এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ছাত্রদলের শুভেচ্ছা 
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। রোববার (১২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞেপ্তিতে এ অভিনন্দন জানায় ছাত্রদল। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জানায়, গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য, পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতি, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেট, উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশনা, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, দলীয় বিবেচনায় অযোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বিলোপের অপচেষ্টা, জবাবদিহিতাহীন অস্বাভাবিক প্রকল্প ব্যয়, শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানাভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা বিধ্বংসী নতুন শিক্ষাক্রম।  ছাত্রদল জানায়, নতুন প্রজন্মকে অব্যাহতভাবে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ এবং স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা রহিত করা হয়েছে। এই জাতিবিনাশী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের পক্ষে নিরন্তর রক্তস্নাত সংগ্রাম করে চলা সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজকের তরুণেরাই দেশের ভবিষ্যৎ। আজকের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই আগামী দিনে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি বিমুখতার বদলে রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠবে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিবে, তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হবে, এটাই আজকের দিনে গণমানুষের প্রত্যাশা, আমাদেরও প্রত্যাশা।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারা দেশে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোববার (১২ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন। প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ অনুযায়ী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও মাদ্রাসা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
১২ মে, ২০২৪

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ গুচ্ছের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে। তীব্র গরমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের এক প্রকার নাভিশ্বাস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অবিভাবকেরা হাত পাখা নেড়ে তাদের প্রিয় সন্তানদের একটু স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থীদের ঠিক এ চিত্রই দেখা গেছে।  উত্তরা থেকে আসা লামিয়া খাতুন নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, প্রচন্ড গরমে মাথা ব্যাথা করছে। সঙ্গে এত মানুষের চাপে শরীর প্রচন্ড ঘামছে। আমার সঙ্গে আসা আমার বড় বোন হাত পাখা দিয়ে বাতাস করেই যাচ্ছে। তারপরও তেমন কোনো স্বস্তি পাচ্ছি না।  পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আসা রোকসানা বেগম নামে এক অবিভাবক বলেন, প্রচন্ড গরমে আমা মেয়ে ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে গেছে। এমনিতেই একপ্রকার ভয় কাজ করছে অন্যদিকে তীব্র গড়ম। তারপরও কি আর করার পরীক্ষা তো দিতেই হবে। শুধু আমার মেয়ে নয় সকল পরীক্ষার্থীদের একই অবস্থা। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বসার ব্যবস্থা ও খাবার পানির ব্যবস্থা করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি অনুভব করছি। গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

শতাধিক পরীক্ষার্থী ফিরে গেলেন কাঁদতে কাঁদতে
দেশের আট বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে গতকাল শুক্রবার একযোগে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ৩ হাজার ১৪০টি আসনের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার। এদিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১২টায়। তবে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি শতাধিক পরীক্ষার্থী। শেষমেষ কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছেন তারা। পিএসসির নির্দেশনা ছিল, পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। তাই সকাল সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কোনোরকম সতর্কতা না দিয়ে হুট করে ফটক বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন অনেক পরীক্ষার্থী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, পিএসসির এ নির্দেশনা অনেক শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে পরীক্ষা শুরুর ১৫-১৬ মিনিট পর। তাই পরীক্ষা দিতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীই ক্ষোভ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও সমালোচনা করেছেন অনেকে। রাজধানীর তেজগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নির্দেশনা জটিলতায় অন্তত ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি। তাদের দাবি, শেষ সময়ে কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কোনো সতর্কতা না দিয়েই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের একজন শাউলিনা রহমান। তিনি কুমিল্লা থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। শাউলিনা বলেন, আমি ৯টা ১৫ মিনিটে এই এলাকায় চলে এসেছি। ঠিক ৯টা ৩১ মিনিটে রাস্তায় গেটের সামনে ছিলাম। বাচ্চাকে একপাশে বসিয়ে রেখে এসে দেখি গেট বন্ধ করে দিয়েছে। মূল গেটের দেয়াল টপকে দ্বিতীয় গেটে এসেছি; কিন্তু এখান থেকে ঢুকতে দেয়নি। ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার অনুরোধ করার পরও ঢুকতে দেননি। তানজিয়া শারমিন নামে আরেক পরীক্ষার্থী জানান, আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে পিএসসি থেকে মোবাইলে পাঠানো পরীক্ষাবিষয়ক এমন একটি নির্দেশনা তার মোবাইলে এসেছে সকাল ১০টা ১৬ মিনিটে। তিনি বলেন, আমি ৯টা ২০ মিনিটে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছি। যেহেতু কিছু সময় বাকি আছে, তাই চাইছিলাম বাকি সময়টাতে একনজর রিভিশন দিই। গেটের পাশেই বসে শিটে চোখ বোলাচ্ছিলাম। কিন্তু ৯টা ৩০ মিনিটে দেখতে দেখতেই গেটটা বন্ধ করে দিল। বারবার আকুতি জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন, যাদের এটাই ছিল শেষ বিসিএস। শেষ স্বপ্নটা এভাবে ভেঙে যাওয়ায় অনেককে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদতেও দেখা গেছে। রাজশাহী মহানগরীর মসজিদ মিশন একাডেমি কেন্দ্রে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আসায় ফাহাদ ফয়সাল নামে এক পরীক্ষার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটি ছিল তার শেষ বিসিএস। কষ্টে কেন্দ্রের সামনেই চিৎকার করে কেঁদেছেন; রাস্তায় গড়াগড়ি খেয়েছেন। রংপুরের তিনটি কেন্দ্রে সাড়ে ৯টার দুই মিনিট পর আসায় পরীক্ষা দিতে পারেনি ৮১ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্রে ২৫ জন, লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪৬ এবং পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ১০ জন। এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, আমাদের নিয়মই ছিল ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা বারবার বলেছি। তার পরও যদি কেউ যথাসময়ে কেন্দ্রে আসতে না পারে, তাহলে আমাদের দৃষ্টিতে সে পরীক্ষার অযোগ্য।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ  / ফল পুনর্মূল্যায়নে প্রাথমিকে উত্তীর্ণ হলেন দ্বিগুণ পরীক্ষার্থী
দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফলে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং রাতেই বুয়েটের একটি কারিগরি টিম ফল পুনঃমূল্যায়ন শুরু করে। সংশোধিত ফলে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। প্রথম প্রকাশিত ফলে উত্তীর্ণ ছিলো ২৩ হাজার ৫৭ জন। রোববার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাতে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানানো হয়। এ ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর থেকেই পরীক্ষার চারটি কোডের মধ্যে সুরমা ও পদ্মা কোড পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফল নিয়ে কোনো অভিযোগ না করলেও মেঘনা ও যমুনা সেট পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ফল না পাওয়ার অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে জোর সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে অন্তত ১০ জন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা জানান, অনেক ভালো পরীক্ষা দিলেও তাদের ফল আসেনি। প্রথমে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এমন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।  মোহাম্মদ মিজানুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, আমার সেটকোড ছিল মেঘনা। আমার হিসাবমতে, পরীক্ষায় ৭০ নম্বর পাওয়ার কথা। যা পেলে আমি অনায়াসে উত্তীর্ণ হই। কিন্তু আমার ফল আসেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ কালবেলাকে বলেন, তিন লাখ প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তার মধ্যে কেউ উত্তীর্ণ না হলে এর মানে নির্দিষ্ট সেট কোডের কেউই উত্তীর্ণ হয়নি? তিনি বলেন, অধিদপ্তরের ডিজির (মহাপরিচালক) কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি এই দুই সেট থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাহলে এসব অভিযোগ কেন আসছে? তারপরও আমরা পুনরায় যাচাই করব। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ প্রকাশের পর রাতেই প্রাথমিকের ফল প্রকাশে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং বুয়েটের কারিগরি টিম পুনঃমূল্যায়ন কাজ শুরু করে এবং আরও ২৩ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে ২ পরীক্ষার্থী আটক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মোবাইল ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থী আটক করা হয়েছে।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে কক্সবাজার সিটি কলেজ কেন্দ্র থেকে আটক হন তারা। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে । আটকরা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল তেতৈয়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে বশির আওহমেদ এবং চকরিয়া চিরিঙ্গা ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামসুল আলমের ছেলে তোহিদুল ইসলাম। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রসচিব কলেজ অধ্যক্ষ ক্যথিং অং। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল দশটা থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। কক্সবাজার সিটি কলেজ কেন্দ্রে দুই পরীক্ষার্থী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পৃথক দুটি রুম থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস জব্দ করা হয়। আটককৃতদের কক্সবাজার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনজিও সেল) নওশের ইবনে হালিম বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও দুই পরিক্ষার্থী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। গোয়েন্দাদের দেওয়া সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা না দিয়ে নিয়মিত মামলা করতে কেন্দ্রসচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার মডেল থানার ওসি মো. রাকিবুজ্জামান বলেন, আটক দুজন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। 
৩০ মার্চ, ২০২৪

৫ লাখ টাকার প্রস্তাব, নিষিদ্ধ ৫ পরীক্ষার্থী
আইনজীবীদের একমাত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দিতে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ায় পাঁচজনকে পরীক্ষায় বসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা আগামী পাঁচ বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। গতকাল রোববার বার কাউন্সিলের সচিব সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুর রহমান সরদারে সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। পরীক্ষার্থীরা হলেন মো. লুৎফর রহমান, মাকসুদা পারভীন, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, মো. মনিরুজ্জামান, ও মো. আনিসুর রহমান। তারা সবাই গত বছরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বার কাউন্সিলের ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এনরোলমেন্ট লিখিত পরীক্ষায় পাঁচ পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে নিজের ফোন নম্বর দেন। সেইসঙ্গে অর্থের বিনিময়ে পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য পরীক্ষকের কাছে প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বরত নারী ইনভিজিলেটর সম্পর্কে উত্তরপত্রে অশালীন কথাবার্তা লেখা ছিল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া জন্য একজন শিক্ষানবিশ প্রার্থীর পরীক্ষার উত্তরপত্রে মূল্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকের কাছে এ ধরনের অনৈতিক প্রস্তাব রাখা গোটা আইন অঙ্গনকে কলুষিত করার শামিল। সেইসঙ্গে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বার কাউন্সিলের জন্যও এ ধরনের ঘটনা ভীষণ রকম অবমাননাকর।
২৫ মার্চ, ২০২৪

এসএসসি পরীক্ষা / মোবাইল-হেডফোন নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
রাজশাহীতে মোবাইল ফোন ও ব্লুটুথ হেডফোন নিয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে এক পরীক্ষার্থী। সে এসব নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করে। পরে কক্ষের পর্যবেক্ষক তা খুঁজে পান। এ অপরাধে ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়টির কেন্দ্রসচিব ড. নূরজাহান বেগম ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ওই পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন ও একটি ব্লুটুথ হেডফোন পাওয়া যায়। এসব ব্যবহার করে পরীক্ষায় সে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেছিল। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী রাজশাহীর প্যারামাউন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এটি রাজশাহীর একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। বিভাগের আট জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৪৪ জন। এ দিন শুধু একজন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৪৩২ জন।
০৩ মার্চ, ২০২৪

পকেটে স্মার্টফোন, চার এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পকেটে মোবাইল ফোন রাখা এবং অসদুপায় অবলম্বন করায় চার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ফুলবাড়ী উপজেলার একাধিক কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একজন বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী ফুলবাড়ী জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার নাম মো. আশিফুর রহমান আকাশ। অন্যদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রাহিবুল ইসলাম জানান, জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২নং কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল আকাশ। গণিত দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় স্মার্টফোন ব্যবহার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসএসসি পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের দায়ে ও নকল সরবরাহ করায় মোট চার শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষায় কেউ যেন অসদুপায়ের সুযোগ নিতে না পারে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় ৩ পরীক্ষার্থী আটক
বাংলাদেশ রেলওয়ের বুকিং সহকারী/টিকিট কালেক্টর নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ৩ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর ডেমরায় সামছুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে তাদের আটক করা হয়।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘বুকিং সহকারী/টিকিট কালেক্টর নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম অংশে প্রায় ১শ’র অধিক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা তদারকিসহ সংশ্লিষ্ট সব দায়িত্ব পালনে রেলওয়ের পরিচালক ট্রাফিক মাহাবুবুর রহমান বেলা ১১টায় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় একটি কক্ষে ৩ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এক ধরনের শব্দ শোনা যায়। ওই ৩ জনকে তল্লাশি করে তাদের জামার ভেতরে কসটেপ দিয়ে আটকানো ব্যাটারি সংযুক্ত এক শ্রেণির ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পাওয়া যায়। পরে হল পরিদর্শক রেলওয়ের কর্মকর্তা ডেমরা থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে রেলওয়ের পরিচালক ট্রাফিক মাহাবুবুর রহমানের নির্দেশে পরিচালকের পক্ষে তার নিরাপত্তা সিপাহি মো. হাবুল খান থানায় গিয়ে মামলা করেন। আটককৃতরা হলেন, মো. শাকিব আহম্মেদ (২৫), মো. রোবেল মিয়া (২৫), মো. শাহজাদা (২৮)। এরা সবাই বাংলাদেশ রেলওয়ে ‘বুকিং সহকারী/টিকিট কালেক্টর বিভাগে চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি (তদন্ত) সুব্রত কুমার বলেন, পূর্বে থেকেই সামছুল খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে ওই নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারিত ছিল। বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশকে ডেকে নিয়ে ওই ৩ পরীক্ষার্থীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা রেলওয়ের পরিচালক ট্রাফিক মাহাবুবুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে সাইবার অ্যাক্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা / চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত প্রায় ১০ শতাংশ পরীক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা, আইন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এই অনুষদে চবি কেন্দ্রে মোট আবেদন করে ৮ হাজার ১৯২ শিক্ষার্থী। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৭ হাজার ৪৪৭ পরীক্ষার্থী। উপস্তিতির হার ৯০.৯১%। অনুপস্থিতির হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন বি ইউনিটের চবি কেন্দ্রের সমন্বয়ক আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় ভর্তিপরীক্ষা শুরু হয়। অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুকক বলেন, 'খ' ইউনিটে চবি কেন্দ্রে সর্বমোট ৮ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ হাজার ৪৪৭ জন উপস্থিত ছিলেন। শতকরা উপস্থিতির হার ৯০ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ ছাড়া অনুপস্থিত ছিলেন ৭৪৫ জন। তিনি আরও বলেন, আজকের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  এবারের ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট বরাদ্দ। এমসিকিউ-তে প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ মার্ক কাটা যাবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের (জিপিএ) ওপর ২০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ভোগান্তি এড়াতে আট জোড়া শাটল ট্রেনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন বিএনসিসি, রোভার স্কাউট এবং বিভিন্ন জেলা স্টুডেন্ট'স অ্যাসোসিয়েশন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছে। পাহাড়তলী কলেজ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা জুলিয়ান ফার্নান্ডেজ কালবেলাকে জানান, গতবারের তুলনায় একটু সহজ হয়েছে পরীক্ষা। কিন্তু বাংলার রিটেন অংশ আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে। এদিকে গতবারের মতো এ বছরও বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তিপরীক্ষা হওয়ায় খুশি অভিভাবকরা। চকরিয়া থেকে বোনকে নিয়ে এসেছেন পেশায় শিক্ষক ফরহাদ উদ্দীন । তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পরীক্ষা হওয়ায় কোনো অতিরিক্ত ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। সময় নষ্ট হয়নি। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নিতে পারে। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আজ ঢাবির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা সুন্দরভাবেই হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যেন কোনো ভোগান্তি না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ নজরদারি ছিল।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X