রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিক্রি করছে পাকিস্তান
গত কয়েক বছর ধরে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। এ থেকে উত্তরণে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। জানা গেছে, দেউলিয়া হওয়া এড়াতে বিশ্বব্যাংক থেকে আইএমএফ সবার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেরিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ হলেও এখনো প্রবল ঝুঁকিতে দেশটি। এমন অবস্থায় কৌশলগত প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে অন্যান্য সব সরকারি কোম্পানি বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার এমন ঘোষণা দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, সরকারি বিভিন্ন কোম্পানি ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিগত কয়েক বছরের পণ্য-পরিষেবা উৎপাদন ও অর্জিত মুনাফার সার্বিক অবস্থা যাচাই শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়ে চলবে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত। মূলত সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, শিগগিরই বেসরকারি খাতে স্থানান্তর করা হবে; এমন সরকারি কোম্পানির একটি প্রাথমিক তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, চারটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি, ১০টি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি, নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে অবস্থিত বিলাসবহুল রুজভেল্ট হোটেল এবং দুটি বিমা কোম্পানিসহ ২৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে

ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে পোস্টারে সই করে বিতর্কে রিজওয়ান!
প্রথমবারের মতো ২০ দল হিসেব বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নবম আসর শুরু হতে বাকি মাত্র ১৭ দিন। শেষ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলগুলো। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশসহ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই বিশ্ব আসরের জন্য দল ঘোষণা করেছে অংশগ্রহণকারী ১৯ দেশ। বাকি কেবল পাকিস্তান। এর আগে আয়ারল্যান্ড সফরে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়েছেন দেশটির ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের রয়েছেন বাবররা। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলে পাকিস্তান। হার দিয়ে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেছিল তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরে বাবর আজমের দল। মঙ্গলবার (১৪) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটের দারুণ এক জয় পায় পাকিস্তান। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের এক ঘটনায় দলের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পাকিস্তানের ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রোববার ডাবলিনের ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি চলাকালীন পাকিস্তানের উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এক ভক্তকে অটোগ্রাফ করতে দেখা গেছে। সেই ভক্তের হাতে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি পোস্টার ধরেছিলেন, আর তাকে লেখা ছিল, ‘ইমরান খানকে মুক্তি দাও।’ کرکٹر محمد رضوان کا عمران خان کی تصویر " RELEASE IMRAN KHAN " پر آٹو گراف pic.twitter.com/Njv6v8r16q — Muhammad Usama Ghazi (@ghaziusama) May 13, 2024 সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হয়। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। দেশের গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। যদিও তোষাখানা মামলায় তাকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তান পুলিশ। এরপর থেকে কারাবান্দি অবস্থায় রয়েছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তার রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সেই ইমরানের মুক্তির দাবি লেখা পোস্টারে অটোগ্রাফ দেন রিজওয়ান। সে ম্যাচে ডানহাতি এই ব্যাটারের ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। ইমরানের পোস্টারে করা অটোগ্রাফ নিয়ে এখনো কিছুই বলেননি রিজওয়ান।
১৫ মে, ২০২৪

অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান কি নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) ওপর থেকে কি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে শাহবাজ শরিফ সরকার? দুদিন ধরে সে প্রশ্নই আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের আধিপত্য বিস্তারের বিষয় নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের। গত শুক্রবার থেকে উত্তাল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর। জম্মু-কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (জেকেজেএএসি) নামে একটি স্থানীয় সংগঠনের প্রায় ৭০ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে এখানকার একাংশ। চড়া রাজস্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সংকটের জেরে কয়েক দিন ধরেই এ অঞ্চলের মানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল। গ্রেপ্তারের ঘটনার কারণে সেই জমা ক্ষোভ বিস্ফারিত হয়। পথে নেমে আসে সাধারণ মানুষ। বের করা হয় প্রতিবাদী মিছিল। সেই মিছিল আটকাতে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীও সক্রিয় ছিল। পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাস, ছররা থেকে বুলেটের আশ্রয় নেন নিরাপত্তারক্ষীরা। শূন্যে গুলি চালানোর পাশাপাশি জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সামাহনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, খুইরাত্তা, টাট্টাপানি, হাট্টিয়ান বালাসহ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় রোববারও বিক্ষোভ হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে একাধিক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবরও মিলেছে। তবে তাদের মৃত্যু পুলিশের গুলিতেই হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ। সেখানে চলমান সহিংসতায় এক পুলিশ কর্মকর্তারও মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। তার মধ্যেই শুক্রবারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে ওড়ে ভারতীয় পতাকা। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে সেখানে একাধিক পোস্টারও পড়েছে। সেখানে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী স্থানীয় প্রশাসন। পিওকের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক বিক্ষোভ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিতে প্রস্তুত তার সরকার। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিও চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত বৈঠকে বসার কথাও বলেছেন তিনি। এ আবহেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা আবার ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পিওকের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে ভারত নিজেকে দূরে রাখতে পারে না। এ মুহূর্তে আমাদের লোকেরা প্রতিবাদ করছেন। পুলিশের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন।’ আমজাদ আরও বলেন, ‘ভারতের উচিত এখন তাদের সমস্ত মনোযোগ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে দেওয়া। গিলগিট-বাল্টিস্তানসহ অধিকৃত অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য আমাদের সাহায্য করা উচিত। পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ভারত যদি এখন এগিয়ে না আসে, তবে আমরা স্বাধীনতা লাভের সুবর্ণ সুযোগ হারাব।’ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে কি শেষ পর্যন্ত ভারতেরই লাভ? আমজাদের দাবির পর সেই প্রশ্নই জোরদার হচ্ছে। অনেকের মতে, সেখানে পাকিস্তান সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের জেরে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে। এই আবহে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মতামত দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। রোববার এক জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ। সর্বদা সেটাই থাকবে।’
১৪ মে, ২০২৪

অর্থনীতি উত্তরণে গাঁজা চাষে ঝুঁকছে পাকিস্তান
নানা সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। দেশটি অর্থনৈতিক উত্তরণে পথ খুঁজছে। এজন্য গাঁজা চাষে ঝুঁকছে তারা। এমনকি গাঁজা বাণিজ্যের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে পাকিস্তান। বুধবার (০৮ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান প্রায় চার বছর আগে শিল্পখাতে গাজা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিকাশমান বাজারের সুযোগ নিতে চাচ্ছে দেশটি। এজন্য গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। ২০২০ সালে দেশটিতে গাজা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলেও অভ্যন্তরীণ জটিলতায় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের পদক্ষেপ থেমে ছিল।   বিশেষ বিনিয়োগ সুবিধা কর্তৃপক্ষের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আমরা এ উদ্যোগ নিয়ে খুব তৎপর। সবকিছু খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, নতুন জোট সরকার নীতি, উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের লাইসেন্স প্রদান ও চাষের অঞ্চল নির্দিষ্ট করতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। দেশটিতে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনীতি উত্তরণে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে এ বিভাগ। ভারতের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, পাকিস্তান বৈশ্বিক গাঁজার বাজারে প্রবেশ ও উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ সদ্বব্যবহারে আগ্রহী। ২০২২ সালে গাঁজার বৈশ্বিক গাজার বাজার ছিল ২৭ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। ২০২৭ সালে এ বাজার বেড়ে ৮২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)এবং অন্যান্য বিদেশি ঋণ সহায়তা পেতে রফতানি আয় ও কর বাড়ানোর উদ্বোগ নিচ্ছে।  পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে গাজার উন্মুক্ত চাষ ও বিক্রি হয়ে থাকে। ঔষধি এ গাছটি উত্তর ও পশ্চিম পাকিস্তানে চাষের পরিবেশ রয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে স্থানীয় গাজার দোকানগুলো বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু ১৯৮০ এর দশকে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল জক গাজার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন।  নতুন করে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের ফলে চিকিৎসায় গাজার ব্যবহারের সুযোগ বাড়বে। এছাড়া এ গাছ রশি, কাপড়, কাগজ এবং নির্মাণ সামগ্রীতেও ব্যবহার করা হয়।  দেশটিতে গাজার অপব্যবহার রধে কছোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে। এ আইন লঙ্ঘন করলে কোম্পানিকে ২০ কোটি রুপি এবং ব্যক্তিকে এক কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানার বিধার রাখা হয়েছে।  ২০২২ সালে এশীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডে গাঁজাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দেশটিতে গাজার অপব্যবহার বেড়েছে। তবে পাকিস্তানের এক চিকিৎসকের মতে, পেসক্রিপশনের মাধ্যমে গাজা থেকে ওষুধ বিক্রির ব্যবস্থা করা হলে এটির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, পেসক্রিপশনের মাধ্যমে বিক্রিকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের উচিত এটি নিশ্চিত করা 
০৮ মে, ২০২৪

এবার চাঁদের বুকে পা রাখবে পাকিস্তান
গেল বছর চাঁদের বুকে পা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। এবার সেই পথ অনুসরণ করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের মাটিতে পা ফেলতে যাচ্ছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানও। আগামী শুক্রবার চীনের সহায়তায় মহাকাশের পথে যাত্রা করবে পাকিস্তানের পতাকাখচিত প্রথম কোনো মহাকাশযান।  পাকিস্তানের দ্য ইনিস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি মঙ্গলবার জানিয়েছে চীনের হাইনান প্রদেশের একটি মহাকাশ স্টেশন থেকে তাদের মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে।  দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন আগামী ৩ মে চীনের হাইনানে অবস্থিত মহাকাশ স্টেশনে চ্যাং-৬ চন্দ্রানুসন্ধান মহাকাশযানে করে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে যাত্রা করবে। পাকিস্তানের এই চন্দ্র মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আইকিউব-কিউ। নিজস্ব নকশা ও উন্নয়ন প্রযুক্তির মাধ্যমে আইকিউব-কিউ মহাকাশ অরবিটারটি চীনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি ও পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুপারকোর সহায়তায় ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা তৈরি  করেছে বলে জানানো হয়। এতে দুটি অপটিক্যাল ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে, যা দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তোলা যাবে।  কারিগরি যোগ্যতা এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার আইকিউব-কিউ চীনের চ্যাং-৬ মিশনের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। চ্যাং-৬ চীনের চন্দ্রানুসন্ধানের জন্য পরিচালিত মিশনের ষষ্ঠ মিশন। আইএসটি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হ্যান্ডেলগুলোতে এই উৎক্ষেপণের ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে জানায়।  চীনের এ চন্দ্রাভিযান চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠে অবতরণ করবে এবং সেখানকার নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য পৃথিবীতে ফিরে আসবে বলে জানানো হয়। চীনের এ মিশনটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি কিউবস্যাট স্যাটেলাইট আইকিউব-কিউ বহন করছে। কিউবস্যাট হল ক্ষুদ্রাকৃতির উপগ্রহ যা সাধারণত ছোট আকার এবং মানসম্পন্ন নকশায় তৈরি করা হয়। গেল বছরের আগস্টে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। এর মধ্য দিয়ে উপমহাদেশের প্রথম দেশ এবং একই সঙ্গে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম খরচে চন্দ্রাভিযান সম্পন্ন করে দিল্লি। এবার উপমহাদেশের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চাঁদে মিশন পাঠাতে যাচ্ছে পাকিস্তান। যদিও ভারতের চন্দ্র মিশন দেশটির একক প্রকল্প থাকলেও পাকিস্তানের চন্দ্র মিশনে সহায়তা করছে চীন।  
০১ মে, ২০২৪

কারস্টেন-গিলেস্পির হাতেই বাবরদের দায়িত্ব
ভারত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে ছিল বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের পাকিস্তান। নতুন কোচের মধ্যে অনেকের নাম শোনা গেলেও বেশি গুঞ্জন ছিল ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ গ্যারি কারস্টেন ও সাবেক অজি ফাস্ট বোলার জেসন গিলেস্পিকে নিয়ে। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যি হল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য কারস্টেন ও টেস্টের জন্য গিলেস্পিকে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। রোববার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি নতুন কোচদের দায়িত্ব ঘোষণা করেন। তবে তাদের দায়িত্ব পাওয়ার পরেও অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আজহার মাহমুদ সব ফরম্যাটে সহকারী কোচ হিসেবেই থাকছেরন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলের জন্য স্থায়ী কোনো কোচিং স্টাফ ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটে। শেন ওয়াটসনসহ বিভিন্ন সময় জোরালোভাবে আরও কিছু নাম এলেও সেগুলো বাস্তবে রূপ নেয়নি। দেশটির গণমাধ্যমে গুঞ্জন ছিল, শাহিন-বাবরদের দায়িত্ব নিতে সম্মতি জানিয়েছেন ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো গ্যারি কারস্টেন। রাজি ছিলেন গিলেস্পিও। অবশেষে তাদের কাঁধে দায়িত্ব অর্পিত হলো। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭১টি টেস্ট ও ৯৭টি ওয়ানডে খেলা গিলেস্পি কিছুদিন আগে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কোচ হিসেবে ইয়র্কশায়ারকে টানা দুবার শিরোপা জিতিয়েছেন গিলেস্পি। অন্যদিকে, ২০১১ সালে ভারতকে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন কারস্টেন। দায়িত্ব নিয়ে এই প্রোটিয়া তারকা এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নিয়ে কতদূর যেতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

পাকিস্তান প্রশংসা করলেও বিএনপি উন্নয়ন দেখে না
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বিএনপির বাস্তবতা বোঝা উচিত বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে প্রশংসা করেন, অথচ বিএনপি উন্নয়ন দেখতে পায় না। গতকাল শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লজ্জিত। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে, তাদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে। এর আগে বৃহস্পতিবার করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ-সংঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছেন। এ পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সব ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিচিত্র / পাকিস্তান সংসদের মসজিদ থেকে ২০ জোড়া জুতা চুরি
মসজিদ থেকে জুতা চুরির ঘটনা প্রায় শোনা যায়। তাই বলে সংসদ ভবনের মসজিদ থেকে সংসদ সদস্যদের জুতা চুরির ঘটনা নিশ্চয় শোনেননি। তবে ঠিক এ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সংসদ মসজিদে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এক-দুই জোড়া নয়, অন্তত ২০ জোড়া জুতা চুরি হয়েছে। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। বিড়ম্বনার মুখে পড়েছে দেশটি। সংসদ ভবনের বহুস্তরের নিরাপত্তা টপকে জুতাচোররা কীভাবে ঢুকে পড়ল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, ওই মসজিদটি পাকিস্তানের সংসদ ভবন চত্বরেই। এমপি থেকে সাংবাদিক, ভবনের কর্মী সবাই সেখানে নামাজ পড়েন। গত শুক্রবার নামাজ শেষে এমপিসহ অন্যরা বেরিয়ে দেখেন অন্তত ২০ জোড়া জুতা উধাও। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তারা খালি পায়ে সংসদ ভবনে যান। জাতীয় সংসদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার সময়ে নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব ছেড়ে কোথাও গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে এ ঘটনা ঘটিয়েছে চোররা। এখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত করা হচ্ছে। সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সম্পর্ক জোরদারে একমত ইরান ও পাকিস্তান
ইরান ও পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল সোমবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে অর্থনৈতিকসহ সব ধরনের সম্পর্ক জোরদার একমত হন দুই নেতা। খবর দ্য ডনের। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সোমবার তিন দিনের সফরে ইসলামাবাদ এসে পৌঁছান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই নির্বাচনের পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সফর। এদিন সকালে নূর খান বিমানঘাঁটিতে ইরানি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী মিয়া রিয়াজ হোসেন পীরজাদা। পরে ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদেশের মধ্যে বর্তমানে যে পরিমাণ বাণিজ্য রয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান ইব্রাহিম রাইসি। এদিকে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দুদেশের সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বৈঠকে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে সন্ত্রাস নির্মূলে যৌথ প্রচেষ্টার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী রাইসিকে ‘রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা ও প্রজ্ঞার সাগর’ অভিহিত করে তার নেতৃত্বে ইরান আরও অগ্রসর হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শাহবাজ শরিফ। উল্লেখ্য, কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরান নজিরবিহীনভাবেই পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বিমান হামলা করে। জবাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। উভয় হামলাতেই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মূলত এটিই ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে প্রথম কোনো বড় ধরনের উত্তেজনা। অবশ্য দ্বিপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিলেও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তানে এই সফরটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ কয়েকদিন ধরে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলাসহ উত্তেজনা চলছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বরণে প্রস্তুত পাকিস্তান
পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে মাত্র কয়েক মাস আগেও ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। তবে তখন সামরিক জবাব এড়িয়ে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। এবার সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। খবর ভয়েস অব আমেরিকা। ইরানি প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তখন তিনি বলেন, তিনি (ইব্রাহিম রাইসি) আসছেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাব। তিনি আগামী ২২-২৪ এপ্রিল পাকিস্তান সফর করবেন। এ সফর নিয়ে আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। ইব্রাহিম রাইসি এমন এক সময়ে পাকিস্তান সফর করবেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা ঘিরে রাইসির সফর স্থগিত করা হতে পারে, এমন কথাও গণমাধ্যমে চাউর হতে শুরু করেছিল। তবে এ ধরনের সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এসব ঘটনার বহু আগে এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। প্রায় সময় একে-অন্যের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের মাটিতে জঙ্গিদের আশ্রয় এবং আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি হামলা ঠেকাতে পর্যাপ্ত সহায়তা না করার অভিযোগ তোলে দেশ দুটি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ইরানবিরোধী জঙ্গি আস্তানা নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনার পর ইরান কর্তৃক দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের নিন্দা করার পাশাপাশি ইরান থেকে পরিচালিত পাকিস্তানবিরোধী জঙ্গি ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা করে প্রতিশোধ নেয় ইসলামাবাদ। এসব পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে মুসলিম বিশ্বের দুই পরাশক্তির মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্লেষকরা। শেষ পর্যন্ত কূটনীতির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার ঠুকাঠুকির অবসান ঘটায় ইসলামাবাদ ও তেহরান।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
X