পুত্র সুদান, আব্দুল কারিমের পুত্র নেছার, হাবিবুর রহমানের পুত্র আবুল কাসেম, মো. ইসলামের পুত্র বাদশা, করিম আকনের পুত্র মো. কালু, হরিসন্ন দাসের পুত্র হরি রঞ্জন, সোনায়েত আলীর পুত্র আমির হোসেন, ইসলাম মিয়ার পুত্র নুরুল আফসার, মো. জামাল মিয়া। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালি, সাতকানিয়া ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
আগামী ২৮ মার্চ সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি পল্লির কার্যক্রম শেষ হবে। সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন জেলে-বহাদ্দরা। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে হারিয়ে যাওয়া জেলেদের কোনো খোঁজ না মেলায় উৎকণ্ঠা কাটছে না তাদের নিয়ে আসা বহাদ্দরের।
দুবলার চরের ইসাহাক বহদ্দার ও আবু বহদ্দার জানান, তার এফবি আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলারের ১৪ জেলে মাছ ধরার সময় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে নিখোঁজ হন। পরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ৬ জেলেকে অপর একটি ফিশিং ট্রলারের জেলেরা জীবিত উদ্ধার করে। কিন্তু ৯ জেলে এবং ফিশিং ট্রলারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হলেও জেলেদের সন্ধান না পেয়ে তিনি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তারা আমাকে জানায়নি। যার কারণে মিধিলির ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেওয়ার সময় নিখোঁজ ৯ জেলের বিষয়টি উল্লেখ করা যায়নি।
মন্তব্য করুন