সিটি-পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালেন কাদের
নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে ও কোন্দল রোধে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনেও দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন বা নৌকা প্রতীক দেবে না আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ উন্মুক্ত থাকায় দলটির তৃণমূলে যে কোন্দল ও বিভেদ তৈরি হয়েছে তা নিরসন করতে সাংগঠনিক উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব নির্দেশনা দেন। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের পর এটাই ছিল আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের প্রথম বৈঠক।  বৈঠক সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার জন্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন প্রস্তাব তুলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি সকলের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, সবাই যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার পক্ষে সেহেতু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হবে না। এমনকি সিটি ও পৌরসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দেওয়া হবে না। পরবর্তীতে দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্থানীয় সরকারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিধান থাকলেও দলটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দলে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে তা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা ও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠক শেষে গণভবনের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আমরা দলের প্রতীকের প্রার্থিতা দেব কি না- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটি প্রায় সর্বসম্মত যে, এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা ব্যবহার করা হবে না। এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনেও দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এখন অভিমত পেশ করেছে। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অভিমতের সঙ্গে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করেন না। তিনি বলেন, যেহেতু সবাই এখানে একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। আপাতত এটা ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত। ওয়ার্কিং কমিটি যেটা সিদ্ধান্ত নেয়, মনোনয়ন বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত বহাল করে। এটা মনোনয়ন বোর্ডের আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতার আগে বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থী সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে মনোমালিন্য... কিছু কিছু জায়গায় তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। তা দূর করতে আমাদের দলের যে আটটি বিভাগীয় কমিটি রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বলে ঢাকায় ডেকে এনে তা সমাধানের কথা বলা হয়েছে। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, দলের জ্যেষ্ঠ নেতার উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না করার পরিপ্রেক্ষিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আপাতত স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এতে ভোট উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক হবে। যিনি জনপ্রিয় প্রার্থী তিনিই জয়ী হয়ে আসবেন। বিষয়টি নিয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।  দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা পশ্চিমা দেশগুলোকে ইঙ্গিত করে বলেন, ভোটার উপস্থিতির বিষয় নিয়েই তো ‘মাতবররা’ সবক দেন। উন্মুক্ত নির্বাচন হলে ভোটার বাড়বে।  জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি দলের নেতা–সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়। বিএনপি পরবর্তীতে ভোটে এলে তখন পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রতীক দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে।  বৈঠক সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ভোট-পরবর্তী সংঘাতের বিষয়টি আলোচনায় আসে। কেউ কেউ একটি বর্ধিত সভা করে বিভেদ কমানোর প্রস্তাব দেন। তবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা একে অপরের মধ্যে বিরোধের মধ্যে বর্ধিত সভা না করার কথা বলেন। বরং দলের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিভেদ কমাতে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। বিবদমান জেলা-উপজেলা শাখার নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধান করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পরবর্তীতে বর্ধিত সভা করার কথা বলেন। 
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকছে কি না জানালেন কাদের
আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ। সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   শিডিউল ঘোষণার পর সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলের মধ্যে সৃষ্ট কোন্দল নিরসনে সংশ্লিষ্টদের ঢাকায় আনার জন্য বিভাগীয় কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।  জানা গেছে, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে পারে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে। সেই নির্বাচনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মতো উন্মুক্ত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। অপরদিকে, স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ ও সংরক্ষিত) পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। আইনটি পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তারপর থেকে সকল স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে।  তবে, ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেই সময়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো দলীয় প্রার্থী রাখা হয়নি। তবে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকেই নির্বাচন করেছিলেন। এদিকে, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। নির্বাচন যোগ্য হয়েছে ৪৮৫ উপজেলা পরিষদ। এর তালিকাও পেয়েছি। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হতে পারে। এ জন্য ইসি সচিবালয়ও প্রস্তুত রয়েছে।  প্রসঙ্গত, টানা চতুর্থবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এটিই ছিল আওয়ামী লীগের প্রথম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

নৌকা প্রতীক না পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী
সাতক্ষীরা-১ আসনে পঞ্চমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৪ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে জমজমাট। তবে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১০ প্রার্থী রয়েছেন। তার মধ্যে ফিরোজ আহমেদ স্বপনের নৌকা, সৈয়দ দীদার বখতের লাঙল ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহর কাস্তে-হাতুড়ি। সাতক্ষীরা-১ আসনটি তালা ও কলারোয়া উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মুজিবকে পরাজিত করেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। ২০১৮ সালেও তিনি নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। তবে এবার শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহারের আদেশ না আসায় নৌকা প্রতীক পেয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। বিপুল নেতাকর্মী নিয়ে ফিরোজ আহমেদ স্বপন প্রতীক বরাদ্দ নিতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসনে। প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন ফিরোজ আহমেদ স্বপন। তিনি বলেন, আমার মনোনয়নপ্রাপ্তিতে তালা-কলারোয়ায় গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। আমার বিজয় নিশ্চিত। শেখ হাসিনার উন্নয়নে লোকজন নৌকায় ভোট দেবে। বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদী ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেই। তালা-কলারোয়ার অলিগলি আমি চিনি। জনগণ আমাকে ভোট দেবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এ ছাড়াও নিজেকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন ১৪ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোট পাওয়া প্রার্থী সরদার মুজিব। কেন্দ্রীয় সৈনিক লীগের সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব বলেন, যেহেতু স্বতন্ত্র ভোট আমি করেছি। তাই ভোটের মাঠের চিত্র হিসেবে আমি বিজয়ী হব। সাতক্ষীরা-১ আসনে জাতীয় পার্টির অবস্থান বেশ শক্তিশালী ছিল। বর্তমানে সেই অবস্থা না থাকলেও ব্যক্তি হিসেবে ভোটারদের মনে জায়গা রয়েছে এরশাদ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখতের। এদিকে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। যদিও ভোটের মাঠে খুবই দুর্বল। নৌকায় ভর করে বিজয় বন্দরে পৌঁছান লুৎফুল্লাহ্। তবে সেই সুযোগ এবার শেষ সময়ে হাতছাড়া। মোবাইল ফোনে এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ১৪ দলের ৭টি আসনে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত ছিল। সাতক্ষীরা-১ আসন সেই ৭টি আসনের মধ্যে ছিল।  কিন্তু শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় আমি নির্বাচনে যাচ্ছি না।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

শাহজাহান ওমরকে নৌকা প্রতীক দিতে চিঠি দিয়েছিল আ.লীগ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। ঝালকাঠি- ১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন তিনি। তবে বিএনপির সাবেক এই নেতাকে নৌকা প্রতীক দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এই আসনে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুল হক হারুন, যিনি বি এইচ হারুন নামে পরিচিত। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নৌকার পার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ঝালকাঠি-১ আসন থেকে ছয়বার নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে সদ্য জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর দিন আওয়ামী লীগে যোগ দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ফলে একই আসনে নৌকা প্রতীকের দাবিদার দুই প্রার্থী। ঝালকাঠি-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুই জনকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও পরে মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের নিকট চিঠি দিয়েছে দলটি।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

মিঠাপুকুরে রাশেক রহমান নৌকা প্রতীক পাওয়ায় সর্বত্র বইছে আনন্দের বন্যা
রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) সংসদীয় আসনে নৌকা মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেক রহমান। প্রত্যাশিত নৌকা প্রতীক পাওয়ায় ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিঠাপুকুরে আনন্দ মিছিল করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে দলীয় সিন্ধান্তে রাশেক রহমান নৌকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শত শত নেতাকর্মী আনন্দ মিছিল বের করেন তারা। আনন্দ মিছিল শেষে মিঠাপুকুর ওভার ব্রিজের নিচে সমবেত হন নেতাকর্মীরা। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলালীগ, মৎস্যজীবী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হয়। সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আফসার মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার সাদাত লেমন, সাবেক অধ্যক্ষ মেজবাহুর রহমান মঞ্জু, ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল কবীর টুটুল, যুবলীগের আহ্বায়ক শাহ আসাদুজ্জামান সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শাহ রফিকুল ইসলাম তুহিন, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্যা আবু সাঈদ মৎস্যজীবী আহবায়ক ওয়াদুদ মিয়া প্রমুখ। অপরদিকে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আনন্দ মিছিল করেছেন বলে জানা গেছে। 
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

গাইবান্ধার ৫টি আসনে নৌকা প্রতীক পেলেন যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকালে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিন বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে দলটি। ৩০০ আসনের মধ্যে দুটিতে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আসনগুলো হলো- কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫। এই দুটি আসনে প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে। গাইবান্ধার ৫টি আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন- গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম গিনি গাইবান্ধা-৩ উম্মে কুলসুম স্মৃতি গাইবান্ধা-৪ মোঃ আবুল কালাম আজাদ গাইবান্ধা-৫ মাহমুদ হাসান
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

রংপুরের ৬টি আসনে নৌকা প্রতীক পেলেন যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিন বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে দলটি। ৩০০ আসনের মধ্যে দুটিতে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আসনগুলো হলো- কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫। এই দুটি আসনে প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে। এর আগে ২৩ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আসন্ন নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। রংপুরের ৬টি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন- রংপুর-১ মোঃ রেজাউল করিম রাজু রংপুর-২ আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী রংপুর-৩ তুষার কান্তি মন্ডল রংপুর-৪ টিপু মুনশি রংপুর-৫ রাশেক রহমান রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

গাজীপুরে নৌকা প্রতীক পেলেন যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিন বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে দলটি। ৩০০ আসনের মধ্যে দুটিতে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আসনগুলো হলো- কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫। এই দুটি আসনে প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে। এর আগে ২৩ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আসন্ন নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর জেলায় ৫টি আসন রয়েছে। এই আসনগুলোতে যারা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুর-১ আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক গাজীপুর-২ মো. জাহিদ আহসান রাসেল গাজীপুর-৩ রুমানা আলী গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন (রিমি) গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ
২৬ নভেম্বর, ২০২৩
X