বরিশালে মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনা দিল পুলিশ কমিশনার
বরিশালে মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বিপিএম-সেবা, পিপিএম।  সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএমপির সদরদপ্তর সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের অসামান্য অবদানের জন্যই আমরা লাল-সবুজ পতাকার একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। পাকিস্তানি বাহিনী ২৫ মার্চ কালরাত্রে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ঢাকার নিরীহ মানুষদের ওপর যখন হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন রাজারবাগের পুলিশ সদস্যরাই পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে বুলেট ছুড়ে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরি, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় এবং আপনাদের সরাসরি দেখে সম্মান জানিয়ে আমরা আরও গর্বিত, উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত হই। মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।  এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার (অব.) মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের বীরত্বপূর্ণ ও দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনাসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। পুলিশ কমিশনারের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাসান মো. শওকত আলী, উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল হোসেন, মো. জুলফিকার আলী হায়দার, মোহাম্মদ জাকির হােসেন মজুমদার, মো. আলী আশরাফ ভুঞা, এস এম তানভীর আরাফাত, খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের ও বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রুনা লায়লাসহ বিএমপির অন্যান্য কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে ৩৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সম্মানিত সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের ফুলের শুভেচ্ছাসহ উপহার প্রদান ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

পূজা উদযাপনে শঙ্কার কিছু দেখছেন না সিএমপি কমিশনার
আগামীকাল ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। চট্টগ্রামে পূজা উদযাপনে কোনো আশঙ্কা নেই এবং পূজার আগেই নিরাপত্তার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।  বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর)  দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের জে এম সেন হলে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, মণ্ডপগুলোতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয়, পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। দেড় হাজারের অধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পূজা মণ্ডপকেন্দ্রিক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে আমরা সম্প্রীতি কমিটি গঠন করেছি, যাতে সমন্বিত প্রয়াসে চারদিনের এ অনুষ্ঠান সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হতে পারে। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপ সিসিটিভির আওতায় থাকবে।  তিনি আরও বলেন, পূজায় নাশকতা নিয়ে আমরা কোনো শঙ্কিত বোধ করছি না। শঙ্কা করার মতো কিছু নেই। তবে বিভিন্ন সময় যেহেতু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েছে, এগুলো মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। সতর্ক থাকা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার মধ্যে আমরা কোনো কার্পণ্য করিনি। এবার শুক্রবার ষষ্ঠীতে পড়েছে। গত শুক্রবারে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিক্ষোভ হয়েছে। এ শুক্রবারেও বিক্ষোভ হবে বলে আমরা ধারণা করছি। এতে আমাদের পূজার শৃঙ্খলা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না।  এসময় নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এম এ মাসুদ, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন।
১৯ অক্টোবর, ২০২৩
X