কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ১০:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অর্থনীতি উত্তরণে গাঁজা চাষে ঝুঁকছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশে গাজার একটি বাগান। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশে গাজার একটি বাগান। ছবি : সংগৃহীত

নানা সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। দেশটি অর্থনৈতিক উত্তরণে পথ খুঁজছে। এজন্য গাঁজা চাষে ঝুঁকছে তারা। এমনকি গাঁজা বাণিজ্যের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে পাকিস্তান। বুধবার (০৮ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান প্রায় চার বছর আগে শিল্পখাতে গাজা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিকাশমান বাজারের সুযোগ নিতে চাচ্ছে দেশটি। এজন্য গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। ২০২০ সালে দেশটিতে গাজা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলেও অভ্যন্তরীণ জটিলতায় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের পদক্ষেপ থেমে ছিল।

বিশেষ বিনিয়োগ সুবিধা কর্তৃপক্ষের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আমরা এ উদ্যোগ নিয়ে খুব তৎপর। সবকিছু খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, নতুন জোট সরকার নীতি, উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের লাইসেন্স প্রদান ও চাষের অঞ্চল নির্দিষ্ট করতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। দেশটিতে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনীতি উত্তরণে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে এ বিভাগ।

ভারতের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, পাকিস্তান বৈশ্বিক গাঁজার বাজারে প্রবেশ ও উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ সদ্বব্যবহারে আগ্রহী। ২০২২ সালে গাঁজার বৈশ্বিক গাজার বাজার ছিল ২৭ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। ২০২৭ সালে এ বাজার বেড়ে ৮২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)এবং অন্যান্য বিদেশি ঋণ সহায়তা পেতে রফতানি আয় ও কর বাড়ানোর উদ্বোগ নিচ্ছে।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে গাজার উন্মুক্ত চাষ ও বিক্রি হয়ে থাকে। ঔষধি এ গাছটি উত্তর ও পশ্চিম পাকিস্তানে চাষের পরিবেশ রয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে স্থানীয় গাজার দোকানগুলো বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু ১৯৮০ এর দশকে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল জক গাজার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন।

নতুন করে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের ফলে চিকিৎসায় গাজার ব্যবহারের সুযোগ বাড়বে। এছাড়া এ গাছ রশি, কাপড়, কাগজ এবং নির্মাণ সামগ্রীতেও ব্যবহার করা হয়।

দেশটিতে গাজার অপব্যবহার রধে কছোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে। এ আইন লঙ্ঘন করলে কোম্পানিকে ২০ কোটি রুপি এবং ব্যক্তিকে এক কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানার বিধার রাখা হয়েছে।

২০২২ সালে এশীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ডে গাঁজাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দেশটিতে গাজার অপব্যবহার বেড়েছে। তবে পাকিস্তানের এক চিকিৎসকের মতে, পেসক্রিপশনের মাধ্যমে গাজা থেকে ওষুধ বিক্রির ব্যবস্থা করা হলে এটির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, পেসক্রিপশনের মাধ্যমে বিক্রিকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের উচিত এটি নিশ্চিত করা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘রাইসির ঘটনায়’ উচ্ছ্বসিত মার্কিন সিনেটর

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে পালাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্য

রাইসিকে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া

রাইসিকে উদ্ধারের সর্বশেষ অবস্থা জানাল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সংস্কারের দুদিন পরই উঠে যাচ্ছে কোটি টাকার কার্পেটিং!

বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু

ঘুষ নিয়ে এএসআইয়ের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল

রাইসির খোঁজে যে ঘোষণা দিল এরদোয়ান

গণপিটুনির শিকার আ.লীগ নেতা

১০

রাইসির খোঁজে এগিয়ে এসেছে যেসব দেশ

১১

রাইসির খোঁজে ৩২ সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তুরস্ক

১২

ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাস্থল থেকে মিলল সংকেত

১৩

কেন এত সময় লাগছে অনুসন্ধানে

১৪

টানা চারটি লিগ জয়ীদের এলিট ক্লাবে ম্যানসিটি

১৫

হেলিকপ্টার পাওয়ার বিষয়ে যা জানাল রেড ক্রিসেন্ট

১৬

রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে আর যারা ছিলেন

১৭

উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে শাহবাগে গাছ কাটার অভিযোগ

১৮

সবশেষ বিহারে ছিলেন এমপি আনার

১৯

‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’

২০
X