শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
নির্বাচন কমিশন কি ধন্যবাদ পেতে পারে না
অনেক আলোচনা-সমালোচনা আর অনেক অনিশ্চয়তার পর শেষ পর্যন্ত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে এটাই সবচেয়ে বড় সফলতা। ভোটকেন্দ্রে যারা ভোট দিতে গিয়েছেন, তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন। একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেননি। দিনের ভোট রাতেও হয়নি। নির্বাচন কমিশনের হিসাবমতে, ৪১ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। ভোটে আওয়ামী লীগ ২২২, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ একটি, কল্যাণ পার্টি একটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্র ৬২টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। এর পরদিনই নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন। তিনি টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন আর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার অর্থাৎ পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন, যা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যেও বিরল ঘটনা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। কিন্তু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় এটাকে আমলে নেওয়া যায় না। কারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু বাধ্যবাধকতা নয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধান মেনে যে কোনো দলই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, নাও নিতে পারে। আর এই বিধিবিধান হলো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হবে। যে কোনো নাগরিক রাজনৈতিক দল ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তাকেও কিছু বিধিবিধান মানতে হয়। তার এলাকার নির্ধারিতসংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত সমর্থনে দালিলিক প্রমাণ দাখিল করতে হয়। দালিলিক প্রমাণে গরমিল থাকায় এবার অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এটা বলাই যায়, নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে থেকে তার দায়িত্ব পালন করেছে। শিডিউল ঘোষণার পর পরই প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ২৮ নভেম্বর থেকে সারা দেশে ৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে। এই ম্যাজিস্ট্রেটরা কঠোর অবস্থানে ছিলেন। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যবস্থা থেকে বাদ যাননি ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান থেকে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুজন প্রার্থীকে আর্থিক জরিমানা পর্যন্ত করা হয়েছে। দুজনই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রার্থী। তাদের একজন কুমিল্লার বাহাউদ্দিন বাহার, আরেকজন বরগুনার ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নানাভাবে সতর্ক করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভয়ে প্রার্থীরাও ছিলেন তটস্থ। মিছিল-মিটিং থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার লাগানো পর্যন্ত তাদের সতর্ক থাকতে হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকি দেওয়ায় ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়, যা এক নজিরবিহীন ঘটনা। নির্বাচন কমিশনের এমন কঠোর পদক্ষেপে স্বস্তি ফিরে আসে ভোটারদের মধ্যে। শক্তিশালী প্রার্থীর দুর্বল প্রতিপক্ষও অনেকটা স্বস্তির মধ্যে ছিলেন। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা যে হয়নি তাও বলা যাবে না। শিডিউল ঘোষণা থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে এটা বলাই যায়, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশন একটা সফল নির্বাচন উপহার দিয়েছে। তারা আইনের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, এটার দায়ভার নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায় না। কারণ ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে ভোটার হাজির করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়। ভোট দেওয়া নাগরিকের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। ভোট দিতে না যাওয়াটাও তার ব্যক্তিগত অধিকার। নির্বাচন কমিশন কাউকে বাধ্য করতে পারে না। কমিশনের দায়িত্ব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা না। এ ক্ষেত্রে কমিশন যথার্থ ভূমিকাই পালন করেছে। প্রতি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীও মোতায়েন ছিল। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, এজন্য ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনের জন্য ৬৫৩ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের দায়িত্ব ছিল নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার করা। ফলে কেন্দ্রের নিরাপত্তা ছিল শতভাগের শতভাগই। আর ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। এর আগে মোতায়েন করা হয় আধাসামরিক বাহিনী বিজিবি। ফলে সারা দেশ ছিল কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির কোনো অভিযোগ দাঁড় করানো যাবে না। দ্বিতীয় প্রসঙ্গ আসে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়টি। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। নির্বাচন কমিশনের কাজ এটা নয়, তাদের কোনো দায়ও নেই এ বিষয়ে। কোন দল নির্বাচনে এলো আর কোন দল এলো না, সেটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়। নির্বাচন কমিশন তার বিধিবিধান মেনে নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করে। কাজেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তপশিল ঘোষণা থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত এবার নির্বাচন কমিশন চমৎকারভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। মোটা দাগে আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা যাবে না। বাংলাদেশের বাস্তবতায় অনেক কিছুই হয়তো করা সম্ভব হয় না। আইন না মানার প্রবণতা এখানে সবচেয়ে বেশি। সেই অবস্থায় থেকে যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে একটা নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছে, এজন্য নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়। ভোটার তুলনামূলক কম উপস্থিতি হলেও একেবারে কম ছিল তা কিন্তু বলা যাবে না। ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, সারা দেশে গড়ে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা গড় হিসাব। অনেক আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে এবং ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে; যেখানে প্রার্থী ছিলেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এবার ৮০টি আসনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশের সংসদ নির্বাচনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচনে। এই নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পড়ে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে বিএনপির অধীনে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে। এতে ভোট পড়ে মাত্র ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এ যাবতকালের ভোটের হার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একমাত্র বিএনপির অধীনে খালেদা জিয়ার আমলে ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে, মাত্র ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া সব নির্বাচনেই ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যদি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়ে, সেটাকে কম বলার কোনো কারণ নেই। লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ইমরান খানের জন্য দুঃসংবাদ দিল নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনের আগে আবারও দুঃসংবাদ পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার আদালত নয়, নির্বাচন কমিশন তাকে দুঃসংবাদ দিয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সরকারি ও দলীয় সূত্র সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়ন বাতিল করেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি দুটি আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।  ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ার পর থেকে তিনি আইন ও রাজনৈতিক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে সময় পর করছেন। চলতি বছরের আগস্ট মাসে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।  তার মিডিয়া টিম জানিয়েছে, দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এর আগে শুক্রবার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন জমা দেন।  লাাহোরে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। তার প্রার্থিতা বাতিলের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি  এ আসনের বৈধ ভোটার নন। কেননা আদালত দ্বারা তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন।  তার মিডিয়া টিমের সদস্যরা জানিয়েছে, লাহোর ছাড়াও তিনি নিজের শহর মিনাওয়ালি থেকেও অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।  এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর কারাগারের বাইরে ইমরানের আইনজীবী আলী জাফর গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ইমরান খান আপনাদের জানাতে চান- পাকিস্তানের তিনটি সংসদীয় আসন থেকে লড়বেন তিনি। আসনগুলো হলো- লাহোর, মিয়ানওয়ালি ও ইসলামাবাদ। তোশাখানা মামলায় গেল আগস্টের শুরুতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয় ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত। এর ফলে আইন অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য হয়ে পড়েন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ওই মাসেই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তিন বছরের সেই সাজা স্থগিত করেন। মামলাটি রায়ের জন্য বর্তমানে অপেক্ষমান রেখেছে আদালত। তবে ইমরানের বিরুদ্ধে এখনও অন্যান্য মামলা বিচারাধীন রয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে আদিয়ালা কারাগারের বাইরে ইমরানের আইনজীবী আলী জাফর গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তোশাখানা মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইমরানের আবেদনের ওপর দ্রুতই রায় দেবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায় ইমরানের পক্ষে যাবে বলেও আশা করেন তিনি। এই আইনজীবী আরও বলেন, দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়া অগণতান্ত্রিক চর্চা। এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তারা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাবেন। এদিকে দলের চেয়ারম্যান গহর খান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তার কাছে মনোনয়নপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আল্লাহ চাইলে ইমরান খান এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ইমরান খান দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে গহর খান বলেন, কে দল থেকে মনোনয়ন পাবেন, তা ইমরান খানই নির্ধারণ করবেন।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফরিদপুরের এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ইসির
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে অন্যত্র বদলি করে একজন নিরপেক্ষ পুলিশ সুপারকে পদায়ন করার জন্য মুহাম্মদ সাইফুর রহমান নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন দাখিল করেছেন। উল্লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণে চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে মাদারীপুরের কালকিনি, ময়মনসিংহের ফুলপুর ও তারাকান্দা থানার ওসি এবং ময়মনসিংহের ফুলপুরের ইউএনওকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন কমিশন চরম কঠোর হবে : ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং অস্তিত্বের সম্পর্ক নির্ভর করে। এই নির্বাচনে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি রয়েছে। কাজেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশন কঠোরতার চরম পর্যায়ে যাবে। প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল ও ভোট বন্ধ করে ওই স্থানে উপনির্বাচন দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসি আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন। প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। আমরা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি এবং সত্যতা পেয়েছি। এক্ষেত্রে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করবে। এতে কে ফেঁসে যাবেন, তা আমরা দেখব না।  তিনি বলেন, পুলিশ তো সরকার পক্ষের লোক। যিনি অভিযোগকারী তাকেই প্রথমে থানায় অভিযোগ করতে হবে। অভিযোগ না দিলে বিষয়টি দুর্বল হয়ে যায়। এই বিষয়টিও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দেখতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, অপকর্ম করলেই প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। আনিছুর রহমান বলেন, এ বছর নির্বাচনের আগের দিন ব্যালট পেপার কেন্দ্রে যাবে না। ভোটের দিন সকালে যাবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে। এজন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। পাশাপাশি র‍্যাব-বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন করা হবে। ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ কলংকমুক্ত হবে। তাই নির্বাচনে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ইসি। জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার নির্বাচন আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ মিয়া, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদসহ জেলার ৪টি আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন সভায়। এর আগে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রার্থীরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে বক্তব্য দেন। নির্বাচনী প্রচারকালে বাধা-হামলার শিকার হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দিয়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী। সভায় জেলার ৪টি আসনের প্রার্থীদের অনেকেই তাদের বক্তব্যে এসব অভিযোগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে বাম জোট  
একতরফা নির্বাচনী তপশিল বাতিল, তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জোটের নেতারা।  বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে পুরানা পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড শহিদুল ইসলাম সবুজ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দমন-পীড়ন-গ্রেপ্তার বন্ধ ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করার আহ্বান জানান। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দলগুলোর সভা-সমাবেশ, মিছিলের মতো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি করতে না দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করছে তা সঠিক নয়। ভোট চাওয়ার যেমন অধিকার আছে, ভোটে না যাওয়ার এবং তা বয়কট করারও অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে। সরকার যেকোনোভাবে নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। তাই তারা সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ, শহর ও গ্রামে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর পুলিশ-সাদা পোশাকধারী ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা-গুপ্ত হত্যা, গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে এগিয়ে যাচ্ছে চরমোনাইয়ের নেতাকর্মীরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার সন্ধ্যায়। এর প্রতিবাদে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করতে গণমিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চরমোনাইয়ের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু করে দলটি। তপশিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন কমিশন ভবন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে বলে গতকালই ঘোষণা করেছিল দলটি। এদিকে চরমোনাইয়ের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে পল্টনের কার্যালয়ে দেশের চলমান সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছিলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এক তরফা আত্মঘাতির তপশিল ঘোষণা দেশবাসী মানবে না। উল্লেখ্য, আজ সন্ধ্যা ৭টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সকাল ১০টায় তপশিল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বুধবার বিকেলে ২৬তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় সব গণমাধ্যমে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করবেন সিইসি।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

তপশিল ঘোষণা হলেই নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল : ইসলামী আন্দোলন
রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া একতরফা আত্মঘাতীর তপশিল ঘোষণা দেশবাসী মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।  মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটজনক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর সাথে সমঝোতা ছাড়া একতরফা তপশিল ঘোষণা হলে আগামীকাল বুধবার ১৫ নভেম্বর বিকাল ৩টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) অভিমুখে গণমিছিল হবে। একতরফা তফসিল ঘোষণা দেশকে গৃহযুদ্ধের পথে নিয়ে যাবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া একটি দলের ইচ্ছা পূরণের তপশিল দেশবাসী মানবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় না নিয়ে সমঝোতাবিহীন তপশিল ঘোষণা হলে নতুন করে দেশে সংকট তৈরি হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মাওলানা খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) জিএম রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলানা নুরুল ইসলাম আল আমিন, সহকারি প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, আব্দুল আউয়াল মজুমদার প্রমুখ।  প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে তফসিল ঘোষণা করলে দলদাস হিসেবে চিহ্নিত হবেন। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে ইসি হাবিবুল আউয়াল কমিশন নির্বাচনের নামে জাতির সামনে আরেকটি তামাশার দ্বার উন্মোচন করতে চায়। কিন্তু জনগণ তা কোনভাবেই মানবে না। এদিকে, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হলে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত শেষে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। 
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

বুধবার বিকেলে তপশিল নিয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন
আগামীকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তপশিল নিয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ইসি ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমনকি ইসিতে এনআইডি সংশোধনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থেকে বন্ধ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইসি ভবনের সামনে চার টিমের পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, যা আগে ছিল না। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে হলেও গেটের সামনে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশের গাড়ি নির্বাচন কমিশনের সামনে দিয়ে টহল দিচ্ছে। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধের বাকি আছে বুধবার (১৫ নভেম্বর) পর্যন্ত। ইসি সচিবের বক্তব্য অনুসারে বুধবার (১৫ নভেম্বর) অথবা বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তপশিল ঘোষণার একটা সম্ভাবনা আছে। তপশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও ইসির নিরাপত্তা বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তপশিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন। প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। ডিসেম্বরের শেষ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে : ইসলামী আন্দোলন
সদ্য শেষ হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে আবারও নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন  ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মওলানা ইউনুছ আহমাদ। সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মওলানা ইউনুছ বলেন, ‘দেশ অনিবার্য সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়া দেশের সব মানুষ পছন্দের প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটার নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। এটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই। সদ্য শেষ হওয়া বি-বাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে আবারও নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ পেশিশক্তির প্রদর্শন করা হয়েছে। যা জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সেল হয়েছে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, নেছার উদ্দিন, মনির হোসেন, এবিএম জাকারিয়া, শওকত আলী হাওলাদার, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, দেলাওয়ার হোসাইন, জিএম রুহুল আমীন, নুরুল ইসলাম আল আমিন, নাসির উদ্দিন খান, আরিফুল ইসলাম, নুরুল করীম আকরাম প্রমুখ। 
০৬ নভেম্বর, ২০২৩

৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গেসাক্ষাৎ করবে নির্বাচন কমিশন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আগামী ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) একান্ত সচিব রিয়াজউদ্দীন গতকাল শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সাধারণত ভোটের তপশিল ঘোষণার আগে এমন সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সিইসির একান্ত সচিব বলেন, ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরুর পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিল ইসি। ৯ নভেম্বর দুপুরে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, এই দাবি পূরণের বিষয়টি তাদের এখতিয়ারের বাইরে। তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো ভোটের আয়োজন করা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। বিধান অনুযায়ী এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভোটের তপশিল ঘোষণা হতে পারে।
০৫ নভেম্বর, ২০২৩
X