শর্টসার্কিট থেকে আগুন, ১৫ দোকান পুড়ে ছাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।  জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শাহবাজপুর দ্বিতীয় গেট এলাকায় টিনশেটের মার্কেটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্টিক থেকে আগুনের সূত্রপাত্র। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।  খবর পেয়ে সরাইল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকাণ্ডে বারজার পেইন্টস ও আরএফএল কোম্পানির ডিলার মন্টু স্টোর, বাবুল ভ্যারাইটিজ স্টোর, সায়মা মোবাইল সার্ভিসিং, আরশ আলী টেইলার্স, হরিপদ টেইলার্স, আলী টেইলার্স ও সীতারাম চৌধুরীর সুবর্ণা জুয়েলার্সসহ প্রায় ১৫টি দোকান পুড়ে যায়।  স্থানীয় ব্যবসায়ী বার্জার পেইন্টস ও আরএফএল কোম্পানির ডিলার মন্টু মিয়া বলেন, আমাদের সারাজীবনের সম্বল একরাতের আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। দোকানে থাকা ইলেকট্রনিক, মেশিনারিজ ও পেইন্টসসহ প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। বাবুল ভ্যারাইটিজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন বলেন, ইলেকট্রনিক, মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি, গ্যাসের সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে তার অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।  পুড়ে যাওয়া সায়মা মোবাইল সার্ভিসিং-১ এর স্বত্বাধিকারী রাকিব হোসেন বলেন, তার দোকানে কাস্টমারদের মোবাইল ও বিক্রয়ের জন্য রাখা মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেক্সটপসহ ৫-৬ লাখ টাকার মালামাল পুড়েছে। আরশ আলী টেইলার্স, হরিপদ টেইলার্স, আলী টেইলার্সের প্রতিটি দোকানের ৩টি করে সেলাই মেশিন ও তৈরি করা পোশাক ও বিক্রয়ের জন্য রাখা কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া সীতারাম চৌধুরীর সুবর্ণা জুয়েলার্সের সবকিছু এ আগুনে পুড়ে গেছে। শুক্রবার (১০ মে) সকালে সরাইল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সরাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন লিডার রিয়াজ আহমেদ বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এরমধ্যেই ১৫টি দোকানের সব মালামাল পুড়ে যায়। এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. মেজবাউল আলম ভূইয়া বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানপাট পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি।
১০ মে, ২০২৪

পরনের কাপড় ছাড়া দরিদ্র ৫ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই
নাটোরে অগ্নিকাণ্ডে দরিদ্র ৫ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর, ৫টি রান্না ঘরসহ ১টি গোয়াল ঘর একেবারেই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের লোচনগড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কৃষক আছের উদ্দিন, অটো রিকশাচালক আফজাল হোসেন, রিকশাচালক গোলাম রসুল, ভ্যানচালক আনোয়ার হোসেন ও মো. রাজুর বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে থাকা এসব পরিবারের নগদ টাকা, গহনা, আসবাবপত্র ও খাদ্যসামগ্রী পুড়ে যায়। দরিদ্র এই পরিবারগুলো শেষ সম্বলগুলো হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। নাটোর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভুক্তভোগী ৫ পরিবারের দাবি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দৌড়ে এসে দেখি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। বাড়িগুলো ঘিঞ্জি হওয়ায় নিমৈষেই আগুন সবগুলো ঘরে ছড়িয়ে যায়। আগুনের এত তাপ, কেউ কাছে যেতে পারছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  ভ্যানচালক আনোয়ারের স্ত্রী তিথি খাতুন বলেন, রান্না ঘরের আগুন থেকে গোয়াল ঘর হয়ে সব ঘরে ছড়িয়ে যায়। আমার স্বামী ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। অনেক কষ্ট করে কিছু গহনা কিনেছিলাম। সেগুলোও আর পাচ্ছি না। ঘরে খাবারের যেগুলো ছিল ওগুলোও পুড়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড় সব পুড়ে গেছে। কিছুই আর রইল না। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন বলেন, ৫টি পরিবার আগে থেকেই হতদরিদ্র। আগুনে সবকিছু পুড়ে এরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেল। পরনের কাপড় ছাড়া দরিদ্র ৫ পরিবারের আর কিছুই রইল না। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান সরকারি সহায়তায় ভুক্তভোগীদের বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।  এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গেছেন। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

এবার আগুনে পুড়ে ছাই ৪০ বিঘা পানের বরজ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আবারও পানের বরজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের পাটুয়াকান্দির খুশিরপাড়া নামক স্থানে আগুনের সূত্রপাত।   এ সময় অগ্নিকাণ্ডে ৩৫ জন কৃষকের ৪০ বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পিলি পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় এলাকাবাসীসহ ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।  সরেজমিনে এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষি সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের পাটুয়াকান্দির ফরজ আলী ফরাজির পানের বরজে অগ্নিকাণ্ডের প্রথম সূত্রপাত। তীব্র দাবদাহের কারণে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সঙ্গে এলাকাবাসী চেষ্টা করে ৩ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে প্রায় ৪০ বিঘা বরজের সাড়ে ৩ হাজার পিলি পান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২ কোটি টাকা বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিরা। ধরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল হক বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ৩৫ জন পান চাষির প্রায় ৪০ বিঘা পানের বরজ একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধারণা করছি, বিড়ি সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। খুব ক্ষতি হয়ে গেল। আগামীকাল উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করব। সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করছি। ভেড়ামারায় বিভিন্ন স্থানে পান বরজে বারবার আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমার মনে হয় শ্রমিকদের অসাবধানতা ও তীব্র দাবদাহের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ফায়ার সার্ভিস ও বিশেষজ্ঞ টিম এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম ট্রেনিংয়ে থাকায় সহকারী সাব স্টেশন অফিসার আইয়ুব হোসেনের সঙ্গে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে শরিফুল ইসলাম বলেন যতদূর শুনতে পেরেছি, পানির সংকটের কারণে আগুন নিভাতে দেরি হয়েছে। তা ছাড়াও আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল।  ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেছেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছে শুনেই আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। শুনেছি ৩০-৪০ বিঘা পান বরজ পুড়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করার জন্য। আমরা সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার ব্যবস্থা করব। তবে এখানে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

শিবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে ছাই
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। ঈদের বাজারে দোকান ছিল ভর্তি মালামালে। বেশি বিক্রি ও লাভের স্বপ্ন পুড়ে হলো ছাই। সোমবার (১এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া  ১২ টার  দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী জ্বলে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই পুড়ে ছাই করে ছয়টি দোকানের মালামাল । ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন, সুমন, আশরাফুল, নওসাদ, ফারুক, সোহবুল, মহামোদালী, রুহুল ও মাহিদুর। শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার কাদেরী কিবরিয়া অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে রাত বারোটা ২৮ মিনিটে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিভাতে আসে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের আরও একটি ইউনিট আগুন নিভাতে যোগ দেয়।  তিনটি ইউনিটের ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। অগ্নিকাণ্ডে ৫ টি মুদিখানা, ১ টি কসমেটিক ও দুইটি মসলার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মো. কাদেরী কিবরিয়া আরও জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা  করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড। তবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

ভয়াবহ আগুনে লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি বাস পুড়ে ছাই
রাজধানীর ডেমরায় লন্ডন এক্সপ্রেসের একটি গ্যারেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই গ্যারেজে থেমে থাকা দূর পাল্লার ১৪টি ভলভো লাক্সারিয়াস বাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর মধ্যে কয়েকটি বাসের সমস্ত কিছু পুড়ে যায় যায়। সোমবার (১ এপ্রিল) রাত প্রায় ৯ টার দিকে কোনাপাড়া মিনি কক্সবাজার সড়কের পাশে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় খবর পেয়ে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসসহ হেড কোয়ার্টারের পাঁচটি ইউনিট এবং ২ হেভিকেল দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে আগুনের কোন সূত্রপাত খুঁজে পায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোনের-৫ প্রধান এ কে এম শামসুজ্জোহা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এরই মধ্যে গ্যারেজে থাকা ১৪টি বাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে গ্যারেজে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে আমরা আমরা বাসের মূল্য সম্পর্কে এখনো কিছু বলতে পারছি না। এ বিষয়ে ডেমরা থানার পরিদর্শক অপারেশন সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, একটি সুনসান জায়গায় গ্যারেজ করা হয়েছে বলে সাধারণত এলাকাবাসীর নজরে বিষয়টি পড়েনি। খবর পেয়ে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ একসঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। গ্যারেজে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

বউ আনতে বাধা, জামাইয়ের আগুনে শ্বশুরের ঘর পুড়ে ছাই
পটুয়াখালীর বাউফলে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুর রফিকুল হাওলাদার ও চাচাশ্বশুর শাহ আলম হাওলাদারের ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বাউফল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মেয়ের জামাই ফয়সাল হাওলাদার একজন মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে। বাউফল থানার এসআই মো. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে স্থানীয় রফিকুল হাওলাদারের মেয়ে আঁখি বেগমের সঙ্গে ফয়সালের বিয়ে হয়। সম্প্রতি ফয়সাল মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটকও হয় ফয়সাল। এসব ঘটনার টানাপোড়নে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন রফিকুল। এদিকে দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন ফয়সাল। এ সময় আঁখিকে নিয়ে যেতে বাধা দিলে ফয়সাল তার শাশুড়িকে মারধর করে। একপর্যায়ে আঁখি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। পরে পুলিশ আসার খবর শোনে ফয়সাল কেরোসিন ঢেলে শ্বশুরের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। একই আগুনে চাচাশ্বশুরের ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফয়সাল-আঁখি দম্পতির দেড় বছরের ১টি কন্যাসন্তান রয়েছে। ভস্মীভূত ঘরের মালিক শাহ আলম হাওলাদারের স্ত্রী নুন নাহার বলেন, বউ দিতে না চাওয়ায় ফয়সাল তার শ্বশুরের ঘরে আগুন দিয়েছে। পাশাপাশি ঘর হওয়ায় সেই আগুন আমার ঘরেও পুড়ে গেছে। প্রতিবেশী সবুজ সরকার বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ফয়সাল তার শাশুড়িকে মারধর করে। আহত অবস্থায় তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে ফয়সাল ফাঁকা ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খান বাবুল বলেন, ফয়সাল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ফয়সালের পরিবারকে বেশ কয়েকবার বলার পরেও তারা তাকে সংশোধন করেনি বলেই আজকে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বাউফল থানার এসআই মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মাদকাসক্ত ফয়সাল ২টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। ফয়সালের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

চট্টগ্রামে ২৬ গাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় গভীর রাতে ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৫টি মোটরসাইকেল এবং একটি রিকশা আগুনে পুড়ে গেছে। এতে দগ্ধ হয়েছেন মোহাম্মদ আলী নামে এক নিরাপত্তা প্রহরী। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে হালিশহর থানাধীন বউবাজার এলাকায় খাজা হোটেলের পাশে জাহাঙ্গীরের গাড়ির গ্যারেজে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ২টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে রাত ৩টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে গ্যারেজে থাকা ২০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৫টি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশা পুড়ে গেছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘এ ধরনের গ্যারেজে সাধারণত ব্যাটারি ওভারহিট কিংবা যান্ত্রিক গোলোযোগ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এখানে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ক্ষতিগ্রস্ত গ্যারেজটির মালিক মো. জাহাঙ্গীর কালবেলাকে বলেন, ‘যখন আগুন লাগে তখন আমি বাসায় ছিলাম। গ্যারেজে নাইটগার্ড ছিল, তার গায়েও আগুন লাগে। যেদিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেদিকে বৈদ্যুতিক মিটার ও মেইন সুইচ ছিল। মনে হচ্ছে সেখান থেকেই আগুন লেগেছে।’ হালিশহর থানার ওসি মো. কায়সার হামিদ বলেন, গ্যারেজে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো আমরা নিশ্চিত নই, কোনো নাশকতা কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
২০ নভেম্বর, ২০২৩
X