মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
রোববার (১২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞেপ্তিতে এ অভিনন্দন জানায় ছাত্রদল।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জানায়, গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য, পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতি, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেট, উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশনা, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, দলীয় বিবেচনায় অযোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বিলোপের অপচেষ্টা, জবাবদিহিতাহীন অস্বাভাবিক প্রকল্প ব্যয়, শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানাভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা বিধ্বংসী নতুন শিক্ষাক্রম।
ছাত্রদল জানায়, নতুন প্রজন্মকে অব্যাহতভাবে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ এবং স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা রহিত করা হয়েছে। এই জাতিবিনাশী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের পক্ষে নিরন্তর রক্তস্নাত সংগ্রাম করে চলা সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজকের তরুণেরাই দেশের ভবিষ্যৎ। আজকের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই আগামী দিনে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে, তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি বিমুখতার বদলে রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠবে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিবে, তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হবে, এটাই আজকের দিনে গণমানুষের প্রত্যাশা, আমাদেরও প্রত্যাশা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারা দেশে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোববার (১২ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।
প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ অনুযায়ী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও মাদ্রাসা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
মন্তব্য করুন